যদি ২০২০ সালের দিকে পেছন ফিরে তাকাই, তাহলে শুরুটা কিন্তু চমৎকারই হয়েছিল। কিন্তু বারো মাস পর সেসবের অনেক কিছুই হয়তো উবে গেছে। করোনার এক ধাক্কায় জীবনযুদ্ধ কঠিন থেকে আরো কঠিনে রূপ নিয়েছে। থেমে গিয়েছিল জনজীবন এমনকি সমগ্র বিশ্ব। ধুঁকে ধুঁকে চলা জীবনে অভ্যস্ত নয় বিশ্বব্যাপী। তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে শুরু হয়েছে মহামারী শেষের এক নতুন পথচলা। কিন্তু গতবছরের ক্ষতি কি তাতে পুষিয়েছে? মোটেই না!
উপরোক্ত বক্তব্য সিনেমা শিল্পের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মহামারীর কারণে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বের সিনেমা শিল্প। হারাতে হয়েছে রঙিন পর্দার অনেক গুণী মানুষকে। কিন্তু তা-ও কিন্তু থেমে থাকেনি সিনেমা। দেরিতে হলেও মুক্তি পেয়েছে অনেক সিনেমাই। যেমন পেয়েছে অ্যানিমেশন মুভিগুলোও। যদিও মুক্তির পরিমাণ পূরণ করতে পারেনি দর্শকদের চাহিদা, তবুও বছর শেষে হিসেব টানলে খুব একটা খারাপ বছরও কাটায়নি অ্যানিমেশনের দুনিয়া। আজকের আয়োজনে থাকছে গত বছরের সেরা ১০টি অ্যানিমেশন মুভির বর্ণনা।
সোল
সোল মুভির গল্পের শুরু মিডল স্কুলের পিয়ানো বাদক এক শিক্ষককে কেন্দ্র করে, যার নাম জো (জেমি ফক্স)। মিডল স্কুলের শিক্ষক হলেও জো-র আজীবন স্বপ্ন বড় কোনো ব্যান্ডের সাথে জ্যাজ পারফর্ম করা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! ঠিক যেদিন তার স্বপ্ন পূরণ হবার কথা সেদিনই এক খোলা ম্যানহোলে পড়ে যায় সে। আর যখন জেগে ওঠে, তখন নিজেকে আবিষ্কার করে মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে। সেখানে জো এক তরুণীর, নাম ২২ (টিনা ফেই), অতৃপ্ত আত্মার সঙ্গে পরিচিত এবং মিলিত হয়; এবং নিজের দেহ পুনরুদ্ধারে তারা এক অভিযানে নামে।
যদিও মুভিটি অতি উচ্চ ধারণা ও মতবাদের, কিন্তু তা সত্ত্বেও, ধীরে ধীরে মুভিটি দর্শককে নিজের গহীনে টেনে নেয় এবং অপ্রত্যাশিত ও পরিপূর্ণভাবে দুঃখকে মলিন করে সুখ ছড়িয়ে দেয় চারপাশে। সোল মুভির সমস্ত কিছু আখ্যানের মতো হলেও কিছু ব্যাপারে পিক্সার স্টুডিও তাদের বরাবরের নির্মাণ রীতিই মেনে চলেছে। যেমন- অজানার উদ্দেশ্যে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অহেতুক কথাবার্তা, যেগুলোর আসলে কোনো দরকারই নেই, কিন্তু সেগুলো বাস্তব দুনিয়ার একটা স্বাদ দেয়। এই মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরিং করেছেন ট্রেন্ট রেজনোর এবং অ্যাটিকাস রস; আর জ্যাজ মিউজিকগুলো কম্পোজিশনে ছিলেন জন ব্যাটিস্ট। সিনেমাকে জীবন্ত করে তুলতে তাদের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওর অন্যতম সেরা এবং মেটাফিজিক্যাল কৃতিত্বের দৌড়ে সোল সবসময়ই এগিয়ে থাকবে। গত বছর তাদের দ্বিতীয় মুভি ছিল এটি এবং বছরের অন্যতম সেরা মুভিও বটে (হোক তা অ্যানিমেশন বা অন্যান্য)। মুভির পরিচালক এবং সহ-রচনায় নাম ছিল পিট ডক্টরের, যিনি এরই মধ্যে পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিও থেকে আপ এবং ইনসাইড আউট-এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ প্রকাশ পাওয়া সত্ত্বেও ইতোমধ্যেই আইএমডিবিতে রেটিংয়ের দৌড়ে ৮.১/১০ নিয়ে শক্ত অবস্থানে আছে সোল। এছাড়া রটেন টমেটোজে ৯৫%, মেটাক্রিটিক ৮৩% এবং গুগলের বিচারে ৯৩% মানুষ পছন্দ করেছে এই অ্যানিমেশন মুভি।
উল্ফওয়াকারস
সং অফ দ্য সী কিংবা দ্য ব্রেডউইনার অ্যানিমেশন মুভি দুটির কথা মনে আছে? সেসবের নির্মাতা স্টুডিও কার্টুন স্যালুন ফিরে এসেছে তাদের নতুন ফিচার ফিল্ম নিয়ে। কার্টুন স্যালুন মূলত একটি আইরিশ অ্যানিমেশন স্টুডিও; যাদের নতুন মুভি উল্ফওয়াকারস গত বছরের মাঝামাঝিতে মুক্তি পেয়েছে।
উল্ফওয়াকারস গল্পটি সপ্তদশ শতকের আয়ারল্যান্ডের যা রচিত হয়েছে উল্ফ বা নেকড়ে শিকারি বিল (শন বিন) এবং তার একমাত্র মেয়ে রবিনকে (অনাস নিফসি) ঘিরে। বিল নেকড়ে শিকার করে এবং রবিন প্রায় প্রায়ই তাকে সাহায্য করে। কিন্তু একদিন বাবার বিপক্ষে যায় মেয়ে। নেকড়েগুলোকে শিকার করা থেকে বিরত রাখতে চায় সে। কিন্তু কারণ কী? কারণ হচ্ছে রবিন গোপনে এক বন্ধু পাতিয়েছে জঙ্গলের বুনো এক মেয়ে মেভ (ইভা হুইটেকার) এর সঙ্গে, যে কিনা আধ্যাত্মিক উল্ফওয়াকারস দলের সদস্য। তারা তন্ত্র-মন্ত্র পড়ে নিজেদেরকে নেকড়ের রূপ দিতে জানে। তাই রবিন সঠিক করে বলতে পারে না এই মুহূর্তে তার বাবার বন্দুকের নলের সামনে মেভ দাঁড়িয়ে আছে নাকি কোনো নেকড়ে?
পরিচালক টম মুর এবং রস স্টুয়ার্ট সিনেমাটিতে ঐতিহ্যবাহী কিংবা পুরনো ধাঁচের অ্যানিমেশন ধারা ব্যবহার করেছেন যেন বন, বন্য আর বুনো পরিবেশটা গল্পের সঙ্গে মিলে গিয়ে দর্শকের চোখে ফুটে থাকে। নিঃসন্দেহে উল্ফওয়াকারস কার্টুন স্যালনের এক মাস্টারপিস অ্যানিমেশন মুভি। গতবছর অক্টোবরে প্রকাশ পাওয়া মুভিটি আইএমডিবিতে ৮.১/১০ রেটিং, রটেন টমেটোজে ৯৯% এবং কমন সেন্স মিডিয়াতে ৫/৫ নিয়ে রাজত্ব করছে। আবার গুগলের বিচারেও ৯৮% নিয়ে এগিয়ে রয়েছে।
অনওয়ার্ড
অনওয়ার্ডের গল্পটা দুই এলফ (বামন আকৃতির মানব) ভাইয়ের। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়জন (ক্রিস প্যাট) বেশ প্রাণোচ্ছ্বল আর ছোটজন (টম হল্যান্ড) খানিকটা চুপসে যাওয়া বেলুনের মতো। ছোট ভাইয়ের বারবার মনে হয় তার বাবাকে যদি আর একটা দিনের জন্য পেত, যেমন তার বড় ভাই পেয়েছে! তাই দুই ভাই সাহায্য নেয় জাদুশক্তির। একদিনের জন্য হলেও তাদের মৃত বাবাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বড় ভাই তখন মরিয়া হয়ে যায় ছোট ভাইয়ের ইচ্ছেপূরণে। পথে আসে শত বাধা। তারা কি পারবে সেসব বাধা অতিক্রম করে তাদের মৃত বাবাকে এক মুহূর্তের জন্য ফিরিয়ে আনতে?
ড্যান স্ক্যানলন পরিচালিত মুভিটি বিশ্বব্যাপী দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত মুভিটি আইএমডিবিতে ৭.৪/১০, রটেন টমেটোজে ৮৮% এবং মেটাক্রিটিকে ৬১% নিয়ে রাজত্ব করছে অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিতে। আর গুগলের বিচারে ৮৭% মানুষ এটি পছন্দ করছে।
দ্য ক্রুডস: অ্যা নিউ এজ
ক্রুডস পরিবারের কথা মনে আছে? ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন স্টুডিওর গুহামানবদের নিয়ে নির্মিত সেই অ্যানিমেশনের কথাই বলা হচ্ছে। মূলত, কমেডির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষের জীবনযাত্রার স্বরূপ। সেই ২০১৩ সাল থেকেই অপেক্ষায় ছিল দর্শকরা এই মুভির সিক্যুয়েলের জন্য। ২০১৬ সালে মুভিটি প্রকাশের কথা থাকলেও একই বছর মুভিটির কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কেননা, মূল দুই পরিচালক কির্ক ডিম্যাকো এবং ক্রিস স্যান্ডার্স দুজনই ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন স্টুডিও ছেড়ে বেরিয়ে যান। ফলে থেমে যায় কাজ। পরবর্তীতে বর্তমান পরিচালক জোয়েল ক্রোফোর্ডকে সিক্যুয়েলের দায়ভার দেয়া হয়।
নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ক্রুডস পরিবার অবশেষে একটি মনোরম এবং প্রাচীরে ঘেরা দারুণ মনোমুগ্ধকর এক জায়গা আবিষ্কার করে, যাকে তারা স্বর্গ উপাধি দেয়। আর এখানে চাহিদানুযায়ী সবই মজুদ রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তাদের এখানকার নিয়মনীতি জানা নেই। কিংবা ব্যাটারম্যানদের বাঁচার নিয়মনীতিও তারা জানে না। আর ব্যাটারম্যানরা হচ্ছে এমন এক জাতি যারা ক্রুডসদের থেকে অনেক এগিয়ে আছে সবদিক থেকে। তাই তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হিমশিম খায় ক্রুডস পরিবার। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা বাড়তে থাকে; পাশাপাশি ধেয়ে আসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
আইএমডিবি রেটিংয়ে ৭/১০, রটেন টমেটোজে ৭৭% এবং কমন সেন্স মিডিয়াতে ৩/৫ অবস্থানে রয়েছে। আর গুগলের বিচারে ৮৫% মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে অ্যানিমেশন মুভিটি
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: স্পঞ্জ অন দ্য রান
স্পঞ্জবব স্কোয়ারপ্যান্টের পোষা শামুক গ্যারি যখন হারিয়ে যায় তখন থেকেই মূলত অ্যানিমেশন মুভির গল্প শুরু হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কয়েকটা ক্লু পাওয়া যায়। সেই ক্লুর জের ধরে স্পঞ্জবব আর ওর বন্ধু প্যাট্রিক চলে যায় ইতিহাসের গহীনে। রাজা পোসাইডনের কাছে রক্ষিত আছে তার পোষা শামুক গ্যারি। আর রাজা গ্যারিকে আটকে রেখেছে দ্য লস্ট সিটি অফ আটলান্টিক সিটিতে। গ্যারিকে বাঁচানো এবং উদ্ধারের মিশনে নামে স্পঞ্জবব আর প্যাট্রিক। আর এই অদ্ভুত আর মজাদার মিশনে তারা এটাই অনুভব করে যে, পৃথিবীতে বন্ধুত্বের চাইতে সুন্দর আর শক্তিশালী আর কোনো সম্পর্কে নেই।
স্পঞ্জবব কার্টুনের জগতে বেশ পরিচিত একটা নাম। জুলাই মাসে প্রকাশ পাওয়া মুভিটি আইএমডিবিতে ৬/১০, রটেন টমেটোজে ৭৯% এবং গুগলের বিচারে ৯২% নিয়ে এখনও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
ওভার দ্য মুন
ওভার দ্য মুনের গল্প প্রাচীন চৈনিক লোককথা থেকে অনুপ্রাণিত হলেও একেবারে আধুনিক ঢঙেই বলা হয়েছে। গল্পটি এক তরুণীর যার নাম ফেই ফেই (ক্যাথি অ্যাং); যে কিনা একটা রকেটশিপ তৈরি করে চাঁদে যাওয়ার জন্য। এবং চাঁদে সে প্রমাণ করতে চায় যে দেবী চ্যাং (ফিলিপ শো) এর অস্তিত্ব সত্যিকার অর্থেই আছে। কিন্তু চাঁদে যাওয়ার পর থেকে ব্যাপারগুলো ভিন্নভাবে ঘটতে থাকে। তার সৎ ভাই (রবার্ট চিইউ) দেবীর সঙ্গে অপকর্ম করে যখন ফেই ফেই গ্রহ জুড়ে এক পৌরানিক অনুসন্ধানে বের হয়। গল্প এগিয়ে চলে ডালপালা বিস্তার করে।
প্রায় এক দশক আগে ডিজনির অ্যানিমেটর গ্লেইন কেইন পরিচালক হিসেবে অভিষিক্ত হন অ্যানিমেশন মুভি ট্যাঙ্গেল্ড দিয়ে। তারপর লম্বা বিরতি দিয়ে নিজের দ্বিতীয় মুভিটি নির্মাণ করলেন অবশেষে। মুভিটি আইএমডিবি র্যাংকিংয়ে ৬.৫/১০, রটেন টমেটোজে ৮০% এবং এম্পায়ারে ৪/৫ অবস্থানে আছে। আর গুগলের হিসেবে ৮৭% জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
দ্য উইলোবিস
বাবা-মা ছুটি কাটাতে দূরে গেলে উইলোবিস পরিবারের বাচ্চাগুলো নিজেদেরকে সব ধরনের শাসন আর নিয়ম-নীতি থেকে নিজেকে মুক্ত অবস্থায় আবিষ্কার করে। উপরন্তু, তাদের দেখভালের জন্য বাবা-মা যে ন্যানি ঠিক করে রেখে যান, সে নিজেও ওদেরকে খেলাধুলায় উৎসাহ দেয়। আরো মজার বিষয় হচ্ছে, ন্যানি ওদেরকে নিয়ে চলে যায় এক দুঃসাহসিক অভিযানে। অতঃপর তারা ন্যানিসহ নিজেদের এক ভগ্নপ্রায় আর ভূতুড়ে প্রাসাদে আটক অবস্থায় পায়। তারপর কী হয়?
লুইস লোয়েরির উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই অ্যানিমেশন মুভির পরিচালক ছিলেন ক্রি প্রিয়ান। দ্য উইলোবিস মুভিটি আমাদের এটাই শিক্ষা দেয় যে, যেখানে জন্ম গ্রহণ করেছি কেবল সেটাই পরিবার নয়; বরং যাদেরকে পাশে নিয়ে সারাজীবন বাঁচতে চাই তারাই পরিবার। গত বছরের এপ্রিলে মুক্তি পাওয়া মুভিটি আইএমডিবিতে ৬.৪/১০, রটেন টমেটোজে ৯১% এবং ইন্ডিওয়ারে ৩.৫/৫ অবস্থানে আছে। এছাড়া গুগলের কাছে জনপ্রিয়তায় আছে শতকরা ৮৬% ভাগে।
অ্যা হুইস্কার অ্যাওয়ে
মিয়ো সাসাকি জাপানের একটা মিডল স্কুলের ছাত্রী। তার জীবনটা বেশ বিষণ্ণ, বিরক্তিকর আর ম্যাড়ম্যাড়ে। সৎ মায়ের সঙ্গে বনিবনা হয় না তার। এরকম ম্যাড়ম্যাড়ে জীবনে কেন্তো হিনোডো আসে রঙ আসে। মিয়ো সাসাকি ছেলেটির প্রেমে পড়ে। সে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ঈঙ্গিত দেয় কেন্তোকে। কিন্তু পাত্তাই দেয় না ছেলেটা। তাতে কী! মিয়োকো নিজের কাজ নিজেই করে যেতে থাকে। একদিন মুখোশ বিক্রেতার কাছ থেকে অদ্ভুত এক মুখোশ কেনে মিয়ো। মুখোশটা পরে যেকোনো প্রাণীর রূপ ধারণ করা সম্ভব। মিয়ো একটা বিড়ালে পরিণত হয় এবং চেষ্টা করে কেন্তোর কাছাকাছি যাবার। তারপর কী হয়?
জুনিচি শাতো এবং তোমোতাকা শিবায়ামা যৌথভাবে এই মুভিটি নির্মাণ করেছেন। জাপানী মুভির বেশ বড় এক ফ্যানবেইজ আছে বিশ্বব্যাপী। স্টুডিও কলোরাডোর এই অ্যানিমেশন মুভিটি আইএমডিবি রেটিংয়ে ৬.৭/১০, রটেন টমেটোজে ৯৩% এবং মাই অ্যানিম লিস্টে ৭.৪/১০ এ অবস্থান করছে। আর গুগলে মুভিটির জনপ্রিয়তা ৯৬%।
অ্যা শন দ্য শিপ মুভি: ফারমাগেডন
মোসিংহাম শহরের কৃষক জন আর তার পোষা কুকুর বিটজার, একদিন একটা ইউএফও বা স্পেশশীপ আবিষ্কার করে। এলিয়েনদের নেমে আসতে দেখে তারা দুজনই সেখান থেকে পালায়। ওদিকে শন একা একা বোরিং হতে থাকলে পিজ্জা অর্ডার করে। পিজ্জা ডেলিভারি দিয়ে যাবার পর বিটজার আর শন দুজনেই বক্স খুলে দেখে সেখান থেকে অনেক পিজ্জাই গায়েব। ঝগড়াঝাটি করে ঘুমিয়ে পড়ে ওরা। সকালে উঠেই পিজ্জা খাচ্ছে এমন এক এলিয়েনের দেখা পায় শন।
স্পঞ্জববের মতোই শন দ্য শিপও বেশ পরিচিত মুখ টিভি দর্শকদের কাছে। রিচার্ড স্টারজার্কের ভাবনায় এবং নিক পার্কের লেখা উপন্যাস অবলম্বনেই মূলত শন দ্য শিপের সব মুভি আর সিরিজ নির্মাণের কাজ হয়েছে। মুভিটি এখন অবধি আইএমডিবিতে ৬.৯/১০, রটেন টমেটোজে ৯৬% এবং মেটাক্রিটিকে ৭৯% এ অবস্থান করছে। আর গুগল জানাচ্ছে মুভিটির জনপ্রিয়তা ৮৮%।
উই বেয়ার বিয়ার্স: দ্য মুভি
গল্পটি মূলত গ্রিজলি, পান্ডা আর আইস বিয়ারের কৌতুকপূর্ণ দুরবস্থাকে কেন্দ্র করে। তারা তিনজন ভাইরাল হবার চেষ্টা করেছিল; তা বিফলে যায় এবং তিনজন অন্যত্র চলে যায়। ধীরে ধীরে তাদের বিরুদ্ধে হাস্যকর অথচ মারাত্মক রকমের ষড়যন্ত্র দানা বাধতে শুরু করে। আর ওরা তিনজন পালাতে চায় এই সম্প্রদায় থেকে, এই শহর থেকে, এমনকি এই দেশ থেকে।
একই শিরোনামে কার্টুন নেটওয়ার্কের একটি সিরিজও ছিল। ঐ সিরিজেরই মুভি সংস্করণ এই উই বেয়ার বিয়ার্স মুভিটি। পরিচালক হিসেবে ছিলেন ড্যানিয়েল চঙ। আর প্রোডাকশন কোম্পানি হিসেবে ছিল কার্টুন নেটওয়ার্ক অ্যানিমেশন স্টুডিও। মুভিটি আইএমডিবি রেটিংয়ে ৬.৯/১০, রটেন টমেটোজে ৭৭% এবং গুগলের জনপ্রিয়তায় ৯৭% এ অবস্থান করছে।
This article is in the Bengali language. This is about top ten animation feature film of 2020.
References:
01. The 10 Best Animated Movies of 2020 Ranked.
02. 17 Major Animated Movies Releasing In 2020.
03. The 10 Best Animated Movies of 2020.
04. The 20 Best Animated Movies of 2020.
05. The Best Animated Movies of 2020, According to Rotten Tomatoes.
Feature Image: screenrant.com