গ্যারেথ বেলের ‘রিয়াল মাদ্রিদ সমাচার’

প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ হয়তো ভাবেননি ৬০ শতাংশ বেতন পরিশোধ করে সাময়িক বিদায় দিতে হবে তার দ্বিতীয় অধ্যায়ের সবথেকে আলোচিত এই খেলোয়াড়কে। রিয়ালকে এমন পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করানোর পেছনে গ্যারেথ বেল এবং তার এজেন্ট জনাথন বার্নেটকে সরাসরি দায়ী করা যেতে পারে। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ লিগ শিরোপা জিতলেও লা লিগায় গ্যারেথ বেল খেলেছেন মাত্র ১০৯২ মিনিট। ২ গোল এবং ২ অ্যাসিস্ট থাকলেও এখন অবধি এটি তার রিয়াল ক্যারিয়ারের সবথেকে খারাপ মৌসুম বলা যায়। এমন প্রেক্ষাপটে চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রিদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান তিনি। অন্যদিকে, এজেন্ট জনাথন বার্নেটের প্রস্তাব ছিল চুক্তির পুরো অর্থ অগ্রিম পরিশোধ করলে সাথে সাথেই লন্ডনের ফ্লাইট ধরবেন তিনি।

article

ফিফার সংস্কার প্রস্তাব এবং আফ্রিকান ফুটবলের ভবিষ্যৎ

ফিফার সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আফ্রিকান নেশনস কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজনের সময় পরিবর্তন করার বিষয়টিকে। বর্তমানে এই টুর্নামেন্ট ২ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ফিফা এটিকে প্রতি ৪ বছরে একবার আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। আর প্রথম থেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছেন আফ্রিকান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। কারণ ফিফার অনুদান এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত আফ্রিকা অঞ্চলের ফুটবলের উন্নয়নে যাবতীয় অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। প্রান্তিক দেশগুলোর ফুটবল ব্যবস্থা টিকে আছে সিএএফের অর্থায়নকে ঘিরে। আর সংস্থাটির অর্থনীতির চাকা ঘোরে এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থের উপর ভর করে। ২ বছরের বদলে ৪ বছর পর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে প্রায় এক তৃতীয়াংশ আয় কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে ফিফার অনুদানের উপর নির্ভরশীল হয়ে কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হবে আফ্রিকান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

article

আমেরিকান বিপ্লব সফল করার লক্ষ্যে ফরাসিদের ভূমিকা

আমেরিকান বিপ্লবে ফরাসিদের সাহায্য সহযোগিতার প্রতি মার্কিনিরা সবসময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। ইয়র্কটাউনে ব্রিটিশদের আত্মসমর্পণের যে তৈলচিত্রটি এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল মিউজিয়ামে ঝুলছে তা থেকে সে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। চিত্রশিল্পী জন ট্রাম্বুল ব্রিটিশদের বিপরীতে আমেরিকানদের সাথে ফরাসিদের সমানভাবে তুলে ধরে চিত্রিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিরা তখন থেকেই ফরাসিদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করতেন। আর আমেরিকান বিপ্লবের শত বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুত্বের উপহার স্বরূপ যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফরাসিরা পাঠিয়েছিল তা এখনও স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে নিউ ইয়র্ক উপকূলে।

article

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সরকারের সাত সতেরো

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক দিক বরাবরই বিদ্রূপাত্মক। তবে তারা ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের পক্ষে সমর্থনকারী নির্বাহী ক্ষমতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিল। আর এই কার্যক্রমের শেষ পদক্ষেপটি ছিল ইংল্যান্ডের রাজা অথবা রানীর চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান নির্বাহী রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। অন্যদিকে, যেদিন ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট ঘোষনা দিয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী দেশটির পার্লামেন্ট বাতিলের ক্ষেত্রে রানীর অনুমতি নেওয়া কিংবা জিগ্গেস করার প্রয়োজন নেই’ সেদিনের পর থেকে কোনো এক অজানা বলয় সৃষ্টি হয়েছিল যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে। এই ঘোষনার পরদিন একটি পত্রিকা হেডলাইনে উল্লেখ করেছিল ‘ব্রিটেন একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে মাথায় একটি সমস্যা নিয়ে।’

article

রাজধানী হয়েও ওয়াশিংটন ডি.সি কেন অঙ্গরাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি?

পুনর্গঠনের সময় ওয়াশিংটন ডি.সি’র মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক। এতে করে তারা ভোটাধিকার অর্জনের পরেই নিজেদেরকে রাজধানীর স্থানীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইতেন। আর শ্বেতাঙ্গ কংগ্রেস সদস্যরা এটিকে আসন্ন বিপদ হিসেবে দেখতেন। কৃষ্ণাঙ্গদের থামাতে শুরুতেই ডি.সি’র স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয় মার্কিন সরকার। অতঃপর ১৮৭১ এবং ১৮৭৪ সালে কংগ্রেস কর্তৃক একাধিক আইন পাশ করে ওয়াশিংটন ডি.সি’র সকল ক্ষমতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এই পদক্ষেপের ফলে প্রেসিডেন্ট নিজেই সেখানকার প্রতিনিধি নির্বাচনে কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন। অন্যদিকে, সেখানকার নাগরিকেরা কংগ্রেস প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় প্রেসিডেন্টের যে কোনো সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারতেন না।

article

তেহরান সম্মেলন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির জয়ের নীলনকশা তৈরি হয় যেখানে

তেহরান সম্মেলনে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পরস্পর সাক্ষাত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ নেতা জোসেফ স্ট্যালিন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল। এই সম্মেলনকে ঘিরে তিন পক্ষের আকাঙ্ক্ষা ছিল সর্বোচ্চ। শুধুমাত্র জার্মানি এবং জাপানকে পরাজিত করার বিষয়েই নয়, একইসাথে যুদ্ধত্তোর বিশ্ব কেমন হবে এবং সেখানে তাদের ভূমিকা কতটুক থাকবে এসব বিষয়কে আলোচনায় প্রাধান্য দেয়া হয়। তেহরান সম্মেলনে তিন পক্ষের চাওয়ার তালিকা যতটা দীর্ঘ ছিল, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ততটাই কম ছিল। কিন্তু মিত্রবাহিনীকে পরাজিত করতে হলে একে অপরকে ছাড় দেয়া ব্যতীত অন্য কোনো উপায় ছিল না তাদের হাতে।

article

মাস্ক ব্যবহার এবং সংরক্ষণের কিছু নিয়মাবলী

অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম সার্জিক্যাল মাস্কের প্রচলন শুরু হলেও স্প্যানিশ ফ্লু সংক্রমণের আগ অবধি এটির পরিচিতি একেবারেই ছিল না বলা যায়। ১৯১৯ সালের স্প্যানিশ ফ্লুয়ের তাণ্ডবে সারাবিশ্বে প্রায় ৫ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। কোনো কোনো হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। বর্তমানে চলমান বৈশ্বিক মহামারিতে চিকিৎসকরা বার বার স্প্যানিশ ফ্লুয়ের সময়কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে তখনকার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং গজ মাস্কের সুফল মানুষের উদ্দেশ্যে প্রচার করেন। মাস্ক যদি পরিধান করতেই হয় তবে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা নির্দেশিকা সমূহ অবশ্যই মানতে হবে। অন্যথায় উপকারের বদল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন যে কেউ।

article

করোনাকালে বদলে গেছে জেরুজালেমের ধর্মকর্ম পালনের রীতিনীতি

নতুন নিয়মে গির্জায় প্রার্থনার অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি মুসলমানদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মসজিদুল আকসার বাইরে নামাজ পড়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

article

বৈশ্বিক মহামারিতে কেমন আছে শ্রমজীবী শিশুরা?

নিম্ন আয়ের দেশে দারিদ্র্য যখন মূল সমস্যা, তখন একটি শিশুর তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়া পুরো পরিবারের জন্য বড় একটি বিষয়। আর তাই অন্তত বেঁচে থাকার তাগিদে কর্মযজ্ঞ শুরু করা ছাড়া তাদের জন্য দ্বিতীয় কোনো পথও খোলা নেই।

article

End of Articles

No More Articles to Load