নোভাক জোকোভিচের ‘অস্ট্রেলিয়া সফর’

জোকোভিচের ভিসা বাতিলের পেছনে সর্বাধিক অবদান রাখেন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক। শুনানিতে জোকোভিচের পরাজয়ের পর বুঝতে বাকি নেই, নিজেদের আইনের প্রতি ঠিক কতটা শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন এই মন্ত্রী।

article

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জো বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলন

এশিয়ার এই অঞ্চলটি যেমন বরাবরই বিভক্ত তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। অন্ততপক্ষে বিগত কয়েক বছরের প্রেক্ষাপটে তা বলাই যায়। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমায় চীনের বলয় সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। তাই বলা যায় কর্তৃত্ববাদের জোয়ার এবং পিছিয়ে পড়া গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর একটি বিস্তৃত সম্মেলন বা আলোচনা স্বত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ায় বিষয়টি কতোটুক কার্যকর হবে সে বিষয়ে সন্দিহান অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। প্রথমতো, সমালোচকরা যুক্তি দেন যে ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের কাছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচারের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তার নিজের ঘাটতিগুলো পূরণ করতে হবে। কারণ এই অঞ্চলের মানুষ ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিকালে গণতন্ত্রের দিকদিয়ে পিছিয়ে পড়েছে। দেশটিতে নাগরিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম হাউসের ফলাফল এখন মঙ্গোলিয়ার মতো নতুন গণতান্ত্রিক দেশের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে। আর তাই দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে বলা চলে দেশ সমূহ ওয়াশিংটনের নেতৃত্ব অনুসরণ আগ্রহ হারিয়েছে।

article

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে কারণে জার্মানি উইম্বলডনে বোমাহামলা চালায়

১৯৪০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ৩০০টি জার্মান বোমারু বিমান লন্ডনে হামলা চালায়। এটি ছিল লন্ডনে জার্মান বাহিনী কর্তৃক টানা ৫৭ রাতের হামলার প্রথম রাত। এরপর থেমে থেমে কুখ্যাত এই ব্লিটজ বোমা হামলা চলেছিল ১৯৪১ সালের মে মাস অবধি। যদিও জার্মানরা ব্রিটেনে বোমা হামলার পূর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে যুদ্ধে জয়লাভ করে। ১৯৪০ সালের ১০ মে থেকে ২৫ জুন অবধি চলা টানা ৬ সপ্তাহের সেই যুদ্ধে ফরাসিদের শোচনীয় পরাজয়ের ফলে ব্রিটেন অভিমুখে যুদ্ধ পরিচালনায় তেমন একটা সমস্যা পড়েনি হিটলার বাহিনী। যদিও ব্রিটেনে হামলা শুরুর পূর্বে ইংলিশ চ্যানেলে ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে আক্রমণ করে জার্মানরা। পরবর্তীতে তারা চেয়েছিল রয়্যাল এয়ারফোর্সকে একেবারে ধ্বংস করে দিতে। ব্রিটেনকে নিঃসঙ্গ করতে পারলে সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে অগ্রসর হওয়া সুবিধাজনক ছিল হিটলারের পক্ষে। তার সকল কৌশল ১৯৪১ সাল অবধি মোটামুটি সফল হয়েছিল।

article

স্বাধীনতার এক দশক পর কেমন আছে দক্ষিণ সুদান?

স্বাধীনতা অর্জনের পর এখন অবধি দক্ষিণ সুদান পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠতম দেশ। কিন্তু সুদান থেকে আলাদা হওয়ার পরেও গত দশ বছরে ঠিক কতটুক উন্নতি তারা করতে পেরেছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। দুর্নীতি, সীমান্ত বিরোধ, রাজনৈতিক কোন্দল, তেল নিয়ে বিরোধ সহ নানারকম সমস্যায় জর্জরিত দেশটি জাতিসংঘের সূচকে অত্যন্ত দরিদ্র দেশ সমূহের একটি। সুদান থেকে আলাদা হওয়ার ২ বছরের মাথায় আরো একবার গৃহযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল দেশটিতে। সেখানেও প্রাণ হারায় লাখ লাখ মানুষ। এছাড়াও দেশটির ২০ লাখ নাগরিক বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে ৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার দক্ষিণ সুদান নিজেদের অফুরন্ত খনিজ সম্পদ থাকা স্বত্ত্বেও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্যের উপর নির্ভরশীল।

article

জোভেনেল ময়েস: হাইতিয়ানদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসে ক্ষমতার লোভে পড়া রাষ্ট্রপতি

হাইতিতে ময়েস বিরোধীরা তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চেয়েছিল ঠিকই তবে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল কিনা সে বিষয়ে যৌক্তিক কোনো প্রমাণ আজ অবধি পাওয়া যায়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি যখন হুমকি পেয়েছেন বলে দাবি করেন তখন আন্তর্জাতিক মহলে তার বক্তব্যকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেখা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ ঠিকই প্রাণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েস। তাকে হত্যার মধ্যদিয়ে দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি আরো সংকটময় করে তুলেছে সন্ত্রাসীরা। যদিও ময়েসের বিরুদ্ধে পাওয়া অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, অপশাসন, দুর্নীতির সকল অভিযোগ মিথ্যা নয়। আর তাই ময়েসের রাজনৈতিক উত্থান, নির্বাচনে জয় পাওয়া কিংবা ক্ষমতায় থাকাকালীন সফলতা এবং ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনার সময় এসেছে।

article

১৯৬৮ সালের ঘটনাবহুল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

১৯৬০ এর দশকের শেষেদিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তরুণদের যুদ্ধে যোগদানে প্ররোচিত করা সহ নানারকম কারণে যুব বিদ্রোহ গড়ে উঠে শহরগুলোতে। ১৯৬৭ সালে নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে এক দাঙ্গায় ২৬ জন তরুণ নিহত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল। এই অবস্থায় নির্বাচন যতো কাছে ঘনিয়ে আসছিল দেশের সার্বিক অবস্থা ততটাই খারাপ হয়ে উঠছিল। ঐ মুহূর্তে ক্ষমতার পালাবদলই মার্কিন নাগরিকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারতো বলে মনে করতেন সে সময়ের সাংবাদিকেরা। এই সংক্রান্ত সংবাদ সমূহ ছাঁপানো হতো তৎকালীন পত্রপত্রিকার প্রথম পাতায়।

article

ফ্রেডরিক ডগলাস: আমেরিকায় দাসপ্রথা বিলুপ্তির নেপথ্যে ছিলেন যিনি

শ্বেতাঙ্গ নাগরিকেরা ভোটাধিকার, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সবরকম নাগরিক অধিকার অর্জন করলেও সবকিছু থেকে দূরে রাখা হতো কৃষ্ণাঙ্গ দাসেদের। কখনো কখনো দাস মালিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপে পলায়ন করতেন অনেকে। কেউবা বেছে নিতেন আত্মহত্যার পথ। ঠিক এমনই এক সমাজে দাস হিসেবে বেড়ে উঠে একজন মানুষ বদলে দিয়েছিলেন গোটা আমেরিকান সমাজের চিত্র। গোপনে শ্বেতাঙ্গ শিশুদের সাথে মিশে অক্ষর জ্ঞান অর্জন করে পরবর্তীতে নিজেই নিজের জীবনী লিখে ইউরোপ, আমেরিকায় হয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। মাত্র ১২ বছর বয়সে গির্জায় গোপনে পড়াশোনার আসর জমাতেন যে কিশোর, তিনিই আরো ৪০ জন দাস শিশুকিশোরকে দিয়েছিলেন অক্ষরজ্ঞান। কিশোর বয়সে ২ বার পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সহ্য করেছিলেন অবর্ণনীয় নির্যাতন। তৃতীয়বার যখন তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তারপর অবশ্য তার পরিচয় গড়ে উঠে বিশিষ্ট লেখক, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী হিসেবে।

article

বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ইলিনর রুজভেল্টের ভূমিকা

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পূর্বে কারাবন্দীদের নির্যাতন কমাতে কিংবা সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে একাধিক আঞ্চলিক আলোচনা, চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কখনোই বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট ছিল না। কেননা, কারাবন্দী কিংবা যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়াও হাজারো সমস্যা ছিল মানবসমাজে। এত এত কাজের ফাঁকে সারাবিশ্বে একটি বৈশ্বিক মানবাধিকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা অবশ্য বর্তমান সময়ের সাথে তুলনা করলে বোঝা যায়। যদিও তার মানে এই নয় যে, পৃথিবীতে মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকে বৈশ্বিকভাবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করে গেছেন, তারা আমাদের থেকে অনেকখানি কৃতজ্ঞতা আশা করতেই পারেন। আর তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ইলিনর রুজভেল্ট।

article

ভ্যাকসিনের কল্যাণে যে রোগগুলো ভুলতে বসেছি আমরা

মহামারি তৎক্ষণাৎ লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করলেও মানুষ নিজেরাই ধীরে ধীরে মোকাবেলার পথ খুঁজে নিয়েছে। ব্ল্যাক ডেথ মানুষকে কোয়ারেন্টিন এবং সামাজিক দূরত্বের মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা শিখিয়েছে। কিন্তু মহামারি মোকাবেলায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সফলতা এসেছিল প্রতিষেধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মাধ্যমে।

article

মানবজাতিকে নতুন নতুন প্রতিরোধ ব্যবস্থা শেখানো কয়েকটি মহামারি

মানুষ নিজের অজান্তে বিভিন্ন প্রাণীর শরীর থেকে বিস্তার ঘটা রোগের প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল। এছাড়াও অপরিচ্ছন্নতা এবং সুষ্ঠুভাবে লালনপালনের পদ্ধতি না জানার ফলে প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে সহজেই বিভিন্ন রকম রোগ ছড়িয়ে পড়তো।

article

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিতর্কিত নির্বাচন

ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা রিপাবলিকানরা কারচুপির অভিযোগ সামনে এনে একে ইতিহাসের সবথেকে বিতর্কিত নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নির্বাচনে কারচুপি হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। তবে সেগুলো মার্কিন সংবাদমাধ্যম অন্যান্য সংবাদের মতো ফলাও করে প্রকাশ করে না। আর এটিও মোটামুটি স্পষ্ট যে ব্যক্তি বিশেষে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে পছন্দ অপছন্দের একটি বিষয় রয়েছে।

article

৯/১১ হামলার পর যে বিষয়গুলাতে পরিবর্তন এনেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

জৈব, রাসায়নিক এবং পারমাণবিক হামলার আতঙ্কে দেশের সবকটা নিরাপত্তা বিভাগের সমন্বয়ে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেন। পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন অভিবাসন নীতি। সীমিত করা হয় বিদেশীদের প্রবেশাধিকার সহ নানারকম সুযোগসুবিধা। কারণ এই হামলার সাথে সম্পৃক্ত অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে একাধিক তদন্তে। এছাড়াও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করে দেশটির সরকার। পরবর্তীতে যাতে আরো একজন মার্কিন নাগরিক এমন হামলায় নিহত বা আহত না হন এটি নিশ্চিত করাই ছিল বুশ প্রশাসনের উদ্দেশ্য।

article

End of Articles

No More Articles to Load