পুরান ঢাকা: কিছু জানা কিছু অজানা

পুরান ঢাকা স্বয়ং একটি জীবন্ত ইতিহাস। এর যা-ই বিলুপ্ত হয়েছে , যা-ই অবশিষ্ট আছে, সবই কোনো না কোনো আখ্যান তুলে ধরে। এখানকার রাস্তায় হাঁটলে মনে হতে পারে, এক জীবন্ত সত্ত্বা আপনাকে শোনাচ্ছে তার নিজের গল্প।

article

পুরান ঢাকা: নতুন কিছু

পুরান ঢাকার প্রথম পর্বে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সম্পর্কে জেনেছি। আজ জানব পুরান ঢাকায় স্থাপিত কিছু ‘বাজার’ নামের এলাকা সম্পর্কে। কীভাবে এই বাজারগুলো গড়ে উঠেছিল, কারা গড়ে তুলেছিলেন, কী পাওয়া যেত এবং তার বর্তমান অবস্থা কী দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে।

article

পুরান ঢাকা: বায়ান্নো বাজার তেপ্পান্নো গলির শহরে

পুরান ঢাকাকে ব্যাখ্যা করা যায় ‘বায়ান্নো বাজার তেপ্পান্নো গলি’ বলে। এখানে প্রচুর গলি, বাজার থাকায় এই নামকরণ করেছিলো হয়তো কেউ। শুধু বাজার নয়, এখানে আছে অনেকগুলো ‘পুর’, ‘গঞ্জ’, ‘তলা’, ‘তলী’ এবং বাহারি নামের এলাকা। এলাকার নামকরণের পেছনে লুকিয়ে আছে একটির চেয়ে একটি রোমাঞ্চকর ঘটনা। ৪০০ বছরের ইতিহাসের খনি পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো যেন একেকটা গল্প।

article

শামসিয়া হাসানি: আফগানিস্তানের প্রথম নারী গ্রাফিতি-শিল্পী

জনগণের হয়রানি এবং ‘ইসলামবিরোধিতা’র ফতোয়া এড়াতে, তাকে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ করতে হতো। এমনকি প্রায়শই নিজের চিত্রকর্ম অসম্পূর্ণ রেখে জীবন হাতে নিয়ে পালাতে হতো শামসিয়াকে। কারণ দলবেঁধে তাকে প্রহার করতে ছুটে আসার লোকও কম ছিল না!

article

রঘুরাজপুর: পট্টচিত্রের এক মায়াবী জগৎ

পূর্ব ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পুরী জেলা একটি জনপ্রিয় শ্রীক্ষেত্র। উপকূলীয় এ জেলার ধর্মীয় সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া। জগন্নাথ মন্দির, গুণ্ডিচা মন্দির, ব্রক্ষ্মগিড়ি, শতাব্দী, ভুবনেশ্বরের মতো পবিত্র মন্দির ঘেরা পুরী শহরে মানুষ তীর্থ করতে যায়। সাথে পুরী সমুদ্র সৈকত, বালিঘাই সৈকত, আনন্দবাজার, লোনা পানির চিলকা হ্রদে হয়ে যায় ভ্রমণপিপাসুদের হাওয়া বদল। পরিচিত এসব জায়গা ছাড়াও পুরী থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ভার্গবী নদীর তীরে অবস্থিত গ্রাম রঘুরাজপুর। অজানা এই গ্রাম কেন উল্লেখযোগ্য? কারণ এটি একটি শিল্পগ্রাম। যে গ্রামে সবাই শিল্পী আর ঘরের একেকটি দেয়াল তার ক্যানভাস। রঘুরাজপুর- পট্টচিত্রের এক মায়াবী জগৎ।

article

যুগে যুগে বাঙালীর খাদ্যাভ্যাস

দশ ঘাটের জল খেয়ে বাঙালি আজ এ পর্যায়ে। কত না সংস্কৃতি এসে মিশেছে এই বাঙলার পাড়ে। পারস্য, পতুর্গিজ, বিলিতি, চীনা, দিশি কত ঘাটের রান্নার স্রোত এসে মিলেছে বাঙালির পাতে। খাওয়া-দাওয়া তাই বঙ্গ-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।  

প্রাচীন-মধ্য-আধুনিক যুগে বাঙলার খাদ্যাভাসে এসেছে পরিবর্তন। পার্সি, তুর্কি, আফগান, আরবরা তখন প্রায় পুরো ভরতের দখল করে রাজ্যবিস্তারে ব্যস্ত। এই রাজ্যবিস্তার করতে করতে নিজেদের অন্যান্য সংস্কৃতিসহ খাবারের  অভ্যেসে ঢুকিয়ে দিয়েছে বাঙলার প্রান্তরে। এরই মধ্যে আবার পনেরশো শতকে বাংলায় আসে পর্তুগীজরা, ষোড়শ শতকে হানা দেয় ইংরেজরা, ষোড়শের শেষার্ধে প্রবেশ করে ওলন্দাজ আর ফরাসিরা। মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রায় সাড়ে আট দশকের মাথায় ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানীর মর্যাদা পায়। এ সকল ঘটনা বাংলার রান্নার ভূগোল পাল্টে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তাই সময়ে সময়ে যুগে যুগে একেক জাতির খাবারের স্বাদ সানন্দে গ্রহন করেছে বাঙালি।

article

বিখ্যাত দশ ধর্মীয় চিত্রকলা

ধর্মীয় চিত্রকলার অর্থ এমন যে যার মাধ্যমে নিজ নিজ ধর্মের মাহাত্ম তুলে ধরা হয়। ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এর মত এই সকল চিত্রকলাও যার যার ধর্মের কিন্তু ছবির সৌন্দর্য সবাই অবলোকন করতে পারে। হ্যাঁ গুরুত্ব হয়ত সবার কাছে সমান নয় তবে ধর্মের পবিত্রতা সকলকেই স্পর্শ করে। আবার একেক ধর্মের একেক রীতি। হিন্দু সনাতন ধর্মে নাচ-গানকে আরাধণার মত ভাবা হয়। ইসলাম ধর্মে আবার এসব হারাম বলে বিবেচিত। খ্রিষ্ট ধর্মে চিত্রাঙ্কনকে আরাধণা না মনে করা হলেও ধর্মের মর্মকে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন অনেক শিল্পীই। চৌদ্দ পনেরো শতক কি তার আগে থেকেই চলছে এই সকল চিত্রকর্ম। পশ্চিমা বিশ্বে ধর্মীয় চিত্রকলা বিশেষভাবে প্রচলিত ছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন নবজাগরণের সময় কিংবা প্রভাবশালী সাংস্কৃতিক মুভমেন্টের সময়। তবে দেখে নেওয়া যাক সেই সকল চিত্রকলার মধ্যে বিখ্যাত দশ ধর্মীয় চিত্রকলা।  

article

দোলযাত্রা, হোলি এবং অন্যান্য

‘রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাও যাও যাওগো এবার যাবার আগে 
তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে, 
তোমার তরুণ হাসির অরুণ রাগে, 
অশ্রুজলের করুণ রাগে … 
মেঘের বুকে যেমন মেঘের মন্দ্র জাগে, 
তেমনি আমায় দোল দিয়ে যাও”

article

বিশ্বসেরা দশটি ব্যয়বহুল চিত্র

একটি ভালো চিত্রকর্ম মানুষের মনে এনে দেয় অন্যরকম এক সুখ। ছবির দৃশ্যটি চোখে ধরা দেয়ার সাথে সাথে আমাদের ব্যস্ত করে ফেলে তার দুনিয়ায় ভ্রমণ করানোর জন্য। মাথা থেকে যেন নামতেই চায় না সেই গভীর দৃশ্যের মাতাল সৌন্দর্য। আমাদের বিখ্যাত সব চিত্রকরেরা আমাদের জন্য তাদের শিল্পকর্ম রেখে গেছেন। সেই সকল ছবি, বিভিন্ন দেশের শিল্পীপ্রেমীরা নিলামে কিনে নিজেরা ব্যক্তিগত সংরক্ষণ করেছেন অথবা বিক্রি করে দিয়েছেন বড় বড় অকশোনারিতে। এবার তাহলে দেখে নেওয়া যাক শিল্পর সামান্য ব্যাখ্যার সাথে ছবির দামটি। 

article

বিপ্লবের ভাষা হয়ে ওঠা গ্রাফিতি ও দেয়াললিপি

গ্রাফিতিতে উঠে আসে সমাজের সমসাময়িক বিশৃঙ্খলার এক ব্যাঙ্গাত্মক রূপ, যা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় কোন অব্যবস্থায় বাস করছো তুমি, কী তোমার পরিণতি, কীসে তোমার পরিত্রাণ। স্বতঃস্ফূর্ত চিন্তাভাবনা প্রকাশের মাধ্যম গ্রাফিতি। তাই এই স্বতোজাত ভাবনা প্রকাশের স্থান দেয়াল। বিশ্বের সকল দেয়াল একজন গ্রাফিতি শিল্পীর জন্য উন্মুক্ত ক্যানভাস। তাই বিভিন্ন দেশের দেয়ালে আমরা দেখতে পাই প্রতিবাদ, মুক্তচিন্তা, দেখতে পাই সেই দেশের প্রকৃত দৃশ্য একজন গ্রাফিতি শিল্পী বা গেরিলা শিল্পীদের চিত্রকল্পের মাধ্যমে। ঠিক যেমনটি দেখা গিয়েছিল ফ্রান্সে, আটষট্টির ছাত্র বিপ্লবে।

article

দেশজ রঙে রঙিন যামিনী রায়ের চিত্রকলা

যে শিল্পী নিজেকে স্বতন্ত্র রেখেছেন, নিজের প্রতিভাকে পণ্য করে নয়, কোনো পরসংস্কৃতির চর্চা করে নয়, বরং স্বদেশের প্রত্যন্ত অবহেলিত লোকসংস্কৃতিকে তুলির আঁচড়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি দিয়েছেন, তিনিই পটুয়া…

article

End of Articles

No More Articles to Load