লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে এই বাড়ি। জনবিচ্ছিন্ন। বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝখানে সীমানা ঘেরা বাড়ি। লোকটা সরকারি কর্মকর্তা। এসেছিল বাড়ির নাম্বার লিখে যেতে। চলে যাবে, এমন সময় পিপাসা মেটাতেই বাধাটা পেল। বাড়ির সীমানায় ঢুকতে গা-টা একটু ভারি লাগল তার। দরজায় কড়া নাড়ল। বাড়ির বাইরে তার কড়া নাড়ার শব্দ আর ভেতরে ভয় আর বেদনা মেশানো একটা নারীকণ্ঠের ক্রমাগত চিৎকার ভেসে আসছে। এই দুটো শব্দ মিলেই তৈরি হলো গা ছমছমে আবহটা। ক্যামেরার সামনে একটা বড়সড় আকৃতির একাংশ উপস্থিত হলো। স্ট্রেচারে ভর দিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে যতই এগোচ্ছে, ভয় আর দমবন্ধ হবার অনুভূতি ততটাই বাড়ছে।
ম্যাচ-কাট করে এবার ক্যামেরায় এলো এক যুবতী। তার এগিয়ে যাওয়া ধারণ করছে ক্যামেরা। তার নাম অনুজা। একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। হেঁটে চলার ভঙ্গি, সস্তা দামের ঢিলেঢালা সালোয়ার-কামিজ আর বেণী করা চুল দেখে তার চরিত্রের সরলতা খানিকটা আঁচ করা যায়। গ্রাম্য মেয়ের ছাপ চেহারায়। চোখের দৃষ্টিতেও আছে সেই সরলতা, তবে চশমার ফাঁক দিয়ে খানিক চৌকস ভাব আর দৃঢ়তার ঝলকও মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায়, যা হয়তো তখনো অনাবিষ্কৃত ছিল অনুজার কাছে; ঐ ভয়ানক পরিস্থিতিতে পড়ার আগ অব্দি অন্তত।
অনুজা একটা স্বনির্ভর জীবন চায়। প্রতি রাতেই হবু বরের ফোনে তাকে শুনতে হয়, "চাকরিটা ছাড়। না ছাড়লে আমি কিন্তু বিয়েতে না করে দেব। ছেলে পাবি আর? বিয়েই তো হবে না।" এসব হেয় কথা নীরবে শুনে যায় সে। গায়ের রঙ ফর্সা না, তাই এসব শুনে যেতেই হবে; অমনই তো তাকে ভাবতে শেখানো হয়েছে। কিন্তু অনুজার প্রতিবাদটাও নীরবে।
অনুজাকে স্কুল থেকে আদমশুমারির কাজে নিযুক্ত করা হয়। সাথে নেয় সে আরেক সহকর্মী নেহাকে। অনেক খুঁজে পায় সেই বাড়িটা। একজন তরুণী দরজা খোলে। ভয়ার্ত ভাব লুকিয়ে আছে মেয়েটির চেহারায়। সে বারবার ঘরের ভেতরে তাকাচ্ছে। তার এই বারবার ঘরের ভেতরের দিকে কেউ আসছে নাকি ভেবে তাকানোটা অনুজার চোখ এড়ায় না। ঘরের সদস্য সংখ্যার কথা জিজ্ঞেস করতে, মেয়েটা বলে ওঠে, "আমি, দাদি, উনি আর ভোলা।" পেটের বাচ্চার দিকের তাকিয়ে অনুজা জিজ্ঞেস করল, "প্রথমবার মা হতে যাচ্ছ?" উত্তর এল, "না"। অনুজা বলল, "তবে তো বাকি বাচ্চাদেরও আমাদের গণনা করতে হবে। আগে বলোনি কেন?"
মেয়েটা উত্তর দিল, "কিন্তু বাচ্চাগুলো তো হওয়ার পরপরই মারা যায়। প্রতিবার!" অনুজা আর নেহা দু'জনেই বিস্মিত হয়ে গেল। কিন্তু আর অনুসন্ধান চালানোর সুযোগ পেল না ভয়ালদর্শন দাদি এসে যাওয়াতে। চোখের দিকে তাকাতেই ভয় করে তার। নমনীয়তার ছিটেফোঁটা নেই যেন। তাকে দেখে প্রশ্ন বাড়ানোর সাহসটা দুই শিক্ষিকার আর হলো না। তবে যাবার আগে মেয়েটার গলার কাটা দাগ অনুজার চোখ এড়াল না।
Image Source- Sony LIV
সপ্তাহ কয়েক পরের কথা। প্রতিবারই ডেলিভারির পর বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনা আর গলার সেই কাটা দাগ অনুজা ভোলেনি। নেহাকে একরকম তাই জোর করে রাজি করিয়ে আবার চলল সেই ভূতুড়ে বাড়িতে। নিজের ঘাড়ের উপরই যে ভয়ানক বিপদ নামিয়ে আনতে যাচ্ছে, তখনো জানত না সে। এবার আর মেয়েটি আসেনি। এল এক বয়স্ক মানুষ। স্বামীই হবে। এবারের বাচ্চাটাও মারা গেছে, লোকটা জানাল। তার মা, মানে ওই দাদি সেদিনের মতোই ভয়ংকর দৃষ্টি নিয়ে পাশে বসে আছে। দরজায় খারাপ দৃষ্টি চোখে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কাজের লোক ভোলা। বিপদের নাকের ডগায় এসে অবশেষে অনুজা বিপদের গন্ধ পেল; বেরিয়ে আসার চেষ্টা করল। কিন্তু বাদ সাধল ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার যে নাম নেই। অগত্যা সে বাড়িতেই তাদের অবস্থান নিতে হলো। রাতে খাবার টেবিলে বসে তাদের এক আশ্চর্য রিচুয়াল খেয়াল করলো অনুজা আর নেহা দুজনেই। পরিস্থিতি ক্রমশই অদ্ভুত আর ভূতুড়ে হচ্ছে। বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষের আচরণেই অস্বাভাবিকতার ছাপ।
অনুজার কাছে গোটা জিনিসটা সুবিধার ঠেকছে না। তার উপর ভোলা নামের ছেলেটা তো নেহার উপর থেকে চোখ সরাচ্ছেই না। পানি দেওয়ার নাম করে রুমে উঁকি মারছে। ঠোঁটে শয়তানি হাসি আর চোখে হুমকির সূক্ষ্ম ঝলক। অনুজা রাতটা জেগেই কাটাবে বলে ঠিক করল। ওদিকে ভোলা ঘরের কর্তাব্যক্তিটির কাছে হাত-পা ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলছে, "ভাইয়া মেয়ে দুটো খুব খারাপ। বাসায় মিথ্যা বলেছে। ভাইয়া আমি এবার যাই? যাই না ভাইয়া। ওরা খারাপ তো।" ভাইয়া নামের লোকটা বেরিয়ে, গেল বাড়ির সীমানার ধারঘেঁষা টিনের ছাউনিঘেরা ঘরটায়। অনুজা জানালা থেকে সেটা দেখছে। হঠাৎ চমকে উঠে নেহাকে বললো, "লাশ! লাশ আছে ওই ঘরটাতে।" দুই শিক্ষিকার প্রাণ বাঁচানোর লড়াইটা শুরু হয় এর পরই। ঘরের লম্বা প্যাসেজের দরজা থেকে অন্দরমহল অব্দি প্রতিটা বাঁকের মতোই অপ্রত্যাশিত আর ভয়ানক সব বাঁক ঘুরতে থাকে গল্পে।
'ওয়েলকাম হোম' সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। এটি আলাদা করে উল্লেখ করার কারণ এই যে, গল্পটা এতই রোমহর্ষক এবং বীভৎস যে, বাস্তবে ঘটার কথা কেউ মানতে চাইবে না। তাইতো বলা হয়, বাস্তব সিনেমার চাইতেও সিনেম্যাটিক, নাটকের চাইতেও নাটকীয়।
বর্তমানে মূলধারার পাশাপাশি ইন্ডি-সিনেমার বাজার ভালো প্রসার পাচ্ছে ভারতে। 'ওয়েলকাম হোম' সেই বাজারে তো বৈ, নিজস্ব জঁনরায় একটা ভিন্নরকম যোগ হয়ে থাকবে। এ সিনেমা একইসাথে সারভাইভ্যাল থ্রিলার এবং চেম্বার ড্রামা। চেম্বার ড্রামা, কারণ গোটা সিনেমাই বলতে গেলে একটি বাড়ির ভেতর ধারণ করা হয়েছে। তেমন কোনো সেট ডিজাইন করতে হয়নি। সংকীর্ণ জায়গা আর চরিত্র নিয়েই গোটা সিনেমা তৈরি হয়ে গেছে, যে ধারাটা মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্রে পরিচয় করিয়েছেন বার্গম্যান, থিওডর ড্রেয়ারের মতো গ্রেট পরিচালকরা।
মূলত ওয়েলকাম হোমের ন্যারেটিভই সিনেমাটিকে অন্যান্য হিন্দি সিনেমা থেকে ভিন্ন করে তুলেছে। সুসংবদ্ধ ন্যারেটিভ খুব সতর্কতা আর গুরুত্বের সাথে ভারতে নারীদের ঘিরে গড়ে ওঠা গৃহ নির্যাতনের সংস্কৃতি উপস্থাপন করেছে। এটি যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়াচ্ছে, সেদিকেও তর্জনী তাক করে এ সিনেমা। নেহার, "তোমার বাবা তোমার মাকে মারধর করেনি?" প্রশ্নে আর অনুজার একটা কথাতেই তার প্রকাশ ঘটে, "আমার মা নিজেকে কোনদিন বাবার মারের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি। তবে তার মেয়ে কোনো বিপদে পড়েছে জানলে ওই ভীতু নারীই সাহসী হয়ে উঠবেন।"
এখানে একইসাথে কড়া পৌরুষত্বের বিষয়টি সমাজে খুব স্বাভাবিক হয়ে যাওয়াটা যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে তার সামনে নারীর অসহায়ত্ব আর অধিকার খর্বের দিকটিও। আর পৌরুষের সামনে নারীকে কুঁকড়ে যেতে দেখতে দেখতে বড় হওয়ার কারণেই অনুজা, তার স্বাধীনতায় হবু স্বামীর অনধিকার চর্চায় নীরব ভূমিকা পালন করে। একই পরিস্থতির আরেকটি রূপ দেখা যায় নেহার ছেলেবেলায়ও। তাইতো বড় হয়েও ভাইয়ের আক্রমণাত্মক আচরণ চুপচাপ সহ্য করে সে। এভাবেই নির্যাতনের বিষয়টি প্রজন্মান্তরে বিস্তৃত হবার চিত্র প্রতিষ্ঠা হয় ন্যারেটিভে।
Image Source- Sony Liv
তবে অঙ্কিতা নারাং'য়ের বুদ্ধিদীপ্ত এবং বিষয়াদি সূক্ষ্ম চালে তুলে আনা চিত্রনাট্য একমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির নয়। স্থূলভাবে দোষারোপ করে যাওয়ার পথে তার চিত্রনাট্য হাঁটেনি। একটি ছোট্ট দৃশ্যের দুটো সংলাপেই তা বুঝতে পারা যায়। নেহা অনুজাকে বলে, "দেখো। আমরা মেয়ে বলেই এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে আজ।" তখন অনুজা বিপরীতে বলে, "পরিস্থিতি মেয়ে-ছেলে নির্ধারণ করে আসে না। যেই লাশটা পড়ে ছিল ওই ঘরের ভেতরে, ওটা কি মেয়ের? না, একটা ছেলেরই তো।" এ সংলাপ দিয়েই কোনো লিঙ্গের পক্ষপাতী না হওয়ার দিকটি সিনেমা প্রকাশ করেছে। এই সিনেমা সমান অধিকার নিয়ে কথা বলেছে, আরেক পক্ষকে দাবিয়ে তা অর্জনে নয়। গৃহ নির্যাতন নিয়ে কথা বলেছে, এবং রাখঢাক রেখে নয়, সরাসরিই। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে বলেছে তার প্রতিরোধে। এখানেই চিত্রনাট্য এবং সিনেমার মূল শক্তির জায়গা।
অঙ্কিতা নারাং'য়ের এ চিত্রনাট্যকে পর্দায় শক্তিশালী করে তুলতে যথাযথ পরিচালনার দায়িত্বটা সফলভাবেই পালন করেছেন পুষ্কর মহাবল। তিনি গোটা সিনেমাটায় নিস্তব্ধতাকে একটা বড় স্থান দিয়েছেন; থমথমে নিস্তব্ধতা যাকে বলে। এর উপর ভর দিয়ে অনায়সেই পরিবেশটা আরো চাপা ভয়ের হয়ে উঠেছে। নিস্তব্ধতার বিপরীতে সিনেমার আঁতকে ওঠার মতো ভায়োলেন্সকে উপস্থাপন করে দুটো টোনের মাঝেই সমতা তৈরি করেছেন পরিচালক। সাসপেন্স নয়, শক থিওরিই বেশি প্রয়োগ করেছেন। ওসব মুহূর্তে শিকারি নয়, শিকারের দৃষ্টিকোণকে তিনি চালনা করেছেন। এক্ষেত্রে শক থিওরিই বেশি কার্যকরী।
আর সেজন্য মানানসই আবহসঙ্গীত ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তেজনা আর ভয়ের পারদ দু'টোই চড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা এ আবহসঙ্গীতের আছে। সাথে আছে হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরা চালানোয় সায়ী ভোপের দক্ষতা। ক্লস্ট্রোফোবিক ভাব জাগাতে সতর্কতার সাথেই প্রতিটি শট কম্পোজ করেছেন পুষ্কর আর সিনেমাটোগ্রাফার মিলে। ভেতরের ভয়টা জাগাতে লং শটগুলোতে ডেপথ অভ ফিল্ড কতটুকু রাখা হবে, তা যে বেশ পরিকল্পনা করে কম্পোজ করা হয়েছে, শটগুলোতেই তা দৃশ্যমান। সম্পাদনার কাজটা পরিচালক নিজেই করেছেন। তার দক্ষ আর শক্ত সম্পাদনা কোথাও অসংসক্ত হয়ে পড়তে দেয়নি সিনেমাকে।
Image Source- Sony Liv
তবে হ্যাঁ, খুবই স্বল্প বাজেটের ইন্ডি-সিনেমা হওয়ায় প্রোডাকশন ভ্যালুতে বেশ কিছু খামতির জায়গা চিহ্নিত করা যায়। লাইটিংয়ে খামতি আছে। অনেক দৃশ্যে লাইটের ব্যবহার নেই। সেগুলো মানিয়ে নিলেও রাতের দৃশ্যগুলোতে যথাযথ লাইটিং না থাকায় এবং কালার গ্রেডিংয়ে খুব দক্ষতা বা সুযোগ না থাকায় 'লুক এন্ড ফিল'-এর ব্যাপারটায় একটু পিছিয়ে পড়বে। এগুলোকে দুর্বলতা নয়, কারিগরি সীমাবদ্ধতা বলতে হবে, যার সাথে সিনেমা খারাপ বা ভালো হওয়ার প্রয়োজনীয় সম্পর্ক নেই। দুর্বলতার বড় জায়গা অবশ্য গ্রাফিক ভায়োলেন্সের দৃশ্যগুলোয়। প্র্যাক্টিক্যাল ইফেক্টসের সাহায্য নেওয়া উচিত ছিল এসব জায়গায়। মেকাপ এবং কস্টিউম ডিজাইন; এই দু'টি বিভাগের কাজ অবশ্য যথাযথ হয়েছে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো গল্প এবং চরিত্র বিচারে নিখুঁত কাস্টিং এ সিনেমায় হয়েছে। অভিনয়শিল্পীরা চরিত্রের বীজ নিজের মধ্যে রোপণ করেছেন এবং সেভাবেই চরিত্রটাকে রূপ দিয়েছেন। কর্তা গণেশামের চরিত্রে শশী ভূষণের অভিনয় কড়া পৌরুষবোধের জীবন্ত রূপ। সিনেমার সবচেয়ে ভয় জাগানিয়া আর অদ্ভূত চরিত্র অবশ্য কাজের লোক ভোলা। যৌন আসক্তিতে ভোগা একটা পাগল আর ভয়ংকর চরিত্র এই ভোলা। এ চরিত্রে ভোলারাম দাসের কয়েক সেকেন্ডের একটা চাহনিই চরম অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তার অভিনয়ই বলে দেয়, চরিত্রটার পুরো ভেতর-বাহির নিখুঁতভাবে পাঠ করেছে সে।
Image Source- Sony Liv
দাদীর চরিত্র রূপায়ণ করা অক্ষিতা অরোরা সহানুভূতিহীন একটা পাশবিক চরিত্রের বাস্তব রূপ যেন। পরিস্থিতির শিকার হওয়া দুই মেয়ে; অনুজা আর নেহার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাশ্মিরা ইরানি এবং সোয়ার্দা থিগলে। দু'জনের মেকাপ'টা এতটাই নিখুঁত হয়েছে যে, গুগল করে তাদের গ্ল্যামারাস অবতারের সাথে মেলানো কঠিনই হবে। তাদের চরিত্র দু'জন সরল নারীর চরিত্র থেকে, নির্যাতনের শিকার হওয়া এবং চোয়াল শক্ত করে দাঁড়ানোর গোটা গ্যামাটটাই পূর্ণ করেছে। দু'জনের রসায়ন'টা অনবদ্য। কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে, চোখের ইশারাতেই তাদের সমস্ত বোঝাপড়া হয়ে যায়।
'ওয়েলকাম হোম' নামটা তার গল্পের ক্ষেত্রে আয়রনি বহন করছে। ওই ঘরটাই তো একটা নরক। তবে ভায়োলেন্সের রূপায়নে, ন্যারেটিভ গঠনে অবশ্যই এ জঁনরায় সিনেমাটাকে 'ওয়েলকাম' জানাতে হয়। সেইসাথে অস্বস্তিদায়ক এবং রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতার এ সিনেমা বিষয়াদি আর বক্তব্যের চিত্রায়নে বলিউডে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা হয়ে থাকবে সন্দেহাতীতভাবেই।
This article is in Bangla. It is a review of the acclaimed hindi film 'Welcome Home' (2020). It's an indie venture from Sony Liv, based on a incredible true story. It's the debut film of director Pushkar Mahabal. And he showed great potential in him. It's one of the finest hindi films, in 2020.
Featured Image: Sony LIV