কাতারের মাটিতে যারা সাফল্যের ফুল ফোটালেন, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে চমকে দিলেন পুরো বিশ্বকে, তাদের থেকে বাছাইকৃত এগারোজনের একাদশের দিকে নজর দেয়া যাক। রোর বাংলার দৃষ্টিতে কাতার বিশ্বকাপের সেরা একাদশকে সাজানো হয়েছে ৪-৪-২ ছকে।
৩৬ বছর ধরে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতে না। ম্যারাডোনা ঐ অ্যাজটেকে শেষ বিশ্বকাপ উচিয়ে ধরলেন, এরপর দুটো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও খুব কাছে গিয়েও ঐ সোনালী ট্রফি আর ঘরে তোলা হয়নি তাদের। অনেক আর্জেন্টিনা সমর্থক এই বিশ্বকাপ-খরাকে মনে করেন ‘তিলকারার অভিশাপ’-এর ফলাফল।
গনসালো রামোস: যে নামটি কার্লো আনচেলত্তিও জানেন না রামোসের খেলার ধরন অনেকটা রোনালদোর সাথেও মেলে। গতি দিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে বোকা বানানো, কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে নিখুঁত জোড়ালো শট, কর্নার কিকের সময় ডি-বক্সে লাফিয়ে ওঠা তো রোনালদোর ফেলে আসা রঙিন সময়কেই তো মনে করিয়ে দেয়।
ধরনীর বুকে এমন রাত একবারই আসে দুর্দান্ত একটা দল নিয়ে কাতারে এসেছিল ব্রাজিল। তারকার মেলা দেখে সবার স্বপ্নের পরিধিটা আরও বড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তারকাভর্তি দল থাকলেই যে বিশ্বকাপ জেতা যায় না!
বেলজিয়ামের গেছে যে দিন, একেবারেই কি গেছে? আগামী বিশ্বকাপে এই একাদশের অধিকাংশই থাকবেন না। আবার নতুন কোচের অধীনে হয়তো ঢেলে সাজাতে গিয়ে বাদ পড়বেন অনেকেই। কিন্তু বেলজিয়ামের হাতে এখন এমন খেলোয়াড় নেই, যারা ভবিষ্যৎ বেলজিয়ান ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
নিয়তিই শুধু পারে এই গল্পকে ব্যাখ্যা করতে: রদ্রিগো গোয়েস ম্যাচটা শেষ করার পরেই তিনি রিয়াল মাদিদ থেকে ফোন পেয়েছিলেন। এরপর তিনি সাও পাওলো গিয়ে একেবারে চুক্তি পাকা করে এসেছেন। সবকিছু শেষ না হবার আগে তিনি আমাকে কিছুই বলেননি।
বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যাচে গাভির রেকর্ডের ছড়াছড়ি বিশ্বকাপ অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ডটির মালিক এতদিন ছিলেন রোমানিয়া ও হাঙ্গেরির হয়ে খেলা সাবেক ফরোয়ার্ড নিকোলা কোভাচ।
ব্রাজিলের ‘শাঁখের করাত’ এত এত তারকা ব্রাজিল দলে! কিন্তু একটি পজিশনে তিতে যথাযথ খেলোয়াড় নিতে পারেননি। আসলে চাইলেও তিনি পারতেন না।
স্ট্রাইকার ছাড়া পাসিং ফুটবল: স্প্যানিশ গৌরব নাকি চোখের বালি? টিকিটাকা আর ফলস নাইনের আঁতুড়ঘর তো এই স্পেন আর কাতালুনিয়ার ঐ ক্লাবটি। তাই এরাও পাসিং ফুটবল ভুলতে পারে না। লোপেতেগি থেকে জাভি বা লুইস এনরিকে – সবার কথা ঘুরেফিরে একই। বল পায়ে রাখতে হবে আর দিতে হবে নিখুঁত পাস।
আজকের সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তির সামনে ম্যারাডোনা কখনোই হাত দিয়ে গোল করে পার পেতেন না। ঐ গোল তো বাতিল করা হতোই, সাথে হাত দিয়ে গোল করার দোষে ম্যারাডোনা লাল কার্ডও পেতে পারতেন। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের ভাগ্যই পাল্টে যেত।
ডানকান টারগেরিয়ান এবং জেনি দ্য ওল্ডস্টোনের প্রেমকথা ২৩৩ এসিতে, তাদের প্রথন সন্তান জন্ম নেয়। এইগনের সবথেকে কাছের বন্ধু ছিলেন লর্ড কমান্ডার অফ কিংসগার্ড স্যার ডানকান দ্য টল। প্রিয় বন্ধুর নামের সাথে নাম মিলিয়ে এইগন তার প্রথম সন্তানের নাম রাখেন ডানকান টারগেরিয়ান। যেহেতু প্রথন ছেলে সন্তান, তাই ডানকান হয়ে যান প্রিন্স অফ ড্রাগনস্টোন। কারণ বাবা এইগনের পরে এই সাত রাজ্যের ভার তো তার কাছেই বর্তাবে।