Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার: পৃথিবীর শেষ প্রান্তে (পর্ব ৫)

চতুর্থ পর্ব: দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার: প্রাচ্যের প্রাচুর্য

খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০ অব্দের বসন্তে আলেকজান্ডার তার বাহিনী নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন পারসেপোলিস থেকে। লক্ষ্য একটাই: দারিউসকে খুঁজে বের করে তাকে ধরা। যদিও যুদ্ধে হেরেছেন, নিজের রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে সম্পদ সবকিছুই হারিয়েছেন, তারপরও ‘দ্য কিং অভ কিংস’ একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবেই রয়ে গেছেন। তাকে না ধরা পর্যন্ত আলেকজান্ডারের বিজয় সম্পূর্ণ হবে না। আলেকজান্ডার পার্সেপোলিস আর সুসাকে রক্ষা করার জন্য মাত্র তিন হাজার সৈন্যকে পারমেনিয়নের কাছে রেখে বেরিয়ে পড়লেন দারিউসকে ধরার জন্য। এত অল্প সংখ্যক সৈন্যই প্রমাণ করে, আলেকজান্ডারকে বাধা দেওয়ার মতো সাহসটুকুও কারোর ছিল না, আর তাকে নিয়ে বহু গালগল্প ছড়িয়ে পড়েছিল পারস্যবাসীর মুখে মুখে।

পার্সেপোলিস থেকে উত্তর দিকে আলেকজান্ডার তার বাহিনী নিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে চললেন, কিন্তু ওদিকে দারিউসও সমান তালে একই দিকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। চাচাতো ভাই বেসাসের কাছে দারিউস তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব আগেই হারিয়েছিলেন। ব্যাকট্রিয়ার সাত্রাপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বেসাস নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পলাতক পার্সিয়ানদেরকে। কাস্পিয়ান সাগরের কাছাকাছি আসতেই বেসাস দারিউসের বুকে ছুরি ঢুকিয়ে পালালেন সেখান থেকেও। আলেকজান্ডার একটু দেরি করেই পৌঁছালেন।

তিনি যখন পৌঁছালেন, তখন দারিউসের মৃতদেহ ছাড়া কিছুই পেলেন না। নিজের চাদর দিয়ে দারিউসের লাশ ঢেকে পার্সেপোলিসে সমাধিস্থ করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন আলেকজান্ডার। সব খোঁজাখুঁজির অবসান ঘটলো। পারস্যের রাজাধিরাজ তার নিজের লোকের হাতেই খুন হয়েছেন।

আলেকজান্ডারের সামনে দারিউসের লাশ; Image Source: Heritage History

মেসিডন বাহিনী এবার মেসিডনে ফিরে যেতে চাইলো। ৪ বছর ধরে তারা নিজেদের জন্মভূমি থেকে দূরে রয়েছে। আলেকজান্ডার এমন কিছু করে দেখিয়েছেন, যা তার আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি। সমগ্র পারস্য সাম্রাজ্য তার হাতের মুঠোয়, একইসাথে তার নিজের মেসিডোন আর গ্রিস তো রয়েছেই। তিনি এই মুহূর্তে হয়তো দুটো রাজধানী, একটি পেল্লায়, আরেকটি সুসা অথবা পার্সেপোলিসে বানিয়ে রাজত্ব করতে পারতেন। অন্তত মেসিডন বাহিনী ভেবেছিল, এবার তাদের ফেরার সময় হয়েছে।

তবে আলেকজান্ডার তাদেরকে সেটুকু ভাবার সময়টাও দিলেন না। তাদের কথা কানে না তুলেই তিনি আদেশ দিলেন বেসাসের পেছনে ছোটার জন্য। কারণ বেসাস পরবর্তী সময়ে লোকজন জড়ো করে আবার হামলা চালাতে পারে। আলেকজান্ডার যদি এশিয়ার মালিক হতে চান, তবে তাকে অবশ্যই আগে বেসাসের শেষ দেখে ছাড়তে হবে। আলেকজান্ডারের সিদ্ধান্ত দেখে মেসিডন বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেলেও কেউ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেনি। মেসিডনিয়ানরা জন্মভূমিতে ফিরতে চাচ্ছিল, কিন্তু তাদের চোখের সামনে বালক থেকে পুরুষে পরিণত হওয়া এই আলেকজান্ডারের নেতৃত্বের ওপরও যথেষ্ট বিশ্বাস ছিল। বেসাসকে ধরার নতুন মিশনে নেমে পড়লো মেসিডোনিয়ানরা।

পারস্য সাম্রাজ্যের একেবারে পূর্বপ্রান্ত নিয়ে গঠিত ব্যাকট্রিয়া প্রদেশ, বর্তমান পৃথিবীর সম্পূর্ণ আফগানিস্তান, পাকিস্তানের কিছু অংশ আর তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের দক্ষিণ অংশ নিয়ে এই বিশাল প্রদেশ গঠিত। হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ প্রান্তর, সবই চোখে পড়বে এই বৈচিত্র্যময় এলাকায়। বেসাস পার্সিয়ান বাহিনীর সেরা ঘোড়সওয়ারদেরকে নিয়ে অনেক আগেই ব্যাকট্রিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। দারিউসকে হত্যার পর তিনি নিজেকে ব্যাকট্রিয়ার রাজা হিসেবে ঘোষণা করলেন এবং ‘দ্য কিং অভ কিংস’ উপাধি ধারণ করলেন।

আলেকজান্ডারের যাত্রাপথে দুটো ঝামেলা হওয়ার কারণে মেসিডন বাহিনীর গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়লো। প্রথমটি হলো, কাস্পিয়ান সাগরের কাছাকাছি বাস করা এক গোত্র মেসিডন বাহিনীর বেশ কিছু ঘোড়া চুরি করে নিয়ে গিয়েছিলো, এগুলোর মধ্যে ছিল আলেকজান্ডারের প্রিয় বুকেফ্যালাসও। কম করে হলেও ছ’বার আলেকজান্ডারের জীবন বাঁচিয়েছে এই বুকেফ্যালাস। আগের মতো দুরন্ত না হলেও আলেকজান্ডার এখনো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বুকেফ্যালাসকেই বেছে নেন।

বুকেফ্যালাস চুরি হয়ে যাওয়ার পর আলেকজান্ডার ক্ষেপে গিয়ে ঘোষণা দিলেন প্রিয় ঘোড়াটিকে ফেরত না দিলে ঐ এলাকার সব গোত্রের নাম মাটিতে মিশিয়ে দিবেন। আলেকজান্ডারের হুমকি শুনে গোত্রের লোকেরা ঘোড়া তো নিয়ে আসলোই, সাথে করে আলেকজান্ডারের জন্য উপহারও নিয়ে আসলো। প্রিয় ঘোড়াকে ফিরে পেয়ে আলেকজান্ডার গোত্রের লোকদেরকে মুক্ত করে দিয়ে তাদেরকে কিছু টাকাও দিয়ে বিদায় নিলেন।

আলেকজান্ডার ও বুকেফ্যালাস; Artist: Domenico Maria Canuti

আলেকজান্ডারের গতি শ্লথ হয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হলো, কিং’স কম্প্যানিয়নদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল আলেকজান্ডারের নিজের কারণেই। আলেকজান্ডার পারস্য দখল করার পর পারস্যবাসীদের মতো কাপড়-চোপড় পরতে শুরু করেছিলেন, একইসাথে তাদের সংস্কৃতিও অনুকরণ করা শুরু করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে একটি হলো- রাজার সামনে হাঁটু গেড়ে বা মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান দেখানো।

রাজা ফিলিপের আমল থেকে শুরু করে পারস্য দখলের আগ পর্যন্ত মেসিডন বাহিনী কখনোই এ ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিকতায় অভ্যস্ত ছিল না। বরং রাজা আর কিং’স কম্প্যানিয়নদের মধ্যে অনেকটা পারিবারিক বন্ধনই ছিল সেই ফিলিপের আমল থেকেই। কিন্তু আলেকজান্ডারের এই নতুন নিয়মের কারণে মেসিডন বাহিনী বিশেষ করে তার খুবই কাছের লোকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলো।

ঐ বছরেরই কোনো এক সময় আলেকজান্ডারের কানে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা পৌঁছে গেল। ষড়যন্ত্র তেমন জটিল কিংবা বড় কিছু ছিল না, কিন্তু আলেকজান্ডার অবাক হয়ে গেলেন এই ষড়যন্ত্রের পেছনের কাদের হাত রয়েছে, তা দেখে। ফিলোটাস, কিং’স কম্প্যানিয়নদের নেতা, এবং একইসাথে অন্যতম প্রধান সেনাপতি পারমেনিয়নের তিন পুত্রের একজন এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবকিছু জেনেও আলেকজান্ডারকে কিছুই জানাননি। ফিলোটাসের এই বিশ্বাসঘাতকতার প্রমাণ পেয়ে আলেকজান্ডার খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই ফিলোটাসের ক্যাম্প ঘিরে ফেলা হলো, এবং তার বিচারের ব্যবস্থা করা হলো।

আলেকজান্ডার নিজেই মেসিডোনিয়ান পদ্ধতিতে জল্লাদের ভূমিকা নিলেন। ফিলোটাস সেদিন রাতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো। একইসময়, আলেকজান্ডারের তিনজন বার্তাবাহক খুব দ্রুত ছুটে গেল একটাবানার দিকে, যেখানে পারমেনিয়ন রক্ষীবাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে। পারমেনিয়ন ষড়যন্ত্রে যুক্ত না থাকলেও আলেকজান্ডারসহ সব মেসিডোনিয়ানরাই জানতেন ‘বংশীয় বিবাদ’-এর কথা। নিজের রক্তসম্পর্কীয় কারোর অপঘাতে মৃত্যু হলে ব্যক্তি তার প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়েন না, পারমেনিয়নের ক্ষেত্রেও তা ঘটতে পারতো। বার্তাবাহকরা সরাসরি পারমেনিয়নের কাছে গেলেন, পারমেনিয়নের দেহরক্ষীদের আড়ালে রেখেই।

কিছু কিছু ভিন্নমত রয়েছে যে, বার্তাবাহকরা একটি নয়, বরং দু’টি চিঠি নিয়ে এসেছিল। একটি আলেকজান্ডারের নামে, আরেকটি ফিলোটাসের নামে। ফিলোটাসের চিঠি দেখে পারমেনিয়নের মুখে মুচকি হাসি দেখতেই বার্তাবাহকরা আততায়ীতে পরিণত হলো। দ্বিতীয় ফিলিপ আর আলেকজান্ডারের একসময়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি মুহূর্তের মধ্যেই মারা গেলেন।

পারমেনিয়নের মূর্তি; Image Source: About History

আলেকজান্ডার তার বিরুদ্ধে ফিলোটাসের হাত দেখে খুবই দুঃখ পেয়েছিলেন। এদিকে এই ঘটনার পর পারমেনিয়নের অধীনে থাকা সৈন্যদের প্রতি অন্যরা অবজ্ঞা করা শুরু করলো। আলেকজান্ডার তাদেরকে আলাদা করে আরেকটি আলাদা রেজিমেন্ট তৈরি করলেন এবং বিশ্বস্ত হবার সুযোগ দিলেন। পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে পারমেনিয়নের এই সৈন্যরা অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়ে আলেকজান্ডারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত রেজিমেন্টে রূপ নেয়।

অবশেষে আবারো বেসাসের পেছনে ছোটার সময় ঘনিয়ে এলো। পুরো ব্যাকট্রিয়া জুড়ে অসংখ্য ছোটখাট সৈন্যদল সাজিয়ে রেখেছে বলে আলেকজান্ডার সবচেয়ে দুর্গম পথটিই বেছে নিলেন, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালা। শীতকালে পর্বত পাড়ি দেওয়া ছিল আলেকজান্ডারের সেনাদলের জন্য সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। ১১ হাজার ফিট উঁচু পথ পাড়ি দিতেই মেসিডোনিয়ানরা ঠাণ্ডা কী জিনিস, তা হাড়ে হাড়ে টের পেল। ফ্রস্টবাইট আর হাইপোথার্মিয়া দেখা দিল প্রকটভাবে। ঘোড়াসহ অন্যান্য প্রাণীগুলোর কষ্ট হয়েছিল সবচেয়ে বেশি, বেশিরভাগই পর্বতের অন্য প্রান্ত আর দেখে যেতে পারেনি। তবে আলেকজান্ডার সবাইকে উৎসাহ দিয়ে, টেনে ধরে, পুরো দলকে চাঙা করে রাখার চেষ্টা করেছিলেন পুরোটা সময় জুড়ে।

হিন্দুকুশ পর্বতমালা; Image Source: Mountain Project

খ্রিস্টপূর্ব ৩২৮ অব্দের বসন্তে আলেকজান্ডারের বাহিনীকে পর্বতের এপাশে দেখা গেল। ইতিহাসবিদদের মতে হ্যানিব্যালের আল্পস পর্বত পার হওয়ার চেয়েও আলেকজান্ডারের হিন্দুকুশ পার হওয়া আরো কঠিন ছিল। পর্বত পেরিয়ে ওপাশে যেতেই আলেকজান্ডারকে আর তেমন কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি। আলেকজান্ডারকে দেখে বেসাস হাল ছেড়ে দিলো। বেসাসকে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়কভাবে হত্যা করা হলো, তার লাশের প্রতিও আলেকজান্ডার বিন্দুমাত্র সম্মান দেখলেন না। কাপুরুষোচিতভাবে দারিউসকে হত্যা করার কারণে বেসাসের ‘দ্য কিং অভ কিংস’ উপাধিও তিনি অস্বীকার করেছিলেন। অবশেষে পুরো এশিয়ায় আলেকজান্ডারের আর তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী টিকে রইলো না।

বেসাসের যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু; Image Source: Andre Castaigne

ভারত ডাক দিলেও আলেকজান্ডারের প্রস্তুতি তখনো শেষ হয়নি। আফগানিস্তান আর উজবেকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিভিন্ন গোত্র আর শহর দখল করে নিজের অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করে নিলেন আলেকজান্ডার। ওক্সাস নদী পর্যন্ত নিজের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত করলেন তিনি। নদীর উত্তর পাশে থাকা বর্বর সাইথিয়ান (Scythian)-দেরকে আর ঘাঁটাতে চাননি তিনি। প্রথম দারিউসও এ পর্যন্ত এসে থেমে গিয়েছিলেন। এরপর পাথরের সমুদ্র আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে হানা দিলেন তিনি, আর এখানেই খোঁজ পেলেন তার প্রেমিকা রোকসানার।

আলেকজান্ডারের সাথে হেফাস্টিওনের শারীরিক সম্পর্ক ছিল কি না, তা জানা যায়নি। তবে পার্সেপোলিসে আলেকজান্ডারের সামনে এক খোজাকে হাজির করা হয়েছিল। এই খোজা বালকই আলেকজান্ডারের প্রেমিক হয়ে ওঠে, যদিও মেসিডোনিয়ানরা তাতে খুশি ছিল না এবং আলেকজান্ডারের সাথে একজন নারীর সম্পর্ক দেখতে চেয়েছিল।

ওক্সাস নদী থেকে দক্ষিণে যেতে যেতে আফগানিস্তানের ভেতরে হঠাৎ আলেকজান্ডার দেখতে পেলেন এক অদ্ভুত দুর্গ। স্থানীয়দের কাছে এটি পরিচিত ‘সোগডিয়ানার পাথর’ নামে। পর্বতের ওপর থাকা এই দুর্গ অনেকটাই সুরক্ষিত ছিল এবং যখন আলেকজান্ডার তাদেরকে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দিলেন, তখন সোগডিয়ানার পাহারাদাররা হেসেই উড়িয়ে দিল। তারা ব্যাঙ্গাত্মকভাবে জবাব দিল, যদি আলেকজান্ডারের কোনো পাখাযুক্ত সৈন্য থাকে, তবেই তারা আত্মসমর্পণ করবে। আলেকজান্ডার এই উত্তরে রেগে গিয়ে সেই রাতেই ঘোষণা দিলেন, তার সৈন্যদের মধ্যে যারা এই পাহাড় বেয়ে দুর্গের মধ্যে ঢুকতে পারবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে।

পুরস্কারের লোভে অনেকেই চেষ্টা করল, তবে শেষমেশ হাতেগোনা কয়েকজন দুর্গের ভেতরে ঢুকতে পেরেছিল। পরদিন সকালে আলেকজান্ডারের সৈন্যদেরকে গেটের বাইরে দেখে অবাক হয়ে সোগডিয়ানা আত্মসমর্পণ করলো। সোগডিয়ানাতেই আলেকজান্ডারের সাথে সেখানকার রাজার মেয়ে রোকসানার পরিচয় হলো, এবং কয়েকদিন পর রোকসানার সাথে আলেকজান্ডারের বিয়ে হয়ে গেলো। রোকসানা অনিন্দ্যসুন্দরী ছিলেন তো বটেই, সাথে তার চরিত্রের অন্যান্য দিকও আলেকজান্ডারকে আকৃষ্ট করেছিল।

রোমান ফ্রেস্কোতে রোকসানা ও আলেকজান্ডার; Image Source: Wikimedia Commons

বেসাসকে হত্যা করার দু’ বছর এবং রোকসানাকে বিয়ে করার এক বছর পর আলেকজান্ডার আবারও বেরিয়ে পড়লেন নতুন অভিযানে। এরপরের গন্তব্য: খাইবার পাস হয়ে ভারত।

ষষ্ঠ পর্ব: দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার: দুর্গম ভারত

Related Articles