তিম্বাকতু নগরী: আফ্রিকার বুকে এক ভূতপূর্ব সম্পদশালী নগরীর ইতিহাস

পশ্চিম আফ্রিকার দুর্গম মরু অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধশালী নগরী। এই নগরী একদিকে ছিল ধনসম্পদের আখড়া, অন্যদিকে ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার আদর্শ প্রাণকেন্দ্র। এখানে রাজত্ব করেছেন তর্কসাপেক্ষে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মানসা মুসা। এখানে গড়ে উঠেছে মাটির তৈরি তিনটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। একসময় এই নগরীর রুট দিয়ে লেনদেন হতো সহস্র-লক্ষাধিক মুদ্রার বাণিজ্যিক পণ্যের। কিন্তু সেই মধ্যযুগীয় অতীত যেন এখন অস্পষ্ট স্বপ্নের মতো ঠেকে। বলছিলাম আফ্রিকা মহাদেশের ঐতিহাসিক নগরী ‘তিম্বাকতু’র কথা।

article

বৈকাল হ্রদ: পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং গভীরতম হ্রদের গল্প

রুশ ফেডারেশনের সাইবেরিয়া অঞ্চলের দক্ষিণাংশে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন স্বাদুপানির হ্রদ বৈকাল। বিজ্ঞানীদের হিসাবমতে, এই হ্রদের বয়স প্রায় ২০-২৫ মিলিয়ন বছরের মতো হবে। রুশরা একে ওরেজো বেয়কাল বা বৈকাল নামে ডেকে থাকে। তিইউরিস্ক ভাষার আঞ্চলিক শব্দ ‘বাই-কুল’ থেকে এই হ্রদের নামকরণ করা হয়েছে। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় সম্পদশালী হ্রদ।

article

দাস পার্টির খোঁজে: মুক্তিযুদ্ধে জগৎজ্যোতি দাস ও তার দলের সাহসিকতার উপাখ্যান

স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর দাস পার্টির খোঁজে বের হলেন বইটির লেখক হাসান মোরশেদ। দীর্ঘ ১ বছর ধরে দাস পার্টির যুদ্ধস্থল সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ অঞ্চল চষে বেড়ান। কথা বলেন এই গেরিলা দলের গাজী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। তার সেই প্রয়াসের লিখিতরূপ হিসেবে প্রকাশিত হয় এক মৌলিক মুক্তিযুদ্ধের আখ্যান। এর যুতসই নাম দেওয়া হয় ‘দাস পার্টির খোঁজে’।

article

সাধারণ প্লাস্টিক চেয়ার যেভাবে জয় করে নিয়েছে পুরো বিশ্বকে

সাদ্দাম হুসেইনের আত্মগোপন স্থান কিংবা আবু গারিব কারাগারের আঙিনায় পর্যন্ত এদের অস্তিত্ব আছে। কমিউনিজমের হীরকজয়ন্তী উৎসবে মনোব্লকের আসন থেকে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়েছে চীনারা; অপরদিকে বারাক ওবামার বিজয়ে মনোব্লকে আসীন কেনিয়ানদের উল্লাস ছিল দেখার মতো। উত্তর কোরিয়ায় কোকাকোলার মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের ঠাঁই মেলেনি। কিন্তু সেখানে দিব্যি ব্যবহৃত হচ্ছে এই চেয়ার।”
ইতিহাসের পাতায় সাম্রাজ্যের পাশাপাশি মোঘলদের ময়ূর সিংহাসন, চীনের ড্রাগন সিংহাসন, ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটারের সিংহাসন, মহীশুরের সিংহাসনের নাম সমান গুরুত্বের সাথে উচ্চারিত হয়। কিন্তু এই সিংহাসন বা মসনদগুলো আদতে একেকটি ‘চেয়ার’ বা ‘কেদারা’ ব্যতীত আর কিছুই নয়। মানবসভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত এই চেয়ারগুলো শুধু রাজ দরবারে নয়, বরং অফিস-আদালত, পাড়ার দোকান, সভা-সম্মেলনের মঞ্চ, শ্রেণীকক্ষ থেকে শুরু করে গৃহস্থালির প্রতিটি কক্ষে অপরিহার্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে। নানান সংস্করণে নানান আকারে এসব চেয়ার আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করছে।

article

ডোভারের শ্বেতচূড়া: ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এক অনন্য প্রাকৃতিক নিদর্শন

সমুদ্রের কোল ঘেঁষে সগৌরবে দণ্ডায়মান ডোভারের শ্বেতচূড়াগুলো ইংল্যান্ডের সাহিত্য, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের অংশ। ইউরোপের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা এই শ্বেতচূড়া দেশটির অন্যতম প্রাকৃতিক নিদর্শন। ‘দেশের প্রবেশদ্বার’ হিসেবে পরিচিত এই চূড়াগুলো রুখে দিয়েছে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযান। ইংল্যান্ডকে বাঁচিয়েছে জুলিয়াস সিজার থেকে শুরু করে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর অবশ্যম্ভাবী আগ্রাসন থেকে। এ যেন সীমান্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী। তাই এই চূড়া নিয়ে ব্রিটিশদের আবেগ অন্যরকম।

article

মুর্শিদকুলি খান: বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাবের জীবনকথা

বাংলার বুকে নওয়াবি শাসনামলের গোড়াপত্তন করেন যিনি, তিনি ছিলেন মুর্শিদকুলি খান। ১৭১৭ সালে তিনি বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রাদেশিক দেওয়ান, বাংলা এবং উড়িষ্যার নাজিম, জেলা ফৌজদারসহ বহু পদে দায়িত্ব পালন করা মুর্শিদকুলি খানের হাত ধরে বাংলার ইতিহাসে রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়। এই মুর্শিদকুলি খানের জীবনযাত্রা অত্যন্ত ঘটনাবহুল এবং বৈচিত্র্যময় ছিল। 

জাহান্দার শাহের মৃত্যুর পর ফারুখশিয়ার মোঘল সিংহাসনে আসীন হন। নতুন সম্রাটের অধীনে বাংলার নাজিম (সুবেদার) নিযুক্ত হন তার নাবালক পুত্র ফরকুন্দাশিয়ার। ১৭১৩ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে নাজিম হিসেবে বাংলায় আসেন মীর জুমলা। মুর্শিদকুলি খান তখন মীর জুমলার নায়েব হিসেবে নিযুক্ত হন। মীর জুমলার পর ১৭১৭ সালে তিনি বাংলার নাজিমের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে মির্জা মুহম্মদের ‘ইবাদতনামা’ গ্রন্থ অনুসারে তিনি ১৭১৬ সালে নবাব হন। এখান থেকেই শুরু হয় বাংলার স্বাধীন নওয়াবি শাসন। আর তিনি হয়ে গেলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব। নবাব মুর্শিদকুলি খানকে ‘জাফর খান’, ‘মুতামিম-উল-মুলক আলা-উদ-দৌলা জাফর খান নাসিরী নাসির জঙ্গ বাহাদুর’-সহ বহু উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

article

ম্যাজিনো রেখা: জার্মান আক্রমণ রুখতে ফ্রান্সের ‘প্রায়’ দুর্ভেদ্য এক ব্যয়বহুল ব্যর্থতা

রেখা বরাবর প্রায় ২৮০ মাইল জুড়ে অসংখ্য বাঙ্কার, পিলবক্স এবং ভূগর্ভস্ত কুঠুরি নির্মাণ করা হয়।

চুক্তি স্বাক্ষরের কালির দাগ শুকানোর আগেই ১৯২০ সালে তারা পরিকল্পনা করে এক সুরক্ষিত প্রতিরক্ষা সীমারেখা নির্মাণের, যা ইতিহাসের পাতায় পরবর্তীতে ‘ম্যাজিনো রেখা’ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। ওদিকে নাৎসিদের নেতৃত্বে জার্মানদের পুনরুত্থান জানান দিচ্ছিলো, ফ্রান্সের ভীতি একদম মিথ্যে নয়। সেই ত্রাস থেকে ফ্রান্সকে সুরক্ষার সুবাতাস দিয়েছিল শক্তিশালি বাঙ্কার, ভারী অস্ত্র, কামান, কাঁটাতার, ট্যাঙ্কনিরোধী ব্যূহ এবং হাজার সৈনিকের প্রতিরোধের সমন্বয়ে নির্মিত এই ম্যাজিনো রেখা। তখন কে জানতো, সেই সীমারেখার সূক্ষ্ম দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে একদিন ফ্রান্সকে গুঁড়িয়ে দিবে নাৎসিরা।

article

সাইমন বলিভার: স্বাধীন দক্ষিণ আমেরিকার স্বপ্নদ্রষ্টা (২য় ও শেষ পর্ব)

সাইমন বলিভারের নামে দু’টি দেশের নাম রাখা হয়েছে। পৃথিবীতে মতান্তরে ২৫টি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নামকরণে এভাবে ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহৃত হয়েছে। তবে এ তালিকায় সাইমন বলিভার সবার থেকে একটু আলাদা। তার নামে একটি নয়, বরং দু’টি দেশের নাম রাখা হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার স্বাধীনতার মানসপুত্র হিসেবে পরিচিত সাইমন বলিভারের সম্মানে বলিভিয়া এবং বলিভারিয়ান রিপাবলিক অভ ভেনেজুয়েলা- এই দু’টি দেশের নাম রাখা হয়েছে।

article

সাইমন বলিভার: স্বাধীন দক্ষিণ আমেরিকার স্বপ্নদ্রষ্টা (১ম পর্ব)

সাইমন বলিভারের নামে দু’টি দেশের নাম রাখা হয়েছে। পৃথিবীতে মতান্তরে ২৫টি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নামকরণে এভাবে ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহৃত হয়েছে। তবে এ তালিকায় সাইমন বলিভার সবার থেকে একটু আলাদা। তার নামে একটি নয়, বরং দু’টি দেশের নাম রাখা হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার স্বাধীনতার মানসপুত্র হিসেবে পরিচিত সাইমন বলিভারের সম্মানে বলিভিয়া এবং বলিভারিয়ান রিপাবলিক অভ ভেনেজুয়েলা- এই দু’টি দেশের নাম রাখা হয়েছে।

article

মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো: আফ্রিকার ঐতিহ্যধারী এক আগ্নেয় পর্বত

আজ থেকে প্রায় ৩০ লাখ বছর পূর্বে এই পর্বত গঠিত হয়েছে। মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর সর্বোচ্চ চূড়ার উচ্চতা ৫,৮৯৫ মিটার। এটি আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ৭ মহাদেশের ৭ সর্বোচ্চ শৃঙ্গের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই পর্বত।

article

করোনাভ্যাক: চীনের সিনোভ্যাক আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা

সম্প্রতি এশিয়ার রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হয়েছে গণহারে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কর্মসূচি। টিকা প্রদানের প্রারম্ভেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং সংবাদপত্রিকার শিরোনামে চলে এসেছে দেশটির নাম। কারণ, দেশটির প্রথম টিকাগ্রহীতা ছিলেন রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো। ইতোমধ্যে বহু বিশ্বনেতা কোভিড টিকা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু জোকো উইদোদো বিশেষভাবে শিরোনাম হয়েছেন তার নেওয়া টিকাটির কারণে। সেটি ছিল চীনের ঔষধ প্রস্তুতকারক সিনোভ্যাক এর কোভিড-১৯ টিকা ‘করোনাভ্যাক’ (CoronaVac)।

article

কিম জং ইল: উত্তর কোরিয়ার সাবেক সুপ্রিম লিডারের রহস্যঘেরা জীবনী

১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পেকদু পর্বতের এক গোপন সামরিক ঘাঁটিতে জন্ম নিয়েছে কিম জং ইল। তার জন্মের সময় আকাশে জোড়া রংধনুর আবির্ভাব ঘটেছিল। তাছাড়া আকাশে সেদিন এক নতুন তারার দেখা মিলেছিল। এই দুই ঘটনা যেন জানান দিচ্ছে নতুন শিশু কিম জং ইলের ঐশ্বরিক মর্যাদার কথা। তাছাড়া দেশের জনগণকে শেখানো হয়, কিম জং ইলের জন্মবার্ষিকী সারাবিশ্বে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়।

article

End of Articles

No More Articles to Load