Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ফিলিপ পিনেল: আধুনিক সাইকিয়াট্রির প্রতিষ্ঠাতা

“আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম চারদিকে শুধুই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আর বিশৃঙ্খলা!”- ফিলিপ পিনেল

মানসিক রোগীদের আশ্রমে পূর্বেও একাধিকবার কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তুলুজ শহরে। কিন্তু বিসেত্রে শহরের বিখ্যাত বিসেত্রে হাসপাতালের চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে তার দীর্ঘদিনের আকর্ষণ ছিল। তিনি একাধিকবার শুনেছেন, সেখানে মানসিক ভারসাম্যহীন কোনো রোগীকেই শিকলে আবদ্ধ করে রাখা হয় না। তাই ফিলিপ পিনেল সিদ্ধান্ত নিলেন, বিসেত্রে হাসপাতালই হবে তার পরবর্তী ঠিকানা। ১৭৯৩ সালে সেখানে পৌঁছেন তিনি। সেখানকার মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান, জিন বাপতিস্তে পুসিনের চিকিৎসাপদ্ধতি দেখে যথেষ্ট প্রভাবিতও হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই গভীর পর্যবেক্ষণ থেকে তার মনে হলো, সবই ত্রুটিপূর্ণ আর বিশৃঙ্খল!

একজন মানসিক রোগীকে শেকলমুক্ত করছেন পুসিন; source: historiek.net

বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে কী করে শৃঙ্খলিত করতে হয়, তা ভালো করেই জানা ছিল পিনেলের। পুসিনের সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করলেও, বিসেত্রের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কার্যক্রম চলতে শুরু করলো তার ইশারায়। তিনি একাধিক নতুন নিয়ম প্রবর্তন করলেন, যেগুলো পাল্টে দিয়েছিল মনোরোগ বিভাগের খোলনলচে।

  • পিনেল বহিরাগত কারো আশ্রমে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। এই নিয়ম প্রবর্তনের পূর্বে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আশ্রমে যাতায়াত করতো এবং মানসিক রোগীদের সাথে হাসিঠাট্টা করতো।
  • গ্যালেনের ‘রক্তক্ষরণ’ চিকিৎসাপদ্ধতি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেন এবং নিষিদ্ধ করেন।
  • কোনো রোগীকেই সম্পূর্ণ পাগল বলে গণ্য করা যাবে না। বরং প্রত্যেকেরই কেবল কিছু নির্দিষ্ট মানসিক সমস্যা রয়েছে, যেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।
  • প্রতিদিন প্রতিটি রোগীর সাথে পৃথকভাবে কথা বলতে হবে এবং প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে ‘কেস ফাইল’ তৈরি করতে হবে, যেখানে তাদের সার্বিক অবস্থার উন্নতি কিংবা অবনতির বর্ণনা থাকবে।
  • রোগীদের মানসিক অবস্থা, পর্যবেক্ষণের ও তথ্য-উপাত্ত যাচাইয়ের মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে। সে লক্ষ্যে পিনেল অসংখ্য মানসিক হাসপাতাল থেকে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করেন।

পিনেলের প্রবর্তিত প্রতিটি নিয়মই ছিল মৌলিক। সেগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে বিসেত্রের খানিকটা সময় লেগেছিল। তবে মানসিক চিকিৎসকগণ তার উপর সবচেয়ে খেপেছিলেন গ্যালেনের রক্তক্ষরণ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করায়। সে সময়কার প্রচলিত মনোবিজ্ঞান বলে যে, মানুষের মস্তিষ্কে অতিমাত্রায় রক্তপ্রবাহই মানসিক রোগের মূল কারণ! সেজন্য নিয়ম করে রোগীর দেহ থেকে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমানো হতো! পিনেল এই পদ্ধতিকে অমানবিক বলে ঘোষণা দিলেন। পাশাপাশি তিনি দেখলেন যে, এই পদ্ধতির পেছনে আসলে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। উল্লেখ্য, গ্যালেনের চিকিৎসাপদ্ধতি তখনও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিজের আধিপত্য বজায় রেখে চলেছে। সেক্ষেত্রে, সরাসরি গ্যালেনের বিপরীতমুখী হওয়াটা যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তই ছিল। এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রাচীন ঘুণেধরা চিকিৎসাপদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার প্রথম পদক্ষেপ ছিল, অন্যদিকে ছিল আধুনিক মনোরোগবিদ্যা প্রতিষ্ঠারও প্রথম পদক্ষেপ।

ফিলিপ পিনেল; source: fineartamerica.com

ফিলিপ পিনেলের জন্ম ১৭৪৫ সালের ২০ এপ্রিল, ফ্রান্সের জনকারেস শহরে। তার বাবা ফিলিপ ফ্রাংকোয়েস এবং মা এলিজাবেথ ডুফি, উভয়েই ছিলেন সে শহরের নামকরা ডাক্তার। পিনেল ছিলেন এই ডাক্তার দম্পতির ৭ সন্তানের প্রথম। মায়ের কাছেই শুরু হয় তার প্রাথমিক শিক্ষা। শিশু পিনেল সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হতেন ধর্ম বিষয়ক পড়ালেখার প্রতি। তাই তাকে পড়ানোর জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল স্থানীয় একজন স্কুলশিক্ষক এবং চার্চের ফাদার গোর্সকে। বাইবেলের প্রতি পিনেলের আকর্ষণ দেখে গোর্স তাকে চার্চের যাজক হবার পরামর্শ দেন। গোর্সের পরামর্শেই মানবিক শিক্ষা পড়ার জন্য তিনি ভর্তি হন ল্যাভার স্কুলে। মাধ্যমিক শেষ করে একই বিষয়ে ল্যাভার কলেজে ভর্তি হন। তখন পর্যন্ত তার জীবনের লক্ষ্য ছিল একটাই, চার্চের যাজক হওয়া!

১৭৬৭ সালে কলেজের পড়ালেখা শেষ করে তুলুজ শহরে চলে যান পিনেল। সেখানে ধর্মতত্ত্বে ৪ বছরের স্নাতক শেষ করেই যাজক হিসেবে যোগ দেয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু তিনি কি জানতেন সেখানে তার নিয়তি পট পরিবর্তনের অপেক্ষায় ছিল? তখন ফ্রান্সে চলছে ‘এনলাইটমেন্ট’ দার্শনিকদের দর্শন প্রচার। ভলটেয়ার তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন। তুলুজে গিয়ে ঘটনাক্রমে এই ভলটেয়ারের সংস্পর্শে আসেন পিনেল। আর তাতেই দৃশ্যপট বদলে যায়। মাত্র এক মাসের মধ্যে ভলটেয়ারের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন পিনেল। ধর্মকর্মে মন উঠে যায় তার। বরং বাবার মতো চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়ারই সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে তুলুজ, পরে মন্টেপিলারের একটি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়েন পিনেল। যখন তার ডাক্তারি পড়া শেষ হয়, তখন তার বয়স ৩২ বছর।

ভলটেয়ার; source: democresia.es

পিনেল তার জীবনের প্রথম ধাক্কাটা খেলেন পড়ালেখা শেষ করেই। নামকরা কোনো হাসপাতালে ডাক্তারি করার আশায় প্যারিসে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু সেখানকার কোনো হাসপাতালই তাকে ডাক্তারি হিসেবে নিয়োগ দিতে রাজি হয়নি। কারণ, তার ডাক্তারি সার্টিফিকেট মফস্বলের সাধারণ মেডিক্যাল কলেজের! অগত্যা জীবিকার্জনের জন্য প্রাথমিকভাবে গৃহশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। শীঘ্রই আরো একটি পেশায় ঢুকে পড়েন। আর তা হচ্ছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বা অন্যান্য বাড়ির কাজ লিখে দেয়া বা অনুবাদ করা। এ কাজ করে তিনি যথেষ্ট আয় করতেন।

রাজা লুইসের গিলোটিন, যেখানে পিনেল উপস্থিত ছিলেন; source: historyhit.com

১৭৮৪ সালে পিনেলের প্রতি ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হতে শুরু করেন। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য লেখালেখি করে লেখার হাতটা ক্ষুরধার হয়ে যায় কয়েক বছরে। ফলে চাকরি পেয়ে যান ‘গেজেত দি সান্তে’ বা ‘দ্য হেলথ জার্নাল’-এ। এরই মাঝে, প্রায় বছরখানেক মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত থাকা তার এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। বন্ধুর আত্মহত্যা পিনেলকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। তিনি হেলথ জার্নালে মনোরোগ নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। তার মনোরোগ বিষয়ক লেখাগুলো রকেটের গতিতে জনপ্রিয়তা পেতে লাগলো। এই জনপ্রিয়তার কল্যাণে ১৭৮৮ সালে একটি ব্যক্তিগত পাগলা গারদে চাকরিও পেয়ে যান। এর পরের বছরই ফ্রান্সে শুরু হয় ফরাসি বিপ্লব।

পুরো ফরাসি বিপ্লব জুড়েই বিপ্লবীদের সমর্থক ছিলেন পিনেল। কিন্তু ১৭৯২ সালে রাজতন্ত্রের অবসানের পর, বিপ্লবীদের উচ্ছৃঙ্খল কাজকর্ম তাকে হতাশ করে। ১৭৯৩ সালে রাজা ষোড়শ লুইয়ের গিলোটিনে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন পিনেলও। এই গিলোটিনের দৃশ্য তাকে আতঙ্কিত করে। এর পরের বছরই গোঁড়া বিপ্লবীদের দ্বারা গিলোটিনে প্রাণ হারান বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যান্টনিও ল্যাভয়সিয়ে। কিন্তু গিলোটিনে ফাঁসি কার্যকর করা অনেক মানুষ মানসিক ভারসাম্য হারাতে শুরু করেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করতে তিনি যোগ দেন বিসেত্রে হাসপাতালে, যে হাসপাতালটির প্রতি আগে থেকেই তার মনে আকর্ষণ কাজ করতো।

বিসেত্রেতে রোগীদের উপর অত্যাচার বন্ধ করছেন পিনেল; source: fr.muzeo.com

বিসেত্রেতে কয়েক বছর কাজ করে বেশ কিছু বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন পিনেল। ১৭৯৫ সালে তিনি তার কর্মজীবনে শেষবারের মতো কর্মস্থল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। বিসেত্রে ছেড়ে চলে যান প্যারিসের আরেক বিখ্যাত হাসপাতাল সালপেত্রিয়েত্রেতে। এখানে তিনি মানসিক চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন মেডিক্যাল প্যাথলজির অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বিসেত্রের মতো সালপেত্রিয়েত্রেতেও নানামুখী পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মানসিক রোগীদের শেকলমুক্ত করা। শেকলের বদলে রোগীদের জন্য তিনি নিয়ে আসেন ভালোবাসা।

“ওয়ার্ডের ম্যানেজারগণ অধিকাংশ সময়ই স্বল্পজ্ঞানী এবং অমানবিক হন। অথচ তাদের উপরই রোগীর অধিকাংশ দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়! তারা রোগীর উপর নির্মমতা ও হিংস্রতার স্টিম রোলার চালিয়ে দেন!” –ফিলিপ পিনেল

ফরাসি বিপ্লবের সময়কার সালপেত্রিয়েত্রে হাসপাতাল; source: antique-prints.de

সালপেত্রিয়েত্রে হাসপাতালে কাজ করতে করতেই পিনেল রচনা করেন তার বিখ্যাত ‘ট্রিটিজ অন ইনস্যানিটি’। ১৮০১ সালে প্রকাশিত এই প্রবন্ধে তিনি মানসিক সমস্যাকে ৫ ভাগে ভাগ করেন। সেগুলো হলো মেলানকোলিয়া, ম্যানিয়া উইথ ডেলিরিয়াম, ম্যানিয়া উইদাউট ডেলিরিয়াম, ইডিয়টিজম ও ডিমেনশিয়া। এই পাঁচ প্রকারের সমস্যার জন্যই পিনেল ‘মোরাল ট্রিটমেন্ট’ এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এখানে মোরাল বলতে নৈতিকতা বোঝানো হয়নি। রোগীর আবেগের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে চিকিৎসাদানকেই পিনেল বলেছেন মোরাল ট্রিটমেন্ট। মোরাল ট্রিটমেন্টের কিছু দিক এমন যে, রোগীকে সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন, আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে, ম্যানেজার বা নার্সদের নয়, প্রত্যেক ডাক্তারকে রোগীদের সাথে একান্তভাবে মিশতে হবে, তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে এবং প্রয়োজনে রোগীর সাথে কঠোর হওয়া যাবে, তবে শারীরিক নিপীড়ন করা যাবে না।

ফিলিপ পিনেলের ‘ট্রিটিজ অন ইনস্যানিটি’; source: adelaidespopupbookshop.com.au

ফিলিপ পিনেলের নানা উদ্ভাবনী ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উপায়ে চিকিৎসায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায় অনেক রোগী, যা একরকম বিস্ময়কর ছিল। কারণ পিনেল যখন মনোরোগের চিকিৎসায় একের পর এক পরিবর্তন আনছেন, তখন পুরো দুনিয়ায় মনোরোগবিদ্যা বলতে আসলে কোনো নির্দিষ্ট কিছু ছিলই না! পিনেলের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই শাখা। তাছাড়া সে সময় প্রতিটি পাগলাগারদ বা আশ্রমের অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুণ। কোনো মানুষ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে মানে তার উপর আর কোনো আশা নেই, এমনই একটা উপলব্ধি ছিল ডাক্তারদের মনেও। প্রতিটি পাগলাগারদ ছিল বৃদ্ধাশ্রমের আদলে এক একটি নিছক ‘পাগল-আশ্রম’! কিন্তু পিনেল যখন তার আশ্রমের অনেক ভারসাম্যহীনকে মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে দেন, তখন এই ‘আশা নেই’ ধারণা পরিবর্তিত হতে শুরু করে। পর্যাপ্ত চিকিৎসায় একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন, এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করেন পিনেল।

১৮০৪ সালে ‘ফ্রেঞ্চ একাডেমি অব সায়েন্স’ এর সদস্যপদ লাভ ছাড়া জীবিতাবস্থায় তেমন কোনো স্বীকৃতি পাননি পিনেল। অথচ তার কাজের উপরই আজকের ‘সাইকিয়াট্রি’ বা মনোরোগবিদ্যা দাঁড়িয়ে আছে। অবশ্য স্বীকৃতির জন্য বিন্দুমাত্র আফসোস ছিল না তার। বরং নিভৃতে কাজ করে যেতে পেরেই তিনি খুশি ছিলেন। ১৭৯২ সালে তিনি বিয়ে করেন প্রেমিকা জিয়ান ভিনসেন্টকে। ১৮১১ সালে জিয়ান মারা গেলে জ্যাকলিন লাভেলিকে বিয়ে করেন পিনেল। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই সন্তানের জন্ম হলেও, দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তার কোনো সন্তান নেই। ১৮২৬ সালের ২৫ অক্টোবর প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ততদিনে তার বড় ছেলেও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মনোরোগবিদ্যার জন্য পড়ালেখা শুরু করেছেন!

ফিচার ছবি: youtube.com

Related Articles