পুরুষদের টেনিসের শ্রেষ্ঠতম খেলোয়াড় কে?

প্রতিযোগিতামূলক টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রজার ফেদেরার। তারপর থেকেই দর্শক, ভক্ত-সমর্থক ও বিশেষজ্ঞদের ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভিজছেন এই সুইস মহাতারকা। অভিহিত হচ্ছেন পুরুষদের টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসেবে। কিন্তু তিনি কি কেবলই “সেরাদের একজন” ছিলেন? নাকি তিনিই শ্রেষ্ঠতম?

article

এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর

তবে পক্ষে-বিপক্ষে যতই ঝাঁঝালো বিতর্ক জারি থাকুক, ফেদেরারের দৃষ্টিনন্দন ব্যাকহ্যান্ড শটগুলোকে কে না মিস করবে! কে ভুলতে পারবে তার চাবুকের মতো ফোরহ্যান্ডের কথা! বেজ-লাইন থেকে হাফভলি, ওভারহেড লব, ক্যাজুয়াল টুইনার কিংবা অ্যারাউন্ড-দ্য-নেট শটগুলোর কথা! তার মতন শৈল্পিক সার্ভই বা আর কে করতে পারবে! অমন অসাধারণ অ্যান্টিসিপেশন ও কোর্ট সেন্স থাকবে কার! কার থাকবে তার মতো ঈশ্বরপ্রদত্ত ফুটওয়ার্ক! দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও কে দেখাতে পারবে তার মতো ধ্রুপদী সংযম! টেনিসের মতো একক-আধিপত্যের, চরম ইন্টেনসিটির একটি খেলায় আদৌ কি আর কেউ পারবে তার মতো করে আনতে সুষমামণ্ডিত সৌন্দর্য, মনোরম মুগ্ধতা কিংবা বিস্ময়াবিষ্ট বিশুদ্ধতা? 

article

‘মুঘলরা ভারতে থেকেছে, বিনিয়োগ করেছে; ব্রিটিশরা করেছে সম্পদ পাচার’

ব্রিটিশরা ভিন্ন ছিল এই অর্থে যে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না দেশটির প্রতি। মুঘলরা ছিল এমন ধরনের দখলদার, যারা আগেও এ দেশে এসেছিল, এবং পরে এখানেই থেকে যায় এবং এদেশের সঙ্গে আত্মিকভাবে জড়িয়ে পড়ে। যেমন ধরুন, প্রত্যেক মুঘল সম্রাটই (প্রথমজন বাদে) ছিলেন কোনো না কোনো ভারতীয় নারীর গর্ভজাত সন্তান। মুঘলরা ভারতকে তাদের নিজেদের বাড়ি হিসেবে দেখত। তারা কখনো ফিরে যায়নি, কিংবা কখনো নিজেদের সব ধন-সম্পত্তিকে ফেরতও পাঠিয়ে দেয়নি। তারা ভারতে বিনিয়োগ করেছে, এখানে শিল্পী ও প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সঙ্গীতবিদ, চিত্রকরদের নিয়ে এসেছে, এবং এই নতুন অঞ্চলের সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছে।

article

কমলা সুরাইয়া: ভালোবাসাই আমার একমাত্র ধর্ম

২০০৭ সালের জুলাই মাসে ই-জার্নাল ইমপ্রেশনসে প্রকাশিত হয় “Love is My Only Religion: An interview with Kamala Das” শীর্ষক কমলার একটি সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন শিল্পী সাক্সেনা। সেই সাক্ষাৎকারেরই পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হচ্ছে এখানে। তবে পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে কবিতার নাম ও কবিতায় ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছ ইংরেজিতেই রাখা হচ্ছে।

article

কারেন হর্নাই: ফ্রয়েডের ‘আজগুবি’ তত্ত্বের প্রথম বিরোধিতাকারী নারী

মনোবিজ্ঞানের উন্নয়নে কারেনের ছিল ব্যাপক অবদান। তিনি শুধু স্নায়বিকতা বিষয়েই কিছু অতি-গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেননি। নারীদের প্রতি মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও গবেষণা করেছেন তিনি। ভুলে গেলে চলবে না, বিংশ শতকের শুরুর দিকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো মনোবিজ্ঞানেও চলছিল পুরুষের আধিপত্য। ফলে পুরুষতান্ত্রিকতার নিগড়ে বন্দি ছিল এই তাৎপর্যপূর্ণ খাতটিও। বিশেষত ফ্রয়েডকেই এই পরিসরের ঈশ্বরজ্ঞান করতেন অনেকে। সেরকম একটি পটভূমিতে একজন নারীর মনঃসমীক্ষক হয়ে ওঠা, এবং সরাসরি ফ্রয়েডের তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া কোনো অংশে কম বৈপ্লবিক বিষয় নয়।

article

টিকটককে কাদের ভয়? কীসের ভয়?

চীন থেকে উঠে আসা প্রথম ভোক্তামুখী অ্যাপ যখন বেইজিংয়ের গর্বের প্রতীকে পরিণত হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য জায়গার রাজনীতিবিদরা তখন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আশঙ্কা করছে, টিকটকের চীনা মালিকানা তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে না তো! তাদের ভয়, ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল, গোপনীয় তথ্য হয়তো চলে যাবে ভুল লোকের হাতে; কিংবা তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটু একটু করে পরিবর্তন আনতে তৎপর হবে চীনা প্রোপাগান্ডিস্টরা।

article

উন্মাদ-শিল্প থেকে সুররিয়ালিজম, অতঃপর গণহত্যা

যে গল্পের কথা বলছি তা আমাদেরকে জানায়, শিল্প ঠিক কতটা ঋণী মানসিক অসুস্থতার কাছে। পাশাপাশি এই গল্পই সংযোগ স্থাপন করে ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী সাংস্কৃতিক যুদ্ধের সঙ্গে।

article

শ্যাম বেনেগাল: চলচ্চিত্রের দুটি যুগ, সত্যজিৎ-পূর্ববর্তী আর সত্যজিৎ-পরবর্তী

অসম্ভব গুণী এই পরিচালক অবশ্য নিজের সফল চলচ্চিত্র-নির্মাতা হয়ে ওঠার পেছনে কৃতিত্ব দেন সত্যজিৎ রায়কে। তার মতে, ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসকে দ্বিখণ্ডিত করা যেতে পারে সত্যজিৎ রায়ের আগে-পরের হিসেবে। ২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতীয় ম্যাগাজিন ফ্রন্টলাইনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেন শুধুই সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন জিয়া উস সালাম।

article

মৃণাল সেন: বুঝতে চেয়েছি নিজের সময়কে

১৯৭০’র দশকের প্রথমার্ধ্বে মৃণাল সেন যখন নিউ ইয়র্কে যান, তার একটি অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকার নেন চলচ্চিত্র বিষয়ক বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ‘সিনিয়াস্ত’-এর প্রতিষ্ঠাতা গ্যারি ক্রাউডাস। সেখানে মৃণাল সেনের চলচ্চিত্রকার হয়ে ওঠার নেপথ্যের কাহিনি যেমন উঠে এসেছে, তেমনই ঠাঁই পেয়েছে তৎকালীন ভারতীয় চলচ্চিত্র সম্পর্কে নিজের চিন্তাভাবনা।

article

“সবসময় বিশ্বাস করেছি আমার পক্ষে ফেরা সম্ভব”

সাক্ষাৎকারটি তিনি দিয়েছেন ক্রিকইনফোর তৎকালীন সহযোগী সম্পাদক আনন্দ বসুকে, যিনি সৌরভের বিরুদ্ধে সমানে লেখালেখি করেছেন, টিভিতে কথা বলেছেন। শেষ দেখে ফেলেছেন এই বঙ্গসন্তানের ক্যারিয়ারেরও। কিন্তু স্মরণীয় মাইলফলক স্পর্শের আগে সৌরভ সেই আনন্দেরই মুখোমুখি হয়েছেন মন খুলে কথা বলতে।

article

আর্থার ফ্যাগ: ক্রিকেট ইতিহাসের অনন্য চরিত্র

তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তটির আগমন ঘটে ১৯৩৮ সালের ১৫ জুলাই, যখন ২৩ বছর বয়সী আর্থার ফ্যাগ প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ম্যাচেই টানা দুটি দ্বিশতক হাঁকিয়ে বসেন। ঠিক কতটা অনন্য ও অসাধারণ ছিল ফ্যাগের অর্জন? ব্যাপারটি বুঝতে শুধু একটি তথ্যই যথেষ্ট : ফ্যাগের বিশ্বরেকর্ডের পর দীর্ঘ ৮০ বছর প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে আর কেউ করতে পারেনি এমন কীর্তির পুনরাবৃত্তি।

article

যেভাবে ভারতীয়দের অবদানে সমৃদ্ধ আজকের লন্ডন

আজ আমরা যে ঝাঁ চকচকে লন্ডন দেখতে পাই, যে শহর বিশ্বের বুকে সবচেয়ে অভিজাত শহরগুলোর একটি হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত, সেটির উদ্ভব, বিকাশ ও উন্নয়নের পেছনেও কিন্তু রয়েছে ভারতীয়দেরই অপরিমেয় অবদান।

article

End of Articles

No More Articles to Load