Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বিয়্যেল স্ট্রীট যদি কথা বলতে পারতো!

প্রারম্ভিক দৃশ্যেই দেখা যায়, মৃদু হাওয়া ছুঁয়ে যাচ্ছে প্রেমিকযুগলকে। পরস্পরের হাতে হাত রেখে, ছোট ছোট পদক্ষেপে একটা-একটা করে সিঁড়ি ভেঙে এগোচ্ছে তারা। কিছুক্ষণ পর পর একে অপরের চোখে চেয়ে পরস্পরকে কাছ থেকে আরো কাছে অনুভব করছে তারা। তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পড়েছে যেন পুরো পরিবেশ। মনে হয়, প্রেমময় এক নতুন জগৎ সৃষ্টি করেছে দুজনে। সেই জগতের একমাত্র প্রাণী যেন তারা।

নদীর পাড় ঘেষে তাদের স্বপ্নিল এই পদচারণা স্তিমিত হলো। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অধরযুগল যথাসম্ভব কাছে টেনে ভেজা চুমোয় উষ্ণ করে তুললো একে অপরকে। হৃদয়কাড়া আবহসঙ্গীত পুরো পরিবেশে এক অন্যরকম গীতিময়তার সৃষ্টি করে। এরিয়েল শটে নেওয়া শুরুর এই দৃশ্যপট যেন নাগরিক প্রেমের এক রূপকথা বর্ণনা করতে বসেছে।

দমকা হাওয়া এসে ধপ করে প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়ার মতো করে রূপকথা থেকে এক ঝটকায় আমাদের বিদগ্ধ বাস্তবে নামিয়ে আনেন ব্যারি জেনকিন্স, পরের দৃশ্যপটেই, যেখানে ভয়েসওভার ন্যারেশানে এক নারীকন্ঠ বলে ওঠে, “আমি চাইবো, কখনো কারো যেন তাদের পছন্দের মানুষটিকে আয়নার মধ্য দিয়ে দেখতে না হয়।” বাক্যের শেষের অংশটুকুই যথেষ্ট এর আগের দৃশ্যপটের স্বপ্নীল রূপকথার জগত আর বাস্তবতার মাঝে বিশাল ফারাক গড়ে দিতে।

প্রেমিক-প্রেমিকা সামনাসামনিই বসে আছে। দুজনের মাঝে শুধু একটি স্বচ্ছ গ্লাসই ব্যবধান তৈরি রেখেছে। একজনের হাতের উপর আরেকজন হাত রাখতে পারে, কিন্তু স্পর্শটুকু পায় না। এত কাছাকাছি দূরত্বে বসেও একজন আরেকজনের শরীরের গন্ধ নিতে পারে না। জেলখানার ওই স্বচ্ছ কাচের দেয়ালই বিভেদ গড়ে দিয়েছে তাদের মাঝে। অথচ, প্রেমিক ফনির সত্যিই কোনো দোষ ছিল না। ভিলেনরূপী ‘মিথ্যা ধর্ষণ মামলা’ তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ালো। তবুও ব্যথিত মন নিয়ে আশা খুঁজে পায় দুজনে। হয়তো ওই কাচের দেয়াল সত্য দিয়ে প্রতিহত করে আবার পাশাপাশি বসবে দুজনে, আলতো করে হাতটা ছোঁয়াবে পরস্পরের হাতে।

স্বপ্নালু সেই সিন; Image Source: Plan B

১৯ বছর বয়সী টিশ আর ২২ বছর বয়সী ফনি, সেই ছোটবেলার বন্ধু। একসাথে বেড়ে উঠেছে। তাদের ভিন্ন দুটি হৃদয়ও অভিন্ন হয়ে বেড়ে উঠেছে। তবে তা তারা বুঝতে পেরেছে আরো পরে এসে। বুঝতে পেরে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরো নিগূঢ়তা দিয়ে পরস্পরকে আলিঙ্গন করেছে দুজনে। “বাধা ছাড়া কোনো সম্পর্কই পরিপূর্ণতা পায় না”– সেই কথার স্বার্থকতা রাখতেই বুঝি এক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দাঁড়াল একটা মিথ্যা ধর্ষণ মামলা, যাতে আসামি হয়ে জেলে গেলো ফনি। জেলের বিভীষিকায় ফনি টিকে থাকার চেষ্টা করছে, অপরদিকে ফনির ভালোবাসার নিদর্শন গর্ভে নিয়ে টিশ যুদ্ধে নেমেছে তার প্রিয় মানুষকে কাছে ফিরিয়ে আনতে। তাতে এক হয়ে গল্পের এগিয়ে চলা।

অতীত আর বর্তমানকে এক বিন্দুতে রেখে এগিয়ে চলে ‘ইফ বিয়্যেল স্ট্রীট কুড টক’। ভয়েসওভার ন্যারেশানে, টিশ সেই ছোটবেলা থেকে ক্ষণকাল আগে ফনির সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর পুরো বৃত্তান্ত একটু একটু করে বর্ণনা করছে, বর্তমানকেও একই রেখা আর সময়ে রেখে। ভয়েসওভার ন্যারেটিভে টিশের সবটুকু আবেগ, বেদনা ঝরে পড়ছে যেন। আর পুরো বর্তমানই টিকে আছে টুকরো আশার উপর।

সিনেমার ওপেনিং ক্রেডিটে, মূল উপন্যাসের রচয়িতা জেমস বল্ডউইনের উক্তি দিয়ে শুরু করার সিদ্ধান্তটা ভালো নিয়েছেন ব্যারি জেনকিন্স। গল্প বয়ানে, আমেজে জেমস বল্ডউইনের ছাপ রেখেছেন ব্যারি। কান পাতলে যেন বল্ডউইনের চাপা শ্বাসের শব্দ শোনা যায়। জেলখানায় টিশ যতবারই ফনিকে দেখতে যায়, ক্লান্ত, হতাশাগ্রস্ত, ভয়ার্ত ফনি তার চেহারায় খানিক ঔজ্জ্বল্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে মিথ্যা হাসি হাসে, টিশও তা-ই করে। দুজনের চাহনি থেকে বল্ডউইনের ব্যক্তিগত জীবনের কষ্টটা রূপকের ছায়ায় আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়।

ব্যারি জেনকিন্সের সিনেমায় ‘ভালোবাসা’ শব্দ এবং কনসেপ্ট দুটোরই বেশ আনাগোনা চোখে পড়ে, বড় একটা জায়গা দখল করে নেয়, যা ইতোপূর্বে ‘মুনলাইট’ সিনেমাতেও চোখে পড়েছে। এই সিনেমার গল্পের প্রকৃতি অনুযায়ী মেলোড্রামার বেশ সরব উপস্থিতি প্রত্যাশিতই ছিল, কিন্ত একটা অন্তরঙ্গতা পুরো সিনেমাকে বহন করেছে, মেলোড্রামায় গাঢ় হওয়ার দরকার পড়েনি। অন্তরঙ্গ ভালোবাসার কাব্যের পাশাপাশি জেনকিন্স চিত্রনাট্যে ‘৭০-এর দশকে আমেরিকার বর্ণবাদী রূপ, পুলিশি ব্যবস্থার দুর্নীতি, আমেরিকার শ্রমিকশ্রেণীর বঞ্চনার চিত্র সবটাই রেখেছেন।

টিশের গর্ভে তখন ফনির ভালোবাসার নিদর্শন, Image Source- Plan B

কিন্তু বক্তব্যনির্ভর সূক্ষ্ম এই বিষয়গুলো কখনোই মূল প্রসঙ্গকে ছাপিয়ে ওঠেনি বা ভারী করে তোলেনি। বরঞ্চ, সমস্তটা জুড়ে একটা যত্নশীল স্পর্শের দেখা মিলেছে। খুব কমনীয়তার সাথে এসব সূক্ষ্ম বিষয়ের অবতারণা করেছেন জেনকিন্স। বিষাদগাঁথা আর বর্ণবৈষম্যকে পাশাপাশি রেখে এক অবশ্যম্ভাবী রূপ দিয়েছেন জেনকিন্স। “আমেরিকায় জন্ম নেওয়া প্রত্যেক কৃষ্ণাঙ্গ, যে যেখানেই জন্ম নিক না কেন, উত্তরাধিকার সূত্রে তাদের সবার জন্মস্থান এই বিয়্যেল স্ট্রীট”– বল্ডউইনের উক্ত লাইন দিয়েই বর্ণবাদের অবস্থা টের পাই আমরা, লোমে শিহরণ জাগিয়ে দেওয়া গড়পড়তা ক্লিশে সংলাপের দরকার হয়নি। ব্ল্যাক-আমেরিকান হওয়ার নিদারুণ অভিজ্ঞতার ফাঁপাপৃষ্ঠে গতানুগতিক আঁচড় না কেটে, জেনকিন্স একেবারে মজ্জায় গিয়ে আসল চেহারাটা আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন, বলতে চেয়েছেন সেই থেকে আজ কতটুকু বদলালো কিংবা আদৌ বদলেছে কি না।

জেনকিন্সের সিনেমায়, সাধারণত তার সেটিংও একটা চরিত্র হিসেবে দাঁড়ায়, যার ব্যত্যয় ঘটেনি এই সিনেমার ক্ষেত্রেও। সত্তরের দশকের হারলেম শহরকে যেভাবে জেনকিন্স ফুটিয়ে তুলেছেন, তা সচরাচর চোখে পড়ে না। সাধারণত, ক্রাইম-ড্রামা সিনেমায় খুবই ধূসর, কড়া অ্যাটমোস্ফিয়ারিক আমেজই দেখা যায়। মনে হয়, শহরের অপরাধগুলো সন্ধ্যা নামতেই নিয়ন আলোর ছায়ায় লুকোবে, কিন্তু জেনকিন্সের বিয়্যেল স্ট্রীট কুড টক ওই আমেজে ভর করেনি। ঔজ্জ্বল্যে ভরা এই হারলেম শহর, প্রতি মুহূর্তে যেন প্রাণের স্পন্দন খেলে যাচ্ছে। জীর্ণতা নেই, বরং কোলাহলে মুখরিত। সতর্ক শব্দগ্রহণে আরো জীবন্ত হয়ে উঠে হারলেম শহর। গাড়ি চলছে, স্টেশনে ট্রেন এসে ভীড়ছে- রোজকার এসব অতি চেনা শব্দগুলোও এত যত্ন করে নেওয়া হয়েছে, তাতে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাটা আরো পূর্ণ মনে হয়। আর এভাবেই পুরো সিনেমায় একটি পাকাপোক্ত চরিত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় হারলেম শহর, যা সিনেমার গল্পবয়ানকে করেছে আরো সমৃদ্ধ।

সেটিংকে চরিত্র হিসেবে দাঁড় করানোর পাশাপাশি গল্পের চরিত্রগুলোকেও পরম যত্নে গড়ে তুলেছেন জেনকিন্স। একটি মুহূর্তেও এমন মনে হয়নি, চরিত্রগুলো দর্শকের সাথে সেই অন্তরঙ্গতা স্থাপন করতে পারছে না যতটা দরকার ছিল। মনে হয়নি চরিত্রগুলো চরিত্রই থেকে গেছে। চরিত্রগুলো পেরেছে দর্শকের সাথে বন্ধন তৈরি করতে, পেরেছে দর্শকের মাঝে অনুভূতি জাগাতে। টিশ আর ফনির আশাবাদীতা কিংবা আবেগে মুগ্ধ হয় দর্শক। আবার ফনির বর্ণনায়, জেলখানার শারীরিক আর মানসিক নিপীড়নের কথা ভেবে ভীত হয় দর্শক। তার বর্ণনা থেকে দর্শক বুঝতে পারে, কীভাবে গোটা সিস্টেমই কৃষ্ণাঙ্গদের উপর বর্বরতা জারি রাখতেই সাজানো হয়েছে। শ্বেতাঙ্গ চেতনার পদতলে মানবতা পিষ্ট হয় তখন বার বার।

দুই পরিবারের সদস্যরা; Image Source: Plan B

জেনকিন্স চরিত্রের গঠনবিন্যাসের মধ্য দিয়ে টুকরো বিবরণগুলোকে একসাথ করে গল্পবয়ান করেছেন, যা সম্ভব হওয়ার পেছনে অনবদ্য কাস্টিং বড় ভূমিকা পালন করছে। সংবেদনশীল, ভদ্র, শিল্পমনা- ফনি চরিত্রে স্টিফেন জেমসের অভিনয় দারুণ। চরিত্রটি নিয়ে যথাযথ বোঝাপড়ার ছাপ তার অভিনয়ে পরিলক্ষিত হয়। এই চরিত্রকে একইসাথে স্বপ্নবাজ তরুণ ও ট্র‍্যাজিক হিরো- দুই ভাবনাতেই বিশ্লেষণ করা যায়। আবার আবেগী ও সংগ্রামী প্রেমিকার চরিত্রে দারুণ অভিষেক হয়েছে কিকি লেইনের। দুই প্রধান চরিত্রের পরিবারের বাকি সদস্যদের অভিনয়ও মনে রাখার মতো। তবে সবচেয়ে বেশি মনে ধরার মতো অভিনয় করেছেন টিশের মায়ের চরিত্রে রেজিনা কিং। সূক্ষ্ম তার ডেলিভারি, কিন্তু ওতেই গভীরতা আঁচ করা যায়। দুই পক্ষের পরিবারের বৈঠকের দৃশ্যে টিশ যখন তার মাকে ডাকে, তখন মেয়ের ডাকে সাড়া দেওয়া অর্থে “ইয়েস, বেবি”- এ ছোট্ট দুটো শব্দকে এমনভাবে তিনি প্রদান করেছেন, তাতে মাতৃত্বসুলভ আচরণ পুরোপুরি ভেসে ওঠে।

ব্যারি জেনকিন্স ভিন্ন টোনের মাঝে সমতা তৈরিতে চমৎকার দক্ষ। দুই পরিবারের বৈঠকের সেই দৃশ্যের কথাই ধরা যাক। সিনেমার অন্যতম স্মরণীয় এই দৃশ্যে টিশের পরিবার, ফনির পরিবারকে নিমন্ত্রণ করে টিশের গর্ভবতী হওয়ার সংবাদ দিতে। এই দৃশ্যে দর্শক, দু’পক্ষের পুরুষদের এই সংকটাপন্ন অবস্থাতেও একে অপরকে মানিয়ে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা যেমন লক্ষ্য করে, তেমনি আরো লক্ষ্য করে, ফনির ক্রোধান্বিত মা আর দেমাগি বোনেরা কীভাবে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করছে টিশের পরিবারের দিকে। ফনির ধর্মান্ধ মা, ধর্মকে ক্রোধের আগুন হিসেবে ব্যবহার করে তাতে ভস্ম বানাতে চাইছে টিশকে। অপরদিকে, টিশের বোন এর্নেস্তিন শ্রদ্ধা রেখেই তার সেই ক্রুদ্ধতায় খানিকটা রসবোধ ব্যবহার করে ইঙ্গিতপূর্ণ কথায় পরিবেশটা খানিক হালকা করার চেষ্টা করছিল, এবং সেই মুহূর্তেই এই রসবোধের আমেজ ভায়োলেন্স আর হররে পাল্টে যায়, যা দেখে দর্শক বাকরুদ্ধ হতে বাধ্য হয়।

আবার আরেকটা দৃশ্য দিয়েই বলা যাক; যেখানে ফনির বন্ধু ডন তাকে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য জেলজীবন কতটা ভয়াবহ তা উল্লেখ করেছিল- একটা করুণ সুর যখনই গোটা দৃশ্যটায় ছড়িয়ে পড়তে গেছে ঠিক তখনই ডনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে ভারী হয়ে উঠেছে দৃশ্যটা। ডার্ক হিউমারের সরস ব্যবহার করতে পেরেছেন জেনকিন্স। একইভাবে, আবেগের অনুনাদে তাড়িত হওয়া দৃশ্যগুলো যখনই খানিক কল্পনা ছুঁয়ে হেসে উঠতে চেয়েছে, ঠিক পরক্ষণেই বাস্তবতায় মলিন হয়ে উঠেছে।

ফনি আর টিশ; Image Source: Plan B

ব্যারি জেনকিন্সের ফিল্মমেকিং স্টাইল নিয়ে বলতে গেলে খানিকটা বিশেষণীয় সুরে বলতে হয়, তরঙ্গের মতো ভেসে বেড়ায় তার স্টাইল। তার ক্যামেরা যেন শূন্যে ভেসে বেড়ায়, ঠিক কোথায় ফোকাস করবে তা যেন বুঝতে পারে না। আর এই বিসদৃশ শটগুলোর মাঝে দিয়েই খুব কোমলতায় একটা ধারার সৃষ্টি হয়। সেই ধারাতেই তার চরিত্ররা ও অবস্থাগুলো ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়। তার শটগুলো মাপতে হয় পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিতে। তার কালার প্যালেটগুলো হয় কখনো একবর্ণ, কখনো ঘন রঙে বিমোহিত করে, যেমন করে ‘ইফ বিয়্যেল স্ট্রীট কুড টক‘-এর প্যালেটগুলো ছেয়ে গেছে উজ্জ্বল বাদামী আর সোনালি রঙে। সম্পাদনা রীতি আলগোছে রূপ নিয়েছে গীতিময়তায়। এসবের সাথে জেনকিন্সের আরেকটা ট্রেডমার্ক চোখে পড়ে। তা হলো হরহামেশা অভিনেতাদের ক্যামেরার দিকে সরাসরি তাকানো। যেমনটা আগের সিনেমাতেও ছিল। তার চরিত্রগুলো যেন পর্দার ‘ফোর্থ ওয়াল ব্রেক’ করে তাদের একান্ত বিষাদ আর দুর্দশার কথা সরাসরি বলতে চায় দর্শককে।

‘ইফ বিয়্যেল স্ট্রীট কুড টক’ দর্শকদের বিহ্বল অবস্থায় রেখে সমাপ্তি টানে, যেখানে ফনির অবস্থা দর্শকদের সিস্টেমের প্রতি ক্ষুদ্ধ করে, আবার একইসাথে টিশ আর ফনির ভবিষ্যত্যের ভাবনায় চিন্তিতও করে। এই সমাপ্তিতে হতাশা যেমন আছে, আছে আশাও। আশা-হতাশা দুটোই যেন এক বিছানায় দুদিক ফিরে শুয়ে আছে, যে-ই প্রথম পাশ ফিরবে, বিপরীতটা দেখতে পাবে।

This article is a review of the film 'If Beale Street Could Talk' by Oscar winning director Barry Jenkins. This is his 2nd feature film. It's a sensational and near-perfect piece of filmmaking.
Feature Image: Plan B

Related Articles