Jubayer Tanin

বুকে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসার নদী। সেই নদীতে জোয়ার এলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠার পর। সবকিছু ফেলে, জীবন বাজি রেখে ছুটলেন যুদ্ধের ময়দানে।

মানব সন্তানদের হৃদয় যত অভিমান-অনুযোগ আর কষ্ট নিয়ে এগিয়ে চলে, কোনো স্রোতস্বিনী নদীতে সে পরিমাণ জল ধরে কিনা কে জানে! বব অ্যাপেলইয়ার্ডেরও ছিল সে পরিমাণ কষ্ট, হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা। টেমস নদীর পাড়ে কখনো তিনি দাঁড়িয়েছিলেন কিনা কে জানে। দাঁড়ালে বোধহয় তুলনাটা করে ফেলতে পারতেন।

আমাদের কল্পনা যেখানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে যায়, ক্রিকেট সেখান থেকে নতুন আলপনা আঁকে। সেই আলপনার আঁকিবুঁকির প্রতিটা বাঁকে বাঁকে থাকে গা শিউরে ওঠা রোমাঞ্চ, আর অবিশ্বাস্য কিছু মোড়।

ক্রিকেট হয়তো জীবনের চেয়ে বড় না, কিন্তু জীবনের একটা বড়সড় অংশ বটে। একেকটা ডেলিভারি, শট, ওভারে জুড়ে থাকে আলাদা আলাদা একেকটা গল্প। সবগুলোই আলাদা আলাদা ফ্লেভার, স্বাদের একেকটা চকলেট। রাহুলও জানতেন না বাক্সের কোন চকলেটটা তিনি পেতে যাচ্ছেন।

চমকটা তখনই পাবেন, যখন দেখবেন তার হাত থেকে বেরোচ্ছে দারুণ গতির কিছু গুগলি,টপস্পিন কিংবা শার্প টার্ন নেয়া লেগস্পিন! অথচ মাঝারি ধৈর্ঘ্যের রান আপ, বোলিং অ্যাকশন, ফলো থ্রু দেখে তাকে মিডিয়াম পেসারের কাতারে ফেলে দেয়াটাই স্বাভাবিক।

ডেক্সটার ক্রিকেটকে কখনো সিরিয়াসলি নেননি। আরো স্পষ্ট করে বললে, তিনি কখনো ক্রিকেটারই হতে চাননি। ক্রিকেটের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন গলফকে। কী? অবাক হচ্ছেন? চলুন ঘুরে আসি একটু পেছনে।