Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বাচা পোশ: কন্যাসন্তানই যখন পুত্র!

তিন কন্যার পর জন্ম নিলো চতুর্থ কন্যা আসিয়া। প্রবল পিতৃতান্ত্রিক আফগান সমাজে পরিবারে পুত্রসন্তান না থাকাকে দেখা হয় অভিশাপ হিসেবে। তাই আসিয়া হলো আসির, পরিবার তাকে গড়ে তুলতে লাগলো ছেলে হিসেবেই।

আসিয়া ছেলেদের পোশাকই পরে সবসময়। একটু বড় হয়ে বোনদের বাড়ির বাইরে আনা-নেওয়া, বাজার করা ইত্যাদি কাজ শুরু করলো সে। মেয়েদের বিদ্যালয়েই পড়ে আসিয়া। ক্লাসে ঢোকার সময় হিজাব মাথায় থাকলেও ক্লাসের বাইরে সে পুরোদস্তুর ছেলে। অনেকে তো রীতিমতো বখাটে ছেলেই ভাবে। ফুটবল পায়ে আসিয়া তুখোড়, দৌড়ায়ও যেন ঠিক ছেলেদেরই মতো করে। পরিবার তার পাড়াপড়শিদের কাছে মোটামুটি লুকিয়েই রেখেছে যে আসিয়া প্রকৃতপক্ষে একজন মেয়ে।

পুত্রসন্তান না থাকবার ‘দায়’ মেটাতে কন্যাকে শৈশবকালে এভাবে ছেলে হিসেবে পালন করার আফগান প্রথাটির নাম ‘বাচা পোশ’। আসিয়া একজন বাচা পোশ। ফার্সির আফগান সংস্করণ বা দারি ভাষায় ‘বাচা পোশ’ অর্থ ‘মেয়ে, যারা ছেলেদের পোশাক পরে’। বাচা পোশ প্রথার ব্যাপারে কোথাও কোথাও এমন লোককথাও প্রচলিত যে, কোনো সন্তানকে বাচা পোশ বানালে গর্ভের পরবর্তী সন্তানের ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়! পরবর্তীতে পুত্রসন্তান জন্ম নিলে পূর্বতন বাচা পোশ আবার মেয়ে হিসেবে ফিরে আসে।

Repression causes perversion- অবদমন বিকৃত রুচির জন্ম দেয়। অর্থাৎ যখন আপনি স্বাভাবিকভাবে কিছু ঘটতে দেবেন না, সেটা আপনাতেই বিকৃতপন্থা বেছে নেবে। একটা গাছকে সোজা বাড়তে না দিলে সে তীর্যক বা আনুভূমিকভাবেই বাড়তে থাকবে। ঠিক এটিই ঘটেছে আফগানিস্তানে। প্রবল পুরুষতান্ত্রিক আফগান সমাজে বেশ বড় একটা সময় ধরে টিকে আছে এই প্রথা। একটু লুকোছাপা থাকলেও ঠিক ‘ট্যাবু’ নয় সেটি, বরং চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।

Image Source: Dawn

আফগান সমাজে নারী-পুরুষের চরম বৈষম্যের কথা হয়ত নতুন করে বলবার কিছু নেই। জাতিসংঘ, সেইভ দ্য চিলড্রেন ও থম্পসন-রয়টার্স ফাউন্ডেশনের মতে, নারীদের জন্য আফগানিস্তানই সবচেয়ে বাজে দেশ। এখানকার রক্ষণশীল এলাকাগুলোয় নারীদের বাড়ির বাইরে যেতে কেবল পুরুষের অনুমতিই লাগে না, বরং পুরুষ একজন সঙ্গীও লাগে। ওদিকে একদম নিরুপায় না হলে মেয়েরা বাড়ির বাইরে কাজও করতে পারে না। ছেলেরাই আফগান সমাজে বংশের বাতি, বার্ধক্যের লাঠি আর বিত্তের খুঁটি। মেয়ের কাজ কেবল সন্তান জন্ম দেওয়া আর স্বামীর সেবা করা। এমন সমাজে কোন বাবা-মা কন্যাসন্তান নিতে উৎসাহিত হবেন?

পুত্রসন্তানই তাই অধিক কাম্য। দশটা হলে তো খুবই ভালো। তবে দশটা না হোক, পাঁচটা না হোক, একটা অন্তত ছেলে সন্তান তাদের থাকা চাই-ই চাই। এ চাহিদা মেটাতেই আসিয়াদের হতে হয় আসির। তাতে পুত্রসন্তান না থাকবার আক্ষেপ ও সামাজিক অপমান থেকে আসিয়াদের পরিবারও রেহাই পায়।

এই বাচা পোশ বানানোর উপকারিতা কী? আড়ালে আবডালে যা-ই বলা হোক, বাচা পোশকে সমাজে ছেলের মতো করেই দেখা হয়। মেয়েদের প্রতিকূলতাগুলো এদের ভোগ করতে হয় না। আসিয়ার কথাই বলি, অন্য বোনেরা যেখানে সকালে উঠে নাস্তা বানাতে মাকে সাহায্য করে, আসিয়া ঘুম থেকে ওঠে সবার পরে। একটা সাধারণ আফগান মেয়ে জিন্স পরতে না পারলেও আসিয়া তা পারে। বুকে ওড়না জড়াবার দায় নেই আসিয়াদের। চাইলে তারা ছেলেদের স্কুলেও পড়তে পারে, চাইলে একটা হিজাব জড়িয়ে মেয়েদের স্কুলেও পড়তে পারে। তারা কারো মুখাপেক্ষী নয়, একাই বাইরে যেতে পারে, খেলতে পারে, অন্য বোন বা মাকে দেখাশোনা করতে পারে, চাকরি করতে পারে। ওদিকে পরিবারও একটা নির্দিষ্ট সময় অবধি ছেলের অভাব বা ‘অভিশাপ’ ঘোচাতে পারে।

বাবা ও বোনের মাঝে আসিয়া; Image Source: RT Documentary

ছোটবেলা থেকে ছেলে হিসেবে লালিত ও পরিচিত হতে হতে আসিয়ার মনেও একটা সময়ে বদ্ধমূল ধারণা হতে শুরু করেছে, সে একটা ছেলে। তাছাড়া যে সমাজে মেয়ে হওয়াটা অভিশাপের ন্যায়, সেখানে ছেলে হবার আশীর্বাদ হতে কেনই বা বঞ্চিত হতে চাইবে আসিয়া? কিন্তু বিপত্তি বাধে বয়ঃসন্ধিকালে। যখন ঢোলা শার্ট-প্যান্ট দিয়েও আসিয়া তার দেহান্দরের ক্রমবর্ধমান নারীত্বকে আটকে রাখতে পারে না। বাবা-মা তখন নিরুপায় হয়ে চান আসিয়া আবার মেয়ে হোক। ওদিকে সমাজে বাস করতে হলে পিছে কথা বলা লোকেদের পুছতেই হয়। ওদের কারণে সমাজে আসিয়ার পরিপূর্ণ নারী হওয়ার সুযোগও ওভাবে অবশিষ্ট নেই।  

ইদানিং মেয়েদের কাছ থেকে টুকটাক প্রেমপ্রস্তাব পায় আসিয়া। সলজ্জে তখন সে নিজের নারীত্বকে মেনে নেয়। তবে এই ছেলেসুলভ বেশভূষাকেও সে আপন করে নিয়েছে। ছাড়তে চায় না সেসব। সে চায়, তার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী এভাবেই মেনে নিক তাকে।

বয়ঃসন্ধি হলেই বাচা পোশ থাকার মেয়াদকাল ফুরোয়। পরিবারই চায়, মেয়ে ফিরে আসুক মেয়ের জীবনে। হয়ত আসিয়াও ক’দিন বাদে মেয়ের জীবনে ফিরে যাবে। কিন্তু সবাই ফিরতে চায় না। মানসিকভাবে ছেলে বনাম মেয়ে- দ্বিমুখী সত্তার দ্বন্দ্বে এরা বাচা পোশই থেকে যেতে চায় আজীবন। এমনই একজন হলো নাজলা তোফান। বয়ঃসন্ধি পার করে পূর্ণ তরুণী সে। এখনো চুল ছোট, মাথায় ক্যাপ। পরনে ট্র্যাকস্যুট নতুবা পুরুষালি সালোয়ার-কামিজ। দিনের বেলা মেয়ে হিসেবে কাজ করছে এক বিজ্ঞাপন ফার্মে, বিকেলে মেয়েদের মার্শাল আর্ট শেখায় ছেলে কোচ হিসেবে। আর রাতে পড়ছে নৈশস্কুলে। নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্য কতটা প্রত্যয়ী সে! মেয়েদের থেকে নয়, গোটা দশেক ছেলের কাছ থেকেই বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছে সে। সেসব ছেলের কাছে আত্মবিশ্বাসী নাজলা তোফান হলো নারীর এক শক্তিমান অবতার।

বাঁয়ে দাঁড়িয়ে ‘কোচ তোফান’; Image Source: YouTube

তো যারা ফিরে আসতে আর চায় না, তাদের অনেকে আবার পুরোপুরি পুরুষ সত্ত্বায় অভিযোজিত হয়ে যায়, শারীরিক লৈঙ্গিকতা অস্বীকার করে এরা। কাবুলের জাহরার কথাই বলা যাক। পনের বছর বয়সী এ কিশোরী ইতোমধ্যে বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে গেছে, তবু সে ছেলের বেশভূষা ছাড়েনি। রাস্তাঘাটে ছেলেরা উত্যক্ত করে মাঝেমধ্যে, তখন সে কী করে?

“ওরা একটা বাজে কথা বললে আমি তিনটা গালি দিই। ওরা এক থাপ্পড় দিলে আমি তিনটা লাগাই।”

জাহরার সাফ কথা। বাইরে বেরিয়ে ছেলেদের টিটকারি শুনে মাথা নিচু করে বাসায় ফেরা, পড়াশোনা করতে না পারা, স্বামীর ঘরে সেবা করা, প্রতিবাদ না করা- ওসবের লায়েক সে নয়! সে ‘ছেলে’ই থাকবে। সে জানে, এভাবে চললে হয়তো সে না পুরুষের সমাজে জায়গা পাবে, না নারীর সমাজে। কিন্তু তবুও জাহরা স্বপ্ন দেখে।

এতক্ষণ তো জানলেন মুদ্রার একটি পিঠ। ছেলে হিসেবে বেড়ে উঠতে উঠতে সেই পরিচয়ে আত্তীকৃত হওয়াদের গল্প। কিন্তু সবাই কি আত্তীকৃত হতে পারে? আট বোন, চল্লিশোর্ধ্ব মা আর মাদকাসক্ত-বেকার পিতাকে নিয়ে মীনার সংসার। সে-ও একজন বাচা পোশ। মীনা স্কুলে যায় মেয়ের বেশে, আর স্কুল থেকে ফিরেই বাজারে সবজি বেচে ছেলের বেশে। আসিয়াদের উদাহরণ ফ্রয়েডিয় মনঃশারীরতাত্ত্বিকদের সূত্র মেলার আনন্দ দেয়। তারা মনে করেন, একটা মেয়েকে যদি ছোটবেলায় একটা ছেলে হিসেবে লালন-পালন করা হয়, সে অনেকটাই ছেলেতে পরিণত হয়। কিন্তু মীনা এই ছকের বাইরে। সে ভীষণ লজ্জাবতী। একরকম জোর করেই তার মা তাকে ছেলেদের পোশাক পরান। ছেলেদের সাথে ওঠাবসায় মীনা মোটেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তার ঘরোয়া কাজ ভালো লাগে। কৃত্রিম ছেলেসত্ত্বা ধারণ করতে পারেনি মীনা, সে অন্য আফগান মেয়েদের মতো করেই বাঁচতে চায়।

এবারে আসা যাক সংখ্যাগরিষ্ঠের ব্যাপারে, সমাজের মূলধারার আচরণ প্রসঙ্গে। বাচা পোশদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশটি বয়ঃসন্ধির পর পরিবারের চাপেই আবার মেয়ের জীবনে ফিরে আসে। তাদের বিয়ে হয়, সংসার হয়। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের প্রতিনিধি হলেন ৩৬ বছর বয়সী শুকরিয়া সিদ্দিকি। বাচা পোশ থাকাকালে তার নাম ছিলো শুকুর। তার গায়ে থাকতো লেদার জ্যাকেট, জিন্স প্যান্ট আর পকেটে ছুরি- সব মিলিয়ে যেন ষাটের দশকে ব্রিটেনের রকার! ছেলেদের একটা বড়সড় গ্যাংয়ের সাথে চলতেন তিনি।

আজ সেই শুকরিয়া তিন সন্তানের জননী। রাস্তায় মাস্তানি বাদ দিয়ে তাকে পরিবারের সবার খাবার বানাতে হয়, কাপড় ধুতে হয়। হুট করেই জীবনটা বদলে গিয়েছিলো তার। বেড়ে ওঠার পুরোটা কাল নিজেকে ছেলে হিসেবে দেখার পর সমাজ আজ তাকে বলছে “তুমি মেয়ে”। সমস্যা হয় না? উত্তর দিলেন শুকরিয়াই।

“এখনো মেয়েদের সাথে ঠিকমতো কথা বলতে পারি না (ছেলেদের সাথে মিশতে মিশতে)।”

ছোট ভাইয়ের জন্মের আগপর্যন্ত এভাবেই বাচা পোশ জীবন কেটেছে আমিনার; Image Source: RT Documentary

ইসলামপন্থীদের কাছে এই প্রথা ঘৃণ্য। কেননা মেয়েদের দেওয়া আলাদা ধর্মীয় মর্যাদার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে এই প্রথা। ওদিকে বিপরীত লিঙ্গের বেশ ধারণ করাও ইসলামে নিষিদ্ধ। কিন্তু ওভাবে আইনের প্রয়োগ নেই বলে দেদারসে টিকে আছে এ প্রথা। এমনকি প্রগতিশীল অংশটিও কীভাবে এই পুরুষতান্ত্রিক প্রথার কাছে জিম্মি, তা বুঝবেন পরবর্তী জনের পরিচয় জানলে।

আজিতা রাফাত, আফগান জাতীয় সংসদে ২৪৯ সাংসদের মধ্যে ৬৮ জন নারী সাংসদের অন্যতম তিনি। আফগানিস্তানের বাদগিস প্রদেশ থেকে নির্বাচিত আজিতাও পুত্রসন্তানের অভাবে নিজের কনিষ্ঠ কন্যাকে বানিয়েছেন বাচা পোশ! নিউ ইয়র্ক টাইমসের জেনি নর্ডবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন-

“আমি জানি আপনি অবাক হচ্ছেন এটা ভেবে যে কী করে একজন মা তার ছোট মেয়ের সাথে এমন কিছু করতে পারে। কিন্তু দেখুন, এটা আফগানিস্তান। এখানে অনেক কিছুই হয় যা আপনাদের মতো পশ্চিমাদের ধারণার বাইরে!”

ছোটবেলায় আজিতা ছিলেন তুখোড় ছাত্রী, হতে চেয়েছিলেন ডাক্তার। ধরে-বেঁধে বাবা তার বিয়ে দিয়েছিলেন এক অশিক্ষিত কৃষক পরিবারে। সতীন আর অত্যাচারী শ্বাশুড়ির সাথে অকর্মণ্য স্বামী- জীবন দুর্বিষহ হতে আর কী লাগে! এমন অবস্থায় বেনাফশা ও বেহেশতা নামক দুই মেয়ের জন্ম দিয়ে আরো চাপে আজিতা। তৃতীয় সন্তানও কন্যা হবার পর কান্নার রোল পড়লো পরিবারে। নিরুপায় হয়ে তাকে বানানো হলো বাচা পোশ। যারা তার আসল পরিচয় জানে, তাদের কাছে মানুশ নামে এবং যাদের কাছে ছেলে, তাদের কাছে মেহরান নামে পরিচিত সে।

দুই বোনের সাথে মেহরান; Image Source: New York Times

এসব কেন মেনে নিলেন আজিতা? চাইলেই কি পারতেন না স্বামীর এই সংসার ছেড়েছুড়ে আসতে? নাহ, আজিতা বিবাহ বিচ্ছেদের কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। কারণ তালাক হয়ে গেলে মেয়েদের জিম্মাও হারাতে হবে তাকে এবং মেয়েরাও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

এই ছেলেবেশধারী মেয়েদের আদি পরিচয় নিয়ে খুব একটা তথ্য পাওয়া যায় না। ৮৩ বছর বয়সী ন্যান্সি ডিউপ্রি নামে একজন মার্কিন ঐতিহাসিকের বয়ান মতে, আফগান রাজপরিবারে প্রাচীনকাল থেকেই হারেম বা অন্দরমহলের নারীদের সুরক্ষায় পুরুষরা নয়, বরং পুরুষবেশী নারীরাই থাকতেন। ১৯০০ সালের শুরুর দিকে রাজা হাবিবুল্লাহর সময়ের একটি ছবি থেকে নাকি তিনি এই ধারণা পেয়েছেন। তৎকালীন হারেমের সুরক্ষাকারীরা ঐ অর্থে অধুনা ‘বাচা পোশ’ নন। কিন্তু উভয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতিটা এক। “পুরুষের হাতেই সমাজের কর্তৃত্ব, পুরুষই আধিপত্য ও শক্তির প্রতীক, নারীকে সুরক্ষিত রাখবে পুরুষ। নারী তার নিজ ভূমিকায় যথেষ্ট নয়, তাকে এগোতে হলে পুরুষের বেশেই আসতে হবে” – উভয় ক্ষেত্রে মূলমন্ত্র একই।

তালেবান-সোভিয়েত যুদ্ধের পটভূমিতে ২০০৩ সালে নির্মিত হয়েছে ‘ওসামা’ নামে একটি আফগান চলচ্চিত্র। এখানেও গল্পটি একজন মেয়ের, যে কি না ভগ্নপ্রায় পরিবারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিলো বাচা পোশ।

‘ওসামা’ সিনেমার পোস্টার; Image Source: SBS

বাচা পোশেরা টিকে থাকবেই। অন্তত যতদিন নারী-পুরুষ পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে মানুষ হিসেবে দেখা না হবে এবং যতদিন স্বাধীনতার একচ্ছত্র অধিপতি কেবল পুরুষই থাকবে। কোনো রক্ষণশীল অনুশাসন দিয়ে এই অমানবিক প্রথা বা সামাজিক অবক্ষয় ঠেকানো যাবে না। নতুবা আফগানিস্তানের মতো দেশে এমন অনৈসলামিক কাজ হবে কেন?

ফিচার ইমেজ: youtube.com

Related Articles