Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মেরি সমারভিল: গণিতের প্রেমে সকল বাধা উতরে গিয়েছিলেন যে নারী

প্রায়ই একটা কথা শোনা যায় যে, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নারীর অবদান সামান্যই। অথচ নারীদের শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার স্বাধীনতা পেতে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, সে ব্যাপারটা ভেবে দেখেন অনেকেই। তার চেয়েও হতাশাজনক ব্যাপারটা হলো যখন সচেতনভাবে নারীদের অবদান খাটো করে দেখানো হয় বা দেখানোর চেষ্টা করা হয়। নারীরা যখন থেকে চার দেয়ালের বাঁধা অতিক্রম করতে শুরু করে, তখন থেকেই অন্যান্য দিকের সাথে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় তাদের অবদান ক্রমবর্ধমান। অথচ অনেক সময়ই তাদের অবদান খাটো করে দেখাবার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়।

মেরি সমারভিল হতে পারে এমন একটি নাম, যার অবদানকে সঠিক স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। ফলিত গণিত আর গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদান সমসাময়িক অনেক খ্যাতনামা গণিতবিদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় কেবল একজন গণিতবিদ হিসেবে, যিনি বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করায় অবদান রেখেছেন! আজকে আমরা তার জীবন ও কাজ সম্পর্কে জানবো এবং বুঝতে চেষ্টা করবো তিনি কেবলই একজন গণিতবিদ ছিলেন, নাকি তারও বেশি কিছু। 

মেরি সমারভিল (১৭৮০- ১৮৭২ সাল); image source: independent.co.uk

১৭৮০ সালের কথা। ব্রিটিশ নেভির বিখ্যাত কমান্ডার এবং ভাইস অ্যাডমিরাল জর্জ ফেয়ারফ্যাক্স তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাফ জানিয়ে দিলেন যে, তিনি অন্তত এ বছর নিজ শহর, স্কটল্যান্ডের জেডবার্গের বাইরে কোথাও কাজ করতে যাবেন না। কারণ তার স্ত্রী মার্গারেট চার্টারের গর্ভে এসেছে তার তৃতীয় সন্তান। আগের দুই সন্তান জন্মের কিছুকালের মধ্যেই মারা যাওয়ায় এবার বেশ সচেতন হন ফেয়ারফ্যাক্স। স্ত্রীর যত্নের কোনো কমতিই রাখেননি। আর তাতে নিরাশ হননি তিনি। ২৬ ডিসেম্বর তাদের ঘর আলো করে আসে একটি ফুটফুটে কন্যাশিশু। জর্জ শিশুটির নাম দেন মেরি ফেয়ারফ্যাক্স। আমাদের আলোচনা যে বিখ্যাত গণিতবিদকে নিয়ে, এ মেরি সে-ই। বিয়ের পর তার স্বামীর নামের উপাধি সমারভিল হিসেবেই তিনি পরিচিত হন।

মেরির জন্মের পর জর্জ তার পরিবার নিয়ে বার্ন্টিসল্যান্ড নামক একটি শহরে চলে যান। নদীর পার্শ্ববর্তী সে শহরে মেরির শৈশব কেটেছিল একাকী। আশেপাশে খুব বেশি বাড়িঘর ছিল না, ছিল না কোনো কোলাহল। মেরির সময় কাটতো মায়ের সাথে শাক সবজির বাগানে কাজ করে, হাঁস-মুরগিকে খাবার দিয়ে আর ফুল গাছে পরিচর্যা করে। একটু বয়স বাড়ার পর মেরির সবচেয়ে পছন্দের জায়গা হয়ে ওঠে নদী তীর, যেখানে বসে সে আনমনে নানা ছবি এঁকে যেতেন, বালুর উপর তৈরি করতেন নানা কাঠামো আর শীতকালে খেলা করতেন তুষার নিয়ে। এসবের বাইরে পাখিদের নিয়ে তার ছিল বিশেষ আকর্ষণ। আকর্ষণ এতটাই ছিল যে তার বাবা-মা ভাবতেন তিনি একদিন পক্ষীবিদ হবেন।

নদী তীরবর্তী এ শহরেই শৈশব কেটেছিল মেরির; image source: uk.distancescalc.com

মেরির যখন ৫ বছর, তখন জর্জের হাত ধরে মেরির লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ৫ বছরের এক দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার জন্য দেশের বাইরে যেতে হয় জর্জকে। আর তাতেই মেরির পড়ালেখায় মনোযোগ চলে যায়। তিনি মায়ের সাথে আবৃত্তি করে করে অনেক কিছুই মুখস্ত করতে থাকেন, তথাপি লিখতে পেরে ওঠেননি। লেখার প্রতি তার আকর্ষণ হারানোয় অবদান ছিল প্রতিদিন সকালবেলা বাইবেল শিক্ষার জন্য চার্চে যাওয়া।

যা-ই হোক, দীর্ঘকাল পর কাজ থেকে ফিরে জর্জ দেখলেন মেরি লিখতে শেখেনি। তিনি মেরিকে নদীর অপর পারের একটি বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু জেদী শিশু মেরি তার স্বাধীনতা হারিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সে কিছুতেই লেখা শিখবে না। ফলে এক বছর পর বোর্ডিং স্কুল ছেড়ে আসলেও লেখা শেখা হয়ে ওঠেনি মেরির! অথচ তখন তিনি নিয়ম করে শেক্সপিয়ার, শেলি আর কিটসদের মতো সাহিত্যিকদের লেখা পড়তেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানের জটিল সব বিষয়ে ডুবে থাকতেন আর রাত্রিবেলা আকাশের তারা আর নর্দান লাইটস (মেরুপ্রভা) পর্যবেক্ষণ করতেন।

পুনরায় নিজের ইচ্ছামতো চলার স্বাধীনতা পেয়ে সত্যিকার অর্থে পড়ালেখায় মন বসান মেরি। সাহিত্যের পাশাপাশি ল্যাটিন শিখতে শুরু করেন, গণিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে শুরু করেন আর লেখাটা ভালোভাবে রপ্ত করেন। গণিতের সাথে তার আমৃত্যু প্রেমের শুরুটা ছিল কাকতালীয়। একবার তার খালা তার জন্য একটি বিনোদন ম্যাগাজিন নিয়ে এসেছিলেন। ম্যাগাজিনের শেষ পৃষ্ঠায় একটি শব্দের ধাঁধা খুঁজে পান মেরি। সেই ধাঁধা মেলাতে গিয়ে মেরি প্রথম যে শব্দটি বের করেন, তা হলো ‘অ্যালজেবরা’ বা বীজগণিত। শব্দটি তার কাছে একটু অদ্ভুত ঠেকলো। তিনি এটি নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করলেন, কথা বললেন তার চাচা থমাস সমারভিলের সাথে। কাকতালীয়ভাবে থমাসও ছিলেন গণিতেরই শিক্ষক। তিনি বীজগণিতের কিছু প্রাথমিক ধারণা মেরির সাথে আলোচনা করলেন। আর সে আলোচনা মেরির নিকট এত আকর্ষণীয় মনে হলো যে সেদিন রাতেই তিনি বাবার কাছে বায়না ধরলেন একগাদা বীজগণিতের বইয়ের জন্য। ব্যস, শুরু হয়ে গেল প্রেম!

হঠাৎ করেই মেরির পড়ালেখার ধরন বদলে যেতে লাগলো। প্রতিনিয়ত তিনি গণিতে অধিক সময় দিতে লাগলেন। ল্যাটিন শেখা শেষে কেবল প্রাচীন গ্রিসের বিখ্যাত গণিতের বই ‘ইউক্লিড’স এলিমেন্টস’ পড়ার জন্য গ্রিক শিখতে শুরু করলেন। তবে এরকম জ্ঞানচর্চা তার জন্য অন্যদের তুলনায় বেশ কঠিনই ছিল। কারণ, তার মা এবং খালারা সর্বদা তাকে সেসব দক্ষতা অর্জনের তাগিদ দিতেন, যেগুলো থাকলে একটি মেয়ের জন্য ভালো পাত্র পাওয়া সম্ভব! মেরিকে প্রতিদিন নিয়ম করে নাচের স্কুলে যেতে হতো নাচ শিখতে, শিখতে হতো গান, পিয়ানো বাজানো আর অবশ্যই সুস্বাদু রান্না। প্রায় প্রতিদিনই এরকম পরিশ্রমের পরও রাত জেগে গণিতের সাধনা করে চললেন মেরি।

এদিকে তার বয়স যখন ১৭, তখন তার পরিবারের জন্য একটি সুসংবাদ আসে যা তার জন্য দুঃসংবাদই ছিল বটে। তার বাবা সেবছর নাইট উপাধিতে ভূষিত হন। ফলে জর্জ ফেয়ারফ্যাক্সের সামাজিক প্রতিপত্তি একলাফে বহু উঁচুতে স্থান পায়। আর তাতেই মেরিকে সম্ভ্রান্ত বংশে বিয়ে দেয়ার তাগিদ আরো বেড়ে যায়। আনুপাতিক হারে বেড়ে যায় তার উপর ‘আদর্শ গৃহিণী’ হবার গুণাবলী অর্জনের চাপ।

গ্রিক গণিতবিদ ডায়োফেন্টাস; image source: famous-mathematicians.com

শেষতক মেরির ভাগ্যে এতটা বিপর্যয় ঘটেনি। কোনো সম্ভ্রান্ত বংশের ঘরের বউ হয়ে থাকার প্রয়োজন হয়নি তার। চাচাতো ভাই স্যামুয়েলের সাথেই তার বিয়ে দেন জর্জ। স্যামুয়েল ছিলেন যথেষ্ট বিদ্যানুরাগী। তিনি মেরিকে ইচ্ছামতো জ্ঞানচর্চার স্বাধীনতা দেন। আর তাতে সংসার চালানোর পাশাপাশি পড়ালেখাটাও ঠিকঠাক মতো চালিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্যক্রমে, বিয়ের মাত্র ৪ বছরের মাথায় মেরিকে রেখে পরপারে যাত্রা করেন স্যামুয়েল। স্বাভাবিকভাবেই কিছুকালে তার গণিতচর্চায় ছেদ ঘটে।

তবে মেরির স্বামীর রেখে উইল করে যাওয়া অর্থের কল্যাণে দুই সন্তান নিয়ে কোনোরূপ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে পড়তে হয়নি তার। স্বামীর মৃত্যুর একবছর পর পুনরায় গণিতে মনোনিবেশ করেন মেরি। উইলিয়াম ওয়ালেসের সাথে তার বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা নিয়ে চিঠি চালাচালি হতো তখন। এরই মাঝে একটি জটিল ‘ডায়োফেন্টাইন’ গাণিতিক সমস্যা সমাধান করে একটি গণিত প্রতিযোগীতায় সিলভার মেডেল পান। উল্লেখ্য, গ্রিক গণিতবিদ ডায়োফেন্টাস বীজগণিতের জনক বলে পরিচিত।

১৮১২ সালে মেরি পুনরায় বিয়ে করেন। এবারও তার পছন্দের পাত্র ছিলেন তারই একজন চাচাতো ভাই উইলিয়াম সমারভিল। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান সমারভিলের সাথে বিয়ের পরই মেরি ফেয়ারফ্যাক্সের পরিচিতি হয় মেরি সমারভিল হিসেবে। বিয়ের পর মেরি ক্যালকুলাসে মনোযোগ দেন। এসময় তার গাণিতিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে ওয়ালেস সর্বাগ্রে তাকে সহায়তা করেন। ওয়ালেসের নির্দেশনাতেই মেরি একে একে লাপ্লাস, ল্যাগ্রেঞ্জ, পয়সনদের মতো বিখ্যাত সব গণিতবিদদের বই পড়তে শুরু করেন। এক্ষেত্রে তার স্বামী উইলিয়ামও ছিলেন অত্যন্ত সহায়ক। মেরির যাবতীয় প্রয়োজনীয় বই তিনিই কিনে দিতেন। ফরাসি গণিতের বই পড়ার জন্য মেরিকে ফরাসি ভাষা শিখতেও তিনি সহায়তা করেছিলেন।

গণিত চর্চা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়ানো আর নামকরা অধ্যাপকদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা গাণিতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মেরি বাড়ি ফিরেই ভুলে যেতেন তার দিনের কাজের কথা আর নিজের সন্তানদের পড়াতে শুরু করতেন। এ ব্যাপারটিতেই তিনি ছিল সকলের চেয়ে আলাদা, যিনি কি না তার কর্মজীবন আর সংসার, দুটোই সামলেছেন সমান দক্ষতায়।

লাপ্লাসের মেকানিক সেলেস্তে; image source: library.si.edu

১৮১৯ সালের দিকে, পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার খ্যাত অ্যাডা লাভলেসের গৃহশিক্ষিকার কাজ করেন মেরি। এ সময় তিনি নিউটন, ইউলার আর লাপ্লাসের গাণিতিক সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন। নিজের গাণিতিক জ্ঞানকে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। ১৮২৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ ‘দ্য প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি’। এরপরই তিনি তার বৈজ্ঞানিক জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজটি করতে শুরু করেন। গণিতবিদ লাপ্লাসের দুর্বোধ্য বই ‘মেকানিক সেলেস্তে’র ইংরেজি অনুবাদের কাজ হাতে নেন মেরি। তবে সে অনুবাদ নিছক অনুবাদ নয়। ‘দ্য মেকানিজমস অব দ্য হেভেনস’ নামে প্রকাশ করা এ বইটিতে তিনি নিজের অসংখ্য চিন্তাভাবনা যোগ করেছেন, লাপ্লাসের কঠিন গাণিতিক সমাধানগুলোকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, সর্বনিম্ন সংখ্যক ডায়াগ্রাম ব্যবহার করেছেন। লাপ্লাস মেরির এই বই পড়ে মন্তব্য করেছিলেন, “পৃথিবীর একমাত্র নারী যিনি আমার বইটি বুঝতে পেরেছেন!”

মেরির মেকানিজম অব দ্য হেভেনস; image source: www.e-booksdirectory.com

লাপ্লাসের এই মন্তব্যে হয়তো মেরির কাজের গুরুত্ব অতটা প্রতিফলিত হয়নি। মেরির এই বই এতটা সাড়া ফেলেছিল যে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মেরির জন্য বাৎসরিক ২০০ পাউন্ড হারে পেনসনের দাবি উত্থাপন করা হয় এবং তার বইয়ে একটি প্রশংসাবাক্য যোগ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়! বাক্যটি ছিল এই যে, “পুরো ব্রিটেনের ছয়জন মানুষের মধ্যে একজন, যিনি লাপ্লাসের গণিত বুঝতে পেরেছেন!” এই বইয়ের খ্যাতি মেরির পরবর্তী কাজগুলোর জন্যও সহায়ক হয়েছিল। তার পরবর্তী বই ‘কানেকশন অব ফিজিক্যাল সায়েন্স’ ফরাসি, জার্মান, ল্যাটিন সহ ১০টির অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছিল, কেবল ইংরেজি ভাষায়ই ছাপা হয়েছিল ১০টির বেশি সংস্করণ! বার্ধক্যে উপনীত হয়ে ঝুঁকেছিলেন ভূগোলের দিকে। তার ‘ফিজিক্যাল জিওগ্রাফি’ বইটি সেই ঝোঁকেরই ফসল। আর যে তিনটি বইয়ের কথা বলা হলো, সবগুলোই বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শতাধিক বছর যাবত পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

মেরির সম্মানে ১০ পাউন্ডের বিল বের করে স্কটল্যান্ড; image source: oxfordsparks.ox.ac.uk

১৮৭২ সালের ২৯ নভেম্বর ইতালির নেপলসে চিরনিদ্রায় শায়িত হন মেরি সমারভিল। তার মৃত্যুর পর বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক সমাজ তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। অথচ জীবিত অবস্থায় নারী হওয়ায় তাকে ‘রয়্যাল সোসাইটি’র সদস্যপদও দেয়া হয়নি! তার সম্মানে স্কটল্যান্ডের একটি ছোট দ্বীপের নাম রাখা হয় ‘সমারভিল আইল্যান্ড’। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী কলেজ খোলা হয়েছিল তার স্মরণেই, যার নাম রাখা হয়েছিল ‘সমারভিল হল’। বর্তমানে এর নাম ‘সমারভিল কলেজ’।

রয়্যাল সোসাইটিও পরবর্তীতে নিজেদের অসারতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং সেখানে মেরি সমারভিলের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করে। মেরি সমারভিল হয়তো বিজ্ঞানী বা গণিতবিদ হিসেবে কোনো বৈপ্লবিক বা মৌলিক কাজ করে যেতে পারেননি। কিন্তু তিনি যা করেছেন তার জন্য তার কাছে গণিত ঋণী থাকবে। ঋণী থাকবে এ কালের নারীরাও, যারা ঘরে-বাইরে এখন অবাধে চলাফেরা করতে পারছেন। মেরি সমারভিল তো তাদের জন্য এক চিরন্তন অনুপ্রেরণারই নাম, যিনি সাংসারিক হয়ে বিজ্ঞানকে ভুলে যাননি, কিংবা বিজ্ঞানের জন্য সংসারও ত্যাগ করেননি। তিনি একইসাথে উভয়ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।

ফিচার ছবি: newscientist.com

Related Articles