পৃথিবী জুড়েই এখন ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখির জয়জয়কার। মানুষের খাদ্য, পােশাক আর বাসস্থানের চাহিদা মিটলে তার পরের চাহিদা দুনিয়া দেখার, জানার। ভ্রমণ গদ্য মানুষের সময় বাঁচায়, অর্থ সাশ্রয় করে, কায়িক শ্রম দিতে হয় না। তবে সব লেখকের লেখা পাঠককে না-ও টানতে পারে। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে নানা ঘটনা, গল্প আর যুৎসই উপমার মিশেল লেখাকে করে অনন্য, উপভােগ্য। এক্ষেত্রে লেখকের রাইটিং স্কিল বা উপস্থাপনের কারিশমা বড় বিষয়। তেমনি একটি অনবদ্য ট্রাভেলগ রাইটিং ‘দার্জিলিঙে বৃষ্টি কালিম্পঙে রােদ'। উদয় হাকিমের লেখা বইটি যেকোনাে পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে ভ্রমণ রসের মাণিক্যভান্ডারে।
আধুনিক বিশ্বে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছে ট্রাভেল রাইটিং বা ভ্রমণ বিষয়ক আর্টিকেল। ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও গােগ্রাসে গিলছেন সবাই। অনেকের মতে, আগামী দিনের উপজীব্য হচ্ছে ভ্রমণ। ভ্রমণের প্রতি উদয় হাকিমের নেশা এবং ভ্রমণ গদ্যে পারদর্শিতা তাকে আলাদা করে চেনায়। লেখক বলেছেন,
প্রতিটি মানুষেরই নাকি কোনাে একটি নেশা থাকে। আমি চা-কফি, পান-বিড়ি খাই না। নেই অন্য কোনাে নেশাও- কিন্তু হ্যাঁ, আমার নেশা ভ্রমণ।
আলােচ্য ‘দার্জিলিঙে বৃষ্টি কালিম্পঙে রােদ' গ্রন্থের বিষয়বস্তু সবাইকে আকর্ষণ করে। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বর্তমানের সমন্বয়ে লেখাটি হয়ে উঠেছে সুখপাঠ্য। বইটির প্রথম ফ্ল্যাপে বলা হয়েছে, ‘দার্জিলিং’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত থেকে, যার অর্থ ‘দুর্জয় লিঙ্গ’। হিমালয় সংলগ্ন এই দার্জিলিংকে তুলনা করা হয় অদম্য ক্ষমতার অধিকারী শিবের সঙ্গে, যে হিমালয় শাসন করে। একে বজ্রপাতের শহরও বলা হয়। হিমালয় পর্বতে ধাক্কা খেয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে যাওয়া মেঘ ফিরতি পথ ধরে। ওই ধাক্কাধাক্কিতে সেখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়, বজ্রপাত হয়। এটি একটি মনােরম শৈলশহর, যা চায়ের জন্য বিখ্যাত।
ব্রিটিশরা দার্জিলিংকে সাজিয়েছিলেন নিজেদের মতাে করে। যুক্তরাজ্যের শীতল আবহাওয়ার সঙ্গে দার্জিলিংয়ের মিল ছিলা। ইংরেজরা যখন ভারতবর্ষ শাসন করে, তখন তাদের স্ত্রী-সন্তানদের ওখানে রাখতাে। যে কারণে দার্জিলিং উন্নত অবকাশ যাপনকেন্দ্রে পরিণত হয়। গড়ে ওঠে নামিদামি ইংরেজ ঘরানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাঙালি তথা ভারতবর্ষের সামর্থ্যবান লােকেরা সন্তানদের ভালাে পড়াশোনার জন্য সেখানে পাঠাতেন। সন্তান দার্জিলিংয়ে পড়ছে- এটি ছিলাে অভিজাত সমাজের একটি গর্বের বিষয়। দার্জিলিং ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা।
দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর মাঝসীমায় রয়েছে তিস্তা। তিস্তার সঙ্গে রাঙগিত নদী মিশে তৈরি হয়েছে ত্রিবেণী। ত্রিবেণী ভিউ পয়েন্ট যেকোনাে মানুষের মনই নাড়া দেবে।
কালিম্পং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। কালিম্পং অর্থ- যে শৈল শিরায় মানুষ খেলা করে। সেখানকার পাইন ভিউ ক্যাকটাস নার্সারি জগদ্বিখ্যাত। তিস্তার তীরে পাহাড়ের উপর গড়ে উঠেছে দেলাে বাইও বােটানিক পার্ক; সেখান থেকে খুব সহজেই তিস্তা এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। হিমালয় থেকে নেমে যাওয়া সর্পিল তিস্তা এবং পাহাড়ের গায়ে আটকে থাকা সাদা মেঘ মন ভরানাে সুধার মতাে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাওয়া পরিবর্তনের জন্য কালিম্পং যেতেন। গৌরীপুর হাউজে থাকতেন তিনি। ময়মনসিংহের গৌরীপুরের জমিদার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ রায় চৌধুরী অবকাশ যাপনের জন্য ওই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। এখানকার মর্গান হাউজও বিখ্যাত। বাড়িটি এখন হােটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মর্গান নেই, নেই তার স্ত্রীও। কিন্তু ওই নিঃসন্তান ইংরেজ ব্যবসায়ী দম্পতি এখনাও নিঝুম মধ্যরাতে ওই বাড়ির অতিথিদের দেখভাল করতে বের হন!
দার্জিলিঙকে বলা হয় ঈশ্বরের আবাস। কেউ বা ‘কুইন অব দ্য হিল' বলতেও দ্বিধা করেন না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং। ইংরেজ আমলের সর্বপ্রথম হিল স্টেশন এই দার্জিলিং। পূর্ব ভারতে দার্জিলিং হলাে দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনের একটি। বিভিন্ন দেশের নানা সংস্কৃতির মিশ্রণে দার্জিলিং এক বর্ণিল রাজ্য। রাতের দার্জিলিং দেখতে কেমন? বইয়ে লেখক বর্ণনা দিচ্ছেন,
রাতের দার্জিলিং! সত্যিই অপরূপ! দেখেছিলাম আগের রাতে। মিরিকের দূর পাহাড় থেকে। যেন রাতের আলােয় হাজারাে জোনাকির নাচন। আরাে কাছ থেকে মনে হয়েছিলাে পাহাড়ের গায়ে আলাের দেয়ালী। সে এক অন্যরকম সৌন্দর্য। দার্জিলিং দেখার তৃষ্ণা বাড়িয়েছিলাে সে দৃশ্য। উঁচু পাহাড়ের ঢালে অগুনতি চায়ের গাছ। সবুজের সমারােহ। মসৃন পাইন গাছের সারি। পাহাড়ের শরীরে ছােট ছােট বাড়ি। আহা, এমন দৃশ্য! তর সইছে না। ঘরে আর কতক্ষণ বসে থাকতে পারি।
দার্জিলিংয়ের পিস প্যাগােডা দেখার সরস অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন লেখক। লিখেছেন,
পিস প্যাগােডার প্রবেশ পথটা সুন্দর। চারদিক নীরব। শান্তি শান্তি ভাব। অনেকটা বাংলাদেশের নেত্রকোনার সুসং দূর্পাপুরের রানিক্ষ্যং চার্চের মতাে। যার পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুমেশ্বরী নদী। এখানে অবশ্য কোনাে নদী নেই। নেই আশেপাশেও। তবে প্যাগােডায় প্রবেশের প্রথম ভবনটা আমার কাছে রানিক্ষ্যং এর প্রথম ভবনের মতাে মনে হলাে। ছােট্ট দুতলা ভবন। পরিপাটি। সামনে কিছু শােভা গাছ। দুটি সিংহের মূর্তি। উপরে পিংক কালার। মূল ভবন সাদা। প্রশাসনিক ভবন এটি। এর ডান পাশে ছােট্ট একটি ফুলের বাগান। ছােট-বড় নানান জাতের ফুল ফুটে আছে।
বইয়ে উঠে এসেছে কত বিচিত্র মানুষ আর স্থানের গল্প! পড়তে পড়তে পাঠক লেখকের সঙ্গে থাকবেন; সঙ্গে থাকবে নতুন অভিজ্ঞতার আনন্দ, থাকবে বাস্তবতার সনদ- প্রাসঙ্গিক রঙিন ছবি। বিভিন্ন স্থানের কৌতূহলােদ্দীপক ও সরস বর্ণনা দিয়ে পাঠককে বারংবার চমকে দিয়েছেন লেখক। এভাবে বইয়ে যেন পাঠককে সঙ্গে নিয়েই পুরাে দার্জিলিং ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি।
উদয় হাকিম যেখানেই সফর করেন, সেই পারিপার্শ্বিকতা যেমন অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অনুধাবন করেন, তেমনি বিভিন্ন স্থান, কাল, পাত্র ও নিগূঢ় অনুভূতির নিখুঁত বর্ণনা দেন। লেখক দার্জিলিংয়ের প্রকৃতি, মাটির রূপ-রস-গন্ধ, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং আবহমান সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য তুলে এনেছেন।
দার্জিলিং আর কালিম্পং এর সীমানায় একটি নদী- নাম তার তিস্তা। ত্রিবেণী ভিউ পয়েন্টে তিস্তার সঙ্গে মিশেছে রাঙগিত নদী। দুটি ধারা মিলিত হয়ে তৃতীয় ধারা বয়ে গেছে ভাটিতে। ওই ত্রিবেণী পূণ্যার্থীদের কাছে যেমন পবিত্র, তেমনি পবিত্র প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে। এ কারণে যার আরেকটি নাম ‘লাভারস ভিউ পয়েন্ট'। ত্রিবেণীর নানা অর্থ এবং তাৎপর্য তুলে ধরেছেন লেখক, যা গবেষকদের জিজ্ঞাসার জবাব দেবে, একইসঙ্গে অবগাহনে নিয়ে যাবে নতুন ভাব-ব্যঞ্জনায়।
বই: দার্জিলিঙে বৃষ্টি কালিম্পঙে রোদ
লেখক: উদয় হাকিম
প্রকাশনী: অনিন্দ্য প্রকাশ
প্রকাশক: আফজাল হোসেন
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
পৃষ্ঠা: ১২৮
মুদ্রিত মূল্য: ৫০০ টাকা
লেখক কালিম্পঙের বর্ণনাও তুলে ধরেছেন হৃদয়গ্রাহীভাবে। লেখকের কাছে কালিম্পংয়ের বর্ণনা শুনে আসা যাক।
কালিম্পং এর চারপাশেই বিশাল বিশাল একেকটা পাহাড়। আকাশে হেলান দিয়ে আছে। অফুরন্ত সবুজ। তারই মাঝে বাড়ি-ঘর। এখানে প্রাণ আছে, এখানে শান্তি আছে। এখানে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এখানে জীবনকে উপলব্ধি করা যায়। এখানে জীবনের স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। ভূপেন হাজারিকা হয়তাে এমন উপলব্ধি থেকেই গেয়েছিলেন- আজ জীবন খুঁজে পাবি ছুটে ছুটে আয়। জীবন খুঁজতেই গিয়েছিলাম। মন জানে, সত্যিই খুঁজে পেয়েছিলাম- জীবনের মানে। ভ্রমণপিপাসুদের এমন জায়গাই পছন্দ। কোলাহল নেই। আবার জনমানবহীনও নয়...সবুজ বনানীতে সাজানাে সুউচ্চ পাহাড় আর তার ভাঁজে ভাঁজে মেঘের খেলা- এই হলাে কালিম্পং।
১২৮ পৃষ্ঠার নাতিদীর্ঘ বইটিতে পরিচ্ছেদ আছে মােট ১৪টি। দার্জিলিং যেতে পথের রােমাঞ্চকর বর্ণনা, দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান, যেমন- পিস প্যাগােডা, রক গার্ডেন, দার্জিলিংয়ের চা বাগান আর জুলজিক্যাল পার্ক, আইনক্স, বাতাসিয়া লুপ, ঐতিহাসিক ঘুম রেল স্টেশন, লামাহাট্টা, কালিম্পং এর পাইন ভিউ ক্যাকটাস নার্সারি, কালিম্পং-এ কাঞ্চনজঙ্ঘা, গৌরীপুর হাউজে রবী ঠাকুরের স্মৃতি কিংবা তিস্তা নদী ইত্যাদির সরস আর সহজ বর্ণনা পাঠকমনকে দার্জিলিং ভ্রমণের প্রকৃত স্বাদ এনে দেবে। শত বছরের আলােচিত গােরখা যােদ্ধা, গােরখা ল্যান্ড আন্দোলন, তিস্তার পানি যুদ্ধ-সবই উঠে এসেছে সুপ্রাসঙ্গিক লেখ্যপ্রবাহে। গ্রন্থখানি পাঠ করে দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট, সুন্দর, আনন্দময় আর হৃদয়গ্রাহী ধারণা পাবেন। বইটি পড়ে চিত্তের সমৃদ্ধি আর চিন্তার খোরাক পাবেন সকল শ্রেণীর পাঠক।
উদয় হাকিমের আরাে কিছু গ্রন্থ রয়েছে বাজারে। 'রহস্যময় আদম পাহাড়', 'সুন্দরী জেলেকন্যা ও রহস্যময় গুহা', 'হেলিচেয়ার', 'ভূতের মহাসমাবেশ'- রহস্যঘেরা সব নাম, তাই না? নামের মধ্যেই যেন রহস্য ভর করে আছে। ভূ-মণ্ডলে রহস্যের শেষ নেই। এমন অনেক কিছুই আছে, যা সাদা চোখে বােঝা দায়। প্রকৃতি নানা রহস্যে নিজেকে আগলে রাখে। প্রকৃতির খেলাই সেখানে। কিছু রহস্যের সমাধান খুঁজে পায় মানুষ। কিছু রয়ে যায় অমীমাংসিত, অধরা। কিন্তু মানুষ রহস্যভেদ করতে গিয়ে থমকে গেলেও আবার চলতে থাকে।
রহস্যময় এই গ্রহের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সময়ের অন্যতম নন্দিত ভ্রমণলেখক উদয় হাকিম। তিনি একাধারে লেখক, সাংবাদিক, উপস্থাপক, আবৃত্তিকার, একজন সুপরিচিত ও স্বনামধন্য কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক তিনি। ‘রহস্যময় আদম পাহাড়' বইটির জন্য ‘সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার ২০২০' পেয়েছেন উদয় হাকিম। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন আরও নানা পুরস্কার।
আপাদমস্তক ভ্রমণপিপাসু উদয় হাকিম। ভ্রমণ তাকে টানে ভীষণভাবে। সাংবাদিকতা, কর্পোরেট চাকরি, ক্রিকেট পৃষ্ঠপােষকতা ও ব্যক্তিগত সফরে তিনি বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করেছেন। বিশ্বের যেখানেই যাচ্ছেন, যা দেখছেন- লিখছেন সেসব নিয়ে। রহস্য উম্মােচন করেছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তের। মানুষকে ভ্রমণবিষয়ক লেখার এক নতুন পথ ও রীতি আবিষ্কার করে দেখিয়েছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত মােট ৮টি গ্রন্থে পাঠক পরিচয় পেয়েছে তার ভ্রমণপিপাসু মনের। ভ্রমণ শুধু ভ্রমণই নয়, ভ্রমণ মনােবিকাশের-মনােনিবেশের এক বড় মাধ্যম। পৃথিবীকে চেনার, প্রাকৃতিক রহস্য উদ্ঘাটনের বিশাল হাতিয়ার ভ্রমণ। চেনা-অচেনা, দেখা-অদেখা বহু স্থানের বর্ণনা এবং ভ্রমণ বিষয়ক লেখা সহজ-সরল-প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটে উঠেছে তার লেখায়।
উদয় হাকিমের লেখার প্রধান বৈশষ্ট্য ছােট ছােট বাক্য ব্যবহার। সহজ-সাবলীল উপস্থাপনা। গদ্যের ঢংয়ে পদ্যের ছোঁয়া, সামান্য বাঁকা দৃষ্টি- এসবই তার লেখার কারিশমা। ঝরনার মেঠো স্রোতের মতাে পাঠককে টেনে নিয়ে যায় লেখার গভীরে। অতি সামান্য বিষয়ও তার হাতের স্পর্শে হয়ে ওঠে অনন্য। স্বভাবসুলভ রসবােধ কিংবা ব্যঙ্গ তার লেখাকে করে তােলে জীবন্ত। উদয় হাকিমের বই পড়ে যেমন আনন্দ পান তরুণ প্রজন্মের পাঠকেরা, তেমনি তার সব লেখাই শিশুদের কাছেও সমান সুখপাঠ্য।
উদয় হাকিমের জন্ম টাঙ্গাইলে। মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন সেখানেই। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। প্রথম পেশা সাংবাদিকতা। শুরু হয় ১৯৯৯ সালে ‘দৈনিক প্রথম আলাে’তে কাজ করার মধ্য দিয়ে। এরপর কাজ করেন ‘আমার দেশ’, ‘চ্যানেল আই’, দেশের প্রথম ২৪ ঘন্টা খবরের চ্যানেল ‘সিএসবি নিউজ’ এবং ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকায়। কর্পোরেট জগতে প্রবেশ করেন ২০১০ সালে। বর্তমানে ওয়ালটন গ্রুপে কাজ করছেন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে। পাশাপাশি উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে আছেন 'রাইজিংবিডি ডট কম'-এ।
This is a Bengali book review article on 'Darjeelinge Brishti Kaliponge Rod' written by Udoy Hakim.