যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধে টিকে থাকবে চীন: আইএমএফ

অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি সচল রাখতে চীন তাদের ক্রেডিট গ্রোথ বা ঋণ নিয়ে পণ্য তৈরি এবং কেনাবেচার হার বাড়িয়ে দিয়েছে। যেহেতু চীনের লোকবল অনেক এবং শ্রমিকদের শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষতা অনেক। তাই তারা তাদের ক্রেডিট গ্রোথ বাড়িয়ে দিয়ে তাদের অর্থনীতি সচল রাখছে। লোকবল বেশী হবার কারণে যাদের কাছ থেকে ঋণ নেয়া হচ্ছে তাদেরকে সুদসহ ফেরত দিতে পারছে। এই বিশ্বাসটুকু অর্জন চীনের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এই গ্রোথ বা প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণে তারা তাদের দেশের ছোট ছোট ফার্মগুলোতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিনিয়োগ বাড়ানোর কারণে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ আশা করা যাচ্ছে এবং লাভ আসছেও। এই বৃদ্ধির কারণে চীনের নেট ইনকাম বাড়ছে।

article

রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের নারীরা

রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের নারীরা ছিল অত্যন্ত সংবেদনশীল। যদিও কবি তার কবিতা, উপন্যাস এবং গানেও নারীদের কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু তার ছোট গল্পের নারীদেরকে তিনি একটু বিশেষ ভাবে উপস্থাপন করেছেন যেটা চোখে পড়ার মতো। সুবেদীতা এই প্রত্যেকটি নারীদের ভিতরকার সাধারণ একটি বৈশিষ্ট্য। রবীন্দ্রনাথের নারীরা সমাজের অন্তর্ভুক্ত যেকোনো অন্যায়ের স্বীকার হবে। কিন্তু তারা কোন ভাবেই সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না। মুখ বুঝে সব সহ্য করে নেয়। সামাজিক যেকোনো রীতিনীতি তাদের মেনে নিতে হয়, সেখানে তাদের নিজস্ব পছন্দ থাকুক বা না থাকুক। যা কিছু নিষিদ্ধ সেগুলো যদি তাদের ভাগ্যে এসে পড়ে সেটা তারা খুব শান্ত ভাবে মেনে নেয়। সমাজের কুসংস্কার এবং অযৌক্তিক রীতিনীতিকে হাসিমুখে মেনে নেয় রবীন্দ্রনাথের নারী চরিত্ররা। যত কষ্টই হোক না কেন, রবীন্দ্র নারীরা তাদের মনের কষ্ট মনেই লুকিয়ে রাখে, প্রকাশ করে না। এখানে রবীন্দ্রনাথের মুন্সিয়ানা হচ্ছে তার ছোটগল্পগুলোতে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের অবস্থান যে কতটা শোচনীয় ছিলি সেটা খুব সুন্দরভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন

article

এবার চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্লকচেইনের ব্যবহার

ব্লকচেইনের মাধ্যমে ডাটা সংরক্ষণ করলে ডাটা জমা রাখার সময় যদি কোন ভুল হয় তাহলে তা বোঝা যায় এবং ভুল সমাধান করা যায়। এমনকি রোগি নিজেও তার রোগের তথ্য সিস্টেমে ঢুকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। আর ব্লকচেইনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যেহেতু এই পদ্ধতি কেন্দ্রীয় কোন কিছু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এবং এটার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে লেনদেনের জগতে সবাইকে একত্রিত করা (যেটা ইন্টারনেট নিজেও করে) তাই হ্যাকারদের জন্য এরকম সিস্টেমে অনুমতি ছাড়া ঢুকে যাওয়া কঠিন। এর জন্য দরকার পড়বে অতি উন্নতমানের কোয়ান্টাম কম্পিউটার।

article

চাঁদে কি আসলেই প্রাণের অস্তিত্ব ছিল?

চাঁদে যে আগে আগ্নেয় উৎপাত হতো সেটার প্রমাণ বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। সেখান থেকে তারা চাঁদে প্রাণ থাকার একটি অনুমান নির্ভর মতামত প্রকাশ করেন। তারা চাঁদে প্রাণ থাকার পর্যায়কে দুইভাগে ভাগ করেন। একটি পর্যায় ছিল- চার বিলিয়ন বছর আগে যখন চাঁদের উৎপত্তি হয় তার কিছু সময় পর এবং আরেকটি পর্যায় হচ্ছে ৩.৫ বিলিয়ন আছে। এই দুই সময়ের মধ্যে চাঁদে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত দৃঢ়।

article

চাঁদ, তুমি কার?

চাঁদ প্রথম জয় করে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চাঁদে যাওয়া নিয়ে অলিখিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় যুক্তরাষ্ট্র। এখন কথা উঠে যে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মেধা এবং পয়সা খরচ করে চাঁদে গিয়েছে এবং প্রথম সেখানে তাদের দেশের পতাকা লাগিয়েছে তাই চাঁদ তাদের হয়ে গিয়েছে। এরপর যদি চাঁদে কেউ যেতে চায়, বা চাঁদ নিয়ে কোন প্রকার গবেষণা করতে চায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। এমনটি কিন্তু হয়নি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু চাঁদে মানুষ যাওয়া যখন সহজলভ্য হয়ে পড়বে বা এমনও যদি হয় যে কখনও চাঁদে মানুষ বসবাসের জন্য যাচ্ছে, তখন কি এই মালিকানার কথা আসবে না? এখানে একটু ভেবে দেখার বিষয় আছে।

gallery

জলবায়ু পরিবর্তন বাড়িয়ে দিতে পারে আত্মহত্যা হার

উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, মানবজাতির টিকে থাকার সাথে জড়িত এই জলবায়ু। জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনের লাগাম টেনে ধরতে হবে। প্রকৃতি হয়তো মানুষকে টিকে থাকার আরও সুযোগ দিবে যেমনটি আগেও দিয়েছিলো, কিন্তু সেই সুযোগ দেয়ার আগে হয়তো বিরাট এক ধ্বংসযজ্ঞতার আয়োজন করবে প্রকৃতি। জলবায়ুর পরিবর্তন প্রকৃতির জন্য বিরাট এক ক্ষতি। প্রকৃতি নিজের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য নিজের মতো কাজ করবে। আর মানুষ প্রকৃতির অংশ হয়ে যদি প্রকৃতির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে মানুষকেই তার ফল ভোগ করতেই হবে।

article

ব্রিক্স সম্মেলন ২০১৮: অর্থনীতির নতুন পাঁচ মোড়লের সাক্ষাৎ

এবারকার ব্রিক্স সম্মেলনটি একটু অন্যরকম। কারণ পশ্চিমা বিশ্বের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেরাই একটি অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ক তৈরির করার লক্ষ্য নিয়ে এই ব্রিক্স গঠন করা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলো বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বার বার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এমন অবস্থায় নিজেদেরকে কীভাবে আরও বেশী শক্তিশালী করে তৈরি করা যায় সেদিকেই লক্ষ্য ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর। ব্রিক্সের ২০১৮ এর সম্মেলন নির্দ্বিধায় অর্থনীতির এই নতুন মোড়লদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।

article

ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা জারি এবং পুনরায় বৈধকরণ!

ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের নিষেধাজ্ঞার সূত্রে কিছু বিষয় এখনও নিজেদের হাতে রাখছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার শুরু করছে এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার কীভাবে করা যাবে সেটা নিয়ে তারা ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে। ইরানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের মূলনীতি হচ্ছে – তারা এখনই এই সমস্ত ডিজিটাল কয়েনের ব্যবহার সাধারণ মানুষের জন্য বৈধ করছে না। যেহেতু ক্রিপ্টো নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ আছে, তাই আগে শুধুমাত্র ব্যাংকগুলোর ভিতর সরাসরি লেনদেনের জন্য ক্রিপ্টো ব্যবহার করা হবে। এই লেনদেনের পুরোটাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানেই হবে। এভাবে ব্যবহার করার পর যখন ধীরে ধীরে ডিজিটাল কয়েনের ব্যবহার নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করা হবে, তখন কাজ করা হবে কীভাবে এই কারেন্সি সাধারণ মানুষ বৈধ উপায়ে ব্যবহার করতে পারে।

article

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের রেশ: চীন এখন ইউরোপের দিকে ঝুঁকছে

পৃথিবীর মোট অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে চীনের ব্যবসায়িক অঞ্চল নিঃসন্দেহে অনেক বড় এবং প্রভাবশালী একটি বাজার। কোন কারণে যদি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবাহতে বাঁধা আসে, তাহলে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও তার বড় ধরণের প্রভাব পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যেকার বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে সাংহাই, জাপান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া – এসব দেশের অর্থনৈতিক সূচকে বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে, আরও ভালো করে বললে বড় ধরণের ধস নেমেছে। এরকম চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এশিয়ার এই অঞ্চলে কি ধরণের অবস্থার সৃষ্টি হবে সেটা সরাসরি বোঝা যাচ্ছে না, তবে এখানকার অর্থনীতিতে একটি বড় ধাক্কা লাগবে সেটা মোটামোটি নিশ্চিত। চীন এখন তাদের অর্থনীতিকে পুনরায় গোছানোর জন্য ইউরোপের দিকে যেভাবে বিনিয়োগ করছে এবং সেখানে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করার চেষ্টা করছে তাতে কতটুকু লাভ হবে সেটা সময়ই বলে দিবে। কিন্তু চীনের এমন প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। দুই অঞ্চলের মধ্যেকার অর্থনৈতিক অবস্থা কতটুকু দৃঢ়তা লাভ করবে সেটা সামনের দিনগুলোই বলে দিবে।

article

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি কাগজের টাকাকে অদৃশ্য করে দেবে?

যেভাবে বিভিন্ন দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে তাতে করে আগামি এক যুগের মধ্যে হয়তো টাকার অস্তিত্ব আমরা আর নাও দেখতে পারি। নতুন এই লেনদেনের মাধ্যমকে উন্নত দেশ সাদরে স্বাগত জানিয়েছে। এরকমটি হলে কেনাকাটা, জমি এবং সম্পদ বণ্টন ও জমা পদ্ধতি, ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন যে আসবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এখন বাকিটা দেখার বিষয় যে কীভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কাগজের টাকার পুরোটা অংশ দখল করে নেয়।

article

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে উঠছে ব্লকচেইনের কেন্দ্রস্থল: বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?

উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় ধরণের দেশই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আলিঙ্গন করে নিচ্ছে। বাংলাদেশের কি অবস্থা? বাংলাদেশে বিটকয়েন অবৈধ। ব্লকচেইন নির্ভর কোন প্রতিষ্ঠান আছে কিনা সন্দেহ। তবে ই-জেনারেশন বলে একটি বাংলাদেশী ফার্ম দুবাইতে ব্লকচেইন নির্ভর লেনদেন ব্যবস্থা তৈরি করে দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এটা একটি সুসংবাদ কারণ যদি বাংলাদেশী একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান অন্য একটি উন্নত দেশে কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইনের মতো অত্যাধুনিক কাজের নেতৃত্ব দিতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ব্লকচেইন নির্ভর লেনদেন ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে। তবে এখনও লেনদেন করা ছাড়া ব্লকচেইন দিয়ে অন্যান্য কাজ সহজে করা সম্ভবপর ছিল যেমনঃ এনআইডি তৈরি এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের সবরকমের তথ্য গুছিয়ে মজুদ করার জন্য যে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে হয়েছে সেটার জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতো। এরফলে গ্রাহকদের এনআইডি নিয়ে অসুবিধা কম হতো।

article

উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ারশক্তি চুক্তির আশ্বাস: সত্যি নাকি ধাপ্পাবাজি?

উত্তর কোরিয়া আশ্বাস দেয় যে তারা তাদের সকল নিউক্লিয়ার কর্মসূচি স্থগিত করবে, নিউক্লিয়ার আইনের আওতায় তাদের দেশ কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরণের কর্মসূচি তাদের দেশ থেকে নেয়া হবে না। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার এমন বক্তব্য কতটুকু সত্য সেটার উপর প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকেই যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে তাদের বৈরি সম্পর্ক সেটাও আদৌ ঠিক হবে কিনা তা নিয়েও আগে ভাগে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে উত্তর কোরিয়ার কিছু কর্মকাণ্ডে সন্দেহ হচ্ছে যে তারা তাদের নিউক্লিয়ার কর্মসূচি গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে।

article

End of Articles

No More Articles to Load