Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-২০২০

‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বাছাই করার জন্য আয়োজিত প্রতিযোগিতা ‘বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কলম্বিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ এর বাংলাদেশ দল গঠনের জন্য এবারের ‘বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স – ২০২০’ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২০ ডিসেম্বর।

Bangladesh Olympiad on Astronomy and Astrophysics 2020
বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ২০২০ © bdoaa.org

পুরো বাছাইপর্ব সম্পন্ন হবে তিনটি ভাগে। প্রথম পর্বে বাংলাদেশকে দশটি অঞ্চলে ভাগ করে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আয়োজিত হবে বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এর আঞ্চলিক পর্ব। আঞ্চলিক পর্বে দশটি অঞ্চল থেকে সমন্বিত ফলাফলের ভিত্তিতে ২০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আগামী ১০ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে আয়োজিত হবে জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াড। জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াড থেকে সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে আয়োজিত হবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি ক্যাম্প। প্রস্তুতি ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত সেরা ৫ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে তৈরি হবে ’১৪ তম ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-২০২০’-এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দল।

সারাদেশ থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী মেধাবী শিক্ষার্থী বাছাইয়ের এ প্রতিযোগিতা ২০১৮ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে। এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চাকে জনপ্রিয় করে তোলা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম সম্মানজনক প্রতিযোগিতা ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’-এর জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় একাডেমিক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স কমিটি।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম ধাপ

‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বাছাই করার জন্য আয়োজিত প্রতিযোগিতা ‘বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’। সারাদেশ থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী মেধাবী শিক্ষার্থী বাছাইয়ের এ প্রতিযোগিতা ২০১৮ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে এ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চাকে জনপ্রিয় করে তোলা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম সম্মানজনক প্রতিযোগিতা ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’-এর জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় একাডেমিক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স কমিটি।

ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স © ioaastrophysics.org

‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের উপর আয়োজিত আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড। বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রসার ও ভবিষ্যত জ্যোতির্বিদদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপুর্ণ মনোভাব বিকাশের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে থাইল্যান্ডে গঠিত হয় International Olympiad on Astronomy and Astrophysics কমিটি। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, চায়না ও পোল্যান্ড-এই পাঁচটি দেশের উদ্যোগে শুরু হয় IOAA এর যাত্রা।

প্রথম IOAA অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর, থাইল্যান্ডের চিয়াংমেই-তে। প্রথম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মোট ২১টি দেশ। গর্বের বিষয়, প্রথম অংশগ্রহণকারী ২১টি দেশের একটি ছিলো বাংলাদেশ। এরপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত আয়োজিত ১৩টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ও একাদশ আয়োজন ব্যতীত সব ক’টিতেই অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ।

প্রথম থেকেই ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেও ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অলিম্পিয়াডের জন্য দল গঠন হতো ‘বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড’ এর মাধ্যমে। কিন্তু এই দুটি অলিম্পিয়াডের পাঠ্যসূচির ভিন্নতা থাকায় এবং শিক্ষার্থীদের উন্নততর প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে তৈরি হয় ‘বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স কমিটি’, যেখানে কাজ করছেন ইতিপূর্বে ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর পর্যায়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীগণ।

IOAA-2019 বাংলাদেশ দল © bdoaa.org

কেন এই অলিম্পিয়াড?

যেকোনো অলিম্পিয়াডেরই একটা সাধারণ লক্ষ্য থাকে উন্নত মনন ও চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়ে তোলা। কেননা অলিম্পিয়াডের প্রশ্নপত্রের ধরনটাই এমনভাবে করা হয় যেন পাঠ্যবইয়ে পড়া বিষয়গুলোকেই কীভাবে বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা যায়, সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা ধারণা লাভ করতে পারে স্কুল-কলেজ পর্যায়েই। এর পাশাপাশি, যেহেতু অলিম্পিয়াডের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচি অনুসরণ করা হয়, সেজন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের সামনে এসে যায় নিজের ভালো লাগার ক্ষেত্রের কর্মপরিধি সম্পর্কে আগেই ধারণা নেয়ার সুযোগ।

অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অলিম্পিয়াডের বিশেষত্ব কী? এই অলিম্পিয়াডের সব সমস্যাই একদম সত্যিকার গবেষণা ক্ষেত্রের সমস্যা। জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীরই একটা ভুল ধারণা আছে, এখানে বোধহয় অনেক উচ্চতর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের বিষয়গুলো বুঝতে পারলেই শুধু অলিম্পিয়াড নয়, অনেক গবেষণার মূল গাণিতিক ভিত্তিগুলো বুঝতে পারা যায়! স্যাটেলাইটের সাথে আমরা সবাই পরিচিত, এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মূল গাণিতিক ভিত্তিগুলো কিন্তু নিউটনের গতিবিষয়ক সূত্র এবং এবং কেপলারের গ্রহের আবর্তন সংক্রান্ত তিনটি সূত্র থেকেই বোঝা যায়!

বিশ শতকের শেষ চতুর্ভাগ থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে বহুগুন। আজকের দিনের জিপিএস, স্যাটেলাইট এগুলো যেমন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের অবদান, পাশাপাশি মানুষের নতুন আবাস খুঁজে বের করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে জ্যোতিঃপদার্থবিদদেরই। জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান তাই এখন এক ভবিষ্যতের হাতছানি। আর শিক্ষার্থীদের জন্য এই ভবিষ্যতের খোঁজে নামার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে অলিম্পিয়াড!

চমৎকার এই আয়োজনে ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে রোর বাংলা।

এক নজরে বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স

  • রেজিস্ট্রেশন: ১ নভেম্বর থেকে যেকোনো আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডের দুদিন আগপর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে bdoaa.org/registration এই লিংকে (সমাপ্ত)
  • অঞ্চল: ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ), চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও ময়নসসিংহ
  • আঞ্চলিক পর্যায়ের সময়সূচী: ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর (অঞ্চলভিত্তিক সময়সূচী অনলাইনে প্রকাশিত হবে)
  • জাতীয় প্রতিযোগিতা: ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ

আরও জানতে ভিজিট করুন

Related Articles