জিম করবেট: জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ এক মানবতাবাদী শিকারি পরের দিন প্রায় ৩০০ গ্রামবাসী নিয়ে ঝোপজঙ্গলে বিট দিয়ে তিনি বাঘিনী সংহারে নেমে পড়েন এবং নরখাদকটির বুকে, কাঁধে ও পরিশেষে পায়ে গুলি করে তাকে নরক দর্শন করান।
রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: বেলুনে চড়ে আকাশ ছোঁয়া প্রথম ভারতীয় ফানুসে গ্যাস ভরা হলো, ঝুড়ির চারদিকে বালির থলেও ঝুলল, আর সেইসাথে অবসান ঘটল সমবেত জনতার প্রতীক্ষার। সাদা রঙের আঁটো জ্যাকেট আর বেগুনি ট্রাউজার পরে, গলায় দূরবীন ঝুলিয়ে পুরোদস্তুর সাহেবি মেজাজে দর্শকদের মাঝে হাজির হলেন আকাঙ্ক্ষিত সেই বাঙালি বাবু। ঝুড়িতে চড়লেন ভদ্রলোক।
এসেক্স জাহাজ কিংবদন্তি: রোমাঞ্চ ও ট্র্যাজেডিতে ঠাসা এক দুঃসাহসিক সমুদ্রগাথা ম্যাসাচুসেটসের নানটুকেট থেকে ১৮১৯ সালের ১৪ আগস্ট ২০ জন ক্রু-মেম্বার নিয়ে যাত্রা শুরু করে এসেক্স। ২৯ বছর বয়সী তরুণ নাবিক জর্জ পোলার্ডের পরিকল্পনা ছিল আড়াই বছর ধরে বিপুল পরিমাণ তিমি-তেল সংগ্রহ করে তবেই দেশে ফিরবেন। কিন্তু নিয়তির পরিকল্পনা ছিল অন্য কিছু!
ড. ডেভিড লিভিংস্টোন: এক দুর্দমনীয় অভিযাত্রীর রোমাঞ্চকর জীবনগাথা আর সেই নেশাকে আরো বেশি তীব্র করে তোলে মধ্য আফ্রিকায় অবস্থিত এক হ্রদের গল্প এবং মাকোলোলো জাতির সর্দার সেবিচুয়েনের সাথে দেখা করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা। লিভিংস্টোন অজানা পথের ডাকে হয়ে ওঠে দিশেহারা।
উত্তম-সুচিত্রার সেরা পাঁচ সাড়ে চুয়াত্তর (১৯৫৩) থেকে প্রিয় বান্ধবী (১৯৭৫) -মধ্যে আছে আরো ২৮ টা ছবি। সুদীর্ঘ ২২ বছরে সিনেমার সংখ্যা মাত্র ৩০ টি! প্রোডাকশন-সাপ্লাইয়ের মাপকাঠিতে সংখ্যাটা নিতান্ত নগণ্য হলেও মহাকালের কষ্টিপাথরে সে’গুলো খাঁটি স্বর্ণ! আপামর বাঙালি মানসে তারা আজও অবিস্মরণীয়! কিন্তু এই লেখায় কেবল পাঁচটি সিনেমার কথাই বলা হবে, যেসব সিনেমার প্রায় সকল বিভাগ সমানভাবে সমৃদ্ধ। কিন্তু একটি ছবিকে এ তালিকার বাইরে রাখবো! কেন? সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য!
এক নজরে রোমান ব্রিটেন: সুসভ্য ইংরেজ জাতির অসহায় শৈশব যে সুসভ্য, সদম্ভ আর দিগ্বিজয়ী ব্রিটেনের চর্চায় আমরা মশগুল থাকি, তার অতীত ইতিহাস হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। আমরা হয়তো জানি না, ব্রিটিশরা এককালে রোমানদের থেকে নিয়েছিল সভ্যতার পাঠ, রোমার সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে পার করেছিল প্রায় ৩৬৭ বছর।
ক্যাথারিন অফ অ্যারাগন: এক হতভাগিনী রাজকুমারীর মর্মস্পর্শী আখ্যান হেনরির ভাষ্যমতে, যেহেতু তিনি নিজেরই বড় ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন, যা কিনা খ্রিস্টমতাদর্শের পরিপন্থী, তাই তাদের দাম্পত্য জীবন ছিল অভিশপ্ত। আর ক্যাথারিনের গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব ইত্যাদি এই পাপপঙ্কিল বৈবাহিক সম্পর্কেরই চরম পরিণতি।
ব্যয়বহুল দশ পোষ্য কিন্তু আজ আমি আপনাকে চন্দনা টিয়া বা জার্মান শেফার্ডের গল্প শোনাচ্ছি না- বরং এমন দশটি প্রাণির সাথে পরিচয় করাতে চলেছি যা কেবল ধনিক শ্রেণীর লোকেরাই পুষতে পারে। অর্থাৎ, পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল দশ পোষ্যের পরিচিতি পাবেন আজকের এই লেখায়।
অ্যামিটিভিল আতঙ্ক: এক কুখ্যাত হানাবাড়ির গল্প গোলমালের শুরু প্রথম রাত থেকেই। কী গোলমাল? এমন গোলমাল যা হয়তো এর আগে অন্য কোনো হানাবাড়িতে ঘটেনি! অন্তত, ঘটেছে বলে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী প্রকাশ্যে দাবি করেনি।
উত্তম-সুচিত্রার সপ্তপদী: রোমান্টিক সিনেমার আড়ালে গভীর জীবনদর্শন প্রথম দেখাতেই প্রেম নয়, বরং ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা সখ্যতা, তার থেকে মুগ্ধতা- অবশেষে প্রেম। নিখাদ, খাঁটি প্রেম! যে প্রেমের মাধুর্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালিকে সমানে সম্মোহিত করে চলেছে।
লেফটেন্যান্ট সুরেশ বিশ্বাস: এক বিস্মৃত বাঙালি অভিযাত্রীর উপাখ্যান খোঁজ খোঁজ রব সেনাশিবিরে। দৃশ্যপটে তখন আবির্ভূত হন এক পরাক্রমশালী বাঙালি, নাম সুরেশচন্দ্র বিশ্বাস, লেফটেন্যান্ট সুরেশচন্দ্র বিশ্বাস! সেই পঞ্চাশজন সৈন্য নিয়েই নাথেরয় পুনরোদ্ধার করলেন তিনি। দমন হলো বিদ্রোহ। সেই অদ্বিতীয় সেনানায়ক, কিংবদন্তি বঙ্গবীর সুরেশচন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়েই আজকের আযোজন।