কারাকোরাম হাইওয়ে: পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা প্রাচীন সিল্করোডের যে পথের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে চীনের বাণিজ্য চলতো, সেই পথ ধরেই চলে গেছে কারাকোরাম মহাসড়ক, পাহাড় কেটে পথ করে নিয়েছে অ্যাসফল্টের রাস্তা।
ফ্ল্যামিঙ্গো: নীল লেকের গোলাপি পাখি শান্ত নীল লেকের পাড়ে আগুনে লাল কিংবা উজ্জ্বল গোলাপি রঙের পাখির ঝাঁকের জলভূমিতে চরে বেড়ানোর দৃশ্য আনমনে ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিচরণ করার সময় আপনার চোখে পড়ে গেল। এরপর ফ্ল্যামিঙ্গো নামের এই পাখির মায়াবী রুপে মুগ্ধ হয়ে এই জলচরকে দেখতে যদি ক্যারিবিয়ানের কোনো দ্বীপ বা দক্ষিণ আমেরিকায় আপনি চলেও যান, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অবশ্য সৌন্দর্যেই শুধু নয়, ফ্ল্যামিঙ্গোর জীবনাচারও আপনাকে এদের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে পারে। আজকে এই প্রাণী নিয়েই থাকছে নানা আলোচনা।
রক্তমাখা জায়ফল: মসলার বাণিজ্যে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্ধকার অতীত ডাচদের নির্যাতনের মুখে দ্বীপের জনসংখ্যা ১৫,০০০ থেকে কমে নেমে আসে ৬০০-তে
কোনিয়া: রুমির ভালোবাসার মায়ায়, ইতিহাসের ছায়ায় ঘেরা তুরস্কের শহর কোনিয়াকে আপনি খুঁজে পেতে পারেন জালালুদ্দিন রুমির ভালোবাসায়, নাসিরুদ্দীন হোজ্জার বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুকে বা ইউনুস এমরের শান্তি ও মানবতার বাণীতে।
জিয়ান মসজিদ: ইসলামী-চীনা স্থাপত্যরীতিতে গড়া চীনের প্রাচীনতম মসজিদ এই মসজিদটি চীনের একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ। ১৯৮৫ সালে এই স্থাপনাটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত হয়।
ভারতের কালোত্তীর্ণ মোঘল স্থাপত্যসমূহ স্থাপত্যগুলোর অনির্বচনীয় সৌন্দর্য, আভিজাত্য ও আশ্চর্য শৈল্পিকতা এক মহান সাম্রাজ্যের সাথে এগুলোর সম্পর্কেই প্রকাশ করে। মোঘল স্থাপত্যেশৈলীতে পারসিক, তুর্কি ও ভারতীয় স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
তাসকানি: মোহনীয় ইতালির সুন্দরতম অঞ্চল তাসকানির গ্রামে আপনার হতে পারে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। জলপাই মৌসুমে গেলে চাষীদের সাথে জলপাই তুলতে পারবেন। কিয়ান্টিতে তাসকান কুইজিনের রান্না শিখতে পারবেন।
ভ্লাদিমির কুশ ও রূপকের আয়নায় অন্য পৃথিবী বিস্ময়কর সব উপাদান ও রুপকের সম্মিলনে আঁকা ভ্লদিমির কুশের প্রতিটি ছবিই যেন একেকটি নতুন জগতের হাতছানি, একেকটি মায়াবী রুপকথা।
স্যুরিয়ালিজম: আসুন ডালিদের হাত ধরে হারাই পরাবাস্তব চিত্রশিল্পের জগতে অবচেতন মনের বাধাহীন চিন্তাকে ক্যানভাসে কব্জা করে অদ্ভুত সব ছবি আঁকার যে ধারা ১৯২০ এর দশকে প্যারিসে শুরু হয়েছিল তাকে স্যুরিয়ালিজম বলা হয়। তবে স্যুরিয়ালিজম নিছক চিত্রকলার কোন ধারা নয়, বরং এটি সাহিত্য, ফটোগ্রাফি, সিনেমা প্রভৃতি নানা জগতকে শক্তিশালীভাবে নাড়া দেয়া একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নাম। আজ থাকছে স্যুরিয়ালিজমের উৎস, প্রকৃতি প্রভৃতি নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
ক্লদ মোনে: ইম্প্রেশনিজমের প্রবাদপুরুষ বিশেষধরনের ব্রাশস্ট্রোক ও উজ্জ্বল রঙের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এই ধারাকে ক্লদ মোনে তার দীর্ঘ শিল্পজীবনে অবিরাম চর্চার মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। মোনে পরিবেশ ও প্রকৃতিকে নতুন আঙ্গিকে প্রত্যক্ষ করেছেন, তার অনুভূতিকে নতুনরুপে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন। তার ছবিগুলো দেখলে দর্শক প্রকৃতির সতেজতা ও স্বতঃস্ফূর্ততাকে উপলব্ধি করতে পারে, অনুভব করতে পারে।
ইমপ্রেশনিজম: আধুনিক চিত্রকলার যাত্রা শুরু হয়েছিল যে শিল্প আন্দোলনের হাত ধরে প্রথমদিকে নিদারুণ উপহাসের শিকার হওয়া এই ধারাটি পরবর্তীকালে ইউরোপসহ পুরো পৃথিবীতে ব্যাপক প্রশংসিত হয় এবং বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। আজকে চিত্রকলার তীর্থভূমি প্যারিসসহ বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে ইমপ্রেশনিস্ট আর্টের বড় বড় সংগ্রহশালাগুলোই তার প্রমাণ।