Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স এবং একজন কেভিন ফাইগি!

১৯৯৯ সাল, অনেকদিন পর মারভেল থেকে বড় পরিসরে ‘এক্স-ম্যান’ নামের একটি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সিনেমার শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত ‘দ্য ইউজুয়াল সাসপেক্ট’খ্যাত পরিচালক ব্রায়ান সিঙ্গার এবং প্রযোজক লরেন শুলার। তাদের চিন্তাভাবনা হলো কমিকসের উলভারিনের বিখ্যাত কটকটে হলুদ রঙের পোশাক সিনেমায় ব্যবহার করা যাবে না। দুজনে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেও বাগড়া দিল লরেন শুলারের এক সহকারী ছোকরা যুবক! ছোটবেলায় কমিকসে এ দেখা সেই উলভারিনকেই সে বড় পর্দায় দেখতে চেয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিচালক এবং প্রযোজককে রাজি করাতে না পেরে সে বললো, তাহলে আমি ওর (উলভারিন) চুলের দায়িত্ব নিতে চাই! 

কমিকস জগতের বিখ্যাত চরিত্র ‘উলভারিন’ হিসেবে কাস্ট করা হলো ‘হিউ জ্যাকম্যান’ নামের অচেনা এক অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতাকে। ছেলেটি হেয়ারজেল দিয়ে জ্যাকম্যানের চুল এমনভাবে সাজালো যে, তা দেখতে কমিকসের উলভারিনের মুখোশের মতো লাগে। প্রায় বিশ বছর ধরে রূপালি পর্দায় উলভারিনের যে রূপ আমরা দেখতে পাই, তার সূচনা এভাবেই।

সেই ছোকরা সহকারীর নাম ছিলো কেভিন ফাইগি, বর্তমানে যাকে মারভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের জনক হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। আজকের দিনের তুমুল জনপ্রিয় এই সিনেমাগুলি নিয়ে একটি ইউনিভার্স করার কথা প্রথম তার মাথায়ই এসেছিল। 

নিউ জার্সিতে বেড়ে ওঠা কেভিন ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি তুমুল আকৃষ্ট ছিলেন।

“আমি একটা ডায়েরি রাখতাম সাথে। যা যা সিনেমা দেখেছি, কোথায় দেখেছি, কতবার দেখেছি তা লিখে রাখতাম সেখানে। যেসব সিনেমার আবহ সঙ্গীত ভালো লাগতো তা রেকর্ড ও করে রাখতাম।”

আশির দশকে বেড়ে ওঠা ফাইগির শৈশবে হলিউড সিনেমার সোনালী সময় প্রচুর প্রভাব ফেলেছে। তখনকার এডি মার্ফির কমেডি সিনেমা থেকে শুরু করে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের অ্যাকশন সিনেমাগুলি হল জমিয়ে রাখতো। এসব সিনেমাতে তার আগ্রহ থাকলেও, ইন্ডিয়ানা জোনস, স্টার ওয়ার্স এবং স্টার ট্রেকের মতো ফ্রাঞ্চাইজি সিনেমাগুলি ফাইগিকে টানতো সবচেয়ে বেশি।

স্ট্যান লির সঙ্গে কেভিন ফাইগি; Image Source: indiewire.com

“আমি কখনোই সিকুয়েল বিদ্বেষী ছিলাম না বরং আমার পছন্দের চরিত্রগুলোকে বারবার দেখতে পারাটা খুব উপভোগ করতাম। যদিওবা মাঝেমধ্যে নিরাশ হয়েছি আমি। কখনো কোনো সিনেমা নিয়ে হতাশ হলে ভাবতাম, আমি হলে কী করতাম এখানে? একেবারে চিত্রনাট্য লিখে ফেলতাম না যদিও তবে চিন্তা করতাম, অনেকটা এখন আমি যা করি তার মতো! ”

১৯৯৫ সালে সিনেম্যাটিক আর্টসের উপর স্নাতক করে লরেন শুলারের সহকারী হিসেবে যোগদান করেন কেভিন। লরেনের ভাষ্যমতে, কেভিন সবসময় চাইতেন কমিকবুক সিনেমাগুলি যাতে কমিকস-একুরেট হয়।

এক্স-ম্যানের সাফল্যের প্রায় পাঁচ বছর পর, মারভেল ঠিক করে অন্যান্য কোম্পানির কাছে নিজেদের কমিকসের চরিত্রগুলোর সত্ত্ব বিক্রি না করে, তারা নিজেরাই সিনেমা নির্মাণ করবে। কিন্তু তাদের সামনে ছিলো বিশাল এক সমস্যা। মারভেল কমিকসের স্পাইডার-ম্যান এবং ফ্যান্টাসটিক ফোরের মতো বিখ্যাত চরিত্রগুলির স্বত্ব ছিল যথাক্রমে সনি এবং টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের কাছে! যদি মারভেলের সিনেমা বানাতেই হয়, তাহলে শুরুটা করতে হবে আয়রন ম্যান এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকার মতো কম জানাশোনা চরিত্রগুলিকে নিয়ে! 

এই ঝড়ের মধ্যে মারভেল স্টুডিওর হাল ধরার জন্য একজন শক্ত নাবিক দরকার ছিলো। এবং ২০০৭ সালে সেই নাবিক হয়ে মারভেল স্টুডিও নামের তরীর হাল ধরেন কেভিন ফাইগি। শুরুতেই তিনি প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের লোন নিয়ে সাজানো শুরু করেন মারভেল স্টুডিও। এবং আয়রন ম্যান নির্মাণ কাজ দেন পরিচালক জন ফাভরোকে।

তখনকার অবস্থা সম্পর্কে জন ফাভরো বলেন,

“আমরা খুবই নড়বড়ে অবস্থানে ছিলাম। প্রথম ছবিটি আমরা খুব কষ্ট করে তৈরী করেছিলাম। আমার প্রায়ই মনে হতো এই সিনেমা সফল না হলে হলে, আমাদের লোনের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে আর সেই অঙ্কের টাকা দেয়ার অবস্থানে আমরা তখন ছিলাম না।”

কিন্তু সব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা আয়রন ম্যান বক্স অফিসে তুমুল ঝড় তোলে। ১৪০ মিলিয়ন বাজেটে নির্মিত সিনেমা বক্স অফিস থেকে আয় করে নেয় ৫৮৫ মিলিয়ন ডলার! আয়রন ম্যানের ব্যাপক সফলতার পর, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন গড়ে ওঠা  এই স্টুডিওটিকে মাত্র চার বিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে নেয় ডিজনি। অনেকেই ব্যাপারটিকে ভ্রূকুটি করলেও, ফাইগির উপর বড় বেশ আস্থা ছিলো ডিজনি হর্তাকর্তাদের। আর এমসিইওর বর্তমান সাফল্য প্রমাণ করে তাদের হতাশ করেননি ফাইগি ও তার দল।

ডিজনির নির্বাহী কর্মকর্তা বব আইগার কেভিন ফাইগির উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে যেয়ে বলেন-

“আমরা যখন মারভেলকে কিনি, তখন এই স্টুডিওটিকে নিয়ে আমাদের প্রচুর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু কেভিন ও তার দল যা করেছে তা আমদের কল্পনারও বাহিরে ছিলো। তারা সুপারহিরো সিনেমার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। সুপারহিরো সিনেমার নতুন যুগ মারভেলের হাত ধরেই এসেছে বলে আমি মনে করি। এইরকম সৃষ্টিশীল কাজ কখনোই দৈবযোগে হয় না। প্রতিভা, কল্পনাশক্তি, আবেগ এবং সাহসিকতার হাত ধরেই এই সাফল্য এসেছে এবং মারভেল স্টুডিওতে যা এসেছে তা কেভিনের হাত ধরেই আসে।”

আয়রন ম্যানের প্রচারণায় কমিকনে ছবির অভিনেতা ও পরিচালকের সাথে ফাইগি; image source : nytimes.com

পরপর ২৩টি সিনেমার পর এই বছর অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম দিয়ে ঘটে বিশাল ইনফিনিটি সাগার সমাপ্তি। এসব সিনেমা দর্শকদের অ্যান্ট-ম্যান থেকে ব্ল্যাক প্যান্থার পর্যন্ত নতুন নতুন সব সুপারহিরোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। কমিকসবইয়ে প্রায়ই সুপারহিরোদের মাঝে ক্রসওভার হতো; অর্থাৎ এক সুপারহিরো অন্য সুপারহিরোর গল্পে নিয়ে আসা হতো। কখনো কখনো অনেক সুপারহিরো চরিত্র একসাথে দল গঠন করতো বড় কোনো বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে; যেমন- অ্যাভেঞ্জারস। কমিকসের মতো সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সও সেভাবে সাজানো হয়েছে, যা গত এক দশক ধরে ভক্তদের মুগ্ধ করে চলেছে।

ফাইগি প্রায়শই নতুন নতুন পরিচালকদের হাতে বড় বাজেটের সিনেমা দিয়ে একপ্রকার জুয়াই খেলেন বলা যায়। তবে এখনও পর্যন্ত ফলাফল বেশ ভালো। এর মাধ্যমেই বেরিয়ে এসেছেন জেমস গান, রুশো ব্রাদার্সের মতো প্রতিভাসম্পন্ন পরিচালক।

অ্যাভেঞ্জারস এন্ডগেমের পরিচালক জো এবং অ্যান্থনি রুশো এই সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। এই পরিচালকদ্বয়ের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ছিল ‘কমিউনিটি’ ও ‘অ্যারেস্টেড ডেভেলপমেন্ট’ নামের সিচুয়েশন কমেডিতে পরিচালনা করা কিছু এপিসোড! তাদের হাতে সিনেমা দেওয়ার আগে ফাইগি কী ভেবেছিলেন, সেটি কেবল তিনি নিজেই বলতে পারবেন। দুই ভাই বরাবরই কেভিন ফাইগির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তাদের সুযোগ করে দেবার জন্য।

রুশো ব্রাদার্সের সাথে কেভিন ফাইগি  ; image source : collider.com

জো রুশোর ভাষায়,

“কেভিন একটা ম্যাভেরিক। সে মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী। এতোগুলো আলাদা আলাদা গল্প তৈরি করে সেগুলো একসাথে জুড়ে দেয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। প্রতিটা পদক্ষেপ ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এতোগুলো সিনেমার যেকোন একটি বা দুটি খাপে খাপে না বসলে পুরো ব্যাপারটাই ভেস্তে যেতে পারতো।”

তবে তাদের এই পরিকল্পনা মোটেও ব্যর্থ হয়নি। সবগুলো সিনেমা সর্বমোট ২২.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করে নিয়েছে বক্স অফিসে। এমসিইউকে নিয়েছে সর্বকালের সেরা ফ্রাঞ্চাইজির কাতারে। ডিজনির আরেকটি কোম্পানি পিক্সার ছাড়া এর কোন স্টুডিও বাণিজ্যিক ভাবে এতো সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো না। কেভিন ফাইগির হয়তো পিটার টিঙ্গলিং বা ক্যাপ্টেন আমেরিকার শিল্ড না থাকতে পারে, কিন্তু নিজস্ব  কোনো সুপারপাওয়ার আছে বৈকি; তা না হলে এভাবে পরপর বাণিজ্যিকসফল সিনেমা নির্মাণ চাট্টিখানি কথা নয়। 

৪৬ বছরের জীবনেই সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েও কেভিনের থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। শুনা যাচ্ছে অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেমে আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকার মতো সুপারহিরোদের বিদায় দেয়ার সাথে নতুনদের নিয়ে মারভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের নতুন যাত্রা শুরু হবে। ‘শ্যাঙ চি’, ‘দ্য ইটারনালস’ এবং ‘ব্ল্যাক উইডো’র মতো সিনেমাগুলির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কেভিন ফাইগি।

শুধু সিনেমায়াই থেমে থাকছেন না তিনি। এবছর নেটফ্লিক্সের সাথে পাল্লা দিয়ে ডিজনির নতুন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম আসছে, নাম ডিজনি প্লাস। এই প্ল্যাটফর্মের জন্যও মারভেল থেকে নতুন কিছু টিভি সিরিজ আসছে যা সরাসরি সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সাথে সংযুক্ত থাকবে।

এই সিরিজ গুলার মধ্যে ‘ফ্যালকন এন্ড উইন্টার সোলজার’, ‘ওয়ান্ডা ভিশন’, ছাড়াও লোকি এবং হক আইয়ের মতো চরিত্রের সিরিজ ও থাকবে বলে জানা গেছে। এইসব সিরিজের কাজেও ফাইগি এবং তার দল দিনরাত খেটে যাচ্ছে। ফাইগির ভাষায়-

“এই সিরিজগুলো সিনেমার সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে। এইভাবে গল্প বলা আমাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা যা নিয়ে আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারছি।”

অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেমের অভিনেতারা শেষবারের মতো সবাই একসাথে সিনেমার প্রচারমূলক কাজে বের হয়ে সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বারবার। একযুগের মতো সময় ধরে এইসব চরিত্রে অভিনয় করতে করতে মারভেল তাদের পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছে। 

ফাইগির তৈরী করা এই সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সুপারহিরোরা অন্যান্য সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সুপারহিরোদের থেকে আলাদা ছিলো। সুপারম্যান কিংবা ব্যাটম্যানের মতো নিজের পরিচয় গোপন রাখে না মারভেলের হিরোরা। ফাইগির মতে, এইসব হিরোদের আমরা আমাদের জগতের অংশ হিসেবে দেখিয়েছি। আমাদের জগতের মানুষেরা আলোচনা করবে এই সুপারহিরোদের নিয়ে, তাদের পরিচয় লুকানোর প্রশ্নই আসে না। ফাইগির এই চিন্তাধারাই অন্যান্য সুপারহিরো ফ্রাঞ্চাইজি থেকে মারভেলকে আলাদা করে তুলেছে। 

ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার সিনেমাটিতে মারভেল থেকে সত্ত্ব কিনে নেয়া স্পাইডার-ম্যান কে দেখা যায়, যার পেছনের কারণ সেই ফাইগি। প্রায় দুই বছর ধরে সনির সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর স্পাইডার-ম্যানকে মারভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে ব্যবহার করার চুক্তি করেন তিনি। 

স্পাইডার-ম্যান: হোমকামিং সিনেমাটিতে আমরা দেখতে পাই, পিটার পার্কারের শিক্ষক ‘সোকোভিয়া চুক্তি’ নিয়ে পড়াচ্ছেন যা সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার সিনেমার কাহিনীর একটি পটভূমি! এমনকি সদ্য বের হওয়া স্পাইডার-ম্যান মুভিতেও দেখা হয়েছে এন্ডগেমের আফটারশক! সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের প্রতিটি সিনেমার এরকম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকার পিছনেও কেভিন ফাইগির অবদান।

তিনি সাহস নিয়ে কিছু কাজে হাত দিয়েছিলেন যার ফলাফল ছিলো আশাতীত। যেমন আয়রন ম্যান, আয়রন ম্যান ২ বের হবার সময়ই তিনি ঠিক করে রাখেন মারভেল  সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সকে তিনি মহাকাশে নিয়ে যাবেন! থর সিরিজ, গার্ডিয়ানস অফ দ্য গ্যালাক্সি সিরিজ যার প্রমাণ । গার্ডিয়ানস অফ দ্য গ্যালাক্সির চরিত্র গুলো খুবই অচেনা ছিলো মারভেল কমিকসে কিন্তু তাও আরেক অচেনা পরিচালক জেমস গানের হাতে সিনেমাটি দিয়ে আবারো বাজিমাত করেন ফাইগি।  এই সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স এর জন্য প্রচুর খেটে যান তিনি। কেভিন ফাইগির একদিনের কাজের তালিকা দেখলেই বুঝা যায় কি পরিমাণ ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। 

এদিকে ডিজনির ফক্স কে কিনে নেয়ায় এক্স ম্যানের মতো মারভেলের বিভিন্ন সুপারহিরো আবার ঘরে ফিরে এসেছে। এসব নিয়েই ফাইগির বড় পরিকল্পনা রয়েছে। অ্যাভেঞ্জারস ভার্সেস এক্স ম্যান কিংবা ফ্যান্টাসটিক ফোরের সাথে স্পাইডার-ম্যান দেখার হয়তো খুব বেশি দেরী নেই! 

মারভেল ২০১৯ সালে তিনটি সিনেমা মুক্তি দিবে যেখানে ইতিমধ্যে ক্যাপ্টেন মারভেলের আয় হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার। অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম এখন পর্যন্ত ২.৭ বিলিয়ন ডলার আয় করে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমাগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে! বছরের তৃতীয় স্পাইডার-ম্যান: ফার ফ্রম হোম কিছুদিন আগেই মুক্তি পেলো।

পুরোবিশ্ব জুড়ে তুমুল জনপ্রিয় এই  সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের এতোটা সাফল্যের জন্য ভক্তরা ধন্যবাদ দিতেই পারেন কেভিন ফাইগিকে। শুধু বক্স অফিস থেকে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার আয় করা মারভেল স্টুডিওর প্রধান তিনি। ফাইগি এবং তার দল যা করে দেখিয়েছেন সিনেমা ইতিহাসে এরকম নজির খুঁজে পাওয়া খুবই দুর্লভ। 

This is a bangla article about the contribution of Kevin Feige in marvel cinematic universe. References are hyperlinked.

Featured Image © hdqwalls.com

Related Articles