Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দ্য ডার্ক নাইট ট্রিলজি: আঁধারের এক অতন্দ্র প্রহরী

ওয়ার্নার ব্রসের তত্ত্বাবধানে নির্মিত দ্য ডার্ক নাইট ট্রিলজির মাধ্যমে পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান যেন নতুন করে জন্ম দিলেন ডার্ক নাইটকে। গৎবাঁধা কমিকের গল্প থেকে সেটি সম্পূর্ণ আলাদা। নতুনভাবে চিত্রায়িত এই কিংবদন্তীর মাঝে দর্শকরা অবলোকন করলো ডার্ক নাইটের দাপুটে প্রত্যাবর্তন। রূপালী পর্দার সামনে যেন পুরাতন মেন্যুতে নতুন রেসিপি। সমালোচকদের পাশাপাশি হলফেরত দর্শকদের অনুভূতিতে প্রকাশ পেয়েছে নোলান ও তার ট্রিলজির জয়জয়কার। আমরা আজকে আলোচনা করবো নোলানের সেই কালজয়ী তিনটি সুপারহিরো সিনেমা নিয়েই।

ব্যাটম্যান বিগিনস

খেলার সাথীর সাথে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে ব্রুস নামের ছেলেটি পড়ে যায় পুরনো কুয়ার ভেতর। আর সেই কুয়ার গভীর গহ্বর থেকে থেকে তাকে তাড়া করলো এক ঝাঁক বাদুড়, প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলো সেদিন ব্রুস। বাদুড়ের ভয় ভালোই ঝেঁকে বসেছিল সেদিন তাকে। এর কিছুদিন পর এক রাতেই অপেরা থেকে ফেরার সময় চিল নামের গুণ্ডার গুলিতে খুন হয় তার বাবা-মা। সেদিন থিয়েটারে বাদুড়ের মতো দেখতে অদ্ভুত জন্তু নিয়েই চলছিল নাটক। ব্রুস তাতে ভয় পেলে প্রায় তার জোরাজুরিতেই সেখান থেকে বের হয়ে আসার ফলে ঐ গুণ্ডার কবলে পড়ে তার মা-বাবাকে প্রাণ হারাতে হয় বলে, তাদের মৃত্যুর জন্যে নিজেকেই দায়ী করে ব্রুস।

সিনেমার দৃশ্যে ব্রুস ওয়েইন ও হেনরি ডুকার্ড; Source: Tumblr

ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড ক্রোধ নিয়ে, প্রতিশোধের নেশায় ব্রুস বেড়ে ওঠে বেপরোয়া এক যুবক হিসেবে। একসময় শৈশব প্রণয়ী র‍্যাচেল ডসের দ্বারা প্রণোদিত হয়ে সে পাড়ি জমায় সুদূর এশিয়াতে, তার ব্যক্তিগত বিরোধের ঊর্ধ্বে ন্যায়ের অনুসন্ধানে। সেখানে তার পরিচয় হয় হেনরি ডুকার্ড নামের এক রহস্যময় ব্যক্তির সাথে। সে তাকে নিয়ে যায় ‘লিগ অফ শ্যাডো’ নামের এক গোপন সংগঠনের নেতা রেইশ‘আল গুল এর কাছে। তাদের কাছে ব্রুস শিক্ষা নেয় মার্শাল আর্ট এবং আর্ম-কমব্যাট এর নানা কৌশল সম্বন্ধে এবং শেখে কীভাবে একজন সাধারণ মানুষ নিজেকে নিয়ে যেতে অতিমানবিক সূক্ষ্মতার কাছাকাছি।

তার প্রায় সাত বছর পর ব্রুস ফিরে আসে গোথাম শহরে। গোথাম তখন পরিণত হয়েছে কারমাইন ফ্যালকনির অপরাধজগতে। আর অন্যদিকে ড. ক্রেইন ও এক রহস্যময় তৃতীয় পক্ষ পরিকল্পনা করছে গোথাম শহরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার। ভয় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে গোথামের আনাচে কানাচে। ব্যাপারটি কানে আসলে সে শহরের পুলিস অফিসার গর্ডন, বাবার কোম্পানির টেকনোলোজি বিভাগের কর্মকর্তা লুসিয়াস ফক্স ও তার বিশ্বস্ত পরিচারক আলফ্রেড পেনিওর্তের সহযোগিতায় ব্রুস চলেছে শহরটির হারিয়ে যাওয়া শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে। প্রশ্ন একটাই, ভয়কে জয় করে নিজেকে ব্যাটম্যানরুপে গড়ে তোলা ব্রুস কি পারবে আক্রমণের হাত থেকে গোথামকে বাঁচাতে?

ব্যাটম্যান বিগিনস সিনেমার একটি দৃশ্য © Warner Bros

২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ব্যাটম্যান বিগিনস সিনেমার মাধ্যমে নোলান ব্যাটম্যানকে দিয়েছেন বাস্তবতার ছোঁয়া, করেন এক নব দিগন্তের সূচনা। অপরাধবোধ, প্রতিহিংসা এবং দায়মোচন, এই তিনে মিলিয়ে নির্মাণ করেছেন এমন এক চিত্তাকর্ষক সিনেমা, যেমনটা আগে কেউ কখনো দেখেনি। নব্বইয়ের দশকে প্রকাশিত বিখ্যাত গ্রাফিক নভেল ‘আরখাম অ্যাসাইলাম’ ও ‘ব্যাটম্যান: ইয়ার ওয়ান’ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নোলান ও তার সহ-লেখক ডেভিড এস গয়ার তৈরি করেছেন বিস্ময়, আতঙ্ক ও রহস্যের বুনটে ঠাসা চমৎকার এক কল্পকাহিনী। দর্শক ও সমালোচক দু’পক্ষেরই মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছিল সিনেমাটি। এছাড়া ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের এই সিনেমাটি সর্বোমোট আয় করেছে ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সিনেমায় ব্যাটম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রিটিশ অভিনেতা ক্রিশ্চিয়ান বেইল, তার বাটলার আলফ্রেড পেনিওর্ত হিসেবে ছিলেন স্যার মাইকেল কেইন। এছাড়াও পার্শ্ব চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন গ্যারি ওল্ডম্যান (জিম গর্ডন), মরগান ফ্রিম্যান (লুসিয়াস ফক্স), কেটি হোমস (র‍্যাচেল ডস); লিয়াম নেসন হেনরি ডুকার্ড তথা রেইশ’আল গুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ব্যাটম্যান বিগিনস

মুক্তিকাল: ১৫ জুন, ২০০৫
IMDb রেটিং: ৮.৩/১০
রোটেন টমেটোস: ৮৪% ফ্রেশ

দ্য ডার্ক নাইট

আগের সিনেমার শেষ দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল, গোথাম শহরে আগমন ঘটেছে নতুন এক দুর্বৃত্তের। অপরাধপটে সে ফেলে যায় জোকারের তাস। তাই লেফটেন্যান্ট জিম গর্ডন, জেলা অ্যাটর্নি হার্ভে ডেন্ট ও তার বাল্যবান্ধবী র‍্যাচেল ডসের সহায়তায় ব্যাটম্যান নেমেছে এক নতুন সংগ্রামে। এবারে শহরের আন্ডারগ্রাউন্ড সহ সকল অপরাধ সংঘটন নিশ্চিহ্ন করে গোথামকে অপরাধ মুক্ত করেই তবেই তারা ক্ষান্ত হবে। সবকিছু পরিকল্পনা মোতাবেকই চলছিল, মাঝখানে বাগড়া দেয় ক্রমবর্ধমান হুমকি ও শতাব্দীর সবচেয়ে বিধ্বংসী ক্রিমিনাল মাস্টার মাইন্ড ‘দ্য জোকার’। হার্ভে আর র‍্যাচেল দুজনকে দু’জায়গায় বন্দি করে রেখেছে সে। একই সময়ে দুজনকে বাঁচানো কি আদৌ সম্ভব ব্যাটম্যানের পক্ষে?

দ্য ডার্ক নাইট সিনেমার দৃশ্যে ব্যাটম্যান, জিম গর্ডন ও হার্ভে ডেন্ট © Warner Bros

গোথামে খারাপ লোকের অভাব নেই। কিন্তু জোকার তাদের থেকে অনেক ভিন্নকেতার। অর্থ কিংবা ক্ষমতার ধার ধারে না সে। অ্যালফ্রেডের ভাষায় “কিছু মানুষ শুধু বিশ্বের ধ্বংস দেখতে চায়”, সে-ও তাদের মতোই একজন। তবে গোথামে জোকার যে অরাজকতার সৃষ্টি করে সেগুলো আপাতদৃষ্টিতে এলোমেলো মনে হলেও, তার পরিকল্পনা এত বিস্তৃত ছিল যে, সে সক্ষম হয় শহরের সকল দুর্নীতিবাজকে এক টেবিলে জড়ো করতে। পুরো সিনেমা জুড়ে তাকে দেখানো হয়েছে রহস্যময়ভাবে। কেউ তার সম্পর্কে কিছু জানে না। নিজের নৃশংসতার পরিচয় দিতে, সে তার অতীত নিয়ে বলে ভয়ংকর সব গল্প। প্রতিবারই তার গল্পের কাহিনী হয় ভিন্ন।

‘দ্য ডার্ক নাইট’ সিনেমায় সাসপেন্স আপনাকে ভুল দিকে টেনে নিয়ে যাবে। আপনি যখন চরম উত্তেজনায় নখ কামড়ে মরছেন, ঠিক তখন পরিচালক আপনাকে সম্পূর্ণ ভিন্নদিক থেকে আক্রমণ করবেন। সাসপেন্সের উপর নতুন সাসপেন্স আপনাকে বেশ কিছু শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্ত উপহার দেবে। একদিকে ব্যাটম্যানের লড়াই, অপরদিকে ক্লাইম্যাক্সে সমান তালে বুঁদ হয়ে থাকা উত্তেজিত দর্শক! কী নেই এই সিনেমাতে! ১৫২ মিনিটের দীর্ঘ সময় ধরে যেন আপনি ব্যাটম্যানের সাথে তাল মিলিয়ে ছুটবেন জোকারের পেছনে।

সিনেমার এক দৃশ্যে পুলিশের গাড়িতে করে পালিয়ে যাচ্ছে জোকার © Warner Bros

প্রথম ছবি মুক্তির প্রায় তিন বছর পর অর্থাৎ ২০০৮ সালে নোলান আবার ফিরে আসলেন ব্যাটম্যান নিয়ে। তবে ব্যাটম্যানের সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও এবারের সিনেমার নামের আগে পিছে কোথাও নেই তার নাম। প্রথমবারের মতো কোনো ব্যাটম্যান সিনেমা নির্মাণ করা হলো তার নাম ব্যবহার না করেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এতে করে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি সিনেমার সাফল্যে, বরঞ্চ গড়ে এক নতুন ইতিহাস। ‘দ্য ডার্ক নাইট’ নামে মুক্তি পাওয়া সেই সিনেমাটি বক্স অফিস কাঁপিয়ে আয় করে নেয় প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার! এর আগে কোনো সুপারহিরো ধারার সিনেমা এক বিলিয়ন ডলার আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেনি।

আগের কাস্টিংয়ের সাথে এবারে সিনেমায় যুক্ত হন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা হিথ লেজার। আগে ক্যাটি হোমসের অভিনয় করা র‍্যাচেল ডস চরিত্রকে আরও পরিপূর্ণতা দিতে তার জায়গায় অভিনয় করেন ম্যাগি ইলেনহল। আর এই সিনেমায় অনেকটা নিজের সাথেই যেন প্রতিযোগিতা করতে নেমেছিলেন ক্রিশ্চিয়ান বেইল। তবে এবারে তার ফোকাসটা ব্যাটম্যান থেকে ব্রুস ওয়েইনের উপরই যেন একটু বেশি ছিল। আর যাকে নিয়ে বলতেই হয়, তিনি হলেন হিথ লেজার। কী অসাধারণ অভিনয়! কেউ কল্পনাও করেনি জ্যাক নিকলসনের পর জোকারকে এভাবে কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারবে। দুই মাস অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি জোকারকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন এক উচ্চতায়। সহ-অভিনেতা হিসেবে জিতেছেন সে বছরের গোল্ডেন গ্লোব ও একাডেমি পুরস্কার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সিনেমা মুক্তির কিছুদিন আগে মারা যান লেজার। সিনেমা কিংবা পুরস্কার কোনোটাই দেখার সুযোগ হয়নি তার।

দ্য ডার্ক নাইট

মুক্তিকাল: ১৮ জুলাই, ২০০৮
IMDb রেটিং: ৯/১০
রোটেন টমেটোস: ৯৪% ফ্রেশ

দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস

হার্ভে ডেন্টের মৃত্যুর পর প্রায় আট বছর পার হলো। এই আট বছরে একবারও গোথামের রাস্তায় দেখা যায়নি ব্যাটম্যানকে। কেনই বা দেখা যাবে? গোথামের হোয়াইট নাইট হার্ভে ডেন্টের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে তাকেই। তাছাড়া অনেকদিন ধরে ছোটখাটো অপরাধ ছাড়া তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটেনি শহরে। সিনেমার শুরুতেই বেইনের দুই মার্সেনারি ধরা পড়ে শহরের কমিশনার জিম গর্ডনের হাতে। তারা তাকে নিয়ে যায় বেইনের কাছে। সেখান থেকে তিনি আহত অবস্থায় পালিয়ে আসার পর, ব্রুস একটি মুখোশ পরে তাকে দেখতে হাসপাতালে যায়। সেদিন জিম তাকে অনুরোধ করে বলেন যে, বেইনের হাত থেকে গোথামকে বাঁচাতে ব্যাটম্যানকে ফিরে আসতেই হবে।

এর কিছুদিন পর হঠাৎ এক সন্ধ্যায় বেইন নামের সেই মুখোশধারী ক্রিমিনাল দলবল নিয়ে গোথাম স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা চলায়। ডাকাতি শেষে সে যখন পালানোর চেষ্টায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই আবার দেখা যায় গোথামের রাস্তায় দেখা যায় ব্যাটম্যানকে। বেইনকে ধরতে আবার আবার ফিরে এসেছে সে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। বেইনকে রেখে পুরো পুলিশ ফোর্স এবার হার্ভের খুনী ব্যাটম্যানকে ধাওয়া করা শুরু করে। বেইনকে ধরবে? নাকি নিজেকে মুক্ত করে পালাবে ব্যাটম্যান? সেই ঘটনার পর ব্যাটম্যান জানতে পারে, বেইন হচ্ছে সেই লিগ অফ শ্যাডোসের একজন প্রাক্তন সদস্য। সে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ব্যাটম্যানেরই মেন্টর রেইশ’আল গুলের কাছে। রেইশের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে অর্থাৎ গোথামকে ধ্বংস করার লক্ষ্যেই সে গোথামে এসেছে। প্রশ্ন হলো, প্রথমে কোথায় আবার আঘাত হানবে সে? বার্ধক্যগ্রস্ত ব্যাটম্যান কি পারবে হিংস্র বেইনের হাত থেকে তার প্রাণের শহরকে বাঁচাতে?

ব্যাটম্যান বনাম বেইন © Warner Bros

অ্যাকশন ব্যাপারটা কখনই নোলানের চলচ্চিত্রের মুল ভিত্তি না। ব্যতিক্রম ঘটেনি ডার্ক নাইট রাইজেসের ক্ষেত্রেও। এই সিনেমাটি অ্যাকশনধর্মী সুপারহিরো সিনেমা থেকে বেশি কিছু। ‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস’ আয়েশি ভঙ্গিতে দর্শকদের আপন করে নেয়। মুভির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক অদ্ভুত মায়াজালে আবদ্ধ করে রাখা দর্শকদের জিজ্ঞাসা করলেই বোঝা যাবে, ব্যাপারটা যতটা না অনুভবের, তার থেকেও বেশি অভিজ্ঞতার। ডার্ক নাইট রাইজেস দেখার পুরোটা সময়টাই এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা বটে! কিন্তু আগের দুই চলচ্চিত্রের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, ওগুলোর কাহিনীর কাছে এর কাহিনী খানিকটা হলেও দুর্বল। তবে এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই চলচ্চিত্রেও ছিল চিন্তাভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো কিছু দৃশ্য। বরাবরের মতো সিনেমার শব্দ-গ্রহণ, স্পেশাল ইফেক্টগুলো ছিল অসাধারণ। কাহিনীর তুচ্ছ দুর্বলতাগুলো ক্রিস নোলান তার দুর্দান্ত ক্যামেরা ওয়ার্ক আর চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি দিয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন।

এবারেও মি. পারফেকশনিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বেইলের অভিনয় ছিল দুর্দান্ত। অন্যদিকে সেলিনা কাইল চরিত্রে নিজেকে যথাসম্ভব ফুটিয়ে তুলেছেন অ্যান হ্যাথওয়ে। চরিত্রটির সাথে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নেন তিনি। মিরান্ডা চরিত্রে মারিয়োঁ কোতিয়ারের পারফরম্যান্সও খারাপ ছিল না। অবশ্য ঐ চরিত্রটিতে প্রতিভাবান এই ফরাসি অভিনেত্রীর আহামরি অভিনয় দেখানোর খুব একটা সুযোগও ছিল না।

দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস; Source: Batman Wiki

এই সিনেমার মাধ্যমে নোলান তার ট্রিলজি যেভাবে শেষ করেছেন, তাতে মনে হয় না তিনি আবারো ফিরে আসবেন সিরিজের নতুন কোনো সিনেমা নিয়ে। কিন্তু অন্য কেউ যাতে সিরিজটি নতুন করে শুরু করতে পারে সেই দরজা তিনি ঠিকই খোলা রেখে গেছেন। ট্রিলজি শেষ করার পর দর্শকদের মনে হতে থাকবে, ‘So, that’s what that feels like!’

দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস

মুক্তিকাল: ২০ জুলাই, ২০১২
IMDb রেটিং: ৮.৪/১০
রোটেন টমেটোস: ৮৪% ফ্রেশ

ইতোমধ্যে আমরা সবাই জানি ট্রিলজির পরিচালনায় ছিলেন ক্রিস্টোফার নোলান, এবারে আসুন পরিচিত হই অন্যান্য কলাকুশলীর সাথে।

চিত্রনাট্যকার: জোনাথান নোলান ও ক্রিস্টোফার নোলান
গল্পকার: ক্রিস্টোফার নোলান, ডেভিড এস গয়ের
চিত্রগ্রাহক: ওয়ালি ফিস্টার
সুরকার: হ্যান্স জিমার ও জেমস নিউটন হাওয়ার্ড

সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন; Source: The Saygi

ট্রিলজিতে অভিনয় করেছেন ক্রিশ্চিয়ান বেইল, মাইকেল কেইন, কেটি হোমস, গ্যারি ওল্ডম্যান, মরগান ফ্রিম্যান, কিলিয়ান মার্ফি, অ্যারন একহার্ট, ম্যাগি ইলেনহল, অ্যানা হ্যাথাওয়ে, মারিয়োঁ কোতিয়ার, জোসেফ গর্ডন-লেভিট, লিয়াম নেসন, হিথ লেজার এবং টম হার্ডি।.

Related Articles