Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

আহমদ ছফার ‘অলাতচক্র’ যখন প্রেক্ষাগৃহে থ্রিডিতে: কেমন হলো?

মুক্তিযুদ্ধের ব্যতিক্রমী এক পটভূমিতে রচিত আহমদ ছফা’র বিখ্যাত উপন্যাস ‘অলাতচক্র’ অবলম্বনে, হাবিবুর রহমান পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘অলাতচক্র’ মুক্তি পেলো গত ১৯ মার্চ।

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এ ছবিটির শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন জয়া আহসান, আহমেদ রুবেল, আজাদ আবুল কালাম-এর মতো বাঘা বাঘা অভিনয়শিল্পী। দেশের স্বাধীনতার অর্ধশত বার্ষিকীর ঠিক প্রাক্কালেই প্রেক্ষাগৃহে এলো বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম থ্রিডি সিনেমাটি। 

Image Source: অলাতচক্র ট্রেইলার

ছবিটির নির্মাণকাজ অবশ্য শুরু হয়েছিল প্রায় বছর দুয়েকেরও কিছু সময় আগে। ফলে মুক্তির জন্য উপযুক্ত মঞ্চ পেলেও কিছুটা তো বিলম্ব হয়েছেই বৈকি।

এ বিলম্ব অবশ্য ছবিটির জন্য শাপেবর-ই হয়েছে! কেননা, একে তো মুক্তিযুদ্ধের ছবি, তার ওপর কিংবদন্তি আহমদ ছফা ও অভিনয়শিল্পীদের নামের ভারেই ছবিটি নিয়ে এই পুরোটা সময়েই চারিদিকে আলোচনা ছিল তুঙ্গে।

কী ছিল মূল উপন্যাসে?

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ যাবত নির্মিত প্রায় সকল ছবিতেই যুদ্ধ পরিস্থিতি, সম্মুখ সমর, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জীবন, পাকিস্তানিদের বর্বরতা – এসবই প্রাধান্য পেয়েছে। সে তুলনায় আহমদ ছফার মূল উপন্যাসটির প্লট একেবারেই আলাদা।

যুদ্ধের সময় ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের অনিশ্চয়তায় মোড়া দুর্বিসহ জীবনের পাশাপাশি দেশ থেকে পালিয়ে আসা রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক পদধারীদের একাংশের আমোদ-ফুর্তির অদ্ভুত এক কনট্রাস্ট আছে আহমদ ছফার উপন্যাসটিতে।

এই কনট্রাস্ট যদি হয় ব্যাকগ্রাউন্ড, তবে গল্পের ফোরগ্রাউন্ডে ছিল দানিয়েলের ছন্নছাড়া জীবনে টিকে থাকার লড়াই এবং তার বিপরীতে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তায়েবার বেঁচে থাকার লড়াই। সেই সাথে দুজনার প্রতি দুজনের দ্বিধামিশ্রিত সূক্ষ্ম কোনো অনুভূতি!

গল্পে আরো ছিল তায়েবার প্রতি কিছুটা আকৃষ্ট ভারতীয় বাঙালি ডাক্তার মাইতিবাবু। ছিল তায়েবার ছোটবোন ডোরা আর ঘটনাক্রমে তার স্বামী বনে যাওয়া প্রৌঢ় জাহিদুল। সেই সঙ্গে ভাগ্যাহতের আশ্রয় ‘উদয়ন বোর্ডিং’-এর মাস্টার নরেশের সাথে একঝাঁক বাংলাদেশি তরুণও ছিল। 

এইসব চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, পরিস্থিতি ও অনুভূতির প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে প্রত্যেকের সংগ্রামই এ উপন্যাসের সার। উপন্যাসটি নিয়ে আরো বিস্তারিত পড়তে চাইলে ক্লিক করুন এই লিংকে

কেমন ছিল হাবিবুর রহমানের ‘অলাতচক্র’?

সিনেমাটি মুক্তির একদিন আগে স্পেশাল প্রিমিয়ারে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত নির্মাতা অমিতাভ রেজা। হলে বসে সিনেমাটি দেখবার পর রোর বাংলা-র কাছে অকপটে বললেন,

সাহিত্য আর চলচ্চিত্র কোনোদিন তুলনা করা সম্ভব না। দুটো আলাদা আলাদা মিডিয়াম। ফলে, যেটা আমরা দেখলাম, সেটা আহমদ ছফা’র নয়, বরং হাবিবুর রহমানের অলাতচক্র।

যথার্থ! দুই মাধ্যমের ভাষা আলাদা বিধায় অলাতচক্র সিনেমাটিও যথারীতি তার নিজের মতো করেই এগিয়েছে।

বইয়ে ঘটনাবলির ন্যারেশন অর্থাৎ কথনটি ছিল উত্তম পুরুষে এবং কথক ছিলেন স্বয়ং লেখক, উপন্যাসে যার নাম দানিয়েল।

Image Source: অলাতচক্র ট্রেইলার

সিনেমাটিতে অবশ্য- কোনো চরিত্র কর্তৃক ন্যারেশন যেমন ছিল না, তেমনি কোনো একক চরিত্রের চোখ দিয়েও পুরো ঘটনাবলি দেখানো হয়নি। যদিও স্ক্রিনে উপস্থিতির নিরীখে তায়েবা চরিত্রটি কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করেছে, যার ভূমিকায় ছিলেন জয়া আহসান।

উপন্যাসের দানিয়েল চরিত্রটির নাম এ সিনেমায় ‘আহমেদ’। বাকি চরিত্রগুলোর ক্ষেত্রে অবশ্য নামগুলো অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে।

যা-ই হোক, সিনেমাটি মূলত আবর্তিত হয়েছে দুইটি স্থানের ওপর। লিউকেমিয়া আক্রান্ত তায়েবা কলকাতার যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন- সে হাসপাতাল এবং শহর কলকাতায় আহমেদের অস্থায়ী নিবাস ‘উদয়ন বোর্ডিং’।

ফলত যা হয়েছে তা হলো, পূর্বে উল্লিখিত ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’-এর বদলে মূল উপন্যাসের ফোরগ্রাউন্ডটি-ই সিনেমাটিতে সর্বেসর্বা ছিল। সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্য, রাজনীতিক বা আমলাদের ক্রিয়াকলাপ বা চরিত্রগুলোর ফ্ল্যাশব্যাক অনুপস্থিত ছিল।

এর বদলে সিনেমাটি ছিল কিঞ্চিত ছোটগল্পের মতন এবং কিছুটা থিয়েট্রিক্যাল ধাঁচে। গল্পটিকে বড় ক্যানভাসে আঁকবার বদলে পরিচালক একটি খণ্ডিত সময়কাল বেছে নিয়েছিলেন এবং সেখানেই খুব নিরেট পরিণতি ছাড়া গল্পটিকে শেষ করেছেন। 

যে সময়টিকে পরিচালক দেখাতে চেয়েছিলেন, সে সময়টিকে একশব্দে বিশেষায়িত করতে চাইলে যে শব্দটি বলতে হবে, তা হলো ‘অনিশ্চয়তা’। 

মনে হয়েছে, সেই অনিশ্চয়তার অস্বস্তিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পরিচালক গল্পের ডালপালা বিস্তার আর পরিণতি দেবার বদলে চরিত্রগুলোর ‘আন্তঃ’ ও ‘অন্তঃ’ দ্বন্দ্ব ও সময়ের সংকটকে মনস্তাত্ত্বিক উপায়ে দৃশ্যায়নেই বেশি জোর দিয়েছেন।

Image Source: অলাতচক্র ট্রেইলার

উদয়ন বোর্ডিংয়ে নরেশদা’র আশ্রয়ে থাকে আহমেদ। সেই বোর্ডিংয়ে যারা থাকে, বয়সটা তাদের যুদ্ধে যাওয়ার মতোই ছিল। কিন্তু তারা সেটি পারেনি, যেমনটা পারেনি আহমেদ।

ট্রেনিংয়ের লোকেরাই অবশ্য আহমেদকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, তার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য কোনোভাবে ভূমিকা রাখতে বলেছিল। ওদিকে বোর্ডিংয়ের বাকিদের ক্ষেত্রে গল্পটি কী, সেটি পরিচালক বলেননি। 

কিন্তু বোর্ডিংয়ের তরুণেরা মিলে যখন মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকের মহড়া দেন শরণার্থী শিবিরে শো করার উদ্দেশ্যে, তখন তাদের মধ্যেও দেখা দেয় আহমেদের মতোই দ্বিধা ও আক্ষেপ, যুদ্ধে না যাওয়ার গ্লানি।

কিন্তু পরক্ষণে তাদেরই একজনের উপলব্ধি-

যুদ্ধের পেছনে এ আরেক যুদ্ধ চলছে।

হতাশায় মুষড়ে পড়া শরণার্থীদের কাছে এইসব প্রতিবাদী নাটকের স্পৃহা কিংবা এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্রও চরমভাবেই আশার সঞ্চার করতো। নিজের বুকের আগুনে খানিক ছাইচাপা দিয়ে অন্যকে উজ্জীবিত করার সংগ্রামটাও তো আরেক যুদ্ধই! 

ভাতে তেলাপোকা পেয়ে বোর্ডিংয়ের একজন একটু গাঁইগুঁই করেছিলেন। বিপরীতে সেই ‘বাঙাল’ বোর্ডারকে চড় মেরে বাস্তবতায় জমিনে নামিয়ে আনেন বোর্ডিংয়েরই ভারতীয় বেয়ারা কাম বাবুর্চি। 

নিজে না খেলে না খাও, অন্যের রুচি নষ্ট করো ক্যান?

বিপদের দিনে এক গরিব আরেক গরিবের বাড়িতে বোঝা হয়ে যখন আশ্রয় নেন অনির্দিষ্টকালের জন্য, তখন প্রত্যাশা ও পাওয়ার সীমাহীন তফাতটা মেনে নিতেই হয়। আত্মমর্যাদার প্রশ্নে এ-ও তো এক যুদ্ধ!

একদিকে শহর কলকাতায় দুর্বিসহ জীবনের গ্লানি, অন্যদিকে সেসবকে ছাপিয়ে বোর্ডিংয়ের লোকেদের কণ্ঠে ‘এত কিছু সহ্য করেও সংগ্রামে সহায়তা’ করার জন্য কলকাতাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই কনট্রাস্টও আছে একই দৃশ্যে। 

একদিকে নরেশদা স্বপ্নালু চোখে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন- দেশভাগের মতো এবার আর ধর্মকে ঢাল করে অরাজকতা হবে না!

আরেকদিকে, তাকে নিরস্ত করে একজন বলে, 

যেভাবে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসছি দেশ থেকে, আপনার কথাগুলো রূপকথা ছাড়া কিছুই মনে হয় না!

আশা ও হতাশার চিরন্তন দ্বন্দ্ব।

মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের আরেকটি ক্ষেত্রস্থল ছিল হাসপাতাল। 

আলো জ্বালবার চেষ্টায় যুঝতে থাকার দৃশ্যে তায়েবা আসলে প্রতিনিধিত্ব করেছে যুদ্ধের ঐ ক্রান্তিকালীন সময়টারই। 

একদিকে শরণার্থী জীবনের আত্মকথা এক পাতা লিখতে দশ পাতা ছিঁড়ছে আহমেদ। ঠিক অন্যদিকেই ভালোবাসার চিঠি লিখে সেটিকে শত টুকরো করছে তায়েবা।

একদিকে আহমেদের মুখে অর্চনার কথা শুনতে চাওয়ার মধ্য দিয়ে দেখা যায় তায়েবার ভালোবাসামাখা ঈর্ষা, অন্যদিকে তায়েবার মুখে আহমেদের গুণকীর্তনে ডা. মাইতিরও ঠিক একই ধরনেরই প্রতিক্রিয়া!

মনে হলো এখানে দেখলাম চিরন্তন প্রেমের দ্বন্দ্বের দৃশ্যায়ন।

Image Source: অলাতচক্র ট্রেইলার

সব মিলিয়ে এই অলাতচক্র ঠিক যুদ্ধের সময়টিকে নয়, বরং ধরতে চেয়েছে সেই সময়ে শরণার্থী হয়ে কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া কিছু পরস্পর সম্পর্কযুক্ত মানুষের অনুভূতিকে, স্বপ্নকে, হতাশাকে, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বকে।

সংলাপগুলো বেশ ভালো হয়েছে। শব্দের কাজ করেছেন রিপন নাথ, তিনি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। অবশ্য পার্শ্বচরিত্রগুলোর ডাবিংয়ের কাজ কয়েকবার চোখে লেগেছে, মনযোগ দিয়ে দেখার কারণেই হয়তো।

দরাজ কণ্ঠের জন্য আহমেদ চরিত্রে আহমেদ রুবেল ও ডা. মাইতি চরিত্রে অভিনয় করা আজাদ আবুল কালাম আগে থেকেই বিখ্যাত। এ সিনেমাটিতেও সেই জাদুকরি কণ্ঠস্বরের ঝলক আছে। আহমেদের সংলাপগুলো দর্শক নিশ্চয়ই বিশেষভাবে উপভোগ করবেন আহমেদ রুবেলের কণ্ঠের জন্য।

অভিনয়ের দিক থেকেও প্রধান তিন চরিত্রাভিনেতা লেটার পেয়েই পাশ করবেন। কিন্তু মনে হয়েছে, পার্শ্বচরিত্রগুলোর আরও ভালো করবার সুযোগ ছিল। বিশেষত, গুরুত্বপূর্ণ নরেশদা’র চরিত্রটিতে যিনি অভিনয় করেছিলেন, তার মুখে সংলাপগুলো কিঞ্চিত আরোপিত মনে হচ্ছিল।

সিনেমাটোগ্রাফি বিষয়টি সিনেমার শেষপর্যন্ত খেয়াল করতে গিয়ে যা উপলব্ধি, তা হলো- জানালার শিকের বাইরে বা ভেতরে মূল চরিত্রগুলোকে বারবার দেখানোর পাশাপাশি দেয়ালের প্যানশটও বারবার দেখানো হচ্ছিল। দৃশ্যগুলোর ভাবগত প্রয়োজনে সেটি প্রাসঙ্গিক ছিল বলেই মনে হয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে প্রশংসাটা একটু বিশেষভাবেই করতে হয়, এক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কৃতিত্ব চিত্রগাহক মাজাহারুল রাজুর। 

যেটি কিছুটা চোখে লেগেছে, সেটি ক্যামেরার ধীরগতি! বিশেষত তায়েবা ও আহমেদের দুটো আলাদা আলাদা শুয়ে থাকার দৃশ্যে তাদের বিশেষ কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে!

গানগুলো বেশ ভালো হয়েছে। বিশেষ করে “আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার”-এই রবীন্দ্রসঙ্গীতটি। গেয়েছেন কৃষ্ণকলি ইসলাম ও তার মেয়ে অমৃতাঞ্জলী শ্রেষ্ঠেশ্বরী। 

কস্টিউম ও লোকেশন নিয়ে যারা কাজ করেছেন, তাদের তারিফ করতেই হয়। সিনেমাটির গল্পে কলকাতার কথা বলা হলেও সেটগুলো কিন্তু বাংলাদেশেই সাজানো হয়েছিল। 

হাসপাতাল অংশের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল ময়মনসিংহের সূর্যকান্ত কালাজ্বর রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। আর বোর্ডিংয়ের অংশ ধারণ করা হয়েছিল ঢাকার নারিন্দায় অবস্থিত বেগম পত্রিকার সম্পাদক প্রয়াত নূরজাহান বেগমের বাড়িতে। 

একাত্তরের সময় ও কলকাতার আবহ- দুটো দিক থেকেই লোকেশনগুলো একদম খাপে খাপ মানিয়ে গেছে। 

Image Source: Habibur Rahman

চিত্রনাট্য কিছুটা মন্থর হলেও মুক্তিযুদ্ধের ভিন্নধর্মী একটি পটভূমিকে তুলে ধরেছে সিনেমাটি। এদিকে থ্রিডি হওয়াটাও বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে দর্শকের দেখবার অভিজ্ঞতায়। সেই সঙ্গে মূল অভিনয়শিল্পীরাও উজাড় করে অভিনয় করেছেন। সরকারি অনুদান ছিল, তবে বোঝা গেছে, বাজেট স্বল্পতা সত্ত্বেও বেশ পরিপাটি একটি নির্মাণকাজ হয়েছে।

ফলে হলে গিয়ে টিকেট কেটে একবার দেখেই নিতে পারেন ‘অলাতচক্র’।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, কক্সবাজার, গাজীপুর ও নারাগঞ্জের মোট ১৭টি হলে একযোগে চলছে সিনেমাটি। ঠিক বাণিজ্যিক ধারার নয় বলেই হয়তো হলগুলোতে দীর্ঘ সময় সিনেমাটি থাকার সম্ভাবনা কম। তাই হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে চাইলে দ্রুতই দেখে ফেলুন। 

সেইসাথে ২৬ মার্চ মুক্তি পেতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত, তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ও পরিমনি, রওনক হাসান, জাকিয়া বারী মম, শ্যামল মাওলা অভিনীত ছবি ‘স্ফুলিঙ্গ’। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বাধীনতার মাসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাধিক সিনেমা আসার এই ব্যাপারটিকেও ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন সিনেমাপ্রেমীরা।

This article is a review of the 3D cinema Alatchakra, directed by Habibur Rahman.

Related Articles