কেমোথেরাপি: কী, কেন, কীভাবে

অদ্ভুত হলেও সত্য যে, অাজ এই চিকিৎসায় যে নাইট্রোজেন মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহৃত হয়ে অাসছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেটিকে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেসময়ই গবেষকরা এই গ্যাসের একটি চমদপ্রদ প্রভাব প্রথমবারের মতো খেয়াল করেন। তা হলো, গ্যাসটিকে যখন কেউ শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করে, তখন তার শরীরের শ্বেত কোষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পায়।

article

অ্যাঞ্জেলম্যান সিনড্রোম: হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকা অব্যক্ত বেদনার কথা

একটি হাসিখুশি চেহারা অনেকের কাছে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হলেও অ্যাঞ্জেলম্যান সিনড্রোমের রোগীদের বেলায় হিসেবটা একটু অালাদা। এ রোগটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অন্যান্য যন্ত্রনাদায়ক উপসর্গের উপস্থিতি সত্ত্বেও রোগীর চেহারা এমন ভঙ্গিমা ধারণ করে, যা দেখলে মনে হয় তিনি হেসেই চলেছেন।

article

সেরিব্রাল পালসি: প্রতিবন্ধকতার আরেক নাম

সেরিব্রাল পালসি থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠবার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এই রোগের উপসর্গগুলো যাতে রোগীর পরবর্তী জীবনকে প্রতিবন্ধকতাময় করে রাখতে না পারে, সেজন্য শিশুর অভিভাবকের একটু সদিচ্ছা এবং সচেতনতাই যথেষ্ট।

article

সিক্স ডিগ্রি সেপারেশন: আমরা পরস্পরের কতটুকু কাছাকাছি

সাতশো কোটি মানুষের ভিড়ে নিজেদের বড্ড একা বলে মনে হলেও, গণিত অার বিজ্ঞানের ভাষ্যটা এখানে একদমই ভিন্ন। গাণিতিক হিসেব বলছে, অাপনার যদি ৫০ জন মানুষ চেনাজানা থাকে, তবে অাপনি মোট ৫০’৬ বা ১৫.৬২ বিলিয়ন মানুষের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন!

article

প্রসোপ্যাগনোসিয়া: চেনা চেনা লাগে, তবু অচেনা!

প্রসোপ্যাগনোসিয়া হল ফেস ব্লাইন্ডনেস বা চেহারা চিনতে পারার অক্ষমতা। এটি একধরণের নিউরোলজিকাল ডিসঅর্ডার। এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে রোগীকে মানুষের চেহারা চেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। শুধু চেহারা নয়, স্থান, যানবাহন কিংবা মুখের সঠিক অঙ্গভঙ্গি চিহ্নিত করতেও তাদের সমস্যা হয়ে থাকে।

article

ফ্যান্টোসমিয়া: এই বাজে গন্ধটা আসছে কোথা থেকে!

ফ্যান্টোসমিয়া একটি স্মেইল ডিসঅর্ডার বা ঘ্রাণ বৈকল্য। এই সমস্যায় অাক্রান্ত হলে রোগীর অলফ্যাক্টরি স্নায়ু উল্টোপাল্টা সংকেত দিতে শুরু করে। যার ফলে রোগী বাতাসে এমন গন্ধ পেতে শুরু করেন, যার কোনো অস্তিত্ত্ব নেই।

article

হিমোফোবিয়া: রক্ত যখন ভয়ের কারণ

যারা এ ফোবিয়ায় অাক্রান্ত তারা যে শুধু রক্তকেই ভয় পান তা নয়, রক্ত সম্পর্কিত যেকোনোকিছু দেখলেই তারা অাতঁকে ওঠেন। এটি হতে পারে দূর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট ক্ষতচিহ্ন, ঘাঁ, কাটাছেঁড়া; কিংবা বিভিন্ন বস্তু যেগুলোর সাথে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, যেমন সিরিঞ্জ, ইনজেকশন, এবং ছুরিকাঁচি।

article

স্যামি ওয়ার্ম: বন্ধু পাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল যে ভাইরাস!

বন্ধু বানানোর জন্য অামরা কতো কিছুই না করি। মানুষের সাথে পরিচিত হই, পত্রমিতালী করি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাই। উল্টোপাল্টা ফোন নাম্বারে কল করার মতো ঘটনাও ঘটায় অনেকে। কিন্তু বন্ধু পাওয়ার জন্য কম্পিউটার ভাইরাস বানানো? এটা বেশ চমকপ্রদই শোনানোর কথা।

article

হেইনজ ডিলেমা: যে কাহিনী নৈতিকতার এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বের

হেইনজের এই সমস্যাটি যে শুধু অামাদের নৈতিক-চেতনা এবং বিবেককেই পরীক্ষা করে তা নয়, এটি অামাদের মানসিক পরিপক্বতার অন্যতম নির্দেশক। একজন ব্যক্তি তার অবধারণগত উন্নয়নের কোন ধাপে অবস্থান করছেন, তার সম্যক ধারণা পাওয়া যায় তিনি হেইনজের সমস্যার সমাধানে কোন বিকল্পটি বেছে নিচ্ছেন, সেটি থেকে।

article

কটার্ড সিনড্রোম: যে রোগে নিজেকে মৃত ভাবতে শুরু করেন রোগী!

এ রোগের রোগীরা গোসল না করেই কাটিয়ে দেন দিনের পর দিন। অনেকে নখ-চুল কাটা বন্ধ করে দেন। কারণ তাদের কাছে নিজ নিজ দেহ তো ‘মৃত’! অনেকে তো অারো এককাঠি সরেস! প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার পর শৌচকর্মটি পালন করতেও অনীহা দেখা যায় তাদের মধ্যে।

article

এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম: অস্বস্তিকর এক শূন্যতার উপাখ্যান

সাধারণত নিজেদের কাছ থেকে সন্তানের দূরে চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অভিভাবকের মনে যে শুন্যতা, বেদনা, খেদ এবং অাফসোসের জন্ম হয়, সেটিকেই এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম বলে অভিহিত করা হয়।

article

নমোফোবিয়া: আরে, আমার ফোনটা কোথায় গেল?

নমোফোবিয়া এসেছে ‘নো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া’ পরিভাষা থেকে। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অনুপস্থিতিতে ব্যক্তি যে ভীতিতে অাক্রান্ত হন, সেটিই নমোফোবিয়া। কেউ নমোফোবিয়ায় অাক্রান্ত হলে তিনি মোবাইল ফোন ছাড়া একমুহূর্তও থাকতে পারেন না। কোনো কারণে সাধের মোবাইলটি চোখের অাড়াল হলেই মোবাইল ফোনের কী হলো, সেটি কী অব্সথায় অাচ্ছে- সেটি নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তা শুরু দেন।

article

End of Articles

No More Articles to Load