চলচ্চিত্রযাত্রা: তারেক মাসুদের কলমে সংস্কৃতির পালাবদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-র কাছে ভিসি চত্বরের সামনে দিয়ে গেলেই চোখে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে থাকা সাদা মাইক্রোবাসটি। ‘কাগজের ফুল’ এর লোকেশন দেখে ফেরার পথে যে মাইক্রোবাসটি ক্যামেরা দিয়ে গল্প লেখা এক লেখককে স্তব্ধ করে দেয় চিরকালের মতো। ‘মাটির ময়না’ রানওয়েতেই মুখ থুবড়ে পড়ে। সেলুলয়েডের আকাশে ‘মুক্তির গান’ দেখা হয় না আর। হতভাগ্য মানুষটির নাম তারেক মাসুদ। হতভাগ্য আসলে কে? তিনি নাকি এদেশের সংস্কৃতিমঞ্চ- সেই আলোচনা না করাই সমীচীন।

‘কাগজের ফুল’ সিনেমার লোকেশন দেখছেন তারেক মাসুদ; Image source: বই – চলচ্চিত্রযাত্রা

জন্ম-শৈশব-বেড়ে ওঠা

তারেক মাসুদের জন্ম ফরিদপুরের ভাঙা জেলার নূরপুর গ্রামে। বাবা মশিউর রহমান মাসুদ এবং মা নুরুন নাহার মাসুদ। তার শিক্ষাজীবন শুরু মাদ্রাসায়। ভাঙ্গা ঈদগা মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকার লালবাগের একটি মাদ্রাসা থেকে তিনি মৌলানা পাস করেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। এরপর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ছয় মাস পড়াশোনার পর বদলি হয়ে নটর ডেম কলেজে যান এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ক্যামেরায় হাতেখড়ি

১৯৮২ সালের শেষদিকে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে তারেক মাসুদ প্রথম প্রামাণ্যচিত্র আদম সুরত নির্মাণ শুরু করেন।১৯৮৯ সালে আদম সুরত-এর কাজ শেষ হয়। ১৯৯৬ সালে নির্মাণ করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক সিনেমা মুক্তির গান, যেটি বাংলাদেশে সেসময়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। ২০০২ সালে তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মাটির ময়না মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রচুর আলোচিত হয়। কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টর্স’ ফোর্টনাইটসহ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড পায় সিনেমাটি। ২৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার পুরস্কার লাভ করে সিনেমাটি। গোল্ডেন স্টারের মনোনয়ন ও কেরালা চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন ক্রো ফিজেন্ট পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায় সিনেমাটি। এছাড়া এটি বাংলাদেশ থেকে অস্কারে পাঠানো বাংলা ভাষার প্রথম সিনেমা এবং বাংলাদেশি দ্বিতীয় সিনেমা। প্রথম সিনেমাটি পাকিস্তানী ভাষার জাগো হুয়া সাভেরা।

২০০৬ সালে তারেক মাসুদ নির্মাণ করেন অন্তর্যাত্রা এবং ২০১০ সালে রানওয়ে। ২০১১ সালে কাগজের ফুল সিনেমার কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজটি শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। এই সিনেমাটি মাটির ময়না-র প্রিক্যুয়েল ছিলো।

বাংলাদেশের বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠন শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। ১৯৮৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। তাছাড়া চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ফোরাম এবং আয়োজনের সংগঠক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

 ‘আদম সুরত’ এর চিত্রগ্রহণের সময় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর; Image source: বই – ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’

শুরুর কথা

তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ চেষ্টা করলেন তারেক মাসুদের প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার, চিত্রনাট্যগুলো নিয়ে সংকলন বের করতে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আরও কিছু মানুষের সহায়তায় শুরু করলেন সেই লেখাগুলো একত্রিত করার কাজ। একত্রীকরণের পর তারা চারটি পর্বে সেগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নেন। এই লেখাগুলোর মলাটবন্দি প্রথম পর্বের নাম ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’। এই বইতে রয়েছে সিনেমা নিয়ে তারেক মাসুদের কিছু আত্মস্মৃতি এবং চলচ্চিত্রের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ নিয়ে তার কিছু ভাবনা।

নিজের গল্প

বইটির প্রথম অংশটুকু আত্মকথন জাতীয়। এখানে লেখক নিজের কথা বলেছেন। সিনেমা বানাতে গিয়ে যেসব ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছেন, যেসব সাফল্য পেয়েছেন- সবকিছু নিয়েই অকপট স্বীকারোক্তি ছিলো তার।

মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা এই মানুষটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার আগপর্যন্ত সিনেমা দেখেননি কোনো। সর্বপ্রথম দেখলেন ‘পথের পাঁচালী’, তা-ও ১৬ মিলিমিটার প্রজেক্টরে। এরপরই ভূত চেপে বসলো সিনেমার। মৃত্যু পর্যন্ত জিনিসটি রয়ে গেলো সাথেই। বানালেন বেশ কিছু অসাধারণ সিনেমা, যেগুলো নিয়ে এখনও আলোচনা হয়।

‘মাটির ময়না’ নিয়েও তারেক মাসুদের আক্ষেপের কথা আছে বইয়ের কিছু অংশে। কান-এ যখন সিনেমাটি অত্যন্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিক্স অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছে, দেশে সিনেমাটি তখন নিষিদ্ধ করে রাখা হয়। সিনেমাটি লণ্ডন ও ভারতে মুক্তি পায়, এডিনবার্গ ও মারাকেশ আন্তজার্তিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়, দেখানো মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট-এর মতো সম্মানজনক জায়গাতেও। কিন্তু তখনও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল। মুক্তি পেয়েছে অনেক পরে।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ; Image source: বই – চলচ্চিত্রযাত্রা

এস এম সুলতানের জীবনী নিয়ে ‘আদম সুরত’ করার সময়ে আমেরিকায় ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন তিনি। কারণ এস এম সুলতান তখন অসুস্থ ছিলেন। বিদেশে গেলে হয়তো তারেক মাসুদের প্রামাণ্যচিত্রটি আর করা হবে না। এই আশঙ্কা থেকে তিনি বিদেশে গেলেন না, বিদেশে যাওয়ার পুরো টাকাটাই সিনেমার পেছনে লগ্নি করলেন। সব অসাধারণ নির্মাতার শুরুর গল্পটাই হয়তো এমন নির্মম হয়। হয়তো শুরুতেই এরকম ধাক্কা খান বলেই তারা সিনেমাকে আর ছাড়তে পারেন না। ধরেই রাখেন শেষতক। সত্যজিৎ রায় যেমন ‘পথের পাঁচালী’ করতে গিয়ে নিজের স্ত্রীর অলঙ্কারও বন্ধক রাখেন একপর্যায়ে। হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ নির্মাণের সময়ের সংকটের গল্পও সচেতন পাঠকেরা জানেন।

বইয়ে আছে লিয়ার লেভিনকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণাও। লিয়ার লেভিন ছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসেন বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে সিনেমা বানাবেন বলে। পরে আর বানানো হয়নি বিভিন্ন কারণে। ফুটেজগুলো পড়ে রইলো ঘরের এক কোণে। পরে তারেক মাসুদ সেই ফুটেজগুলো সংগ্রহ করলেন। বানালেন ‘মুক্তির গান’। মানুষ আশাতীত সাড়া দিয়েছিলো সিনেমাটি নিয়ে।

লিয়ার লেভিনের সাথে তারেক মাসুদ; Image source: বই – চলচ্চিত্রযাত্রা

 

সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে স্মৃতিচারণা আছে বইয়ের এক অংশে। আছে তারেক মাসুদের খুব কাছের মানুষ, যার কাছ থেকে সিনেমা বানানোর ভূত পেয়ে বসা, সেই আলমগীর কবিরের কথা। যার ‘ধীরে বহে মেঘনা’র কথা বাঙালি দর্শকেরা প্রায় সবাই শুনেছে। ‘স্টপ জেনোসাইড’-এ জহির রায়হানকে অ্যাসিস্টও করেছিলেন যিনি।

সিনেমার গল্প

বইয়ের দ্বিতীয় অংশ বাংলাদেশের সিনেমার অতীত নিয়ে সুখস্মৃতি, বর্তমান নিয়ে হতাশা এবং ভবিষ্যত নিয়ে তীব্র আশাবাদের এক মিশ্রণ। কীভাবে একটা সম্ভাবনাময় শিল্পখাত ক্রমশ খাদের দিকে যেতে যেতে একসময়ে অতলে মিশে গেল, সে নিয়ে খেদের কথা বার বার এসেছে বইয়ের দ্বিতীয় অংশে।

বই থেকে জানতে পারা যায়, এদেশের সিনেমা জগত কতটা অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে বরাবরই। ‘জীবন থেকে নেয়া’ শ্যুটিং পর্যায়েই বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। এরকম মেটাফোরিক্যাল সিনেমা, একটা দেশের মুক্তি সংগ্রামকে পরিবারের আদলে দেখানোর যে অদ্ভুত সুররিয়ালিজম- এরকম সিনেমা পুরো বিশ্বেই আর ক’টা আছে? সেই সিনেমাও কম ঝক্কি পোহায়নি। ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’য় এদেশের সিনেমার অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে এই অজানা প্রেক্ষাপটগুলো।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর অনেকেরই অনেক রকম ক্ষতি হয়েছে, সেটা ঠিক। কিন্তু সেসব ক্ষতি নিয়ে কম-বেশি কথাবার্তা হলেও শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষতিটি নিয়ে ওভাবে সবাই ভাবেনি। যেমন- ‘৪৭ এর পর সিনেমার কারিগরেরা রয়ে গেলেন ওপারে। হলগুলো রয়ে গেলো এপারে। এপারে হল আছে, সিনেমা নেই। ওপারে সিনেমা আছে, হল নেই। ওপার বাংলা হয়তো সেই ক্ষতি ক্রমশ কাটিয়ে উঠলো। এপার বাংলা তা আর পারল না।

পাকিস্তান সরকার ১৯৫৭ সালে ভারতের সিনেমা এ দেশে প্রদর্শনী বন্ধ করলো। এ দেশীয় সিনেমাগুলোকেও নিষেধাজ্ঞা, পরিচালকদের ধড়পাকড় শুরু করলো। এদেশের সংস্কৃতি তাই আর সেভাবে দাঁড়াতে পারল না। পরে অনেকবার চেষ্টা হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু সিনেমা হয়েছে, ভিন্নধর্মী কিছু সিনেমাও হয়েছে। ভারতীয় সিনেমা এ দেশে ঢোকার যে নিষেধাজ্ঞা, সেটাও ১৯৭২-এ উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু খুব একটা কাজ হয়নি। ছাইভস্ম থেকে জেগে ওঠা সেই ফিনিক্স আর হয়ে ওঠা হয়নি।

‘চলচ্চিত্রযাত্রা’য় তারেক মাসুদ এসব নিয়ে হতাশার উপাখ্যান শোনানোর পাশাপাশি আশাবাদীও হচ্ছিলেন যে সামনে হয়তো সুদিন আসবে। ‘মাটির ময়না’ যেমন সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল, সেরকম সিনেমা নির্মিত হলে  সেটা সারা বিশ্বে বাংলাদেশেরই একটা বাজার খুলে দেবে। এরকমই বিশ্বাস ছিলো তার।

ভিন্ন ধারায় সিনেমাগুলো নিয়ে যে একটা অভিযোগ সবসময়েই থাকে, এই সিনেমাগুলো খুব একটা ব্যবসা করতে পারে না, সেটা নিয়েও তারেক মাসুদের কথাবার্তা লক্ষ্য করা যায় এ বইয়ে। এটা ঠিক যে ভিন্নধর্মী সিনেমাগুলো বক্স অফিসে হিট খুব কমই হয়। ‘পথের পাঁচালী’ কলকাতায় খুব কম দিন চলেছিল। সেই হিসেবে খুব একটা ব্যবসা হয়নি। কিন্তু সারা পৃথিবী থেকে এ সিনেমা যে পরিমাণ অর্থ পেয়েছে এবং ভারতের মুখ যে পরিমাণে উজ্জ্বল করেছে এই একটিমাত্র সিনেমা, সেই হিসেব করলে এই সিনেমাটি ভারতের জন্যে ‘জ্যাকপট’ পাওয়ার মতোই বিষয়। মাটির ময়না, জীবন থেকে নেয়া, স্টপ জেনোসাইড এই সিনেমাগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতিরই মেরুদণ্ড। এগুলোকে তাই অর্থের নিরীখে বিচার করা শুধু ভুল নয়, অন্যায়। কারণ এখনও বাইরের দেশ বাংলাদেশকে এসব সিনেমা দিয়েই চেনে। এরাই বাংলাদেশের শিল্পজগতের বহির্বিশ্বের সংস্কৃতিতে ঢুকতে যাওয়ার গেটপাস।

তারেক মাসুদের ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’ নিয়ে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। তিনি সিনেমা, এর ভবিষ্যৎ, গতিপথ নিয়ে গভীরভাবে ভাবতেন। তার চিন্তা-ভাবনাগুলোর প্রতিফলন সিনেমাগুলোতেও দর্শকেরা পেয়েছেন। এই প্রবন্ধগুলোতেও ক্রমশ দৃষ্টিগোচর হয়েছে সেটি

শেষের কথা

তারেক মাসুদ বাংলাদেশের সংস্কৃতি-জগতের এক আক্ষেপের নাম। এ দেশের সংস্কৃতি-জগতটা হতে পারত অনেকের কাছে বিস্ময়ের মতো, হতে পারত ঈর্ষার। কিন্তু হয়নি। ভাগ্য হতে দেয়নি। জহির রায়হান গল্প বলা শুরু করার আগেই হারিয়ে গেলেন। সেই অভাব পূরণ হয়নি আজও। তার পরে অনেকেই এলেন। হাল ধরতে চাইলেন এই সংস্কৃতি-জগতের। তারাও পারলেন না।

অসম লড়াই এখানে। সংস্কৃতি যখন ব্যবসার অস্ত্র হয়ে যায়, তখন ক্যামেরার চোখ শিল্প, খুঁজতে যায় না, সে খোঁজে পণ্য। ব্যবসা করতে হবে। এজন্যই আসা। অনেক পরে তারেক মাসুদের মতো কিছু কিছু মানুষ এলেন এই জগতে আবার, ‘শিল্প’কে ফিরিয়ে আনার জন্য, শিল্পের গল্প নিয়ে কথা বলার জন্য। কিন্তু পারলেন না, অকালেই চলে গেলেন।

মন্ট্রিয়ল চলচ্চিত্র উৎসবে তারেক মাসুদ; Image source: বই – চলচ্চিত্রযাত্রা

‘চলচ্চিত্রযাত্রা’ পড়া দরকার শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা, যথেষ্ট সহযোগিতার অভাবে প্রতিভাবান মুখগুলোর ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসা এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অতীত থেকে বর্তমানের এই ভয়ঙ্কর পালাবদল জানার জন্য। এ ঘটনাগুলো ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁক বদলের এক সুস্পষ্ট ধারণাই পাঠককে দেবে। এবং এই বই পড়া উচিত তারেক মাসুদের জন্যও, যিনি ছিলেন এক সিনেমাপাগল মানুষ। আমৃত্যু সিনেমাই ছিল যার সাথে। যিনি বেঁচে থাকলে আমাদের সিনেমাগুলো হয়তো আরেকটু ভিন্নরকম হতে পারত। তাকে জানার জন্য এ বই হতে পারে এক ছোটখাট মানচিত্র।

অনলাইনে কিনুন- চলচ্চিত্রযাত্রা

This is a bengali book review article on Choloccitrozatra by Tareque Masud.

Related Articles

Exit mobile version