মাসান: প্রবহমান জীবনের চিত্রগাথা

কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার প্রদর্শিত হওয়ার পর ‘মাসান’ একই আসরে অর্জন করেছিল FIPRESCI সহ মোট দু’টি সম্মানজনক পুরস্কার।
মানুষের জীবনের প্রেম আসে, বিচ্ছেদ থেকে শোক আসে, সেই শোক কাটিয়ে মানুষ আবার বাঁচতে শেখে৷ পৃথিবীর বুকে প্রবহমানতার এই চিরকালীন গল্পটি বলতে চেয়েছে ‘মাসান’। ২০১৫ সালে পরিচালক নীরাজ ঘায়ওয়ান ছবির জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই চলচ্চিত্রটি দিয়ে। ৬৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার প্রদর্শিত হওয়ার পর ‘মাসান’ ঐ একই আসরে অর্জন করেছিল FIPRESCI সহ মোট দু’টি সম্মানজনক পুরস্কার।

article

থাপ্পড়: আঘাত পড়ল কার মুখে?

চলচ্চিত্রে থাপ্পড়টা অমৃতার গালে পড়লেও তার আঘাতটা পরিচালক পৌঁছে দিতে চেয়েছেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের গালে। কাজেই অমৃতার এই নিশ্চুপ হয়ে যাওয়া, কিংবা নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে ক্রমাগত লড়াই করে যাওয়ার দৃশ্য প্রতিটি সচেতন পুরুষ দর্শককে লজ্জিত করে।

article

আবুল মনসুর আহমদের ‘আয়না’: বাইরে ব্যঙ্গ, ভেতরে সমাজের মর্মভেদী কান্না

‘আয়না’ শিরোনামে এ গল্পগ্রন্থটিতে কোনো নামগল্প নেই। লেখক ‘আয়না’য় এমন এক প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, যাতে কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ নিজেই তার আসল রূপটি দেখতে পায়।

article

তিনকন্যা: রবীন্দ্র-গল্পের সত্যজিৎ চিত্ররূপ

১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষকে কেন্দ্র করে তাঁর সৃষ্টি নিয়ে প্রথমবারের মত কাজ করেন সত্যজিৎ রায়। রবীন্দ্রনাথের তিনটি ছোটগল্পকে বেছে নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘তিন কন্যা’। ‘পোস্টমাস্টার’, ‘মণিহারা’ এবং ‘সমাপ্তি’- গল্পগুলো ভিন্ন স্বাদের হলেও তিন গল্পের তিন নারী চরিত্র এদের মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপন করেছে।

article

সীমান্তরেখা: বাংলা ভাগের বেদনার আখ্যান

১৯৪৭ থেকে ২০১৭, দেশভাগের সত্তর বছর পূর্তিতে একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল। ক্রাউড ফান্ডিং বা গণঅর্থায়নে নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রে মূলত সাতচল্লিশের দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে যেসব হিন্দু পরিবার ভারতে গিয়েছিলেন, ভারত থেকে যেসব মুসলমান পরিবার বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) এসেছিলেন এবং বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসকারী মানুষদের জীবনে দেশভাগের প্রভাব ফুটে উঠেছে।

article

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষীরের পুতুল’: স্বপ্নিল রূপকথার দেশে

বাংলা শিশু সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষীরের পুতুল’। বাংলা ভাষায় শিশু সাহিত্য বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে এটি একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর পর তাঁর ডায়েরি থেকে এ গল্পটির প্লট পেয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর নিজের মত করে লিখেই তিনি রূপকথাধর্মী এ কাহিনিটির জন্ম দেন।

article

সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’: একটি মনস্তাত্ত্বিক রেলযাত্রা

সত্যজিৎ রায়ের এমনই একটি নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র ‘নায়ক’। ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র (১৯৬২) পর এই চলচ্চিত্রটিতে তিনি দ্বিতীয়বারের মত মৌলিক চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেন। ‘নায়কে’ সত্যজিৎ রায় একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকার মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। তার ভীতি, একাকীত্ব, অনুশোচনাবোধ এবং নিরাপত্তাহীনতার মত দিকগুলো সুচারুভাবে উন্মোচিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।

article

ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’: বেঁচে থাকার সকরুণ আকুতি

১৯৬০ সালের ১৪ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল ঋত্বিক ঘটকের চতুর্থ এবং তাঁর প্রথম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ‘মেঘে ঢাকা তারা’। দেশভাগ পরবর্তী কলকাতায় এক নিম্ন মধ্যবিত্ত শরণার্থী পরিবারের সংগ্রামমুখর জীবন নিয়ে নির্মিত হয় এই চলচ্চিত্রটি। শক্তিপদ রাজগুরুর উপন্যাস থেকে ঋত্বিক ঘটক এর কাহিনিটি নিয়েছিলেন।

article

সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রে তেতাল্লিশের মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ

তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষে ক্ষুধার তাড়নায় মানুষের করুণ মৃত্যুর সাক্ষী হিসেবে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন তার উপন্যাস ‘অশনি সংকেত’। এই উপন্যাসটি অবলম্বনে ১৯৭৩ সালে একই নামে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।

তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল তার ভয়াবহ চিত্র পরিচালক ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন তার ‘অশনি সংকেত’ চলচ্চিত্রে।

article

খাকি চত্বরের খোয়ারি: ক্যাডেট কলেজ জীবনের স্মৃতিময় গদ্য

ক্যাডেট কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ করে এ পর্যন্ত যে ক’টি গ্রন্থ রচিত হয়েছে তাদের মধ্যে অনন্য স্থান দখল করে আছে শাহাদুজ্জামানের ‘খাকি চত্বরের খোয়ারি’। খাকি পোশাক পরা ক্যাডেটদের আবাসস্থল ক্যাডেট কলেজকে লেখক এখানে ‘খাকি চত্বর’ বলে অভিহিত করেছেন এবং সেই খাকি চত্বরের বৈচিত্র্যময় জীবনপ্রবাহের গল্পই বর্ণিত হয়েছে এই স্মৃতিময় গ্রন্থটিতে। ২০১৩ সালের জুনে বেঙ্গল পাবলিকেশনস থেকে বইটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়।

article

‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’: পান্না কায়সারের মর্মস্পর্শী আত্মজৈবনিক গ্রন্থ

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোকে প্রতিফলিত করে যে ক’টি অসামান্য আত্মজৈবনিক গ্রন্থ রচিত হয়েছে তার মধ্যে পান্না কায়সারের ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

পান্না কায়সার ছিলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী। শহীদুল্লা কায়সারের অনুজ সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানকেও খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর। কাজেই কেবল একটি আত্মস্মৃতিমূলক রচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে দুইজন মহান মানুষকে ধারণ করে বইটি বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করেছে।

article

হুমায়ূন আহমেদের ‘এই বসন্তে’: ক্ষমতার চক্রে নিবদ্ধ মানুষের সুনিপুণ উপস্থাপনা

মফস্বল বা থানা শহরকে উপজীব্য করে হুমায়ূন আহমেদের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টিগুলোর মধ্যে উপন্যাসটি একটি। ১৯৮৪ সালে ‘রোববার’ ঈদসংখ্যায় উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
সত্তর বা আশির দশকে বাংলাদেশের বর্ধিষ্ণু মফস্বলগুলোর একটির প্রতিনিধিত্ব করেছে নীলগঞ্জ জায়গাটি। এই নীলগঞ্জে প্রভাব- প্রতিপত্তি বজায় রাখার জটিল রাজনীতি, সাধারণ মানুষের আপোসকামী মনোভাব এবং ভীতি ও আতঙ্কের আবর্তে প্রতিবাদী চেতনা তৈরির দিকটি উপস্থাপিত হয়েছে ‘এই বসন্তে’ উপন্যাসটিতে।

article

End of Articles

No More Articles to Load