Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ কর্পোরেট দুনিয়ায় কেন জনপ্রিয়?

সান জু’র নীতি এখন প্রত্যেকটি মিলিটারি স্কুলের অবশ্য পাঠ্য বই। তবে আধুনিককালে তুমুল জনপ্রিয় হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিপণন বা মার্কেটিংয়ে। এজন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ এর ব্যবহার নিয়ে প্রতি বছর অসংখ্য বই আসছে। অনেকে এটাকে ব্যবসায়িক স্ট্রাটেজির বাইবেল বলেও অভিহিত করেন! দ্য ড্রাকার ইনস্টিটিউট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিক ওয়ার্টজম্যান বছরখানেক আগে বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনে লিখেছিলেন, “ব্যবসা বাণিজ্যের দুনিয়ার হর্তাকর্তাদের জিজ্ঞেস করুন কার লেখা একই সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য আবার সামরিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছে? একটি নাম শুনলে অবাক হওয়া যাবে না যে নামটি হলো সান জু।”

bs1

যুদ্ধ হচ্ছে জীবন মৃত্যুর খেলা

কর্পোরেট দুনিয়ায় সান জু’র জনপ্রিয়তার পেছনে হাফিংটন পোস্টে যে কয়েকটি কারণের উল্লেখ আছে সেগুলো হলো:

এটা অনেক ছোট

দ্য আর্ট অব ওয়ার জনপ্রিয় হওয়ার কারণ এটি অত্যন্ত ছোট। ৪০ মিনিটের একটা বিমানের ফ্লাইটেও অনায়াসে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি। বইটির উপর কয়েক ঘন্টা বিনিয়োগ হয়তো পাল্টে দিতে পারে আপনার জীবনের গতিপথ।

বইয়ের টাইটেলটি চুম্বকের মতো টানে

‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ সর্বকালের সেরা একটি বইয়ের টাইটেল হিসেবে স্বীকৃত। ‘আর্ট’, ‘ওয়ার’ এ শব্দগুলো চুম্বকের মতো পাঠককে টানে।

এটা সময়ের পরীক্ষায় পাশ

একটা বই একশো বছর চললে সেটা ক্লাসিক বলা যায় সহজেই। আর যে বই আড়াই হাজার বছর ধরে চলছে বুঝতে হবে এটা কাল জয় করে ফেলেছে। এত বছর ধরে মানুষের সম্মান ও আকর্ষন কেড়ে নেওয়ার পেছনে সারবত্তা কিছু আছে সেটা বলাই বাহুল্য। হুজুগ বেশিদিন টিকে না; ক্ষণিকের ধোপ-ক্ষণশেষে হারায়, চিরায়তটাই টিকে থাকে। ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বিশ্ব ইতিহাসে একটি চিরায়ত গ্রন্থ। এজন্য আদিকালে রাজ-রাজড়াদের কাছ থেকে শুরু করে এখন আধুনিক কর্পোরেট জগতে ব্যাপকভাবে পঠিত হচ্ছে বইটি।

আধুনিক নেতৃত্বের থিওরির সাথে পুরোপুরি মিলে যায়

 কর্পোরেট জগতে সফলতা বা ব্যর্থতার দায়ভার নিতে হয় কর্তাব্যক্তিদেরকে। পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে দোষ দেওয়া নয় বরং একে পরাজিত করে সফল হওয়ার মন্ত্র শেখানো হয়। সেক্ষেত্রে সান জু’র নীতি অনেক কাজের: ‘যখন সৈন্যরা পলায়ন করে, অবাধ্য হয়, ক্ষুব্ধ হয়, বিশৃঙ্খলায় ভেঙ্গে পড়ে; এ সবগুলোর জন্য দায়ী হচ্ছেন সেনাপতি। এসব ধ্বংসযজ্ঞের জন্য কোন প্রাকৃতিক কারণকে দোষারূপ করা যাবে না।’

sun-tzu

যে কেউ ব্যবহার করতে পারে

 ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ নামটা দেখে অনেক সময় মনে হতে পারে শুধু রাজা-বাদশা, সেনাপতি বা হোমরা-চোমরাদের জন্যই শুধু এ বইটি। কিন্তু না! এটি যেকোন অবস্থানে থেকেই একজন ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারেন এবং তার অবস্থানের লক্ষণীয় উন্নতি করতে পারেন। এজন্যই আজকাল রাজনীতি থেকে শুরু করে, ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধূলা-সব ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সরাসরি মূল পয়েন্টে আলোচনা

তার নীতি আলোচনা করতে সান জু কোন ধরণের ইতস্তততা, সন্দেহ পরায়ণতা বা ভাবালুতার আশ্রয় নেননি। এ ধরণের নির্দেশনা ও নেতৃত্বই সাধারণের কাছে খুবই কাঙ্ক্ষিত। যে নেতৃত্ব স্থির নয়, যে সিদ্ধান্ত নিয়ে সংকোচে আক্রান্ত হয় তার প্রতি সাধারণের আস্থা থাকে না। সান জু খুবই সিরিয়াস এবং টু দ্য পয়েন্টে কথা বলেন। তার কথা শুনলে বিজয় অনিবার্য আর অন্যথা করলে পরাজয় অনস্বীকার্য।

লক্ষ্য অর্জনে অব্যর্থ

যুদ্ধ হচ্ছে জীবন মৃত্যুর খেলা। এজন্য যুদ্ধমাঠে কামালিয়াতের জন্য সফল স্ট্রাটেজিটাই দিয়েছেন সান জু। এই সিরিয়াস নীতিগুলো ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যবহার করলে সফলতা অবিসম্ভাবী।

পুরানা চাল ভাতে বাড়ে

আজকের ব্যবসা-বাণিজ্যের দুনিয়ায় প্রতিযোগিতা বা দ্বন্ধ আগেকার যুদ্ধের চেয়ে কম নয়। এবং কর্পোরেট জগতের বিভিন্ন শব্দ এখন খুবই যুদ্ধংদেহি। কর্পোরেট হাউজে শৃঙ্খলা বিধান করার ক্ষেত্রে সামরিক রীতি-নীতির যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। আর্ট অব ওয়ার এ বিদ্রোহী সৈন্যকে কল্লা কাটতে হয় কিভাবে এবং কেন, বিরোধি তাবুতে আগুন ধরিয়ে দিতে হয় কিভাবে তার বর্ণনা আছে, আকাশে ধূলার আস্তরণ দেখে কিভাবে আচ করতে হয় শত্রু রথের আগমনী সংবাদ তার বর্ণনা রয়েছে। এই রীতিগুলো আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও ব্যবহৃত হয় পুরোদমে। কোন ধরণের আবেগের উপর নির্ভর না করেই আপনার ব্যর্থ কর্মীকে নির্মমভাবে ছাটাই করতে হবে কেন তার শক্ত কারণ বুঝা যাবে সান জুর কাছ থেকে । একজন দক্ষ সেনাপতি যেমন যুদ্ধমাঠের অবস্থা দেখেই বুঝে ফেলেন কিভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করলে বিজয় আনা যাবে তেমনি বাজারের কিছু লক্ষণ দেখেই কর্পোরেট বসরা আঁচ করতে পারেন সেটা কোনদিকে যাচ্ছে। আবার আপনার প্রতিপক্ষের বাজার দখল করার ক্ষেত্রে অনেক নির্মম পদক্ষেপও নিতে হয়। এসব ক্ষেত্রে মার্কেটিং এর অন্যান্য সাধারণ বইগুলোর চেয়ে আর্ট অব ওয়ার অনেক টেকসই।

business-sun-tzu

শত্রুর সাথে যুদ্ধ না করেই পরাস্ত করা সক্ষমতার নিদর্শন।

ব্যবসা-বাণিজ্যে সান জু’র সাত নীতি

১) ধ্বংস না করে তোমার বাজারকে দখল করো

সান জু’র নীতি

“সাধারণত যুদ্ধের সর্বোত্তম পলিসি কোন রাজ্যকে অক্ষত দখল করা। আর ধ্বংস করে দেয়া খুবই দুর্বল পলিসি।…কারণ শত যুদ্ধে শত বিজয় দক্ষতার চরম নিদর্শন নয়। শত্রুর সাথে যুদ্ধ না করেই পরাস্ত করা সক্ষমতার নিদর্শন।”

সান জু’র কৌশল বলে-‘যুদ্ধ ছাড়াই পুরোটা জয় করো’। যেহেতু ব্যবসার মূল লক্ষ্য টিকে থাকা এবং উন্নতি করা সেহেতু আপনাকে আপনার বাজারটা ধরতে হবে। কিন্তু কাজটা এমনভাবে করতে হবে যেন এ প্রক্রিয়ায় আপনার বাজার ধ্বংস না হয়। আত্মঘাতী কাজ বিভিন্নভাবে করা যায়। একটা হচ্ছে পণ্যের মূল্য নিয়ে যুদ্ধ (প্রাইস ওয়ার)।এটা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে যে এই দাম নিয়ে দ্বন্ধটাতে সবচেয়ে বেশি ফোকাস দেয় প্রতিযোগীরা। এবং এর দিকে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। এটা বাজারের মুনাফাকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করে দেয়।

sun-tzu-2

চলমান ট্রেন্ড সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে

২) প্রতিযোগীর শক্তির জায়গাকে এড়িয়ে চলো এবং দুর্বল জায়গাতে আক্রমণ করো

সান জু’র নীতি-

“একটি সেনাদল হবে পানির মতো। প্রবাহিত হওয়ার সময় এটা উচু জায়গা এড়িয়ে চলে এবং নীচু জায়গা দিয়ে দ্রুত প্রবাহিত হয়। ঠিক একইভাবে কোন সেনাদল শত্রুপক্ষের শক্তিশালী অবস্থানকে এড়িয়ে যাবে এবং দুর্বল জায়গাতে আক্রমণ করবে।”

পাশ্চাত্য যুদ্ধনীতি তার বাজার ব্যবস্থাতেও ছড়িয়ে গেছে। প্রতিযোগীর শক্তিশালী অবস্থানে মুখোমুখি আক্রমণ শানায়। ব্যবসাক্ষেত্রে এ পলিসি দু’পক্ষের জন্যই আত্মক্ষয়ী হিসেবে দেখা দেয়। সঠিক পলিসি হওয়া উচিত প্রতিযোগীর দুর্বল অবস্থানে ফোকাস করা। এতে খুব অল্প রসদ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ মুনাফা লাভ হয়। এখন পাশ্চাত্যও সান জু’র নীতিতে ফিরে আসছে বা আসতে বাধ্য হচ্ছে।

৩) গোপনে জেনে নিন প্রতিপক্ষের পলিসি

সান জু’র নীত-

“শত্রুকে জানো, তোমাকে জানো; শত যুদ্ধেও পরাস্ত হবে না।”

প্রতিযোগীর দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর জন্য আপনাকে তাদের বড় কর্তাদের কৌশল, চিন্তা, আকাঙ্ক্ষা, সক্ষমতার ব্যাপারে ভালো ধারণা রাখতে হবে। ঠিক একইভাবে নিজেদের দুর্বলতা-সক্ষমতার ব্যাপারেও ভালো ধারণা থাকতে হবে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার বাজারের চলমান ট্রেন্ড সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। কারণ আপনার লড়াই তো সে মাঠটাতেই। আপনার নেওয়া এই যে বিভিন্ন ছলাকলা সেগুলো কিন্তু আপনার প্রতিদ্বন্ধীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় লুকিয়ে রাখতে হবে। আপনি যেমন আপনার প্রতিপক্ষের গোপন পরিকল্পনা, কৌশলাদি জানার জন্য হন্যে হয়ে থাকেন আপনার প্রতিপক্ষও আপনারটা জানার জন্য সবসময় উৎ পেতে থাকে!

৪) প্রতিযোগিতায় আগানোর জন্য আপনার বিশেষ প্রস্তুতি ও গতিকে কাজে লাগান

সান জু’র নীতি-

“অথর্বদের উপর নির্ভর করা আর প্রস্তুতি না নেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বড় অপরাধ। আর যেকোন ক্ষেত্রে আগে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে সর্বোত্তম গুণ।”

আপনার আগেভাগে প্রাপ্ত জ্ঞান এবং ছলনার শক্তি দিয়ে খুব দ্রুত আক্রমণের কথা বলেন সান জু। এত দ্রুত হবে সেটা যেন প্রতিপক্ষকে মুহূর্তেই ভড়কে দেয়। আবার গতি দিয়ে আক্রমণ করা মানে এই নয় যে তাড়াহুড়ো করা। বাস্তবে গতির পেছনে কাজ করে আসলে ব্যাপক প্রস্তুতি। অনেকসময় আপনার কোম্পানীকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, পণ্যের মান ও ক্রেতাদের সেবার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে সময় কম পাওয়া যায়। বাজারের সম্ভাব্য সকল ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে চিন্তা করা ও বুঝার সক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

sun-tzu-3

বাজারে দক্ষতার সাথে জোট করা গুরুত্বপূর্ণ

৫) আপনার শিল্পের বিভিন্ন সেক্টরে কৌশলী জোট করুন এবং প্রতিপক্ষকে আপনার কৌশলের উপর নির্ভরশীল করুন

সান জু’র নীতি-

“যারা যুদ্ধনীতিতে ওস্তাদ তারা প্রতিপক্ষের কৌশলের টানে মাঠে নয় বরং নিজেদের কৌশলে তাদের শত্রুবাহিনীকে যুদ্ধমাঠে টেনে নিয়ে আসে।”

‘প্রতিযোগিতার নিয়ম নির্ধারণ করা’ মানে হচ্ছে প্রতিযোগিতার নিয়ম করা এবং একে পাল্টানোর সক্ষমতা রাখার যোগ্যতা। প্রতিযোগীর আগেই মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলা এবং সেটা নিজের হাতে রাখা। এটা করার একটা উপায় হচ্ছে বাজারে দক্ষতার সাথে জোট করা। বিভিন্ন শক্তিশালী জোট তৈরি করার ফলে আপনার প্রতিপক্ষের চাল দেওয়া সীমিত হয়ে যাবে। এবং আপনার পণ্য বা শিল্পের কৌশলী জায়গাগুলোতে আপনার শক্ত উপস্থিতি রাখার মাধ্যমে আপনার প্রতিপক্ষকে ইচ্ছেমত নাচাতে পারবেন যেমনটা আপনি চান।

৬) নিজের চরিত্রে নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ করুন এবং আপনার অধীনস্তদের সেরাটা বের করে আনুন

সান  জু‘র নীতি- “সেনাপতি অন্যকে দয়া, সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবেন এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগাবেন। এতে করে পুরো সেনাদল শরীর ও মগজে একমত হবে এবং আনন্দের সাথে সেনাপতির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবে।”

মানুষ জগতের সবচেয়ে জটিল প্রাণী। একে ম্যানেজ করা একটা বিশেষ শিল্প এবং সেটা ভালোভাবে রপ্ত করতে হয়। কর্পোরেট দুনিয়ায় এটা আরও বেশি সত্য। সেখানে নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনা সহ আপনাকে দেখতে হয় বাজার, আপনার ক্রেতা এবং প্রতিপক্ষ। এ সবগুলো ব্যবস্থাপনায় বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন ছাড়া আগানোর উপায় নাই। কর্পোরেট দুনিয়ায় নেতাকে প্রাজ্ঞ, আন্তরিক, মানবিক, সাহসী এবং কঠোর হতে হয়। এবং নেতাকে সবার আগে সব চ্যালঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নেতৃত্বের একটি কমন সূত্র কর্পোরেট দুনিয়াতেও সমভাবে কার্যকর। সেটা হলো-‘লিডারস্ লিড বাই এক্সামপল’। নেতা তার কাজের উদাহরণ সৃষ্টির মাধ্যমেই অধীনস্তদের নেতৃত্ব দেন।  সান জু’ ও সেরকম সেনাপতিদের পছন্দ করেন যারা সাধারণ সৈন্যদের সাথে শরীরের ঘাম ঝরায়। আধুনিক কর্পোরেট দুনিয়ার কর্তারা যে শুধু এসি রুমে বসে সব কাজ করে ফেলে এমন নয়! তাদেরকেও বাজারে ঘাম ঝরাতে হয়!

texto04

সান জু’ ও সেরকম সেনাপতিদের পছন্দ করেন যারা সাধারণ সৈন্যদের সাথে শরীরের ঘাম ঝরায়।

(৭) আপনার কর্মীদের পুরস্কৃত করুন

সান জু’র নীতি: “তোমার সেনাদলকে এই সুখবর দিতে হবে যে শত্রুকে পরাজিত করতে পারলে তাদেরকে পুরস্কার দেয়া হবে। রথযুদ্ধে তোমার সৈন্যরা যদি দশ বা তার অধিক শত্রুরথ দখল করতে পারে তাহলে যারা প্রথমে সে কাজটা করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করতে হবে।”

পুরস্কার অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এজন্য বিশেষ অর্জনের জন্য, সাধারণ দায়িত্বের চেয়ে বেশি কিছু করার বিনিময়ে কর্মীদের পুরস্কৃত করুন। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভালো পারফর্মেন্স বা বিক্রেতাদের আশাব্যঞ্জক বিক্রির কারণে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়ে থাকে। ভালো কাজকে যদি পুরস্কৃত না করেন তাহলে মোটিভেশন কমে যাবে। যুদ্ধময়দানে ভালো পারফর্মেন্সের যেমন মূল্য দেওয়া হয় তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য বা কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনার কর্মীদের পুরস্কৃত করার চর্চা করতে হবে। তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান বড় হবে, বিকশিত হবে।

This article is in Bangla Language. It's about why Sun Tzu's art of war is popular in corporate world

Image sources & References:

  1. গ্রেগরি বেয়ার, ডেপুটি ফিচার এডিটর-হাফিংটন পোস্ট
  2. সানজু স্ট্রাটেজিস ডট কম থেকে নেওয়া মার্ক ম্যাকনলি’র লেকচার

Related Articles