Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সানাম: ভারতীয় সঙ্গীতের ফ্যান্টাস্টিক ফোর

একটা সময় ছিল, যখন ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু করে দেখাতে হলে দুটো জিনিসের সাহায্য নিতে হতো। একটা হলো বলিউড, অপরটি হলো বড় ধরনের কোনো মিউজিক লেভেল। বলিউডি স্বজনপ্রীতির ব্যাপারটা নতুন কোনো বিষয় নয়, বহু আগে থেকেই এর অস্তিত্ব বিদ্যমান। তাই যথেষ্ট প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিল্পী নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পায়নি, বা সুযোগের অভাবে ডুবে গেছে অতীতের জঞ্জালে।

শুরুতেই বলিউডে পদার্পণ, বা বড় কোনো মিউজিক লেভেলের কাজ করাটা সাধারণ কারো পক্ষে শুধু মুশকিলই নয়, বলা চলে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সময়ের চাকা ঘূর্ণনের সাথে সাথে পাল্টেছে ক্যালেন্ডারের পাতা। তথ্যপ্রযুক্তির সয়লাবের এই যুগে, নিজের প্রতিভা সকলের সামনে প্রকাশ করাটা হয়ে উঠেছে আরও সহজ এবং কার্যকর। ইউটিউব-ফেসবুকের কল্যাণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্বলে উঠছে সুপ্ত প্রতিভার ঝলক। তেমনি পারিপার্শ্বিক কোনো সহায়তা ছাড়া, একদম মূল থেকে উঠে আসা এক ব্যান্ডের নাম হলো সানাম। এর কলাকুশলীরা নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও গুণে আসীন হয়েছে জনপ্রিয়তার সিংহাসনে।

সানাম ব্যান্ড; Image Source: Since Independence

ডিজিটাল প্লাটফর্মে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এ ব্যান্ডকে আমেরিকান ব্যান্ড দ্য ফ্যাভ ফোর এর আদলে ইন্ডিয়ান ফ্যাব ফোরও ডাকা হয়। কারণ এ দলের সদস্য সংখ্যা মোট চারজন। 

  • সানাম পুরি (লিড ভোকালিস্ট/কম্পোজার)
  • সামার পুরি (লিড গিটারিস্ট/কম্পোজার)
  • ভেঙ্কি এস বা ভ্যাঙ্কট সুব্রামানিয়াম (বেজ গিটারিস্ট)
  • কেশব ধনরাজ (ড্রামার)

সানাম ব্যান্ডের সফলতার গল্প তুলে ধরতে হলে, ফিরে যেতে হবে সেই ২০০৩ সালে। ভেঙ্কি আর সামার পুরি তখন ওমানের রাজধানী মাস্কাটের ভারতীয় এক স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছোটবেলা থেকেই গিটারের প্রতি দারুণ ঝোঁক ছিল দুজনের। সেজন্য তারা দ্রুত আয়ত্ত করে ফেললেন ছয় তারের এই বাদ্যযন্ত্র। কথায় বলে, শখের তোলা আশি টাকা। শখকে এক প্রকার পূর্ণতা দিতেই, তারা ব্যান্ড দল খোলার পরিকল্পনা আঁটেন। সামারের ছোট ভাই সানাম পুরির গানের গলা বেশ ভালো হওয়ায়, তাকে গায়ক হিসেবে ভেরানো হলো দলে।

ব্যান্ড দাঁড় করাতে করাতেই ফুরিয়ে এলো তাদের স্কুল জীবনের সোনালী সময়। কলেজে ভর্তি হবার উদ্দেশ্যে সকলেই পাড়ি জমায় তাদের মাতৃভূমি ভারতে। কিন্তু ভারতে আসার পর সবাইকে আলাদা হয়ে যেতে হয়। সানাম আর সামার রয়ে যায় দিল্লীতে, ভেঙ্কি চলে আসে ব্যাঙ্গালোরে। তখন সামার-সানাম উভয়েই যুক্ত হয়ে যায় কলেজের স্থানীয় ব্যান্ড দলের সাথে। সানাম তার জাদুকরী সুরের মোহনায় মাতিয়ে রাখতে থাকে কলেজ প্রাঙ্গণ, নিজ ঝুলিতে পুড়তে থাকে গাদা গাদা সঙ্গীত পুরষ্কার।

সামার তখন নিত্যনতুন গান রচনা যাচ্ছেন। বসে ছিলেন না ভেঙ্কিও, এই ফাঁকে তিনি অনেক ব্যান্ডের জন্য ব্যাজ প্লেয়িং করে যেতে থাকেন। হঠাৎ একদিন ভেঙ্কির মোলাকাত হয় কেশব ধনরাজের সাথে, যিনি ‘Neverek’, ‘Buzz Theory’ সহ অনেক ব্যান্ডের ড্রামার হিসেবে মঞ্চ কাঁপিয়েছেন। দুজনে আরও কয়েকজন উৎসুক সদস্য নিয়ে গঠন করে ফেলেন ‘The Previous Band’ নামক এক অল্টারনেটিভ রক আউট-ফিট। কিন্তু এই ব্যান্ড তাদেরকে সফলতার মুখ দেখাতে পারেনি। কারণ, এই দলের একজন সদস্য সঙ্গীত শিক্ষার জন্য লস অ্যাঞ্জেলস, আরেকজন অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়ে এই ব্যান্ড।

সানাম ব্যান্ডের কলা-কুশলীরা। (বাঁ থেকে) কেশব, ভেঙ্কি, সানাম পুরি, এবং সামার পুরি; Image Source: The Mag Zone

২০০৯ সালে সানাম তখন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে পুরোপুরি থিতু হতে চান। বুকভরা স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা, সঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগ নিয়ে চলে আসেন বলিউডের শহর মুম্বাইতে। ভেঙ্কি তখন একটা ব্যান্ডের ম্যানেজার। তাই তিনি সামার, সানাম এবং কেশবকে ফোন করে জানালেন, চারজন মিলে নতুন একটা ব্যান্ড খুলার ইচ্ছা আছে তার। তিন জনেই তাতে সম্মতি জানালেন, খোলা হয়ে গেলো ব্যান্ড। কেশবের গ্যারেজে শুরু হয় সঙ্গীত বুননের কাজ। সাফল্য যাত্রার পথচলাটা শুরু মূলত এখান থেকেই।

মে, ২০১০। সারা ভারত থেকে মেধাবী শিল্পী ছেঁকে আনার উদ্দেশ্যে টাইমস মিউজিক ‘সুপারস্টার’ নামে এক ট্যালেন্ট হান্ট
প্রোগ্রাম শুরু করলো। প্রতিযোগিতার খাতায় নাম লেখালেন সানাম পুরি, সামার পুরি এবং কেশব (ভেঙ্কি তাদের সাথে যোগ দিয়েছিল ফাইনাল রাউন্ডে)। ব্যান্ডের নাম রাখা হলো The SQS Project। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল প্রায় ১৬০০ এর মতো ব্যান্ড, কিন্তু শেষমেশ বিজয়মালা গলায় পড়তে পেরেছিল সানাম-কেশবরাই। এর মাধ্যমে টাইমস মিউজিক তাদের জীবনের মোড় পালটে দিলো।

বিজয়ের পর দলের নাম The SQS Project থেকে করা হয় The SQS Superstars। ব্যান্ড থেকে Superstars নামে প্রথম অ্যালবাম মুক্তি দেয়া হয়। এরপর ধীরেসুস্থে ওই অ্যালবামের ‘হাওয়া হাওয়া’ এবং ‘বেহকা’ এই দুটো গানের মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেন।

হাওয়া হাওয়া গানের ইউটিউব থাম্বনেল; Image Source: Sanam/Youtube

২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া ফেমিনা মিস ইন্ডিয়াতে প্রথম পারফর্মের সুযোগ পেয়ে আরও লাইম-লাইটে উঠে আসে ব্যান্ডদলটি। পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য ইচ্ছার জোরে, তারা অতিক্রম করতে পেরেছিল বাধা-বিপত্তির সকল কণ্টকাকীর্ণ পথ।

ব্যান্ডের গায়ে সৌভাগ্যের আঁচড় লাগে ২০১২ সালে। এই সালকে ব্যান্ডের টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়। তখন ব্যান্ডের সাথে যুক্ত হন বেন থমাস নামক ঝানু একজন বিজনেস ডিরেক্টর। এই বেন থমাসই সনু নিগম, বিশাল দাদলানি, শেখর রাভজিয়ানির মতো জনপ্রিয় শিল্পীদের মিউজিক ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ব্যান্ডের রথ চাকায় হাত লাগিয়ে ব্যান্ডকে তিনি চালিয়ে নিয়েছেন আপন গতিতে। আজকের সানাম ব্যান্ডের এত জনপ্রিয়তার পেছনে থেকে কল-কাঠি নেড়েছেন তিনিই। এছাড়াও বেন থমাস বিশাল-শেখরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ব্যান্ডটিকে। তাদের প্রতিভার পরিপূর্ণ অভিব্যক্তি ঘটে তার মাধ্যমেই।

এ বছরের আগস্টে The SQS Superstars নামে একটি চ্যানেলের মাধ্যমে ইউটিউবে যাত্রা শুরু করে তারা। চ্যানেলে Teri Aankhon Se নামে একটি গান রিলিজ দেয়া হলে সেটি দর্শক মহলে দ্রুত সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। সাথে কুড়িয়ে নেয় ভূয়সী প্রশংসা। কিছুদিনের মধ্যেই ইউটিউব থেকে মনিটাইজেশন পেয়ে যায় তাদের চ্যানেল। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন, চ্যানেলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ২০১৩ সালে চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Sanam।

অনেকে ভাবতে পারে, সানাম পুরির নামের আদলেই হয়ত ব্যান্ডের নাম রাখা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সে রকম নয়। সংস্কৃত, উর্দু, পার্সিয়ান, এবং অ্যারাবিক ভাষায় সানাম শব্দের সমার্থক অর্থ হচ্ছে ভালোবাসা। সে অর্থ অনুসরণ করেই সানাম শব্দটি বসানো হয়েছে।

সময়ের সাথে সাথে দর্শকদের নতুন নতুন গান উপহার দিতে থাকেন তারা। সেই সাথে সানামের জনপ্রিয়তা, সুনাম ও সুখ্যাতি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকতে চারিদিকে। সুচিন্তিত পরিকল্পনা, সমবেত শুভ প্রয়াস তাদের চলার পথকে করে দিয়েছিল আরও নিখুঁত এবং মসৃণ।

সানামের ‘গুলাবি আঁখে’ গানের একটি দৃশ্য; Image Source: Sanam

২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড সিনেমা গোরি তেরে প্যয়ার ম্যাঁয় এর ‘ধ্যাত তেরি কি’ গানে প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে বলিউডে অভিষেক করেন সানাম পুরি। এরপর ২০১৪ এর হাসি তো ফাসি  সিনেমার ‘ইশক বুলাভা’ গানে গলা মিলান তিনি। ততদিনে যথেষ্ট খ্যাতি এসে জুটেছে তার থলেতে।

বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই চলে এলো আরেকটা দারুণ মওকা। হলিউড ব্লকবাস্টার দ্য অ্যামাজিং স্পাইডার ম্যান ২  ফিল্মের হিন্দি ভার্সনের জন্য ‘ম্যাঁয় হুঁ’ নামে একটি গান পরিবেশন করেন তিনি। যেটা ছিল তাদের ব্যান্ডের প্রথম অরিজিনাল কম্পোজিশন কন্টেন্ট। সে বছরই সানাম পুরি চান্দামামা কাথালু নামক এক তেলেগু সিনেমার গান ‘এ কাধা’তে প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে দক্ষিণা সিনেমায় নিজের অভিষেক ঘটান।

দ্য অ্যামাজিং স্পাইডার-ম্যান ২ এর পোস্টার; Image Source: Devian Art

২০১৫ সালে সানাম ইউটিউব ফ্যানফেস্ট এ যোগ দেয়ার জন্য নিমন্ত্রণ পত্র পায়। দর্শকদের কাছ থেকে সাড়া পায় তারা। ২০১৬ সালেও তাদেরকে সে অনুষ্ঠানে স্টেজ মাতানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে, মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে, রাজধানী মালেতে ভিএমওয়াই মিউজিক ফেস্টিভ্যাল নামে এক উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানেও ডাক পায় সানাম।

স্টেজ পারফরম্যান্সে সানাম; Image Source: Book My Show

২০১৬ সালে ইউটিউবের অন্যতম সেরা মিউজিক্যাল ট্যালেন্ট হিসেবে এ. আর. রহমান, সেলিম-সুলায়মান, ক্লিনটন চেরেজো, এবং মিথুনের মতো খ্যাতনামা মিউজিক কম্পোজারদের সাথে কাজ করার সুযোগ মিলে তাদের। সানাম ব্যান্ড ক্লিনটন চেরেজোর সাথে ইনকিলাব মেরা খোয়াব এবং এ. আর. রহমানের সাথে মিলে ইয়ারা নামের দুইটা নতুন গান শ্রোতাদের উপহার দেয়। সে বছরের ১০ নভেম্বর ইউটিউবে ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের ঘর ছুঁয়ে ফেলে তাদের চ্যানেল। 

এ. আর. রহমানের সাথে সানাম ব্যান্ড; Image Source: Youtube

২০১৭ সালের এপ্রিলে মিউজিক ব্রডকাস্টার ‘চ্যানেল ভি’ সানাম ব্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের সর্বশেষ প্রোপার্টি ‘অনলি অন ভি’ লঞ্চ করে। ব্যান্ডটির মূল উদ্দেশ্য ছিল, সঙ্গীত সুরের মাধ্যমে সকলের কাছেই ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়া। সেজন্য তারা #NoWorldwithoutWomen নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে, এবং তাতে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। ব্যান্ড থেকে আয়োজন করা হয় প্লেজ ট্যুর নামে এক কনসার্ট সিরিজের। দর্শকদের আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি তারা চেন্নাই ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘জাস্টিস অ্যান্ড হোপ’ এর সহায়তায় শিশু যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে।

২০১৭ সালে ভারতের অমরাভাটিতে অনুষ্ঠিত সোশাল মিডিয়া সামিট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে সেরা মিউজিক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর পুরষ্কার জিতে নেয় সানাম ব্যান্ড। এরপর সানাম ব্যান্ডকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট গান তাদের সাফল্য মুকুটে যুক্ত করেছে নতুন নতুন পালক।

পারোমা দাসগুপ্তকে সাথে নিয়ে রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার মল্লিকা বনে’ কভার করেছে সানাম; Image Source: Sanam/Youtube.

তারা উপহার দিয়েছে সুপারস্টারস (২০১০), সামার সানাম (২০১১), সানাম রেভুলোশন (২০১৮), ইন লাভ উইথ সানাম (২০১৭), সানাম রিভিজিটেড (২০১৫), ইউনিভারসেলি সানাম (২০১৯), মেমোরিজ ভলিউম ১ (২০২০) ইত্যাদি অ্যালবাম। কতক বলিউডি সিনেমা যেমন গোরি তেরি প্যয়ার ম্যাঁয় (২০১৩), হাসে তো ফাসে (২০১৪), হামশাকালস (২০১৪), স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২ (২০১৯) সিনেমার গানেও তারা গান গেয়েছে গলা মিলিয়ে। বাদ যায়নি কোক স্টুডিও, মাইক্রোম্যাক্স ইউনাইট অ্যানথেম, বা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফ্যান অ্যানথেমও। যাযাবর নামক এক বাংলাদেশি সিনেমায়ও ‘প্রিয়তমা’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছিলেন সানাম পুরি।

কোক স্টুডিওতে জনিতা গান্ধীর সাথে সানাম পুরি; Image Source: Sanam/Youtube

অধিক দর্শকপ্রিয়তা কুড়িয়ে নেয়ার জন্য লোকেশনের দিকে অধিক ফোকাস করেছে সানাম। তাদের কিছু গানের ভিডিও শুট করা হয়েছে বিভিন্ন দ্বীপে বা রিসোর্টে, যা গানের থিমের সাথে চলনসই। ব্যান্ডের আরেকটি বিশেষ গুণ হলো গানের ধরনের সাথে তারা খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। যে গান রোমান্টিক, তারা তা রোমান্টিকভাবেই উপস্থাপন করে। আবার রক ধাঁচের গানের ক্ষেত্রে রকের বিষয়টা খেয়াল রেখে উপস্থাপন করে। 

‘চালা যা তা হুঁ’ গানের একটি দৃশ্য; Image Source: Sanam/Youtube

বলিউডের ক্লাসিক হিটস থেকে রবীন্দ্র সংগীত, সবখানেই নিজেদের প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছে সানাম ব্যান্ড। একদিকে যেমন ইউটিউব মাতিয়ে রেখেছে তাদের এক লাড়কি কো দেখা, গুলাবি আঁখে, আপ কি নাজরোঁ নে সমঝার মতো বলিউড কভার, তেমনি আমার মল্লিকা বনে, তুমি রবে নীরবে-র মতো রবীন্দ্র সংগীতের সুরও ঠোঁটে খেলিয়ে নিয়েছেন সব্যসাচী সানাম পুরি।

সুরের রঙে সঙ্গীতের ভুবন রাঙানো ভারতের এই ফ্যান্টাস্টিক ফোর তাদের সুদর্শন ভঙ্গি, এবং সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখবে বিশ্বকে এটাই পপ রক ব্যান্ডের ভক্তকুলের কামনা।

Related Articles