Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ভ্যাটিকানের গোপন আর্কাইভ: এক অমীমাংসিত রহস্যের সন্ধানে

গোপন’- মাত্র তিন অক্ষর দিয়ে গঠিত এমন একটি শব্দ যা মানুষকে চুম্বকের মতো কাছে টেনে আনে। ইন্টারনেটে কোথাও গোপন ছবি বা ভিডিওর লিঙ্ক দেয়া, সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। দৈনিক পত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেলে কোনো গোপন রহস্য উদঘাটনের খবর আসলে সাথে সাথেই ভিড় জমে যায় সেখানে। এ যেন আসলেই এক অন্যরকম চুম্বক, মানব অনুভূতিকে নিয়েই যার কারবার!

ভ্যাটিকানের গোপন আর্কাইভের অংশবিশেষ; Image Courtesy: Marco Ansaloni

একই কথা বলা যায় ভ্যাটিকান সিটির গোপন আর্কাইভের বেলাতেও। কারণ এটা যতটা না ‘গোপন’, তার চেয়ে বেশি ‘ব্যক্তিগত’! বোঝা যায় নি কথাটা, তাই তো? আজকের লেখার শিরোনামে বলেছি ভ্যাটিকান সিটির একটি গোপন আর্কাইভের কথা। এর ল্যাটিন নাম- ‘Archivum Secretum Apostolicum Vaticanum’। এখানে ‘Secretum’ অংশটি দেখে অনেকেই একে ‘Secret’ শব্দটির সাথে গুলিয়ে ফেলতে পারেন, আর হয়েছিলোও ঠিক তা-ই। অনুবাদের সময় ভুলক্রমে ‘Secretum’-কে সিক্রেট ভাববার ফলেই তৈরি হয়েছে যত রহস্য। কারণ প্রকৃতপক্ষে এখানে ‘Secretum’ বলতে বোঝাচ্ছে ‘Private’ অর্থাৎ ‘ব্যক্তিগত’ শব্দটিকে। বিগত শতাব্দীগুলোতে বিভিন্ন সময়ে পোপদের আদান-প্রদানকৃত নানা চিঠিপত্র, অধ্যাদেশ এবং এমনই অনেক ঐতিহাসিক জিনিস নিয়ে গড়ে উঠেছে ভ্যাটিকানের এ আর্কাইভটি। সপ্তদশ শতকে পোপ পঞ্চম পলের হাত ধরে শুরু হয়েছিলো এর যাত্রা।

পোপ পঞ্চম পল; Image Courtesy: Wikimedia Commons

১৮৮১ সালে পোপ ত্রয়োদশ লিওর অনুমোদনের আগপর্যন্ত ভ্যাটিকানের এ সিক্রেট আর্কাইভে গবেষকদের প্রবেশাধিকার ছিলো না। তিনিই প্রথম সেই ব্যবস্থা চালু করেন। তবে অবশ্যই সেখানে থাকা সবকিছু দেখার অনুমতি মিলে না কোনো গবেষকের। আর সেখানে ঢোকা এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ডকুমেন্ট ঘাটানোর জন্য বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। বিগত দু’শ বছরে সেইসব নিয়মের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।

আপনি যদি একজন সাংবাদিক, শিক্ষার্থী কিংবা শখের বশে ইতিহাস চর্চাকারী হয়ে থাকেন, তাহলে কোনোদিনই সেখানে ঢুকবার অনুমতি মিলবে না আপনার। যদি আপনি আপনার বিভিন্ন গবেষণাকর্মের মাধ্যমে সেখানকার কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, আপনি আসলেই ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেন, কেবলমাত্র তখনই আপনি সেখানে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। তবে সেটাও আজীবনের জন্য না। ছয় মাস পরপর সেই অনুমতিপত্র নবায়ন করতে হবে।

আর্কাইভে ঢুকতে হলে আপনাকে Porta Sant’Anna দিয়ে ঢুকে সুইস গার্ডদের অতিক্রম করতে হবে। এরপর Cortile del Belvedere দিয়ে গিয়ে আপনার অনুমতিপত্র দেখাতে হবে কর্তৃপক্ষকে। একবার এখানে অনুমতি পেয়ে গেলে তাদের জানাতে হবে তারা ঠিক কোন বিষয়ের উপর ডকুমেন্ট দেখতে চান। একদিনে তিনটির বেশি ডকুমেন্ট দেখার অনুমতি নেই। এজন্য ক্যাটালগে থাকা ডকুমেন্টগুলোর নাম দেখে তাদের জানাতে হয় আগ্রহের বিষয় সম্পর্কে। সেই ক্যাটালগও আবার ল্যাটিন ভাষায় লেখা।

সুইস গার্ড; Image Courtesy: EvZ

কিছুক্ষণ ধরে ঘাটাঘাটির পরও একজন গবেষক যদি তার দরকারি জিনিসটির নাম সেখানে খুঁজে না পান, তাহলে তাকে ফিরে যেতে হয়। কারণ তার পরে সিরিয়ালে আরো অনেকেই অপেক্ষা করছে। ভেতরে কম্পিউটারের ব্যবস্থা থাকলেও নেই ছবি তোলার অনুমতি। তাই ভেতরে গেলে দেখা যাবে গবেষকেরা নিবিষ্ট চিত্তে দরকারি নোট টাইপ করে চলেছেন।

সাধারণত ৭৫ বছর পরপর ভ্যাটিকানের এ গোপন সংগ্রহশালার বিভিন্ন ডকুমেন্ট জনসাধারণের দেখবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ২০১২ সালে আর্কাইভটির ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অষ্টম থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ১০০টি ডকুমেন্ট নিয়ে রোমের ক্যাপিটোলিন জাদুঘরে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিলো। ‘Lux in arcana – The Vatican Secret Archives reveals itself’ নামের এ প্রদর্শনীটি ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলেছিলো।

সেই প্রদর্শনীরই উল্লেখযোগ্য কিছু ডকুমেন্ট সম্পর্কে এখন জানা যাক।

১৪৮৩ খ্রিষ্টাব্দে জন নেয়া মার্টিন লুথার ছিলেন একাধারে ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক, সঙ্গীত রচয়িতা, পুরোহিত ও প্রোটেস্ট্যান্ট রিফর্মেশনের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব। রোমান ক্যাথলিক চার্চের বেশকিছু নিয়ম-নীতির ব্যাপারেই আপত্তি ছিলো তার। গির্জায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পাপমোচনের মধ্য দিয়ে শাস্তি থেকে নিষ্কৃতি লাভের যে চর্চা ছিলো, তার ফলপ্রসূতা নিয়ে ১৫১৭ সালে তিনি রচনা করেছিলেন Ninety-five Theses।

লুথারের বহিষ্কারাদেশ; Image Courtesy: Wikimedia Commons

১৫২০ সালে পোপ দশম লিও এবং ১৫২১ সালে রোমান সম্রাট পঞ্চম চার্লস তাকে তার লেখাগুলো প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। কিন্তু লুথার তাতে অস্বীকৃতি জানালে পোপ তাকে গির্জা থেকে বহিষ্কৃত করেন। এই বহিষ্কারাদেশটি আছে সেই গোপন আর্কাইভে।

১৫০৯ থেকে ১৫৪৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রাজার দায়িত্ব পালন করেছিলেন অষ্টম হেনরি। এ সময়েরই একটি ঘটনা।

১৫৩০ সালে নিঃসন্তান রাজা চেয়েছিলেন অ্যান বয়েলিনকে বিয়ে করে রক্তের ধারাটা টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু এজন্য তাকে তৎকালীন রাণী ক্যাথেরিনকে তালাক দিতে হতো যা ক্যাথলিক চার্চ অনুমোদন করতো না। এমতাবস্থায় রাজসভার ৮১ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং যাজকমণ্ডলী মিলে এ বিয়েকে বাতিল ঘোষণার জন্য পোপ সপ্তম ক্লেমেন্টের কাছে ৩ ফুট প্রশস্ত চিঠি লিখেছিলেন। সেই সাথে তিনি বাতিল না করলে এর ফলাফলও যে খুব একটা ভালো হবে না, এমন একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতও দেয়া ছিলো সেই চিঠিতে।

৩ ফুট প্রশস্ত সেই চিঠি; Image Courtesy: Transcription Services

পোপ সেই বিয়ে বাতিলের পক্ষে সমর্থন দেন নি। এর ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে গড়ে উঠেছিলো চার্চ অফ ইংল্যান্ড। লাল ফিতায় বাধা সেই সিলগুলোসহ চিঠিটি রাখা আছে ভ্যাটিকানে।

ক্রুসেডগুলোর সময় সমাজে বেশ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হতো নাইট টেম্পলারদের। অর্থ, সম্মান, সুযোগ-সুবিধা সবই ছিলো তাদের। একসময় তাদের এ সুবিধাকেই বোঝার চোখে দেখা শুরু করেন ফ্রান্সের সম্রাট চতুর্থ ফিলিপ।

নাইট টেম্পলারদের কাছে নিজের আর্থিক দেনা এড়াতে তাই ১৩০৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিপথগামীতার অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতার করেছিলেন ফিলিপ। বছরখানেক ধরে চলা নির্যাতনের পর অবশেষে তারা সেসব অভিযোগ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাদেরকে এরপর পুড়িয়ে মারা হয়। রাজার কাছ থেকে ক্রমাগত আসা চাপে শেষ পর্যন্ত তৎকালীন পোপ সেই অর্ডারটি ভেঙে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রায় সাতশ বছরের পুরনো এ বিচারকার্যের ষাট মিটার লম্বা একটি প্রতিলিপি রাখা আছে সেখানে।

সপ্তদশ শতাব্দীর কাছাকাছি সময় থেকে পৃথিবী আসলেই মহাবিশ্বের কেন্দ্র কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। তবে চার্চ তখনও তাদের আগের বিশ্বাসেই অটল ছিলো এবং যারাই এর বিরোধীতা করতো, তাদের উপরই বন্দীত্ব ও নির্যাতনের অভিশাপ নেমে আসতো।

প্রখ্যাত ইতালিয়ান পলিম্যাথ গ্যালিলিও গ্যালিলেইকে ১৬১৬ সালে তার বিশ্বাসের জন্য কঠোরভাবে সমালোচনা করেছিলো চার্চ। সেইবার কোনোভাবে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু সতের বছর পর ১৬৩৩ সালে আর শেষ রক্ষা করতে পারেন নি গ্যালিলিও। তৎকালীন পোপ অষ্টম আর্বান তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় মতবাদের বিরোধীতার অভিযোগ আনেন।

পরবর্তীতে গ্যালিলিওর বিচারকার্য চলাকালীন কিছু কাগজপত্রের সন্ধান পাওয়া যায় ভ্যাটিকানের সেই গোপন সংগ্রহশালায়।

ইতালিয়ান ভাষ্কর, কবি, চিত্রশিল্পী ও স্থপতি মাইকেলেঞ্জেলো একবার পোপকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে, ভ্যাটিকানের প্রহরীরা গত তিন মাস ধরে তাদের বেতন পাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে তারা চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবে। অবশ্য মাইকেলেঞ্জেলোর এ সতর্কবার্তায় শেষ পর্যন্ত সেই প্রহরীরা তাদের বেতন পেয়েছিলো কিনা তা জানা যায় নি। তবে সেই চিঠিটি আজও রয়ে গেছে ভ্যাটিকানে।

কলম্বাসের নতুন বিশ্ব আবিষ্কারের প্রায় এক বছর পর ১৪৯৩ সালের ৪ মে পোপ ষষ্ঠ আলেকজান্ডার এক অধ্যাদেশ জারি করেন যা ‘Inter caetera’ নামে পরিচিত। এর মধ্য দিয়ে আজকের দিনের ব্রাজিলের পূর্বাংশ চলে যায় পর্তুগালের নিয়ন্ত্রণে। বাকি অংশগুলোর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছিলো স্পেন।

অনুদানের সেই প্রতিলিপি; Image Courtesy: Marco Ansaloni

আর্কাইভে পাওয়া ডকুমেন্টগুলোর মাঝে সবচেয়ে পুরনোটি ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দের। এতে ভেনিসের এক চার্চে অনুদানের ব্যাপারে উল্লেখ আছে।

ভ্যাটিকানের এই সিক্রেট আর্কাইভে এছাড়াও আছে বার্তোলোমিউ নামে তৎকালীন পর্তুগীজ উপনিবেশ ব্রাজিলের এক পুরোহিতের ডিজাইন করা একটি ফ্লায়িং মেশিন, ১১৯৮ সালে জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের জন্য চতুর্থ ক্রুসেড আয়োজনের জন্য পোপ ৩য় ইনোসেন্টের অধ্যাদেশ, কিং রাজবংশের হাতে উৎখাত হয়ে পালিয়ে থাকা চীনের সম্রাজ্ঞী ডোয়াজার হেলেনা ওয়াংয়ের তৎকালীন পোপের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠানো বার্তা, তিব্বতে ধর্মপ্রচার করতে যাওয়া ফ্রান্সিস্কান মিশনারীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে ধর্মপ্রচার করতে দেয়ার অনুরোধ সম্বলিত পোপ দ্বাদশ ক্লেমেন্টের চিঠি যা তিনি পাঠিয়েছিলেন সপ্তম দালাই লামার সহকারীর কাছে, ১৮৬৩ সালে পোপ নবম পায়াসকে ইউনিয়ন কিংবা কনফেডারেসির দিকে টানতে আব্রাহাম লিঙ্কন ও জেফারসন ডেভিসের লেখা দুটি চিঠি, প্রাণদন্ডের ব্যাপারে একটা বিহিত করতে তৎকালীন পোপ পঞ্চম সিক্সটাসের কাছে স্কটল্যান্ডের রাণী মেরির সাহায্য চেয়ে চিঠি এবং আরো অনেক কিছু।

ব্যাপারটা যদি এখানেই শেষ হতো, তাহলেই ভালো হতো। কিন্তু তারপরেও মনের মাঝে অগণিত প্রশ্নবোধক আর আশ্চর্যবোধক চিহ্ন সবসময় লাফালাফি করে বেড়ায়।

  • ৮৫ কিলোমিটার লম্বা তাকগুলো জুড়ে আসলে কী কী ডকুমেন্ট রাখা আছে? ওগুলো কি আসলেই এতটা গোপনীয় কোনো জিনিস?
  • ক্যাটালগই বা কেন ৩৫,০০০ ভলিউম জুড়ে বিস্তৃত থাকবে? কী এমন আছে সেই আর্কাইভে যে এত বড় ক্যাটালগের প্রয়োজন পড়লো?
  • ১৯৩৯ সালের পর থেকে আর কোনো ডকুমেন্টই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত না! কেন? এরপর কী এমন ঘটনা ঘটেছিলো যার জন্য এত গোপনীয়তা?
  • ১৯২২ সালের পর থেকে কার্ডিনালদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কিত একটি পুরো অংশে প্রবেশাধিকার নেই কারো। কেন? কী এমন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সেসব কার্ডিনালরা যে এভাবে সবকিছু আড়ালে রেখে দিতে হবে?

এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় নি আজও। আদৌ পাওয়া যাবে কিনা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এজন্য ভ্যাটিকানের সেই গোপন আর্কাইভটি নিয়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কন্সপিরেসি থিওরি।

  • অনেক কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের মতে সেই আর্কাইভে সেইন্ট পল এবং সম্রাট নিরোর মাঝে যিশুখ্রিষ্টের অস্তিত্ব ও বংশধরদের নিয়ে আদানপ্রদানকৃত চিঠিপত্র রাখা আছে।
  • এ থিওরি থেকে বাদ যায় নি এলিয়েনরাও। কারো কারো মতে সেখানে এলিয়েনদের অস্তিত্বের প্রমাণ লুকিয়ে রাখা আছে!
  • ভ্যাটিকানের এ আর্কাইভে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্নোগ্রাফির কালেকশন!
  • আর্কাইভটি আসলে চালায় গুপ্ত সংঘ ইলুমিনাতির সদস্যরা।
  • ক্রোনোভাইজর এমন একটি কাল্পনিক মেশিন যার সাহায্যে অতীত ও বর্তমান দেখা সম্ভব। যদিও এমন কোনো মেশিনের অস্তিত্ব পৃথিবীবাসী আজ পর্যন্ত জানতে পারে নি, তবে কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের মতে ইতালীয় পুরোহিত ও বিজ্ঞানী ফাদার পেল্লেগ্রিনো মারিও আর্নেত্তি (১৯২৫-১৯৯৪) নাকি এমন একটি মেশিন অনেক আগেই তৈরী করেছেন। যিশুখ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধকরণের ঘটনা দেখার জন্যই তিনি এটি বানিয়েছিলেন! যেহেতু এ মেশিনটি জনসমক্ষে কখনো দেখা যায় নি, তার মানে এটি ভ্যাটিকানের সেই গোপন আর্কাইভেই লুকিয়ে রাখা আছে!

৮৫ কিলোমিটার কিংবা ৩৫,০০০ ভলিউম কিংবা ১৯৩৯ ও ১৯২২ এর রহস্যের সমাধান কি কখনো হবে? সেই প্রশ্ন নাহয় সময়ের কাছেই জমা রইলো!

Related Articles