ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন উৎসবের আমেজ। দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর নির্বাচন। ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই সর্বশেষ ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২৮ বছরেরও বেশি সময় পর, আগামী ১১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আবারো হবে ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এদিন ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ এবং হল সংসদগুলোর নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসে এটি হতে চলেছে ডাকসুর অষ্টম নির্বাচন। মজার (কিংবা আক্ষেপের) ব্যাপার হলো, এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে যখন স্বৈরশাসন জারি ছিল, তখনো নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। এরপর দেশে যখন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম হলো, তখন থেকেই উঠে গেল ডাকসু নির্বাচনের সংস্কৃতি। একটা সময় এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছিল, খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভালো করে জানতো না ডাকসু আসলে কী। অনেকের কাছে তো এটি নিছকই একটি খাবারের ক্যান্টিন হিসেবে পরিচিত ছিল!
তবে সে যা-ই হোক, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে আবারো যে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে বিশাল একটি ব্যাপার। এ নির্বাচনের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবারো সুস্থ ছাত্র রাজনীতির প্রত্যাবর্তন ঘটবে, এমনটিই আশা সকলের।
এখন চলুন পাঠক, জেনে নিই ডাকসু নির্বাচনের আদ্যোপান্ত, এবং কেন এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহত্তর পরিসরে ডাকসু নির্বাচনের গুরুত্ব
ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (Dhaka University Central Students' Union- DUCSU)। একে বিবেচনা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপনের মাধ্যম হিসেবে। ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টির শুরুর দিকে ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ' নাম নিয়ে ডাকসুর সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে মোট ৩৬ বার এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৬২'র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯'র গণঅভ্যুত্থান, ৭১'র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০'র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সকল জাতীয় আন্দোলনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান ছিল, এবং এর পেছনে ডাকসুও একটি বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। ডাকসুর নেতৃবৃন্দের সাহসী ও বলিষ্ঠ উদ্যোগেই ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় আ.স.ম. আব্দুর রব প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।
ডাকসুর আরেকটি গুরুত্ব হলো, এটি একসময় ছিল বাংলাদেশের নেতৃত্ব নির্মাণের সূতিকাগার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে, গণতন্ত্রের চর্চা উৎসাহিতকরণে, গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতির প্রয়োজনে নেতৃত্বের হাল ধরার জন্য নিজস্ব দক্ষতা বৃদ্ধিতে ডাকসু সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এ কারণে ডাকসুকে বলা হতো দেশের দ্বিতীয় সংসদ।
উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নিজ যোগ্যতায় তৃণমূল থেকে ধাপে ধাপে রাজনীতিতে সফল হওয়ার সুযোগ থাকে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ের বাংলাদেশেও এভাবেই উত্থান হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা তাজউদ্দীন আহমেদের মতো মহান নেতাদের। পরবর্তীতে উত্তরাধিকারের রাজনীতির দাপটে এই সুযোগ সীমিত হয়ে পড়লেও, আশার বাতিঘর হিসেবে টিমটিম করে জ্বলছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদগুলোর আলো। ডাকসু, রাকসু, চাকসু বা জাকসুর গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমেই ধাপে ধাপে উঠে আসতেন জাতীয় পর্যায়ের নেতারা, যারা পরবর্তীতে হাল ধরতেন দেশের।
কিন্তু ডাকসু বা অন্য ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সংকুচিত হয়ে যায় দেশে নতুন প্রজন্মের যোগ্য নেতা উঠে আসার পথটাও। সেই সুযোগে দেশের ছাত্র রাজনীতিতে ঢুকে পড়ে দখলদারিত্ব ও স্বেচ্ছাচারিতা, যা পরবর্তীতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিতেও সংক্রমিত হয়। সবমিলিয়ে দেশের অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, রাজনীতি নামক প্রতিষ্ঠানটির উপর থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে দেশের সিংহভাগ মানুষ। অপরদিকে ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব না করে, সাহায্য করতে থাকে ক্ষমতালোভী এক শ্রেণীর মানুষকে।
আগামী ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে এক ধাক্কায় দেশের ছাত্র রাজনীতি কিংবা সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনীতির পরিবর্তন হয়ে যাবে, দেশের অবস্থার রাতারাতি উন্নতি ঘটে যাবে, এমনটি বলার উপায় নেই। কিন্তু এ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, নির্বাচনের ফলাফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা-পছন্দের প্রতিফলন ঘটে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে নিজেদের দাবি-দাওয়া প্রকাশের একটি মুক্তমঞ্চ খুঁজে পাবে। আর গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত তরুণ নেতারাও ক্রমান্বয়ে তৈরি হতে থাকবেন কোনো একসময় গোটা দেশকে পরিচালনার যোগ্যতা অর্জনে।
এভাবেই ডাকসু নির্বাচনের দেখানো পথ ধরে একে একে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদেই যদি নির্বাচন হয়, এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচিত হয়, তাহলে দেশের ঘুনে ধরা রাজনীতি ব্যবস্থায় পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া অন্তত শুরু হবে, যার বাস্তব প্রতিফলন ঠিক এখনই না হলেও, কয়েক দশক পর ঠিকই দেখা যাবে।
কারা ভোট দিতে পারবেন?
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে এমফিল পর্যন্ত পাঠরত শিক্ষার্থীরা, যাদের বয়স অনূর্ধ্ব ৩০, এবং যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাই যারা চার বছরের স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু এখনো স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ালেখা করছেন, তারাও এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
কিন্তু যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ফেলেছেন, এবং এখন আর সক্রিয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন না, তারা ভোট দিতে পারবেন না। এছাড়াও যারা সান্ধ্যকালীন, পেশাদারী, নির্বাহী, ডক্টরেট, ডিপ্লোমা বা ভাষাভিত্তিক কোর্সে পড়াশোনা করছেন, তারাও এতে অংশ নিতে পারবেন না।
ভোট দিতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো হলের সাথে (আবাসিক/অনাবাসিক) সংযুক্ত থাকতে হবে, এবং তার কাছে সেই হলের পরিচয়পত্রও থাকতে হবে। ভোটার তালিকায় নাম আছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য ডাকসুর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হলভিত্তিক তালিকায় খোঁজ করতে হবে।
যাদের হল পরিচয়পত্র নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে
যদি কারো কাছে হল পরিচয়পত্র না থাকে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে থাকে, তাদেরকে অতিসত্ত্বর পরিচয়পত্র সংগ্রহ বা নবায়ন করতে হবে। এজন্য একজন শিক্ষার্থীকে তার সর্বশেষ ভর্তির বছরের পে-ইন স্লিপ এবং একটি স্ট্যাম্প সাইজ ছবির প্রয়োজন হবে। এগুলো নিয়ে হলে গেলে, হল কর্তৃপক্ষই জানিয়ে দেবে কত টাকা প্রয়োজন। সাধারণত পরিচয়পত্র লাভের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ চারদিন অপেক্ষা করতে হয়।
সম্প্রতি যারা পরিচয়পত্র সংগ্রহ বা নবায়ন করেছেন, তাদের অধিকাংশের মতে, পরিচয়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ করতে তাদের বড়জোর ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। তবে এমনও অনেকে আছেন, যাদেরকে হল কর্তৃপক্ষ পরিচয়পত্র দিতে চায়নি, কিংবা জানিয়েছে এক্ষেত্রে সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি সময় লাগবে। কেউ যদি এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি সরাসরি হল প্রভোস্টের শরণাপন্ন হতে পারেন, এবং তাতেও কাজ না হলে প্রক্টরের কার্যালয়ে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে নিজের সমস্যার কথা জানাতে পারেন।
ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া
১১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি হলের ভেতর ভোটপ্রদান কেন্দ্র তৈরি করা হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং চূড়ান্ত তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে ৩ মার্চ।
ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচন হবে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৫টি পদে আর প্রতিটি হল সংসদে হবে ১৩টি পদে। ফলে একজন ভোটার মোট ৩৮টি ভোট দিতে পারবেন। একজন ব্যক্তিকে সবগুলো ভোট দিতে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে।
নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য কোনো মার্কা বরাদ্দ করা হবে না। ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য পৃথক ব্যালট পেপার থাকবে। সেখানে বিভিন্ন পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের নাম থাকবে। কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীর নামের ওপর সিল দিয়ে ভোটারদেরকে তাদের ভোট দিতে হবে।
ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট পেপার গণনার কাজে নিয়োজিত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত নির্বাচনী দল।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানানো হয়েছে, যেন ভোটকেন্দ্রগুলো হলের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতে স্থাপন করা হয়। কিন্তু তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলেই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে।
এমতাবস্থায়, অনেক শিক্ষার্থীই ভয় পাচ্ছেন, নির্বাচনের দিন হয়তো তাদের উপর আক্রমণ চালানো হতে পারে, তাদেরকে জোরপূর্বক নির্দিষ্ট প্রার্থীর নামের পাশে সিল দিতে বাধ্য করা হতে পারে, কিংবা এমনও দেখা যেতে পারে যে তারা ভোট দিতে যাওয়ার আগেই অন্য কেউ তাদের হয়ে ভোট দিয়ে ফেলেছে।
এমন কোনো আশঙ্কা যেন বাস্তবে পরিণত না হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী আশ্বাস দিয়েছেন যে প্রতিটি হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটররা ভোটকেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া অতিরিক্ত সহযোগিতার জন্য প্রোক্টরিয়াল টিমও পাঠানো হবে। সেইসাথে যেকোনো প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্যও পাওয়া যাবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ভেতর সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হবে, যেন কেউ ভোটকেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করে অসদুপায় অবলম্বন বা সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটদানের গুরুত্ব
অনেক অনাবাসিক শিক্ষার্থীই এমনটি মনে করছেন যে, "আমরা তো হলে থাকি না, তাহলে আমরা ভোট না দিলেই বা কার কী আসে যায়!"
এ কথা ভুল নয় যে হল সংসদের নির্বাচিত প্রার্থীরা যেসব কাজ করবেন, তার সুফল কেবল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরাই পাবেন। তাছাড়া ডাকসুরও প্রাথমিক লক্ষ্যের একটি হলো হলগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সেখানকার আবাসিক ছাত্রদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা, আবাসন সংকট দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো।
কিন্তু তাই বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থী কিংবা আধা-স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষার্থীদের জন্য ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা একেবারেই নেই, এটি ভুল কথা। ডাকসু ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা আনয়ন, পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি, পাঠাগার ব্যবস্থার উন্নতি, একাডেমিক সমস্যার সমাধান, নীতি নির্ধারণসহ বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক যেকোনো বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করবে, যা থেকে উপকৃত হবেন আবাসিক-অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীই।
সুতরাং একজন ভোটার ডাকসু নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া তার কেবল অধিকারই নয়, নৈতিক দায়িত্বও।
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/
This article is in Bengali language. It is about the necessity of voting in the impending DUCSU election. Necessary references have been hyperlinked inside.
Featured Image © DW