অন্য এক সেন্টমার্টিন কেউ একজন স্থানীয় ভাষায় জিজ্ঞাসা করলেন মাছ কেমন? তাদের মুখ মলিন। চেহারায় স্পষ্ট অব্যক্ত হাহাকার। সামনের দ্বীপটাতেই তাদের ঘরবাড়ি। এই দ্বীপ আর এই মানুষগুলো তো আলাদা নয়। এই মলিন আর পোড়া চেহারার সাথে নীরব হাহাকার যেন একাকার হয়ে আছে।
হুমগুটি: আড়াইশো বছরের ঐতিহ্যবাহী এক দেশি খেলা আড়াইশত বছর ধরে টিকে আছে একটি খেলা! সারা দুনিয়ায় এর একমাত্র ভেন্যু ময়মনসিংহের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মাঠ। সারা বছরে মাত্র একবার মাঠে গড়ায় খেলাটি! আর এই খেলাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় হুলস্থুল কান্ড! আয়োজকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ২৬৩তমবারের মত আয়োজিত হয়েছে এই খেলা।
ম্যামথ: হারিয়ে যাওয়া এক অতিকায় প্রাণীর গল্প সাম্প্রতিকালে কিছু বিজ্ঞানী উঠেপড়ে লেগেছেন, ম্যামথকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টায়! এ প্রকল্প আশার আলো দেখছে, কারণ তাদের নিকটবর্তী প্রজাতি এশীয় হাতি এখনো পৃথিবীতে বর্তমান আছে। প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, খুব শীঘ্রই এ প্রকল্প সফলতার মুখ দেখতে পারে।
ম্যামথ: হারিয়ে যাওয়া এক অতিকায় প্রাণীর গল্প সাম্প্রতিকালে কিছু বিজ্ঞানী উঠেপড়ে লেগেছেন, ম্যামথকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টায়! এ প্রকল্প আশার আলো দেখছে, কারণ তাদের নিকটবর্তী প্রজাতি এশীয় হাতি এখনো পৃথিবীতে বর্তমান আছে। প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, খুব শীঘ্রই এ প্রকল্প সফলতার মুখ দেখতে পারে।
বাহাদুর শাহ জাফর: স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের নীরব প্রস্থানের মাধ্যমে উপমহাদেশের ইতিহাসে যোগ হয় আরেকটি দীর্ঘশ্বাস। যদি বাহাদুর শাহ জাফর সফল হতেন, যদি সিপাহী-জনতার বিদ্রোহ ভেঙে ফেলতে পারত ইংরেজ শাসনের শেকল, তবে হয়তো ভিন্ন হতো এই উপমহাদেশের ইতিহাস।
মীর মদন: পলাশীর প্রান্তরে আমৃত্যু লড়ে যাওয়া সেনাপতি পলাশী। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এই নামটির সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্বাসঘাতকতা, পরাজয়, আর পরাধীনতার নাম। নবাব সিরাজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সেনাপতিদের বিশ্বাসঘাতকতায় ইতিহাস লজ্জিত হলেও, সে যুদ্ধে আমৃত্যু লড়েছিলেন বেশ কয়েকজন দেশপ্রেমিক, অকুতোভয় সেনাপতি। এরই মধ্যে অনন্য মর্যাদায় ভূষিত এক যোদ্ধা- মীর মদন।
আজিমুল্লাহ খাঁন: সিপাহী বিপ্লবের ‘ক্রান্তিদূত’ উপমহাদেশের ইতিহাসে তিনি একজন একজন সুদর্শন, চৌকস ও শিক্ষিত বিদ্রোহী নেতা হিসেবেই ইতিহাসে পরিচিত হলেও ইংরেজ ঐতিহাসিকগণের একটি বড় অংশ যেমন তাকে চিহ্নিত করেছেন ধূর্ত ও বেঈমান রুপে।
কৈবর্ত বিদ্রোহ: বাংলা অঞ্চলের প্রথম সফল জনবিদ্রোহ বাংলা অঞ্চলের ইতিহাসে প্রথম সফল জনবিদ্রোহের ঘটনা খুঁজতে গেলে চলে আসে একাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ঘটে যাওয়া কৈবর্ত বিদ্রোহের নাম
যেভাবে থেমে গিয়েছিল চারশ বছরের পাল শাসন প্রাচীন বাংলা অঞ্চলে পাল শাসন প্রতিষ্ঠা প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শত বছরের রাজনৈতিক শূণ্যতা ও অরাজকতাপূর্ণ সময় “মাৎস্যন্যায়” যুগ পেরিয়ে জনজীবনে এক প্রকার স্বস্তি এনেছিল পাল শাসন। পালদের শাসনাধীন এলাকা যদিও বেশিরভাগ সময়ই খুব বেশী বড় ভূখন্ডজুড়ে ছিল না কিংবা পুরোটা সময় নিরবচ্ছিন্ন কিংবা শক্তিশালী সাম্রাজ্য হিসেবেও টিকে ছিল না, তারপরেও বাংলা অঞ্চলের রাজনৈতিক ইতিহাসের পট পরিবর্তনের সাথে পাল বংশের ইতিহাস খুবই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। সুদীর্ঘ চারশ বছর ধরে কখনও প্রবল প্রতাপে আবার কখনো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে টিকে থাকা পাল শাসন কিভাবে হারিয়ে ফেলেছিল তাদের চারশো বছরের সাম্রাজ্য?
মাৎস্যন্যায়: প্রাচীন বাংলার অন্ধকার সময়ের গল্প কী ক্ষত্রীয়, কী ব্রাক্ষণ, কী কায়স্ত সবাই নিজেদের ঘরে নিজেরাই রাজা হয়ে বসেছিল এবং সম্ভব হলে প্রতিবেশীরও। পুরো দেশ শাসনের জন্য আর কোনো রাজা অবশিষ্ট ছিল না!
রংপুরের কৃষক বিদ্রোহ: নূরলদীন ও এক দল স্বাধীনতাকামীর আখ্যান সে কৃষক বিদ্রোহ ছিল মাটির মানুষের। সেই অতি সাধারণ কৃষকেরাই আমাদের নায়ক, আমাদের গল্পের নায়ক, আমাদের প্রেরণার নায়ক। তবু আমরা হয়তো ভুলে যাই নূরলদীনের মতো মানুষদেরকে। কিন্তু নূরলদীনরা আসে মানুষের জন্য, মানবতার বিজয়ের লড়াইকে সমুন্নত রাখতে। কবি শামসুর রহমান লিখেছেন- নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় যখন আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়; নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় যখন আমারই দেশে এ আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরে যায় ইতিহাসে, প্রতিটি পৃষ্ঠায়।
ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ ও রাজা ধর্মপালের হেরেও জিতে যাওয়ার গল্প ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের ফলাফল বলা চলে একরকম অদ্ভুত। রাষ্ট্রকূট কিংবা প্রতীহার কোনো বংশই এই বিজয়ে তেমন সুফল না পেলেও মাঝখান থেকে পরাজিত হয়েও প্রায় সমুদয় সুবিধা ভোগ করতে সমর্থ হন রাজা ধর্মপাল। এই সংঘর্ষে রাষ্ট্রকূটরা মোটামুটি ধর্মপালের ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করে এবং পাল বংশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। যার ফলে বারংবার পরাজিত হয়েও ধর্মপাল তার আঞ্চলিক রাজ্যকে উত্তর ভারতের উত্তর ভারতের একটি বৃহৎ শক্তিতে পরিণত করতে সমর্থ হন।