মাইন্ডহান্টার: মানুষরূপী সিরিয়াল কিলারদের গল্প

দুই এজেন্টের দায়িত্ব সবচেয়ে হিংস্র সিরিয়াল কিলারের সাক্ষাৎকার নেওয়া। সিরিয়াল কিলার এড কেম্পারের খুনের উদ্দ্যেশ্য ও প্রেরণা সম্পর্কে জানতে পারলে হয়ত এফবিআই আরো অনেক খুনের তদন্ত সহজেই করতে পারবে, এই ছিল তাদের বিশ্বাস। অনেকে বলে এই বিষয়ে এজেন্ট ফোর্ডের আলাদা দক্ষতা আছে যা আশীর্বাদসরূপ পাওয়া। তবে এই দক্ষতা কী আসলেই আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? সিরিজ আগাতে থাকে আর প্রতি এপিসোডে ডেভিড ফিঞ্চারের কারিশমা দেখতে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র খুনীদের গল্পই না, সে সময়কার বর্ণবাদ, হোমোফোবিয়া এবং কর্মক্ষেত্রের হাজারো সমস্যা নিয়ে মাইন্ডহান্টার। এইসব সাইকোপ্যাথদের সাথে সময় কাটাতে গিয়ে, তাদের গল্প শুনতে গিয়ে তার ছাপ পড়তে থাকে দুই এজেন্টের জীবনেও। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মক্ষেত্রের এই টানাপোড়েনের মধ্যে ফোর্ডের অবস্থা বেগতিক হতে থাকে।

article

দ্যা উইচার: ফ্যান্টাসি জনরার আরেক সংযোজন

উইচার হচ্ছে মিউটেশন এবং ম্যাজিকের মাধ্যমে সৃষ্ট; অনেকখানী ভাবলেশহীন, অনুভূতিহীন এবং অতি প্রাকৃতিক শক্তির অধিকারী মানুষ ও পশুর মাঝামাঝি এক প্রানি। শিশু অবস্থাতেই অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের ভরণপোষণ করতে না পেরে উইচার তৈরী করার কারিগরদের হাতে তুলে দেন। এই অনেকগুলো কারখানার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত নাম “ক্যার মোরহেন”। সেখানে বছরের পর বছর ট্রেনিং ও ম্যাজিকের অত্যাচারে বেঁচে ফিরে যে ক’জন, তারাই হয়ে উঠেন উইচার। অর্থের বিনিময়ে দৈত্য-দানো ও জন্তুর হত্যা করাই এই উইচারের কাজ। এজন্য তাদের আরেক নাম, মনস্টার স্লেয়ার। মূলত মহাদেশের উত্তরের দিকে যখন মানুষ বসবাস করতে শুরু করে তখন তাদের বিভিন্ন জীব-জন্তু, দৈত্য, ভুত-প্রেতের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকাটা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। তাই শাসকেরা তাদের মেইজ অর্থাৎ যাদুকরদের, এমন এক যোদ্ধা সৃষ্টির আদেশ দেন যে কিনা তাদের এই মুশকিল আসান করতে পারবে। এভাবেই উইচারদের আবর্তন ঘটে। আদতে তারা মানুষদের জীবনের মুশকিল দূর করতে আসলেও মানুষ তাদের তেমন একটা ভাল চোখে দেখে না। রাজা থেকে শুরু করে রাস্তার ভিখারীর কেওই উইচারের সান্নিধ্যে থাকতে পছন্দ করেন না। তবে প্রয়োজনে ডাক পরে উইচারের ঠিকই।

article

মেইড: এক সিঙ্গেল মাদারের পথচলার গল্প

চারপাশটা যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসছিল শেষ আশা হিসেবে সরকারী সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায় এলেক্স। কপালে জুটে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শেল্টার। তবে সে কী আদৌ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের স্বীকার? শরীরে বয়ফ্রেন্ড শনের দেওয়া কোনো চোটের চিহ্ন নেই। কিন্তু মানসিক নির্যাতনও যে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত তা প্রথমবার জানতে পারলো। সব শেষে মাথার ওপর ছাদের বন্দোবস্ত হলেও নেই কোনো আর্থিক সচ্ছলতা। সরকারী অফিস থেকেই এক কোম্পানির নম্বর দেওয়া হয় নাম, “ভ্যালু মেইডস”। ঘরে ঘরে গিয়ে গৃহকর্মীর দায়িত্ব পালন করা আর সেই সাথে প্রতি ঘন্টায় কিছু ডলার পকেটে জুটতে পারে। এরই মধ্যে নেইট (রেইমন্ড এব্ল্যাক) নামের পুরোনো এক বন্ধু সাহায্যের হাত বাড়ায় তার গ্যারেজে পরে থাকা পুরোনো গাড়ি ধার দিয়ে। তবে দারিদ্রতা যেন পিছু ছাড়ছেই না। এত স্বল্প উপার্জনে কিছুই সামলে উঠতে পারছেনা এলেক্স। এক বড়লোক বাড়িতে গিয়ে কাজ শেষ করেও, বাড়ির মালিক অসন্তোষ প্রকাশ করায় এলেক্স হারিয়ে ফেলে তার সোনার হরিন সেই চাকরিটিও।

article

তিন সিনেমায় ইনারিতুর মৃত্যুকথন

“আমি সিনেমা বোঝাতে বিশ্বাস করি, সিনেমা দেখাতে নয়।
সিনেমা বোঝা আর সিনেমা দেখা দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন কাজ। সিনেমা দেখে সিনেমা অনুভব করা যায় না, যা সিনেমা বুঝে করা যায়। সিনেমার জন্মই হয়েছে সকলে মিলে একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে”
-আলেহান্দ্রো গনজালেস ইনারিতু

article

কিম কি-দুক: একজন সেলুলয়েডের কবি

একদিন সকালে উঠে তার মনে হয়েছিল, তিনি পরিচালক হবেন। ব্যস। এটুকুই। ৩০ বছর বয়সের আগে পর্যন্ত কোনো সিনেমাই দেখেননি তিনি। তার প্রথম দেখা সিনেমা ছিল “সাইল্যান্স অফ দ্যা ল্যাম্ব”। এন্থনি হপকিন্সের এই সিনেমা আর আরেকটি ফ্রেঞ্চ সিনেমা “দ্যা লাভার্স অন দ্যা ব্রিজ” তার মাথায় সিনেমার পোকা ঢোকায়। তিনি আরো বলেন, তিনি কখনো সিনেমা নিয়ে গভীর কোনো পড়াশুনা করেননি। সিনেমা বানানো শিখেছেন  জীবন থেকে। আজকালকার নির্মাতারা যেমন নিজেদের একটি সিনেম্যাটিক কাঠামোতে আবদ্ধ করে রাখে, তার কারণ হতে পারে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, যা কিমের ছিলনা।

article

ম্যান্ডেলা (২০২১): রাজনীতি ও হাস্যরসের এক অদ্ভুত মিশ্রণ

একদিন গ্রামবাসী জানতে পারে, তাদের একমাত্র নেতা তাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা করেছেন। বিপত্তি শুরু হয় এই শৌচাগার উদ্বোধনের সময়।

article

সঙ্গীত জগতের ছোঁয়ায় পাঁচ সিনেমার গল্প

শিল্পীদের পর্দার আড়াল থেকে জনসম্মুখে আসার গল্পটা কিন্তু সবসময় সুখকর হয় না। তাদের অনেক পাহাড়সম ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলস্বরূপ একদিন তাদের নিয়ে আমাদের মুখে জয়জয়কার শোনা যায়। এমন বিভিন্ন শিল্পীর জীবনের গল্প রূপালি পর্দায় নিয়ে এসেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতারা। আজকে পাঠকদের সাথে এমন পাঁচটি সিনেমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছি, যার মূল গল্প সঙ্গীতকারদের নিয়ে, তাদের সংগ্রাম নিয়ে।  

article

কেয়ার অভ কাঞ্চারাপালেম: জীবনের চার অধ্যায় এক গল্পে

ভালোবাসা আসে বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন বয়সে। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা যেমন শোকে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিতে পারে, আবার সেই ব্যর্থ প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনেও আবার একদিন ভালোবাসা আসে। শোকের কারাগারে বন্দি মানুষটা মুক্ত বাতাসের স্বাদ অনুভব করতে পারে।

article

সুপার ডিলাক্স: ডার্ক কমেডির মোড়কে এক অদ্ভুত মনোরঞ্জক

চারটি আলাদা গল্প নিয়ে একটি ইমোশনাল রোলার কোস্টার ‘সুপার ডিলাক্স’। কখনো চোখ ভিজে উঠবে, আবার তৎক্ষণাৎ হাস্যকর সংলাপে দর্শক নিজেই হেসে উঠবেন।

article

End of Articles

No More Articles to Load