Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

হ্যালোউইন ও ২০২৩-এর তিনটি ‘ব্লাডি গুড’ স্ল্যাশার!

হ্যালোউইন ফিরে আসে প্রতি বছরের ৩১ অক্টোবরে। হ্যালোউইনের আমেজ ভরপুর হয় হরর সিনেমা দিয়ে। বিশেষ করে হ্যালোউইন-নির্ভর হরর। জন কার্পেন্টারের বিখ্যাত ‘হ্যালোউইন’ সিনেমা তো রীতিমতো সেই সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা শুরু করেছিল। সেই অনুপ্রেরণায় কত যে হ্যালোউইন হরর আসলো এবং আসছে! এই নিবন্ধও তেমনি দুটি হ্যালোউইন স্ল্যাশার নিয়ে, এবং বোনাস হিসেবে আরেকটি স্ল্যাশার সিনেমা নিয়ে। এই সিনেমাগুলো যে হ্যালোউইনেই দেখা যাবে, তা না। ওগুলো তো ছোট একটি অংশ। আদতে বলা যায়, ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হররের খাতা থেকে উপভোগ্য ৩টি স্ল্যাশার সিনেমা নিয়েই এই আলোচনা।

টোটালি কিলার (২০২৩)

হরর স্ল্যাশার জনরা এবং টাইম ট্রাভেল জনরাকে একসাথে মেশালে নিশ্চয়ই দারুণ উপভোগ্য কিংবা বলা যায় ‘ওয়াইল্ড’ কিছুই হবে। এবং সেটাই হয়েছে এই ‘টোটালি কিলার’ সিনেমার ক্ষেত্রে। এই সিনেমা যে স্ল্যাশার জনরায় উদ্ভাবনী কিছু করেছে কিংবা টাইম ট্রাভেল জনরায় উদ্ভাবনী কিছু করেছে তা না। কিন্তু দুটো জনরাকে একীভূতকরণেই একটা সাবভার্সিব টোন এতে যুক্ত হয়েছে। এর আগে ‘হ্যাপি ডেথ ডে’ (২০১৭) সিনেমাটি স্ল্যাশার জনরা এবং টাইম লুপকে একত্রিত করে উপভোগ্য আর বুদ্ধিদীপ্ত সিনেমা হয়েছিল। ‘টোটালি কিলার’ সেই জায়গায় করেছে টাইম ট্রাভেল। 

গল্পে দেখা যায়, ৩৫ বছর পর নতুন করে ফিরে এসেছে হ্যালোউইনের মিথে রূপান্তরিত হওয়া সেই ‘সুইট সিক্সটিন’ নামক সিরিয়াল কিলার। সে তার শিকারকে ছুরি দিয়ে ১৬ বার আঘাত করে। তাই নাম তার সুইট সিক্সটিন কিলার। এবার সে খুন করে চপল তরুণী জেইমির মা প্যামকে। মৃত্যুর পর একটা নোট পাওয়া যায়, যেখানে কিলার ৩৫ বছর আগে লিখে গিয়েছিল- প্যামকে কোনো দিন ঠিকই খুন করতে ফিরে আসবে সে। এই নোট দেখে জেইমি আরো ভেঙে পড়ে।

এদিকে ছোট শহর আবার চঞ্চল হয়ে ওঠে সিরিয়াল কিলারের আগমনে। এর মধ্যে জেইমির এক বন্ধু স্কুলের বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষ্যে এক টাইম মেশিন আবিষ্কার করে। এবং বান্ধবীর দৃঢ় বিশ্বাস, টাইম মেশিন কাজ করবে। কাজ তো করে যখন সিরিয়াল কিলার হঠাৎ করে ছুরিটা বসিয়ে দেয় কন্ট্রোল প্যানেলে। জেইমি চলে আসে ৩৫ বছর আগে। তার মা প্যাম তখন তার সমান তরুণী। আশির দশকের সেই শান্ত শহরে কেউ জানেই না শীঘ্রই এক সিরিয়াল কিলার আসছে তিনটা খুন করতে। একমাত্র জেইমি ছাড়া। কিন্তু সেই বিশ্বাস করানো আর কিলারের পরিচিতি বের করতে গিয়েই এক মজার ঘেরাটোপে আটকে এগোয় সিনেমা। 

বিখ্যাত সিনেমা ‘ব্যাক টু ফিউচার’ আর ‘স্ক্রিম’-এর সম্মিলিত রূপ এই ‘টোটালি কিলার’। সেটার রেফারেন্স সরাসরি, সিনেমাতেই দেওয়া হয়েছে অবশ্য। বলেছিলাম, এই সিনেমা দুটো জনরাকে একীভূতকরণের মধ্য দিয়েই সেই রস তৈরি করেছে। এবং সেই রস রসালো হয়েছে চিত্রনাট্যে দুটো সময়ের পার্থক্যকে নুয়্যান্সের সাথে তুলে ধরায়। খুব ছোট ছোট এই বিবরণগুলোর জন্যই চিত্রনাট্যটি এমন চতুর, সরস আর বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে উঠেছে। জেইমির সময়টা ছিল বর্তমানে অর্থাৎ, পলিটিক্যাল কারেক্টনেস আর ‘ওক’ প্রজন্মের যুগ। সেখান থেকে জেইমি গিয়েছে আশির দশকে, যখন এই কারেক্টনেস আর ওকের প্রাদুর্ভাব ছিল না। তো আনওয়ান্টেড টাচ, রেসিজম, রেইপ এলার্টসহ নানা ঘটনা বা পরিস্থিতিতে জেইমির মুখ দিয়ে এই শব্দগুলো বলানোর মাধ্যমে রসিক আবহটা অক্ষুণ্ণ থাকার পাশাপাশি দুটো সময়ের পার্থক্যও সুন্দরভাবে দৃষ্টিগোচর করে তোলা হয়।

সেই সুইট সিক্সটিন কিলার; Image Source: IGN

একটি দৃশ্যে দেখা যায়, জেইমি অতীতে গিয়ে অবাক হয় এটা জানতে পেরে যে, এই ছোট্ট শহরের সবাই সবাইকে চেনে। এই দৃশ্য দিয়ে কোনোরকম মেদ ছাড়া ব্রিলিয়ান্টলি আশির দশকের সমাজের ‘সামষ্টিকতা’র বিপরীতে এই সময়ের সমাজের ‘বিচ্ছিন্নতা’র দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আবার জেইমি যখন ডিএনএ টেস্ট করে খুনীকে ধরবার কথা বলে, তখন ওদের হা করে থাকবার দৃশ্য দিয়ে প্রযুক্তির অগ্রগতির ব্যাপারও ধরা হয়েছে। এই সংযুক্তিগুলো আকারে ক্ষুদ্র, কিন্তু মনোযোগ এবং সচেতনভাবে দেওয়ার ফলে ও উপযুক্ত পরিস্থিতিতে চতুরতার সাথে সঠিক সময়ে প্লেস করার ফলে মজা যেমন পুরোপুরিভাবে ছিল, তেমনি চিত্রনাট্যও তার নুয়্যান্সিটি দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করলো। 

নাহনাচকা খানের পরিচালনাও, চিত্রনাট্যের মতো সমভাবে সরস। অত্যন্ত সুমসৃণ তার বয়ানভঙ্গী। রসবোধপূর্ণ আর তীক্ষ্ম সংলাপ হলে হরর-কমেডি সিনেমা আরো জমে যায়। এবং সেগুলো ভিজ্যুয়ালি যথাযথভাবে অনুবাদ করার ব্যাপারও থাকে। নাহনাচকার প্লেফুল ভিজ্যুয়ালে তা আছে। স্ল্যাশার সিনেমার প্রত্যেকটি অলংকারকেই এত যত্নের সাথে ব্যবহার করেছেন তিনি! যার কারণে নতুন না হলেও সতেজ একটি ভাইব এই সিনেমা তার টেক্সট অর্থাৎ চিত্রনাট্য এবং ভিজ্যুয়ালে দেয়। যত্রতত্র নেগেটিভ স্পেসের ব্যবহার নেই ভিজ্যুয়ালে/ একটা ফ্লুইডিটি আছে। কুইক কাটসমৃদ্ধ গতিময় সম্পাদনা বাকি চনমনে ভাবটা ধরে রেখেছে। আর প্রধান চরিত্রে কিয়েরনান শিপকা তো আছেনই কমনীয়তা ছড়াতে। 

‘টোটালি কিলার’ সমাপ্তিতে গিয়ে তার এই মজাদার আইডিয়ার পূর্ণ ফায়দা ওঠাতে একটু ব্যর্থ হয়। কিংবা বলা যায়, নিজেই একটু দ্বিধান্বিত হয়ে যায়, গল্পটাকে ল্যান্ড করা যায় কোথায়/কীভাবে; তা নিয়ে। তবে ফাইনাল গার্ল বলে পরিচিত স্ল্যাশার অলংকারকেও সুন্দর সাবভার্ট করেছে এই সিনেমা। আর এই সমস্যা ঝোলায় জমা রাখলে আশির দশকের স্ল্যাশার এবং সাইফাই উভয় জনরার একটা বুদ্ধিদীপ্ত, আমোদপূর্ণ আধুনিক সংস্করণ ‘টোটালি কিলার’।

টোটালি কিলার সিনেমার পোস্টার; Image Source: Amazon

ডার্ক হারভেস্ট (২০২৩)

হ্যালোউইনের আরেকটি উপভোগ্য স্ল্যাশার এবং ফ্যান্টাসি-হরর জনরার সিনেমা হলো ‘ডার্ক হারভেস্ট’। ‘দ্য লস্ট বয়েজ’ (১৯৮৭) এবং ‘চিলড্রেন অফ দ্য কর্ন’ (১৯৮৪)-এর অ্যামালগ্যামেশন হলো এই সিনেমা। ছোট শহরের গল্প। তবে ‘দ্য লস্ট বয়েজ’-এর ভ্যাম্পায়ার সাবজনরার জায়গায় এখানে ফ্যান্টাসি যোগ করা হয়েছে। আর ‘চিলড্রেন অফ দ্য কর্ন’-এর ভাইব তো সেটিং আর ছোট শহরের ছেলেমেয়েগুলোর বাবা-মায়েদের অদ্ভুত আচরণে আছেই। শুরুতেই দেখা যায়, এক শস্যক্ষেত থেকে ধীরে ধীরে উঠছে কিম্ভূতকিমাকার এক আকৃতি। এই প্রাণী গোটা শহরে পরিচিত স-টুথ জ্যাক নামে। প্রতি হ্যালোউইনে শস্যক্ষেতে জেগে ওঠে সে, আক্রোশ নিয়ে। সারা শহরে তাণ্ডব চালায় সে। তরুণদের একে একে খুন করে।

তাই শহরকে বাঁচাতে প্রতিবছর ‘হারভেস্টার গিল্ড’ নামক এক রহস্যময় প্রতিষ্ঠান আয়োজন করে প্রতিযোগীতার। হ্যালোউইনের রাতে সব তরুণ মিলে বের হবে স-টুথ জ্যাককে মারতে। আর বিজয়ীকে দেওয়া হয় গাড়ি, টাকা এবং বড় শহরে পড়ালেখা করার সুযোগ। তাই বাবা-মায়েরা সন্তানকে হারানোর বিপদ জেনেও তাদের ছেলেদের পাঠায় ‘পুরুষ’ হয়ে আসতে। প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে সাহসী হতে। কিন্তু কেউই জানে না, এই গোটা আয়োজন, এমনকি স-টুথ জ্যাকের প্রতি হ্যালোউইনে জেগে ওঠার পেছনে রয়েছে অন্য রহস্য। এমনকি হারভেস্টার গিল্ডের উদ্দেশ্যও অনেক বেশি ভয়ানক। এই সবই শহরটিকে ঘিরে রাখা ভয়ঙ্কর এক অন্ধকারের অংশ।

‘ডার্ক হারভেস্ট’ পুরোপুরি আশির দশকের জনরা থ্রোব্যাক। সেটিং থেকে শুরু করে গল্পের গঠনবিন্যাস যেভাবে করা হয়েছে, তাতেই আশির দশকের ভাইব স্পষ্ট। পরিচালক ডেভিড স্লেইড শুরু থেকেই তার ফিল্মমেকিং স্টাইলকে রেখেছেন স্ট্রেইটফরোয়ার্ড। এবং তার কুল অ্যাস্থেটিকের ইমেজারি সামগ্রিক বাতাবরণকে করেছে আরো নিগূঢ় এবং আকর্ষণীয়। ছোট শহর, টিনেজ ক্লাব, যুবক বয়সের উদ্দামতার মাঝে লোককথা; আর ওই লোককথাকেই শেষাবধি যে ফ্যান্টাস্টিক একটা বড় স্পেসে রাখা হয়েছে; এই গোটা জিনিসেই একটা সুরিয়াল ভাব আছে। অমন অ্যাস্থেটিকের জন্যই এই ভাব আরো বেশি অনুভূত হয়। হ্যালোউইনের রাতে শহরের সব ছেলে যেভাবে দৌড়ে বেড়ায়, এবং একটা বিশৃঙ্খল, উত্তেজনাময় অবস্থার সৃষ্টি করে- ওই গোটা দৃশ্য পুরোপুরি স্বপ্নীল একটা কোয়ালিটিতে ভরপুর। একটা স্মৃতিমেদুরতার টান পাওয়া যায় কোথাও গিয়ে। সেই সাথে দারুণ আবহসঙ্গীত তো আছেই। এবং শেষে গোটা ব্যাপারটা যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তা খুবই অপ্রত্যাশিত।

তবে চিত্রনাট্যটা আরো তল রেখে লেখা গেলে, বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে পড়তো না। গোটা শহরের চিত্রটা ভিজ্যুয়ালি বেশ স্পর্শনীয় জায়গায় পৌঁছালেও টেক্সটে দ্বিধাপূর্ণ একটা জায়গায় থাকে। কারণ, আরো বিবরণে যাওয়া হয়নি। এবং ভিজ্যুয়ালি আরো নানা কিছুর চিত্রায়ন না করে, সংলাপে এই লোককথা এবং সবকিছু সম্পর্কে খুব অনায়াসে, অল্প কথায় বলে দেওয়া হয়েছে। যেন তাড়াহুড়ো আছে। এসব এড়ানো গেলে সিনেমাটি আরো বাস্তবিক গ্রাউন্ডে থাকতো, ফ্যান্টাসিটা ফ্যান্টাসির মতো করেই মেনে নেওয়া যেত- প্রশ্ন না তুলে। তবে ডেভিড স্লেইড সম্ভবত ওই ‘স্বপ্নীল বাতাবরণ’-এর জায়গাতেই থাকতে চেয়েছেন। এবং এসব বাদ দিলে গল্প, আবহ, জনরার জন্য যথাযথ ক্রাফটম্যানশিপ দেখানো এই সিনেমা উপভোগ্যই। বিশেষ করে, হ্যালোউইনের এই সময়ে।

ডার্ক হারভেস্ট-এর পোস্টার; Image Source: Screenrant

দ্য র‍্যাথ অফ বেকি (২০২৩)

জনরা সিনেমার সিক্যুয়াল ভালো হওয়াটা যেহেতু রেগুলার ব্যাপার না, তাই ভালো হলে মজা বেড়ে যায়। ‘বেকি’ (২০২০) সিনেমার সিক্যুয়াল ‘দ্য র‍্যাথ অফ বেকি’ (২০২৩) তার প্রিডেসেসরের মতোই উপভোগ্য। পিওর জনরা ফান। এবং এটা দেখে বলাই যায়, বেকি ‘জন উইক’-এর মেয়ে হবার যোগ্য! ওটার হোমাজ সরাসরিই আছে। আগের সিনেমায় বেকির ঘরে আক্রমণ করেছিল চার নিও-নাৎসি। এবং ১৩ বছরের এক মেয়ে তার উদ্ভাবনী সব পার্লার ট্রিক কাজে লাগিয়ে, যেভাবে এই চারজনকে ঘায়েল করেছিল- সেটাই ছিল সিনেমার সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক দিক।

এবারের গল্প ঠিক তার তিন বছর পর থেকে। বেকি যেহেতু এখনও সাবালিকা হয়নি, তাই দত্তক পরিবারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে থিতু হয়েছে এক একাকী বুড়ির ঘরে। বেকির ভায়োলেন্ট কর্মকান্ডের জন্যই কারো বাসায় সে থাকতে পারেনি। তবে এই মহিলা জাজমেন্টাল না, তাই জুটি জমে যায়। পার্টটাইম কাজ করে পার্শ্ববর্তী ডাইনারে। সেখানেই সংঘর্ষ হয় এক উগ্রপন্থী দলের তিন সদস্যের সাথে। শহরে বড় এক হামলার পরিকল্পনা করেছে। তিন উগ্রবাদী বেকির বাসায় গিয়ে মেরে ফেলে তার দত্তক মাকে। তবে তার চেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার, তুলে নিয়ে যায় তার প্রিয় কুকুরকে! ব্যস… বেকিকে আর পায় কে! বেকির বয়স এখন ১৬। ভেতরে ক্রোধ আরো বেশি করে জমেছে। পার্লার ট্রিক ফেলে, এবার সত্যিকার এবং আক্ষরিক অর্থেই ভয়ানক হয়ে উঠেছে সে।

দ্য র‍্যাথ অফ বেকি সিনেমার পোস্টার; Image Source: IGN

আগের গ্যামাটটাই পূর্ণ করেছে ‘দ্য র‍্যাথ অফ বেকি’, তবে এই উইটকে দারুণ রকম ধারালো রেখে, ভায়োলেন্সকে অভিঘাতী রেখে। এই সিরিজের দুটো সিনেমারই ভালো একটা ব্যাপার হলো, জনরা সিনেমা হলেও ভায়োলেন্সকে ননসেন্সিক্যাল ভাবে আনে না। যথেষ্ট ড্রামা তৈরি করে আনা হয়। এবারের গল্পে ছোট ছোট কিছু বাঁকবিভঙ্গও আনা হয়েছে। আগের চেয়ে একটু জটিল করার চেষ্টা করা হয়েছে, একই লাইনে আর টোনে থেকেই। আর লুলু উইলসন তো অবিশ্বাস্য এমন চরিত্রে। ‘স্ল্যাশার কুইন’ হবার সব গুণাগুণ আছে। প্রচণ্ড এনার্জিতে ভরা তার অভিনয়। এবং শেষটা আবারও বেকির বিদ্রূপাত্মক হাস্যরসকে সুস্পষ্ট করে তোলে। বেকি তো এবার পৌঁছে গেছে আরো জায়গায়। শেষের টাইটেল বলে দিয়েছে, এই ফ্র‍্যাঞ্চাইজির পকেটে মজা দেবার উপাদান এখনও কিছু বাকি আছে।

This Bengali article is a compiled review of 3 must watch horror-slasher films of 2023.
Feature Image: IGN

Related Articles