Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সলিম আলি: দ্য বার্ডম্যান অব ইন্ডিয়া

ভূপৃষ্ঠ থেকে শত শত ফুট উচ্চতায় আকাশে ভাসমান বাজপাখির দৃষ্টিকে কিছুতেই এড়াতে পারে না এর শিকার। যেভাবেই হোক, শিকারের গতিপ্রকৃতি লক্ষ করে সঠিক সময়ে আঘাত হানবেই সে। আকাশের বাজপাখির মতো উড়ে বেড়াতে না পারলেও, ভূমিতে একই স্থানে স্থির বসে থেকে দূর আকাশে চোখ মেলে রেখে জীবন পার করে দিয়েছিলেন একজন ব্যক্তি। তিনি যখন পাখি দেখায় মগ্ন, তখন তার চোখের দৃষ্টি বাজপাখিকেও হার মানাতো। কৃশকায় ভ্রূজোড়ার নিচে অপলক চোখ দুটি সর্বদা থাকতো মোটা ফ্রেমের চশমার আড়ালে। আর তার খরগোশের মতো চিকন থুতনিতে বরফ শুভ্র নূর দাড়ি দেখতে পাখির পালকের মতোই মনে হতো। শুধু যে দৃষ্টি সুদূরে মেলে দিয়ে এক ধ্যানে বসে থাকেন, তা কিন্তু নয়। তার কান দুটি থাকতো সর্বদা সজাগ। পাখির ডানা ঝাপটার শব্দ শুনেও যেন বুঝে ফেলতেন, সেটি কোন পাখি! বলছিলাম ‘দ্য বার্ডম্যান অব ইন্ডিয়া’ সলিম আলির কথা।

সলিম আলি (১৮৯৬-১৯৮৭ সাল); source: e-pao.net

অনেক কিছু বিবেচনাতেই পক্ষীবিজ্ঞান কিংবা পরিবেশ রক্ষায় ভারতে ও বিশ্বে সলিম আলি ছিলেন নিজেই নিজের প্রতিযোগী। তার ধ্যান-জ্ঞানের চর্চায় মুখর ছিল বিশ্ব। কিন্তু একজন সলিম আলির বিদগ্ধ মস্তিস্ক সদাই বিনয়ে অবনমিত থাকতো। তোষামোদ আর আমুদে প্রশংসাবাক্য, কোনোটাই তার বিশেষ পছন্দ ছিল না। যশ-খ্যাতির চূড়ায় উঠেও মুম্বাইয়ের পালি হিলের একটি একতলা বাড়িতে নীরবে, নিভৃতে জীবন কাটিয়েছেন। সে এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি মধ্যবিত্তের বাড়ি ছাড়া সবই সুউচ্চ ভবন। কিন্তু, সলিম আলি নিজেকে রেখেছেন ধরণীর কাছাকাছি! এ ব্যাপারে তিনি একবার বলেছিলেন,

“কাজের জন্য স্বীকৃতি পাওয়া চমৎকার ব্যাপার। কিন্তু, তার জন্য আমি খুশিতে লাফাতে বা নাচতে শুরু করবো না নিশ্চয়ই! পক্ষীবিজ্ঞানের জগতে আমার কাজ অতি সামান্য। আর আমি সেখানে কুয়োতে আটকে থাকা একটি ব্যাঙ, কিংবা অন্ধদের জগতে একজন একচোখা মানুষ।”

পক্ষীবিজ্ঞানের উপর সলিম মোট ৮টি বই লিখেছেন, যেগুলোর মধ্যে ‘দ্য হ্যান্ডবুক অব দ্য বার্ডস অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান’ বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করে। বইটি প্রকাশে তাকে সহায়তা করেছেন ডিলন রিপ্লি। বিনয়ী সলিম, রিপ্লিকেও সহলেখক হিসেবে সম্মান দিয়েছেন। এই বইটি রচনা করার জন্য তিনি পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে যে পরিমাণ ভ্রমণ করেছেন, পুরো বিশ্বেই আর কোনো পক্ষীবিদ কিংবা বাস্তুসংস্থানবিদ এরকম ভ্রমণ করেছেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। ১৯৬৮-৭৪ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে ১০ খণ্ডে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় তার এই হ্যান্ডবুক অব বার্ডস। এই বিশাল গ্রন্থটি পক্ষীবিজ্ঞানে এক নতুন ধারার সূচনা করে। এর পূর্বে পর্যন্ত পক্ষীবিজ্ঞান মানেই ছিল নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পাখির শ্রেণিবিভাজন এবং কিছু ল্যাবরেটরি ভিত্তিক গবেষণা। পাখি পর্যবেক্ষণের ব্যাপারটিকে তখন নিছক সময় নষ্ট মনে করা হতো। এ ব্যাপারে একটি প্রবাদও প্রচলিত ছিল- “যার নাই কোনো কাজ, তার পাখি দেখাই কাজ!”

source: indiatoday.in

অথচ এই ‘সময় নষ্টের’ ব্যাপারটিই এখন পক্ষীবিজ্ঞানের মূল অংশ হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তন কেবল সলিম আলির জন্যই সম্ভব হয়েছে। পাখি দেখাকে একটি নিছক অলস সময় কাটানোর প্রক্রিয়া থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্রিয়ায় রূপান্তর করেছেন তিনি। তার প্রতিটি বই হাজারো ব্যবহারিক পর্যবেক্ষণের ফলাফল। পাখির বাস্স্তুসংস্থান, আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, প্রজননের মতো ব্যাপারগুলো জানতে পাখি দেখার কোনো বিকল্প নেই। সাত দশক ধরে অনবরত পাখি দেখা সলিম আলি হয়ে ওঠেন একটি ভ্রাম্যমাণ বিশ্বকোষ, পাখি বিষয়ে একটি মৌলিক বই!

সলিম আলি যখন পাখি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন পৃথিবীতে পাখির ৮,৫৮০টি স্বীকৃত প্রজাতি ছিল। এর মধ্যে ১,২০০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যেত ভারতে। কিন্তু বিজ্ঞানের অন্যান্য দিকে এক পা দু’পা করে এগোতে থাকা ভারত পক্ষীবিজ্ঞানে পিছিয়েই ছিল। পাখি দেখা বা পাখির একটি যথাযথ শ্রেণীবিভাজন করার প্রতি আগ্রহ ছিল না কারোরই। এই কাজটি শুরু করবার সাহস দেখিয়েছিলেন তরুণ সলিম আলি। তিনি ভারতীয় পক্ষীবিজ্ঞানে নিয়মতান্ত্রিক জরিপের সূচনা করলেন। ভারতকে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের ভিত্তিতে ভাগ করে শুরু করলেন তার সাত দশকব্যাপী অবিশ্বাস্য এক পর্যবেক্ষণমূলক ভ্রমণ। প্রতিকূল আবহাওয়া আর অসমতল ভূমি উপেক্ষা করে হেঁটে চললেন অমরত্বের পথে। তার পাখি প্রেমের গল্প লেখা হয়ে যায় ইতিহাসের পাতায়।

সেন্ট জাভিয়ের কলেজ; source: India.com

সলিম আলির শিক্ষাজীবনটা খুব একটা সাফল্যমণ্ডিত ছিল না। ম্যাট্রিক পরীক্ষাতেই পাস করেছিলেন টেনেটুনে। তারপর মুম্বাইয়ের সেন্ট জাভিয়ের কলেজে এক বছর পড়ালেখা করেই ড্রপআউট হন। পারিবারিক কারণে চলে যান বার্মা (বর্তমান মায়ানমার)। সেখান থেকে ৩ বছর পর, ১৯১৭ সালে ভারত ফিরে এসে আবারো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রবেশ করেন। পরের বছর, সেন্ট জাভিয়েরের ফাদার থেলবার্ট ব্ল্যাটারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান পড়া শুরু করেন। সে বছরই নিজের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়া তেহমিনাকে বিয়ে করেন সলিম। একই বছরে জীবনের দুটি নতুন অধ্যায় বেশ ভালোভাবেই শুরু করতে পেরেছিলেন তিনি।

সলিম আলির স্ত্রী তেহমিনা; source: Geni.com

প্রাণীবিজ্ঞান পড়ে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত সলিম আলি পাখি সম্পর্কে ছিলেন অত্যুৎসাহী। কিন্তু কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট না থাকার দরুন, বহুবার রিক্ত হস্তে ফিরতে হয়েছে চাকরির দুয়ার থেকে। তার মধ্যে ১৯২৫ সালে ‘জ্যুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’র পক্ষীবিদের পদটি হাতছাড়া হওয়াটাই তাকে সবচেয়ে ব্যথিত করেছিল। অবশ্য পরের বছরই ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ জাদুঘরে চাকরি পেয়ে যান। এই জাদুঘরের বর্তমান নাম ‘ছত্রপতি শিভাজি মহারাজ ভাস্তু সংগ্রহশালা’। এখানে দু’বছর কাজ করেই নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি বৃদ্ধি করতে চলে যান জার্মানিতে। বার্লিনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি জাদুঘরে নমুনা বিশ্লেষণের কাজ করেন আরো বছর কয়েক।

১৯৩০ সালে মুম্বাই ফিরে এসে আবারো চাকরির জন্য হাপিত্যেশ করতে হয় সলিম আলিকে। আদি বাসস্থান ছেড়ে তিনি স্ত্রী তেহমিনাকে নিয়ে চলে যান মুম্বাইয়ের উপকূলবর্তী শহর কিহিমে। সেখানকার ঘন অরণ্যে ছিল নানা জাতের হাজারো পাখির বাস। সলিম আলির ভেতরকার পাখি প্রেম এই শহরেই জাগ্রত হয়। আর কয়েকমাসের মধ্যেই প্রথম সাফল্য ধরা দেয়। গভীর পর্যবেক্ষণে তিনি বাবুই পাখির প্রজননের ক্রমিক বহুগামিতা আবিষ্কার করেন। তার এই গবেষণামূলক পর্যবেক্ষণই তাকে প্রথম পরিচিতি এনে দেয় পক্ষীবিদ এবং বাস্তুসংস্থানবিদগণের নিকট। এই গবেষণার উপর তিন খণ্ডে একটি বইও লিখেছিলেন তিনি।

সলিম আলি পাখি অভয়ারণ্য; source: makemytrip.com

প্রাথমিক খ্যাতির কল্যাণে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্রিটিশ গভর্নরদের কাছ থেকে সলিম আলির কাছে পাখি দেখার এবং গবেষণা করার আমন্ত্রণ আসতে শুরু করলো। সেসব আমন্ত্রণ দু’হাতে গ্রহণ করলেন তিনি। পুরো ৩০ এর দশক হায়দারাবাদ থেকে শুরু করে কোচিন, ট্রাভাঙ্কর, গোয়ালিয়র, ইন্ডোর এবং ভুপালে পাখি পর্যবেক্ষণ করে কাটিয়ে দেন সলিম আলি। এসব স্থানে তার থাকার খরচ এবং অন্যান্য সকল আনুষঙ্গিক খরচ তিনি নিমন্ত্রণকারীর পক্ষ থেকেই পেতেন। অন্যদিকে, সফল পর্যবেক্ষণের পর আয় হতো বেশ কিছু অর্থও।

১৯২৯ সালে, ‘দ্য স্টাডি অব ইন্ডিয়ান বার্ডস’ নামক একটি চমৎকার গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন বিশিষ্ট পক্ষীবিদ রিচার্ড হুইসেলার। তার এই গ্রন্থটি তখনো পর্যন্ত পক্ষীবিজ্ঞানের সেরা গবেষণাগ্রন্থ বলে অভিহিত করা হতো। কিন্তু, সলিম আলির বার্ডস অব ইন্ডিয়া প্রকাশের পর হুইসেলার নিজে সেটিকে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা দেন। শুধু তা-ই নয়, সলিম আলির কাজকে অতুলনীয় বলে অভিহিত করেন তিনি। পরবর্তিতে সলিম আর রিচার্ডের মাঝে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। উভয়ে আফগানিস্তান ভ্রমণ করেন পাখি দেখার জন্য।

হ্যান্ডবুক অব দ্য বার্ডস অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান; source: nhbs.com

শুধু পক্ষীবিজ্ঞানেই নয়, সলিম আলি অবদান রেখেছেন পরিবেশ রক্ষায়ও। ‘বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি’ নামক একটি পরিবেশ রক্ষাকারী সংগঠন ৫০’এর দশকে প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। সলিম এই সংগঠনের জন্য কলম ধরেন এবং তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর কাছে একটি চিঠি লেখেন। সলিমের চিঠিতে নেহেরু সাড়া দেন এবং সংগঠনটিকে পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব নেন। পরে এই সংগঠনের অনারারি সেক্রেটারি হিসেবে বেশ কয়েকবছর দায়িত্ব পালন করেন সলিম। এ সময় তিনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজের পাখি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি পক্ষীবিজ্ঞান নিয়ে সভা সেমিনারে বক্তৃতা দিতেন। তার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অন এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’এ একটি শক্তিশালী পক্ষীবিজ্ঞান ইউনিট সংযোজিত হয়। তাছাড়া অতিথি এবং দেশীয় পাখিদের জন্য ভারতে একাধিক পাখি অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে তার অসীম অবদান।

‘হ্যান্ডবুক অব দ্য বার্ডস অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান’ ছাড়াও সলিম আলির আরো কিছু বেশ জনপ্রিয় এবং পক্ষীবিজ্ঞানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেখা ও কাজ রয়েছে। বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির মাসিক জার্নালে তার অনেক গবেষণা খণ্ডে খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তার একটি কলাম ‘স্টপিং বাই দ্য উডস অন আ সানডে মর্নিং’ ইউরোপের প্রায় অধিকাংশ দেশের নামকরা পত্রিকাগুলোতে ছাপা হয়েছিল। পাখিদের নিয়ে সচেতনতামূলক সে লেখাটি পরে ভারতের প্রতিটি জাতীয় সংবাদপত্রেই অনুবাদ করে ছাপানো হয়। তার ‘দ্য বুক অব ইন্ডিয়ান বার্ডস’ ভারতে এবং ইংল্যান্ডেও বেস্টসেলার হয়। তার জীবনের শেষ লেখা ছিল নিজের আত্মজীবনী। ১৯৮৫ সালে ‘দ্য ফল অব আ স্প্যারো’ শিরোনামে নিজের আত্মজীবনী লেখা শেষ করেন সলিম। বইটি প্রকাশ করেন তারই শিক্ষার্থী তারা গান্ধী।

source: sbcltr

সলিম আলি ১৮৯৬ সালের ১২ নভেম্বর, ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সিতে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহ্যবাহী সুলেমানি বহরা পরিবারের বড় ছেলে মইজুদ্দিনের ৯ম সন্তান হিসেবে ভূমিষ্ঠ হন তিনি। তিন বছরের মধ্যে বাবা-মা উভয়কে হারিয়ে মামার কাছে লালিত পালিত হন তিনি। শৈশব থেকেই পশুপাখি নিয়ে তার ছিল ভীষণ আগ্রহ, ছিল পাখি শিকারের আকর্ষণ। সেই সুবাদে শৈশব থেকেই পাখির সাথে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তখন থেকেই তিনি ডায়েরি লেখা শুরু করেন। সেগুলোতে তার নিত্যদিনের কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি পাখির উপর তার নানা পর্যবেক্ষণ লিখে রাখতেন। গুরগাঁওয়ের মেডিক্যাল মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেছিলেন তিনি। তারপর সেন্ট জাভিয়েরে ভর্তি হন।

পাখি দেখছেন সলিম আলি; source: mysorenature.org

১৯১৩ সালে সলিম আলি মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় টেনেটুনে উত্তীর্ণ হন। গৎবাঁধা যেকোনো কাজের সাথে পড়ালেখাটাও তার অত্যন্ত দুঃসহ লাগতো। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় প্রবেশ করলেও পড়া আর শেষ করা হয়নি। ঘটনাক্রমে জার্মানিতে যাওয়াটাই ছিল তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার সময়। পক্ষীবিদ হিসেবে নিজের সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি পদ্মভূষণ থেকে শুরু করে সার্ক পুরস্কার, নেদারল্যান্ডের ‘প্রিন্স বার্নার্ড’ পুরস্কার সহ অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ডক্টরেট লাভ করেন। পাখি নিয়ে কাজ করে তিনি তার জীবনে যত পুরস্কার লাভ করেছেন, সেগুলোতে প্রাপ্ত মোট অর্থ ১০ লক্ষ ডলারেরও বেশি! খ্যাতি আর বিত্তের সাথে নিজের কাজের প্রতি পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি সাথে নিয়েই ১৯৮৭ সালের ২০ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সলিম আলি। পক্ষীবিজ্ঞানের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকবেন একজন পুরোধা হিসেবে।

ফিচার ছবি: artstation.com

Related Articles