প্রতিদিনই পৃথিবীতে নতুন প্রাণের আগমন ঘটছে, সাথে সাথে পৃথিবী ছেড়ে মহাকালের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে কত মানুষ তারও হিসাব নেই। জন্ম নিয়ে মানুষের যতটা না কৌতূহল রয়েছে, মৃত্যু নিয়ে রয়েছে তার চেয়ে বেশি, সাথে আছে একটু ভয়ও। অধিকাংশই মৃত্যুকে ভয় পায় এবং সহজ উপায়ে মৃত্যু কামনা করে থাকে। তথাপি প্রতিদিন দুর্ঘটনাতেই বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মৃত্যু তাই খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু স্বাভাবিক এই প্রক্রিয়া মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক এবং অদ্ভুত হয়ে ওঠে এর ধরনের জন্য। এমন কয়েকটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা জেনে নেয়া যাক চলুন।
নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখে হার্ট অ্যাটাক
ফাজিলিউ মুখামেতজায়ানভ, জটিল এই নামটি যার, তার মৃত্যু হয়েছে আরো জটিল পন্থায়। ৪৯ বছর বয়সী এই ভদ্রমহিলা রাশিয়ার কাজান শহরে বাস করতেন। হঠাৎ একদিন প্রচণ্ড বুকব্যথা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। কয়েক ঘন্টা পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়, বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যু হয়েছে মুখামেতজায়ানভের।
যা-ই হোক, তার শেষকৃত্যের দিন ঠিক করা হয় মৃত্যুর দুদিন পর। চার্চে যখন পরপারে তার আত্মার শান্তি কামনা করা হচ্ছে, তখন আত্মীয় স্বজনের মৃদু কান্নার স্বর পরিবেশ ভারী করে তুলেছে। এরকম ভারী পরিবেশে সকলের সামনে রাখা খোলা কফিনে হঠাৎ উঠে বসলেন মুখামেতজায়ানভ! পাঠে মগ্ন ফাদার তা খেয়াল করেননি, তবে আত্মীয় স্বজন সকলে স্থির হয়ে গেল, চিৎকার জুরে দিল বাচ্চারা। আর এমন পরিস্থিতিতে নিজের আত্মার জন্য শান্তি কামনা, শিশুদের চিৎকার, পরিচিতজনের ভীত চোখ, মোমবাতি আর ফুল, সবকিছু মিলিয়ে এক গম্ভীর ও গুরুভার পরিবেশ দেখে নিজেও চিৎকার করে উঠলেন মুখামেতজায়ানভ। এরপরই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। এবারের হার্ট অ্যাটাক ঠিকই তাকে পরপারে পাঠিয়ে দেয়।
ছবি যখন মৃত্যুর কারণ
কানাডার মন্ট্রিলের অধিবাসী মারিয়া প্যান্টাজুপুলাসের সবচেয়ে বড় শখ জীবনের গুরুত্বপুর্ণ ঘটনাগুলোকে ছবির অ্যালবামে বন্দী করে রাখা। আর এই শখই দুর্ভাগ্যক্রমে তার মৃত্যু ডেকে আনে। ২০১২ সালের মে মাসে বিয়ে করেন মারিয়া। কিন্তু নানা কারণে বিয়েতে মনমতো ছবি তুলতে পারেননি তিনি। ছবি তোলার এই আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুযোগ পান সে বছর আগস্টে। একজন ফটোগ্রাফার ভাড়া করে নিয়ে, বিয়ের পোশাক পরে চলে গেলেন মন্ট্রিলের খরস্রোতা নদী কোয়ারুতে। ছবি তোলার একপর্যায়ে ‘ট্র্যাশ দ্য ড্রেস’ ট্রেন্ড অনুসরণ করার জন্য নেমে গেলেন ফুট দুয়েক গভীর পানিতে। সেখানে নানা ভঙ্গিমায় পোশাক ভিজিয়ে যখন ছবি তুলছেন, ততক্ষণে তার পোশাক ভিজে ভীষণ ভারী হয়ে গেছে। একসময় যখন বুঝতে পারলেন নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখা কষ্টকর, তখন ফটোগ্রাফারকে ডাক দিলেন সাহায্যের জন্য। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। পা পিছলে পড়ে যেতেই স্রোতের টানে একদম নদীর মাঝে চলে গেলেন। প্রায় ৪ ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর ডুবুরিরা মারিয়াকে খুঁজে পায়। ততক্ষণে তিনি বিয়ের পোশাকে মৃত বধু হিসেবে পত্রিকার শিরোনাম হয়ে গেছেন।
আত্মহত্যার অদ্ভুততম উপায়?
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডার অধিবাসী ৭৭ বছর বয়সী ডেভিড পেন্ডেলটনের মৃত্যু নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা হলেও, অধিকাংশের মতে সেটি ছিল আত্মহত্যার ছক। ঘটনাটি ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসের। স্ত্রীর মৃত্যুর সপ্তাহখানেক পর পেন্ডেলটন নিকটবর্তী থানায় ফোন করে জানালেন তার বাড়ির সামনে একটি লাশ পড়ে আছে। পুলিশ সেখানে পৌঁছুতেই দেখা গেল পেন্ডেলটন পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে একটি শটগান নিয়ে বসে আছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, পেন্ডেলটনের সদ্য মৃত স্ত্রীর সমাধির পাশে পেন্ডেলটনের সমাধিফলক, যেখেন পেন্ডেলটনের জন্মতারিখ লেখা তবে মৃত্যুর তারিখ লেখা ছিল না। পুলিশ কাছাকাছি পৌঁছুতেই হঠাৎ উদভ্রান্তের মতো আচরণ শুরু করেন পেন্ডেলটন। তিনি লোডেড শটগানটি একজন অফিসারের দিকে তাক করে বারবার গুলি করার হুমকি দিতে শুরু করলে একজন অফিসার তাকে গুলি করে হত্যা করেন। পেন্ডেলটনের ডাক্তারি ইতিহাস ঘেটে জানা যায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তাই অনেকের ধারণা, নিজের জন্য সমাধি বানিয়ে নিজেই পুলিশ ডেকে অভিনব উপায়ে আত্মহত্যা করেছেন পেন্ডেলটন!
পিরানহার পেটে জীবনদান
পিরানহা মাছের নাম কারোরই অজানা নয়। আকারে ছোট হলে কী হবে, এদের করাতে মতো দাঁত দেখলে এমনিই গা ছমছম করে। মাংসাশী এই মাছের পেটে যাওয়ার চেয়ে আগুনে পুড়ে মৃত্যুকেই অধিকাংশ গ্রহণ করে নেবে। এ মাছের খপ্পড়ে পড়ার কথা যেখানে স্বপ্নেও কল্পনা করা কষ্টকর, সেখানে কেউ ইচ্ছে করে পিরানহার পেটে গিয়েছেন, তা বিশ্বাস করাও কঠিন! এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ সালে। বলিভিয়ার রোজারিও শহরে নাম না জানা কোনো এক কিশোর পিরানহা আছে এমন এক নদীতে লাফিয়ে আত্মহুতি দেয়। আধাখাওয়া লাশ উদ্ধারের পর পরীক্ষা করে দেখা যায় নদীতে লাফানোর পূর্বে সে ব্যাপক পরিমাণে মদ পান করেছিল। তাই ধরে নেয়া হয়, এটি একটি আত্মহত্যা।
দেহের ভেতরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই!
ধরুন, আপনি ঘরে বসে আপন মনে মদ পান করছেন। অনেকটা পান করার পর সিগারেট ধরাতে গিয়ে আপনার মুখের মধ্যে চলে গেল জ্বলন্ত সিগারেটের খানিকটা ফুলকি। ব্যস আপনার গলা থেকে পেট অবধি জ্বলতে শুরু করলো, আপনি মাটিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন! খুব সম্ভবত এরকমটাই ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার বাসিন্দা ডেনি ভ্যানজান্ডটের ভাগ্যে। তার ফ্ল্যাটে যখন তার মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়, তখন তখন আর তাকে চেনার উপায় নেই। অটোপসি করার পর ডাক্তাররা জানান, ড্যানির মৃত্যু হয়েছে মৃদু আগুনে দীর্ঘক্ষণ ঝলসে, যার উৎপত্তি তার দেহের ভেতরেই! তাছাড়া মৃতদেহের আশেপাশে অক্ষত আসবাবপত্র দেখেও পুলিশের মনে হয়েছে বাইরে থেকে নয়, বরং ড্যানির সিগারেটই আগুনের উৎপত্তি ঘটিয়েছিল।
ইনজেকশনে স্যুপ প্রয়োগে রোগীর মৃত্যু!
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো শহরের নামকরা এক হাসপাতালে ‘পালমোনারি এমবোলিজম’ সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন ৮৮ বছরের বৃদ্ধ ইলডা ভিতর মেসিয়েল। হাসপাতালে ভর্তির তৃতীয় দিন তিনি মারা যান। তার রোগের মাত্রা বেশ তীব্র ছিল এবং তার মৃত্যু হয়তো স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া যেত। কিন্তু তা ঘটেনি এক নার্সের ভুলের কারণে। মৃত্যুর কয়েকঘন্টা পূর্বে ঐ নার্স ইলডাকে ফিডিং টিউবের স্থলে ভুলক্রমে ইনজেকশনেই স্যুপ দিয়ে দেয়! যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্যুপের জন্য ইলডার মৃত্যু হয়নি, তথাপি রক্তপ্রবাহে স্যুপ যে ইলডার মৃত্যু তরান্বিত করেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইলডার পরিবার পরে হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়।
বিশ্বাসের পরীক্ষা দিতে গিয়ে মৃত্যু!
“তারা (বিশ্বাসীরা) সাপ হাতে তুলে নেবে কিন্তু (সাপ) তাদেরকে কাটবে না; তারা যদি কোনো প্রাণনাশক কিছু খেয়ে ফেলে, তা তাদের ক্ষতি করবে না; তারা রোগের কপালে হাত বুলালে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।”- পবিত্র বাইবেল, গসপেল অব মার্ক, অধ্যায় ১৬, অনুচ্ছেদ ১৮
ধর্মভীরু খ্রিস্টানদের মাঝে বাইবেলের বিশ্বাস কম-বেশি আছে। তবে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের যাজক ম্যাক উলফোর্ডের বিশ্বাস ছিল অবিশ্বাস্য রকমের শক্ত। তিনি নিজেকে খাটি বিশ্বাসী বলে পরিচয় দিতেন এবং সর্বদা বিশ্বাসের পরীক্ষা দিতে ভালোবাসতেন। ‘ওল্ড ইয়েলার’ নামক একটি বিষাক্ত র্যাটল স্নেক পুষতেন তিনি, যেটি হাতে নিয়ে কিংবা কাঁধে ঝুলিয়ে প্রায়ই এলাকায় হাঁটতে দেখা যেত তাকে। কারণ, যেহেতু তিনি বিশ্বাসী, তাকে তো সাপে কামড়াবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে একদিন সত্যিই কামড় দিয়ে দিল তার পোষা ওল্ড ইয়েলার। প্রাথমিক বিষক্রিয়ায় মুষড়ে পড়লেও তিনি কঠোরভাবে নিষেধ করেন ডাক্তার আনতে। কারণ, তার বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর তাকে মরতে দেবেন না! তার অনুরোধ, আকুতি কিংবা আদেশ যা-ই হোক না কেন, তার সম্মানে প্রথমে কেউ ডাক্তার ডাকেননি। কিন্তু ৬/৭ ঘন্টা পর যখন উলফোর্ড নিস্তেজ হয়ে যেতে শুরু করলেন, তখন তার অনুরোধ উপেক্ষা করেই ডাকা হয় ডাক্তার। কিন্তু ততক্ষণে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে বিশ্বাসের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন উলফোর্ড।
যে মৃত্যু টাকা আনে!
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্সভিলের বাসিন্দা উইলিয়াম মার্টিনেজ এক অদ্ভুত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। আর তার মৃত্যুপরবর্তী ঘটনাবলী ছিল আরো অদ্ভুত। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পূর্বে, মাসাধিককাল বুকের ব্যথায় ভোগার পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হন মার্টিনেজ। ডাক্তার তাকে আটদিন পর একটি ‘নিউক্লিয়ার স্ট্রেস’ টেস্ট করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষার তারিখের একদিন আগে মৃত্যুবরণ করেন মার্টিনেজ। নিজের এক বান্ধবী ও বন্ধুর সাথে যৌনকর্ম করাকালীন তার মৃত্যু হয়। তদন্তে জানা যায় যে, যৌনকর্মে অতিরিক্ত শারীরিক শক্তি ব্যয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। এজন্য তার পরিবার ডাক্তারকে দায়ী করে ৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করে, এজন্য যে ডাক্তার তাকে টেস্টের আগে সবধরনের শারীরিক পরিশ্রম থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দেননি! কিন্তু আদালতে দুই পক্ষের তর্ক-বিতর্কের পর ক্ষতিপূরণ ৩ মিলিয়নে কমিয়ে আনা হয়, যার কারণটি আরো অদ্ভুত। আদালতে প্রমাণিত হয় যে মৃত্যুর জন্য মার্টিনেজ নিজেও ৪০ শতাংশ দায়ী, তাই ক্ষতিপূরণের অর্থও ৪০ শতাংশ কমানো হয়!
ডুবে যায় যাক, তাকে ছোঁয়া যাবে না!
‘কুইন অব সিয়াম’ নামে পরিচিত হতেন থাইল্যান্ডের রানীগণ। সুনন্দা কুমারিরত্না ছিলেন এমনই একজন রানী। তিনি ছিলেন থাইল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন সময়ের রাজাদের একজন রাজা মোংকাটের মেয়ে। ১৮৮০ সালে সুনন্দার মৃত্যু হয় এরকমই এক পন্থায় যার জন্য বহুকাল থাইল্যান্ডবাসী আফসোস করেছে। সে বছর মেয়ে মাসে তিনি তার দু'বছর বয়সী কন্যাশিশুকে নিয়ে নৌকাভ্রমণে বের হন। হঠাৎ একটা বড় ঢেউয়ে নৌকা উল্টে দিলে শিশু সন্তান সহ সকলের চোখের সামনে ডুবে যান সুনন্দা। হ্যাঁ, সকলের চোখের সামনেই! তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আরো একাধিক নৌকা এবং রক্ষী থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি তাকে রক্ষা করতে। কারণ? রাজপরিবারের কঠোর হুকুম, সুনন্দা যদি মৃত্যুমুখেও পতিত হন, তথাপি তাকে কোনো রক্ষী ছুঁতে পারবে না! আর এরকম নিষ্ঠুর আইনের কারণে সেদিন অসহায় সুনন্দা আর তার শিশু কন্যাটি ডুবে মারা যায়।
তেলে ডুবে মৃত্যু
তামিল সিনেমা ‘অপরিচিত’ এর একটি দৃশ্যে একজন জীবন্ত মানুষের গরম তেলে পুড়ে যাওয়ার চিৎকার শুনে যে কারও শরীরে ভয় ধরানো শিহরন জাগবে নিশ্চিত। গরম তেলের মধ্যে পুড়ে যাওয়া নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে কষ্টকর মৃত্যুর একটি। দুর্ভাগ্যক্রমে এরকমটি বাস্তবজীবনেও ঘটেছে ৬১ বছর বয়সী জন করোডি নামক এক শ্রমিকের সাথে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে একটি তেল আর গ্রিজ ভর্তি চৌবাচ্চার ভেতরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় করোডির। তিনি ছিলেন ‘হারভেস্ট পাওয়ার’ নামক একটি খাদ্যবর্জ্য ও উচ্ছিষ্ট পুনর্ব্যবহার কোম্পানির শ্রমিক। ফ্লোরিডায় ওয়াল্ট ডিজনির একটি ট্রাক থেকে তেল ও গ্রিজ একটি বিশাল চৌবাচ্চার মধ্যে স্থানান্তর করছিলেন করোডি এবং আরো একজন শ্রমিক। দুর্ঘটনাবশত পিছলে চৌবাচ্চার ভেতরে পড়ে যান করোডি। তাকে ওঠানোর চেষ্টা করা হলেও প্রচণ্ড ধোয়া সৃষ্টি হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে চৌবাচ্চার ভেতরেই মৃত্যু হয় তার।
This article is in Bangla language. It's about strange ways of death. For references, please check the hyperlinks inside the article.
Featured Image: dirkdeklein.net