Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

গথিক সংস্কৃতি: ভয়ংকর সুন্দরের পূঁজারী যারা

চোখে গাঢ় করে সাজ দেয়া, ফ্যাকাসে মুখ, কালো পোশাক আশাক, কালোজাদু, মৃত্যু ও বিষাদের প্রতি আকর্ষণ – ‘গথ’ (Goth) শব্দটি শুনলে এরকমই কিছু হয়তো মনে হতে পারে। অধিকাংশ মানুষের বেলায় দেখা যায়, তারা গথ বলতে শুধু একধরনের ফ্যাশনকেই বোঝে। কিন্তু আদতে গথের গন্ডি যে আরো বৃহৎ, তা জানে না অনেকেই। গথ বা গথিক (Gothic) যে শুধু পোশাকেই সীমাবদ্ধ নয়, এ যে একটি গোষ্ঠীর জীবনের একটি বড় অংশ, একটি সাব-কালচার- এ সম্পর্কে ধারণা নেই অধিকাংশেরই।

গথিক সাব-কালচার এবং এর আদ্যোপান্ত নিয়ে আজকের এই লেখা।

প্রখ্যাত ব্যান্ড বাউহাউস, যাদের হাত ধরে গথিক রকের যাত্রা শুরু হয়; Source: bbc.co.uk

উৎপত্তি 

এ প্রসঙ্গে প্রথমেই প্রশ্ন উঠবে, সাব-কালচার কী? সংস্কৃতি তথা Culture থেকেই সাব কালচার (Subculture) শব্দটির উৎপত্তি। আক্ষরিক অর্থে সাবকালচার হলো কোন একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতির একটি অংশ যার নিজস্ব কিছু অনন্য প্রথা বা বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাকে অন্যদের থেকে পৃথক করবে।

গথিক সাবকালচারের ক্ষেত্রে এর জন্ম হয়েছে একটি রক সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে, যার নাম গথ (Goth)। সাহিত্য, চিত্রশিল্প থেকে শুরু করে অনেক কিছুই এ সাবকালচারকে প্রভাবিত করলেও এর জন্মের পেছনে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তা হলো গথিক রক।

গথিক কালচারের শুরুটা মূলত হয়েছিল ইংরেজ গথ ব্যান্ড বাউহাউস (Bauhaus) এর হাত ধরে, আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে তাদের “বেলা লাগুসি ইজ ডেড” (১৯৭৯) গানটির মাধ্যমে।

গানটি প্রথমবারের মতো যখন দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখনই তা মানুষের নজর কাড়ে। প্রথমেই মঞ্চের আলো আধারি সাজ, তার সাথে গানটির বিচিত্র এবং অনিশ্চিত তাল- প্রথমে ধীর, পরে হঠাৎ দ্রুত, আবার ধীর, এর বিষণ্ন কিন্তু ভুতুড়ে সুর- মানুষকে রোমাঞ্চিত করে। গানের বিষয়বস্তু গানের সুরের মতোই। বেলা লাগুস মারা গেছেন, তাকে কালো আলখেল্লায় মুড়িয়ে কালো একটি বাক্সে বন্দী করা হয়েছে। বাদুড় বেল টাওয়ার ছেড়ে চলে গেছে, বেলাও কফিনে বন্দী, বহু সময় কেটেও গেছে। কিন্তু বেলা লাগুসি কি আসলেই মারা গেছেন? নাকি কবরের মাঝে তিনি এখনো জেগে আছেন?

নীচে গানের কিছু লাইন তুলে দেয়া হলো-

“The victims have been bled
Red velvet lines the black box
Bela Lugosi’s dead
Undead undead undead…

…Bereft in deathly bloom
Alone in a darkened room
The count
Bela Lugosi’s dead
Undead undead undead”

উল্লেখ্য, প্রখ্যাত অভিনেতা বেলা লাগুসি (Bella Lugosi) ১৯৩১ সালে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ড্রাকুলা’তে কাউন্ট ড্রাকুলা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। চলচ্চিত্রটি বাম স্ট্রোকারের বিখ্যাত হরর উপন্যাস ‘ড্রাকুলা’ থেকে অনুপ্রাণিত। তাই অনেকেই ধারণা করেন, বাউহাউসের বেলা আর অভিনেতা বেলা একই মানুষ, আর গানটি এই বিখ্যাত হাঙ্গেরীয়-আমেরিকান অভিনেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, বাউহাউসের বেলা হলো স্বয়ং কাউন্ট ড্রাকুলা নিজেই।

বেলা যে-ই হোক না কেন, বাউহাউসের বেলার মাধ্যমে যে গথ রকের জন্ম হয়, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। বাউহাউসের সঙ্গীত এবং তাদের  স্টাইল- তা তাদের শোকপূর্ণ আবহই হোক কিংবা তাদের গাঢ় রঙের পোশাক, তাদের সাজ- এর সবকিছুই মানুষকে ভীষণভাবে রোমাঞ্চিত করেছিলো।

এই প্রভাবই পরবর্তীতে গথিক সাবকালচারের জন্ম দেবে, কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা হবে আরেকটু পরে।

সিয়োক্সি সিয়োক্স; Source: blogs.bl.uk

তো বাউহাউসের সেই আলোচিত পারফরম্যান্সের পর এর পরবর্তী সময়ে ছোট ছোট বহু ব্যান্ডই প্রথমে পজিটিভ পাংক, পরবর্তীতে গথ সঙ্গীতের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। নতুন নতুন গথ ব্যান্ডের জন্ম হয়, যেগুলো পরে প্রতিষ্ঠিত গথিক রক ব্যন্ডে পরিণত হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিয়োক্সি, দ্য ব্যানশি, দ্য কিউর, Alien Sex Fiend, ভার্জিন প্রুন্স, প্লে ডেড, ইউকে ডিকে, স্পেসিমেন ইত্যাদি। এগুলো সহ বাউহাউস গথিক রকের কর্ণধার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৮২ সাল থেকেই দ্য ব্যাটকেভ নামে লন্ডনের একটি নাইটক্লাব এই ব্যান্ডগুলো এবং তাদের ভক্তদের মিলনস্থলে পরিণত হয়। এতে করে ব্যান্ডের গানগুলো যেমন আরো বৈচিত্র্যময় হয়, তেমনি সাধারণ মানুষের উপর ব্যান্ডের প্রভাবটা আরো প্রত্যক্ষভাবে পড়ে। পোশাকে বাউহাউসের প্রদর্শিত লিঙ্গ নিরপেক্ষতা, বাউহাউস, সিয়োক্স আর দ্য ব্যানশির রহস্যময় ও তমসাচ্ছন্ন নারীত্ব ইত্যাদি মানুষকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত করে। এদের মধ্যে স্পেসিমেনের ফিশনেট কাপড়ের ব্যবহার একটি ফ্যাশন আইকন হয়ে দাঁড়ায়।

‘গথ’ শব্দটির প্রবর্তন করেন এই ব্যান্ডগুলোর সদস্যরা, বিশেষ করে ইউকে ডিকে, জয় ডিভিশন ও সাউদার্ন ডেথ কাল্ট।

পুরো ব্রিটেনে রেডিও ও টেলিভিশনে গথ যত ছড়িয়ে পড়ে, নাইটক্লাবগুলোতে তাদের উপস্থিতি তত বাড়ে, সেই সাথে তরুণ সমাজও ঝুঁকতে থাকে গথের প্রতি। ব্যান্ডগুলোর আদর্শ এবং পোশাকআশাক তারা আপন করতে শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে দেখা গেলো, গথ নিজেই একটি বিশাল সংস্কৃতিতে পরিণত হয়, যার পেছনে রয়েছে একটি বড় নিবেদিত গোষ্ঠী। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে সিস্টারস অফ মার্সি নামের একটি ব্যান্ডের আগমন হয়, যারা গথিক কালচারের কিছু অনন্য বৈশিষ্টের প্রবর্তন করে- আঁটসাঁট কালো জিন্সের প্যান্ট, কালো চুল, চোখা বুটজুতো ইত্যাদি।

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে গথিক কালচারের উপর থেকে গণমাধ্যম ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ হারাতে শুরু করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে গথিক চেতনা ঠিকই বেঁচে থাকে। গথিক রকের মঞ্চে এরপর উল্লেখযোগ্য কেউ এখন পর্যন্ত না আসতে পারলেও এর চেতনা প্রভাব ফেলে মানুষের পোশাক আশাকে, কর্মে ইত্যাদিতে।

আঁধার ও গথিক সংস্কৃতি

বিষণ্নতা, অন্ধকারাচ্ছন্ন, একটু ভীতিকর- শুরু থেকেই গথিক সাবকালচার সঙ্গীত, সাজসজ্জা এবং পণ্যের ক্ষেত্রে এ তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। গথিক সাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রকট হলো কালো রঙের উপস্থিতি। কালো পোশাক, কালো চুল, কালো লিপস্টিক, এমনকি ঘরের সাজ, নিত্যদিনের ব্যবহার্য জিনিসের ক্ষেত্রেও কালোর উপস্থিতি। অনেকে পোষা প্রাণী, বিশেষ করে বিড়ালের বেলায় কালো রঙকে পছন্দ করে। সাজার সময়ে চোখে বড় করে আইলাইনার টেনে দেয়া, ফাউন্ডেশন দেয়া ফ্যাকাসে চেহারা, সাথে গাঢ় লিপস্টিক- আশির দশকের ব্যান্ড থেকে এমনটাই অনুপ্রেরণা পায় গথরা।

আঁধারকে ভালোবাসে গথরা, আপাতদৃষ্টিতে যেগুলোকে অনেকেই কুৎসিত হিসেবে মনে করে, সেগুলোতে এক ভিন্নরকম সৌন্দর্য দেখে এ সাবকালচারের মানুষ।

মৃত্যু, শোক ও অতিপ্রাকৃত বিষয়গুলো গথের উপর প্রভাব ফেলে; Source-subculturelist.com

গথ ও শিল্প-সাহিত্য

আগেই বলেছি, সঙ্গীত ছাড়াও গথ সাবকালচারের উপর প্রভাব ফেলেছে ইতিহাস, শিল্প ও সাহিত্য এবং একইভাবে উল্টোটাও হয়েছে।

এর মধ্যে যেমন রয়েছে সমসাময়িক সৃষ্টি, সেই সাথে আছে শত বছর পূর্বে সৃষ্ট সাহিত্য ও শিল্প। গথিক সাহিত্য, হরর ফিল্ম, বিভিন্ন ধরনের উপকথা, ধর্মগ্রন্থ, এমনকি চিত্রকর্ম সহ আরো অনেক কিছুই। গথ সঙ্গীত এবং সাবকালচারের উপর গথিক সাহিত্যের প্রভাব বেশ স্পষ্ট। গথিক সাহিত্য হলো একপ্রকার হরর সাহিত্য, যেখানে ভুতুড়ে ও ভীতিকর বিষয়ের উপর প্রাধান্য বেশি দেয়া হয়ে থাকে। গথিক সাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাম স্ট্রোকারের ‘ড্রাকুলা’, মেরি শেলির ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ ইত্যাদি। গথিক সাহিত্যের মাঝে দৈত্য-দানব, ভুত, পিশাচ, ভ্যাম্পায়ারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গল্পে চরিত্রদের দুর্দশা এবং করুণ পরিণতিও গথিক হররের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গথিক সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এডগার অ্যালেন পো, চার্লস বডেলিয়ার, এইচ পি লাভক্র্যাফট, মেরি শেলি সহ আরো অনেকে।

গথিক সাবকালচার প্রভাব ফেলেছে চিত্রশিল্পীদের উপরেও। অনেকেই গথের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং এর প্রভাব পড়েছে তাদের কাজে। আপাতদৃষ্টিতে ভয়ংকর এবং রহস্যময় জিনিসগুলো রোমান্টিকভাবে তাদের কাজে ফুটিয়ে তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। অতিপ্রাকৃত বিষয়গুলোসহ মৃত্যু, বিষণ্নতা ও দুঃখকে তারা তাদের কাজের বিষয় হিসেবে ব্যবহার করেন। চিত্রশিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জন রাস্কিন, জন এভারেট মিলিয়াস প্রমুখ।

মিলিয়াসের ওফেলিয়া; Source: tate.org.uk

শেক্সপিয়ারের প্রখ্যাত ট্রাজেডি ‘হ্যামলেট’ এর চরিত্র ওফেলিয়া হ্যামলেটের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবার পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন ওফেলিয়া এরপর ফুলের মালা গাঁথার জন্য গাছে চড়তে গেলে ডাল ভেঙে নিচের নদীতে পড়ে যায়। পরনের গাউনের জন্য অল্প কিছুক্ষণের জন্য ভেসে গান গাইতে থাকা ওফেলিয়া ছিল নিজের করুণ পরিণতি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞাত, এবং এভাবে ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যায় ভগ্ন-হৃদয়ের এ নারী।

সাধারণত নাটকের এ অংশটি মঞ্চে অভিনয় করা হয় না, কিন্তু জন এভারেট মিলিয়াসের প্রখ্যাত চিত্রকর্ম ‘ওফেলিয়া’-তে গল্পের ঠিক এই অংশটিই নিয়েই, ওফেলিয়ার মৃত্যু।

মৃত্যুর মতো করুণ একটি বিষয়কে সৌন্দর্যের চোখে দেখাটা গথিক সাবকালচারের অংশ।

উপকথার মধ্যে ব্রিটিশ, সেল্টিক, খ্রিস্ট ধর্মীয় মিথ, মিশরীয় মিথ এবং প্যাগান ধর্মের বিষয়গুলো প্রভাব ফেলেছে গথের উপর।

গথিক ফ্যাশনের নমুনা; Source: sassystylecart.blogspot.com

বর্তমানে গথিক সংস্কৃতি

শুরুর দিকের গথিক সংস্কৃতির অনেক বিষয়ই এখনো টিকে থাকলেও অন্যান্য অনেকভাবেই এর পরিবর্তন এবং বিবর্তন ঘটেছে।

গথ মানে শুধু ভ্যাম্পায়ার, দৈত্য-দানব বা কালোজাদু নয়, গথের বিষয়বস্তু এখন আরো অনেক বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিষণ্নতা, শোক, মানুষের মনস্তত্ত্ব ইত্যাদি। সঙ্গীত ছাড়াও ফ্যাশনের উপর এর প্রভাব সবচেয়ে সহজে লক্ষ্য করা যায়। ‘৯০ সালের হলিউডের ‘ড্রাকুলা’ বা ‘ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার’ এর মতো চলচ্চিত্রের চরিত্রদের মতো পোশাকআশাক পুরুষের ফ্যাশনে প্রভাব ফেলে।

আর নারীদের বেলায় ভিক্টোরিয়ান সময়ে (১৮-১৯ শতক) নারীদের পোশাকের সাথে গথিক স্টাইলের মিশ্রণের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া আরেকটি বিষয় যেটা দেখা যায়। সেটা হলো ফ্যাশনের ক্ষেত্রে শুধু যে কালো রঙই প্রাধান্য পাবে এমনটি আর নেই। সাদা, গোলাপী- এরকম হালকা এবং মিষ্টি রঙের সাথে গথিক ফ্যাশনের সংমিশ্রণ- একে প্যাস্টেল গথ বলা হয়ে থাকে।

গুরো কাওয়াই; Source: pinterest.com

আবার জাপানে ভয়ংকর এবং মিষ্টি এ দুইয়ের মিশ্রণ হলো কিমো কাওয়াই এবং গুরো কাওয়াই। কাওয়াই (Kawai) শব্দের অর্থ মিষ্টি আর কিমো (Kimo) শব্দটির অর্থ ভয়ংকর। গুরো (Guro) শব্দটি এসেছে ইংরেজি শব্দ Gore, থেকে যার আক্ষরিক অর্থ ‘জমাট রক্ত’ বা সোজা বাংলায় রক্তাক্ত বিষয়। কিমো কাওয়াই আর গুরো কাওয়াই কাছাকাছি। পার্থক্য হলো- কিমো কাওয়াই শুধু ভীতিকর আর গুরো কাওয়াই রীতিমতো পৈশাচিক। পরস্পরবিরোধী বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণ ঘটে কিমো এবং গুরো কাওয়াইতে। কমিক, চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে পোশাকআশাক- সবকিছুতেই এ দুইয়ের উপস্থিতি বেশ লক্ষ্য করা যায়। 

অনেকে আবার শুধু পোশাকেই গথিক, অথচ কখনো গথ সঙ্গীত শোনেনি। এজন্য বলা হয়, গথিক সংস্কৃতি আসলে অনেক বিস্তৃত।

গথিক সংস্কৃতির অংশ হওয়া মানে কিন্তু এই না যে তাদের জীবন একেবারে ভিন্নরকম। আর দশটা মানুষের মতো তারাও ন’টা-পাঁচটা অফিস করে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। সবকিছুর পাশাপাশি তারা তাদের জীবনের এই অংশটি আগলে রাখে।

এ যে তাদের এক আশ্রয়, সমমনাদের সাথে মিলনের কারণ!

ফিচার ছবি: Deviantart.com

Related Articles