বাংলাদেশের সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস বলতে যে কারো কাছেই প্রথমে ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম মনে আসবে। 'কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ' দিয়ে শুরু করার পর বহু মানসম্মত সায়েন্স ফিকশন উপহার দেবার মাধ্যমে এদেশের শিশু-কিশোরদেরকে এই জনরার সাথে ভালোভাবেই পরিচয় করিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার সহোদর কালজয়ী ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিছুটা ভিন্ন। লজিকের মিসির আলী, অ্যান্টি লজিকের হিমু, “বিশুদ্ধ মানব” শুভ্র তো আছেই, সেই সাথে আরো নানা হৃদয়ছোঁয়া অসাধারণ উপন্যাসের ভিড়ে কিছুটা যেন চাপা পড়ে গেছে তার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলো।
নিজেকে বরাবরই রাশিয়ান সায়েন্স ফিকশন লেখকদের ভক্ত হিসেবে দাবি করা হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় বিজ্ঞানের সাথে অসাধারণ মিশেল ঘটিয়েছেন মানবিকতার। বিজ্ঞানের কাঠখোট্টা লজিকগুলোও তার সুনিপুণ লেখনীতে হয়ে গেছে সহজবোধ্য। নর্থ ডাকোটায় পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করার সময় থেকেই কোয়ান্টাম মেকানিক্সে দারুণভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি, বরাবরই তার লেখায় চলে এসেছে প্যারালাল ইউনিভার্সের কথা।
আনিস, নীলু, রূপা নামগুলো তার উপন্যাসে প্রায়ই পাওয়া যায়। তেমনি তার বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে ঘুরে ফিরে আসে মহামতি ফিহার নাম। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট কোনো চরিত্র নন, কোনোটিতে পদার্থবিদ, কোনোটিতে গণিতজ্ঞ, আবার কোনোটিতে চতুর্মাত্রিক জগতের আবিষ্কারক। এ বিষয়ে তিনি নিজেই একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে বলেছেন, ফিহার চেহারা মনে করতে চাইলে তার কাছে রাগী চেহারার সাদা চুলের এক বৃদ্ধের চেহারা ভেসে ওঠে, কিছুটা আইনস্টাইনের মতো। এছাড়া স্রুরা নামটিও একাধিকবার এসেছে।
তোমাদের জন্য ভালোবাসা
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। ভবিষ্যতের কোনো একসময়ের পৃথিবীর কাহিনী, যেখানে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হলেন বিজ্ঞানীরা। পদার্থবিদ মাথুর, পদার্থবিদ স্রুরা কিংবা গণিতবিদ ফিহার মতো বিজ্ঞানীদের কাঁধে ভর দিয়ে পৃথিবীর উন্নতি হয়েছে শনৈ শনৈ। সকল বাধা জয় করে মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে মানুষ। মানুষের তৈরি কৃত্রিম নিউরন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মানবিক আবেগসম্পন্ন কম্পিউটার সিডিসিকে।
হঠাৎ করে পৃথিবী মুখোমুখি হলো এক মহাদুর্যোগের। কোনো এক অশুভ মাত্রার গতিপথে অদৃশ্য হয়ে গেল নতুন আবিষ্কৃত টাইফা গ্রহ, শঙ্কায় পড়ল পৃথিবীও। এরকম পরিস্থিতিতেও মহামতি ফিহা তেমন একটা গুরুত্ব দিলেন না, বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের সভা বাদ দিয়ে নিজের মতো উদাসীন জীবন কাটাতে লাগলেন। এই মহাবিপদ এড়ানোর সূত্র আবার পাওয়া যায় পাঁচ হাজার বছর আগের এক মাইক্রোফিল্মে। টাইম ট্র্যাভেলের প্যারাডক্স আর চতুর্মাত্রিক জগৎকে ঘিরে সাজানো হয়েছে কাহিনীর ক্লাইম্যাক্স। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত টানটান উত্তেজনার এই কাহিনীতেও বিজ্ঞানকে ছাপিয়ে প্রধান হয়ে উঠেছে জীবনবোধ আর মনুষ্যত্ব।
ওমেগা পয়েন্ট
ইয়াসিন সাহেব বারান্দায় অজু করতে এসে দেখেন শশা মাচার নিচে লাল শাড়ি পরা বউ মতো কে যেন ঘুরঘুর করছে। ভালোমতো তাকিয়ে দেখেন এ হলো তার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে শেফা। গণিত এবং বিজ্ঞানের বিষয়ে দুর্বল থাকায় তার জন্য আনা হয় গণিতে তুখোড় গৃহশিক্ষক রফিককে। আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক গ্রামীণ পটভূমিতে সাজানো এই উপন্যাসটির মোড়ে মোড়ে কী দারুণ সব চমক উপহার করছে, তা পাঠক পড়ামাত্রই টের পাবেন। ভবিষ্যতের পৃথিবী, ওমেগা পয়েন্ট, মহা শক্তিশালী কম্পিউটার, মানবীয় ক্ষমতাসম্পন্ন নবম মাত্রার রোবট কোনো কিছুই বাদ যায়নি।
বইয়ের ফ্ল্যাপে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, ওমেগা পয়েন্ট বিষয়টা শুধু জটিল বললে ভুল বলা হবে, বেড়াছেড়া লেগে যাবার মতো জটিল। শেষ পর্যন্ত জটিল চিন্তাগুলি লিখে ফেলতে পেরেছি এটাই বড় কথা। তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞানে উদ্ভট বলে কিছু নেই। বিজ্ঞান রূপকথার জগতের চেয়েও অনেক রহস্যময়। কাহিনীর পদে পদে টুইস্ট আর সমান্তরালভাবে কাহিনী এগিয়ে নেবার কারণে এটিকে হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ সায়েন্স ফিকশনগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আধ্যত্মিক এবং বৈজ্ঞানিক দুই ক্ষেত্রেই ওমেগা পয়েন্টকে অতীব গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এই তত্ত্বে বলা হয় পুরো মহাবিশ্ব একসময় একটি সিঙ্গুলারিটি তথা একক অবস্থায় চলে আসবে।
নিষাদ
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই সৌভাগ্যের পাশাপাশি থাকে দুর্ভাগ্য। সুযোগ পেলে জীবনের এই মুহূর্তগুলো পাল্টে ফেলতাম, এরকম ইচ্ছা মনে হয় সবার মনেই থাকে। এডওয়ার্ড লরেঞ্জ নামে এমআইটির এক গণিতবিদ বাটারফ্লাই ইফেক্ট নামের একটি থিওরিতে বলেন, অতীতের সামান্য কিছু ঘটনাই ভবিষ্যতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিতে পারে। নিষাদের কাহিনী আরম্ভ হয় মুনির নামের একজন ভাগ্যাহত চাকুরেকে দিয়ে। মিসির আলীর কাছে এসে মুনির দাবি করে, সে অতীতে গিয়ে তার জীবনের বিশেষ একটি ঘটনা পরিবর্তন করে এসেছে। এখন তার জীবন চলছে দুটি জগতে, এক জগতে সে সুখী, আরেক জগতে নয়।
এমনকি সে মিসির আলীর পরামর্শে অন্য জগতের জিনিসও নিয়ে আসে, আর সেগুলো যে আমাদের চেনা পৃথিবীর নয় সেটাও প্রমাণ করে দেয়। সুতরাং তার সাথে ঘটা ঘটনাগুলো নিছক কল্পনা, ফ্যান্টাসি কিংবা হ্যালুসিনেশন বলেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। অ্যান্টি-লজিক নিয়ে কাজ করা মিসির আলীর প্রথমদিককার একটি উপন্যাস।
উপন্যাসটিকে কেন্দ্র করে এনটিভিতে একটি নাটকও প্রচারিত হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে এটি আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম সায়েন্স ফিকশন। আমাদের আশেপাশের পরিচিত মানুষদের মতো চরিত্রদের ঘিরে লেখা বলেই কি না কে জানে, কিশোর বয়সে পড়া এই কল্পকাহিনীটি দারুণভাবে প্রভাবিত করেছিল আমাকে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে, বস্তুকণা একই সাথে বিভিন্ন দশায় থাকতে পারে। কাজেই আমাদের এই মহাবিশ্বের মতো অসংখ্য মহাবিশ্ব থাকতে পারে, ঐ মহাবিশ্বে আমাদের প্রতিরূপও থাকতে পারে। তফাৎটা হলো, আমরা মুনিরের মতো সেই বিশ্বের “আমি”র সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।
নলিনী বাবু B. Sc
২০১০ সালে প্রকাশিত উপন্যাসটিকে নিষাদের কিছুটা উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা যাতে পারে। তবে নলিনী বাবু B. Sc-তে মিসির আলী নেই, হুমায়ুন আহমেদ কিছুটা আত্মজীবনীমূলকভাবে ঘটনা সাজিয়েছেন। এমনকি এখানে নিষাদের অতি বাস্তবধর্মী কল্পকাহিনী লেখার পরে তিনি কী রকম বিপাকে পড়েছিলেন, তার বর্ণনাও দেয়া আছে। তার মতে উপন্যাসটি হলোসুররিয়েলিস্টিক জগতের ছায়ায় রিয়েলিস্টিক রচনা।
কাল্পনিক নীলগঞ্জ হাইস্কুলের সাধারণ একজন শিক্ষক নলিনী বাবু এসে লেখকের ছন্নছাড়া জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালান। ব্যক্তিগত জীবনে যে তোলপাড়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তার কথা এখানে উঠে এসেছে বারবার। কোয়ান্টাম জগতে দর্শকের সাপেক্ষে মহাবিশ্ব থাকতে থাকতে পারে অনেকগুলো। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জনক আরউইন শ্রডিঞ্জারের একটি বিড়ালকে বাক্সে আটকে রেখেছিলেন। যতদিন না বাক্সের মুখ খোলা হচ্ছে, ততদিন তার সম্পর্কে আমরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারব না। ঠিক তেমনি যতদিন পর্যন্ত আমরা অল্টারনেট ইউনিভার্সের নাগাল না পাচ্ছি, ততদিন পর্যন্ত এর অস্তিত্ব থিওরিতেই থেকে যাবে। তবে এখানে বলা হয়েছে, প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে কোনো জিনিস আনা অসম্ভব। তাহলে ওয়েভ ফাংশনের নিয়মভঙ্গ হবে, ফলে জগতের বিলুপ্তি ঘটবে।
ইমা
এই গল্প শুরু হয় এক মহাকাশযানে। এক টানেল-কর্মী অচেনা এক মহাকাশযানে করে পাড়ি দিচ্ছে দূর মহাশূন্যের কোনো এক গ্রহে। ভবিষ্যতের সেই পৃথিবীতে টানেল-কর্মীদেরকে বেশ অবহেলার চোখে দেখা হয়। তাদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তাদের পরিচিতি কেবল একটি নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে। কিছুটা জোর করেই তাকে সেই অভিযানের অংশ করা হয়েছে।
সেই মহাকাশযানে আছেন খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরাও। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু রোবট এবং কম্পিউটার সিডিসি ছাড়া তার সাথে আর কারো সাথে সেই টানেল-কর্মীর কথা বলার অনুমতি নেই। বিশেষ কিছু ঘটনা বাদে তার আগের কোনো স্মৃতি নেই। কিন্তু প্রতিরাতেই ঘুমের মধ্যে সে ইমা নামের লাজুক শান্ত হাস্যোজ্জ্বল একটি মেয়েকে স্বপ্ন দেখে। অবশেষে সে জানতে পারে, সূর্যের কাছাকাছি একটি গ্রহে অতি বুদ্ধিমান প্রাণীদের সন্ধান পেয়েছে মানুষ। হাইপারডাইভের মাধ্যমে সেখানে গিয়ে তাদের কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার উদ্দেশ্যেই বিজ্ঞানীরা যাত্রা শুরু করেছেন। হুমায়ূন আহমেদের সিগ্নেচার হিসেবে উপন্যাসটিতে দারুণ মজার কিছু সংলাপ আছে। হালকা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাঁচে দারুণ সব টুইস্টও উপহার দিয়েছেন তিনি। গল্পটিকে সায়েন্স ফিকশনের পাশাপাশি নিও-নয়্যার ঘরানার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলা যেতে পারে।
দ্বিতীয় মানব
মাহতাব উদ্দিন বিশাল ধনবান একজন শিল্পপতি। তার একমাত্র কন্যা ক্লাস নাইনে পড়ুয়া টুনটুনি। দারুণ বুদ্ধিমতি এবং নানা ক্ষেত্রে চৌকস হওয়া সত্ত্বেও টুনটুনি বেশ নিঃসঙ্গ। মাহতাব উদ্দিনের নিজের গ্রাম নীলগঞ্জ থেকে এক মাটিকাটা শ্রমিক খলিলুল্লাহ তার আলিশান বাড়িতে আসে। নীলগঞ্জ স্কুলের হেডমাস্টারের পরামর্শেই এসেছে সে। প্রথম দর্শনে বিরক্ত হলেও তার বিভিন্ন কার্যকলাপে মাহতাব সাহেব দারুণভাবে ভড়কে যান।
এদিকে টুনটুনি অবাক হয়ে গেলেও দারুণ উৎসাহী হয়ে ওঠে খলিলুল্লাহের অতিমানবীয় কিছু ক্ষমতার ব্যাপারে। তার নিরানন্দ জীবনে দারুণ রোমাঞ্চের সৃষ্টি হয়। কিন্তু মাহতাব উদ্দিন এতোটা সোজাসাপ্টা মানুষ নন। তিনি তার মহাজ্ঞানী বইপড়ুয়া বন্ধু জালাল খাঁ এর সাথে যোগাযোগ করে এই রহস্যের সমাধানের চেষ্টা করেন। মানুষ তার সমাজে মানুষের রূপে অন্য কিছুকে পছন্দ করে না। প্রকৃতির বিচিত্র কোনো খেয়ালকেও মানুষ আদতে নিজের প্রতি হুমকি হিসেবেই ধরে নেয়। কে জানে, সার্ভাইভালের খাতিরে হয়তো মানুষের জিনের মধ্যেই অতিপ্রাকৃতিক কোনো কিছুকে রুখে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ পিলে চমকে দিলেও কাহিনীতে ভয়ের তেমন কিছু নেই, বরং সায়েন্স ফিকশন কিংবা ফ্যান্টাসি ঘরানার উপন্যাস বলা যেতে পারে একে।
নি
মবিনুর রহমান একজন দরিদ্র স্কুলশিক্ষক। সাতশ পাতার ইন্টারভ্যু গাইড মুখস্থ করে ফেলার পরেও কোনো ভাইভায় টিকতে পারেননি। নিজের পরিবারের কেউই বেঁচে নেই, থাকেন নদীর তীরের সাপখোপে ভর্তি জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে। দরিদ্র হবার পরেও টাকা জমিয়ে একটি নৌকা কিনে সেখানে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তিনি। আবার দূরবীন দিয়ে গ্রহ-নক্ষত্র দেখতে দেখতে পার করে দিতে পারেন ঘন্টার পর ঘন্টা। এলাকার লোকজন অবশ্য তাকে অনেক সম্মান করে চলে, কারণ শিক্ষক হিসেবে তিনি প্রথম শ্রেণীর। আড়ালে তাকে অংকের ডুবোজাহাজ বলেও ডাকা হয়।
এলাকার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আফজাল সাহেবের মেয়ে রূপার গৃহশিক্ষকও তিনি। রূপা বুদ্ধিমতী হলেও পড়ালেখায় দারুণ কাঁচা। মবিনুর রহমানের প্রতি দারুণ অনুরক্ত হবার কারণেই হয়ত এদিকে তার মনোযোগ কম। এলাকার দুর্নীতিপরায়ণ কিছু লোক সহজ-সরল মুবিনুর রহমানকে ফাঁসিয়ে নিজেরা কিছু জিনিস লুটে নিতে চায়। এদিকে রূপার ব্যাপারে তার বাবা জেনে গিয়ে দারুণ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে মবিনুর রহমানের কখনোই কোনো ক্ষতি হয় না। আপাতদৃষ্টিতে হতভাগ্য বলে মনে হলেও আসলে তিনি প্রকৃতির প্রিয় একজন। ছোটখাট এই উপন্যাসটিতে অন্য উপন্যাসের তুলনায় বৈজ্ঞানিক অংশ কিছুটা কম। কিন্তু তাই বলে আকর্ষণের কমতি নেই। ছন্নছাড়া, ভাবুক, বিজ্ঞানমনস্ক চরিত্রের মবিনুর রহমানকে ভালো না বেসে পারা যায় না।
আরো জানতে পড়তে পারেন:
হুমায়ূন আহমেদের কল্পবিজ্ঞানের জগতের আরো কিছু গল্প
This article is in Bengali Language. It is about some amazing science fiction novels written by famous Bangladeshi writer Humayun Ahmed.
Featured Image: jazzyjaber/DeviantArt