Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

তিয়োমনি মির: রাশিয়ার প্রথম থ্রিডি চলচ্চিত্র

মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রী মারিনা। গথিক স্টাইলের পোশাক পরিধানে অভ্যস্ত মারিনা অলৌকিক–আধিভৌতিক প্রকৃতির বিষয়াবলি নিয়ে আগ্রহী। সে মিশুক প্রকৃতির নয় এবং তার প্রেমিক আর্তুরের অবিশ্বস্ততা নিয়ে সে হতাশায় ভুগছে। তার সহপাঠী শান্তশিষ্ট প্রকৃতির কোস্তিয়া তাকে পছন্দ করে, কিন্তু সে কোস্তিয়াকে পাত্তা দেয় না। সব মিলিয়ে গল্পের শুরুতে কমবয়সী ছেলেমেয়েদের জীবনের সাধারণ সমস্যাগুলো ছাড়া অন্য কিছু দেখতে পাওয়া যায় না।

কিন্তু ঘটনা একটি কৌতূহলোদ্দীপক দিকে মোড় নেয়, যখন মারিনা ও তার সহপাঠীরা একটি ‘লোককথা অভিযানে’র (folklore expedition) উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। ট্রেন ও মাইক্রোবাসে করে তারা রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলে পৌঁছায়। তাদের উদ্দেশ্য, সেখানকার গ্রামগুলো ঘুরে সেখান থেকে লোককথা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা। কিন্তু পৌঁছানোর পর তারা দেখতে পায় যে, সেখানকার সবগুলো গ্রামই পরিত্যক্ত। সেখানে জঙ্গলের মধ্যে এক বয়স্ক মহিলার সঙ্গে তাদের দেখা হয়। মহিলা তাদেরকে অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে এবং নিজের বাড়িতে তাদের আপ্যায়ন করে।

কিন্তু সেখানে আর্তুরের নতুন প্রেমিকা ভিকার সঙ্গে মারিনার ঝগড়া হয় এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মারিনা উদ্দেশ্যহীনভাবে ছুটে জঙ্গলের ভিতরে চলে যায়। কোস্তিয়াও তার পিছু পিছু ছুটতে থাকে। তখন বাকিরা তাদের দুইজনকে খোঁজার জন্য বেরিয়ে পড়ে। কোস্তিয়া মারিনাকে খুঁজে পায় এবং তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পথ হারিয়ে ফেলে এবং এক পরিত্যক্ত কুঁড়েঘরের সামনে এসে হাজির হয়। কৌতূহলী হয়ে কুঁড়েঘরের ভিতরে ঢুকে তারা একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে পড়ে যায়। সেই সুড়ঙ্গ ধরে অগ্রসর হয়ে তারা মন্দিরের মতো একটি ঘরে পৌঁছায়, যেখানে এক ডাইনির মৃতদেহ রয়েছে!

রুশ অভিনেত্রী সভেৎলানা ইভানোভা ‘তিয়োমনি মির’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র মারিনার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন; Source: MUBI

সেখানে একটি বর্ম ছিল, যেটি মারিনা ছুঁয়ে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে এর ভেতরে থাকা আত্মা মারিনার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এই পর্যায়ে দলের বাকিরা তাদেরকে খুঁজে পায় এবং সংজ্ঞাহীন মারিনাকে নিয়ে তারা দ্রুত জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা রুশ জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা প্রার্থনা করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে একটি হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায় এবং সেটি থেকে কয়েকজন বিশেষ সৈন্য অবতরণ করে। কিন্তু অজ্ঞান মারিনাকে সহায়তা করার পরিবর্তে সেই বর্মটি নিয়েই তাদের বেশি উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়।

ইতোমধ্যে সেখানে আরেকটি হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায় এবং সেটি থেকে জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মী অবতরণ করে। তারা প্রথম হেলিকপ্টারের সৈন্যদের পরিচয় জানতে চাইলে তাদেরকে জানানো হয় যে, তারা রুশ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের লোক। এরপরই তারা জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের খুন করে এবং তাদের হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করে। পরিস্থিতি দেখে মারিনা, কোস্তিয়া ও অন্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু ‘পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে’র লোকেরা তাদের পিছু ধাওয়া করে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় আলেক্সান্দর ভলকভ। ভলকভ রুশ সরকারের একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং সে বহু শত বছর ধরে ঐ বর্ম খুঁজছে!

এভাবেই এগিয়ে চলে রুশ ফ্যান্টাসি/হরর চলচ্চিত্র ‘অন্ধকার বিশ্বে’র (রুশ: Тёмный мир, ‘তিয়োমনি মির’) কাহিনি। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রথম প্রচারিত এই চলচ্চিত্রটি একটি দিক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী, কারণ এটি রাশিয়ায় নির্মিত প্রথম থ্রিডি (থ্রি–ডাইমেনশনাল বা ত্রিমাত্রিক) চলচ্চিত্র। চমকপ্রদ রূপকল্প ও রোমাঞ্চে ভরপুর এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত রুশ চলচ্চিত্রনির্মাতা আন্তন মেগেরদিচেভ। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩০ লক্ষ (বা ৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার, কিন্তু চলচ্চিত্রটি আয় করেছে প্রায় ৮৩ লক্ষ (বা ৮.৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার। সুতরাং, চলচ্চিত্রটি ব্যবসাসফলও বটে।

রুশ অভিনেতা সের্গেই উগ্রিউমভ ‘তিয়োমনি মির’ চলচ্চিত্রের খলনায়ক আলেক্সান্দর ভলকভের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন; Source: YouTube

চলচ্চিত্রটিতে গথিক, নীরস, আবেগী প্রকৃতির মারিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুশ অভিনেত্রী সভেৎলানা ইভানোভা, আর শান্তশিষ্ট, নরম প্রকৃতির কোস্তিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুশ অভিনেতা ইভান ঝিদকভ। অভিনেতা সের্গেই উগ্রিউমভ অভিনয় করেছেন রাগী, অহঙ্কারী, নিষ্ঠুর শামান আলেক্সান্দর ভলকভের চরিত্রে, আর রহস্যময়ী ও চতুর ডাইনি রানী হেলভির চরিত্র অলঙ্কৃত করেছেন অভিনেত্রী ইয়েলেনা পানোভা।

আগেই বলা হয়েছে, ‘তিয়োমনি মির’ রুশ ইতিহাসের প্রথম থ্রিডি চলচ্চিত্র, ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য চলচ্চিত্রের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি চলচ্চিত্রটিতে আরো বিভিন্ন দিক রয়েছে, যেগুলো দর্শককে চিন্তার খোরাক যোগাতে সক্ষম।

প্রথমত, এই চলচ্চিত্রটি ঠিক কোন ধাঁচের, সেটি নির্ণয় করা সহজ নয়। এতে ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্রের উপাদান যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে হরর চলচ্চিত্রের উপাদান। এতে শামান আর ডাইনিদের বিচিত্র এক জগৎ যেমন বিনির্মাণ করা হয়েছে, তেমনি জোম্বিদের ভয়াল রূপও এটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনুরূপভাবে, এতে রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্রের উপকরণ আর ফাস্ট অ্যাকশন চলচ্চিত্রের মালমশলা। এমনকি একে প্রতীকী চলচ্চিত্র হিসেবেও আখ্যায়িত করা যেতে পারে। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রটিকে ঠিক কোন ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সেটি নির্ধারণ করা কঠিন।

দ্বিতীয়ত, চলচ্চিত্রটিতে শহুরে ও গ্রাম্য রাশিয়ার পার্থক্য স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অত্যাধুনিক, গতিশীল মস্কোর সঙ্গে জঙ্গলাকীর্ণ, পরিত্যক্ত উত্তরাঞ্চলীয় গ্রামগুলোর ব্যাপক পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। চলচ্চিত্রটিতে শহরকে দেখানো হয়েছে প্রাণোচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ জীবন্ত এক স্থান হিসেবে, আর গ্রামগুলোকে চিত্রিত করা হয়েছে নিষ্প্রাণ কিন্তু চিত্তাকর্ষক এক রহস্যে ঘেরা স্থান হিসেবে।

‘তিয়োমনি মির’ চলচ্চিত্রটিকে বিভিন্ন ভাষায় রূপান্তরিত করে প্রচার করা হয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে ডাচ ভাষাও রয়েছে; Source: CD and LP

বস্তুত প্রাণোচ্ছল শহর আর প্রাণহীন গ্রামের যে ধারণা চলচ্চিত্রটিতে ফুটে উঠেছে, সেটি বর্তমান রাশিয়ার বাস্তবিক পরিস্থিতিরই প্রতিচ্ছবি মাত্র। বিগত শতাব্দীর ক্ষিপ্রগতিতে শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে রাশিয়ায় ব্যাপক নগরায়ন হয়েছে এবং মানুষ ক্রমেই গ্রাম বা প্রাদেশিক অঞ্চলগুলো ছেড়ে বড় শহরমুখী হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ায় গ্রামগুলোতে এই শূণ্যস্থান পূরণের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে ক্রমশ বহু গ্রামই পরিত্যক্ত হয়ে পড়ছে। এবং ফ্যান্টাসি/হরর রহস্য সৃষ্টির জন্য বিশাল রাশিয়ার চিত্তাকর্ষক পরিত্যক্ত গ্রামগুলোর চেয়ে ভালো জায়গা আর কোনটি হতে পারে?

তৃতীয়ত, চলচ্চিত্রটিতে মারিনার যে চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে, সেটি কার্যত রাশিয়ার তো বটেই, সমগ্র উন্নত বিশ্বেরই তরুণ সমাজের একটি সাধারণ চিত্র। প্রেমঘটিত হতাশা, অন্যদের সঙ্গে আন্তরিক সংযোগের অভাব এবং ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে পালিয়ে বেড়ানোর জন্য নানান বিচিত্র বিষয়ে পন্থার অবলম্বন (মারিনা যেরকম অলৌকিক ও আধিভৌতিক বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে) – এগুলো এখন সাধারণ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমান আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজব্যবস্থায় মানুষ ক্রমেই পরস্পর থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং এই বিচ্ছিন্নতা ক্রমশ বিষণ্ণতা, তিক্ততা ও অনাগ্রহের জন্ম দিচ্ছে, সমাজতত্ত্বের পরিভাষায় যে প্রক্রিয়াটিকে ‘anomie’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

অবশ্য চলচ্চিত্রটি এই ব্যাপারে হতাশাবাদিতা প্রদর্শন করেনি, বরং ইতিবাচক সম্ভাবনা দেখিয়েছে। এজন্যই চলচ্চিত্রটির চূড়ান্ত পর্যায়ে দেখা গেছে, মারিনা তার হতাশা কাটিয়ে উঠেছে এবং স্বাভাবিক, প্রাণোচ্ছল জীবনযাপন করছে।

চতুর্থত, অন্যান্য অসংখ্য চলচ্চিত্রের মতো ‘তিয়োমনি মির’ চলচ্চিত্রেও ভালো এবং খারাপের মধ্যেকার চিরাচরিত লড়াইকে দেখানো হয়েছে, এবং যথারীতি ‘ভালো’কে বিজয়ী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রটির শেষে এরকম একটি ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ‘ভালো’র বিজয় সম্পূর্ণ হয়নি, বরং ‘খারাপ’ আরো বিপজ্জনক রূপে এসে হাজির হয়েছে। রুশদের জীবনধারাকে ‘হতাশাবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করার এক ধরনের প্রবণতা পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মধ্যে রয়েছে, এবং এই চলচ্চিত্রটির শেষ পর্যায়ে এসে দর্শকের মনে হতেই পারে যে, পশ্চিমা বিশ্লেষকদের এই বক্তব্য একেবারে ভুল নয়!

ডাইনিদের হ্রদে তাদের রানী হেলভির সঙ্গে একটি নৌকায় মারিনা; Source: YouTube

পঞ্চমত, চলচ্চিত্রটি বাবা ইয়াগা, শামান, ডাইনি ও জোম্বিদের চিত্রায়িত করা হয়েছে, এবং নানা ধরনের অতিপ্রাকৃত শক্তির উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটিতে কার্যত রুশ ও পশ্চিমা সাংস্কৃতিক উপাদানের একটি সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাবা ইয়াগা ও ডাইনিদের গল্প রুশ রূপকথার অবিচ্ছেদ্য অংশ, অন্যদিকে শামানদের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উল্লেখ কার্যত সাইবেরিয়ায় বসবাসকারী বিভিন্ন আঞ্চলিক জাতির সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু জোম্বিরা রুশদের প্রাচীন রূপকথার অংশ নয়। এগুলোর ধারণা মূলত পশ্চিমা সংস্কৃতির মাধ্যমেই প্রচার লাভ করেছে এবং সেখান থেকেই ধারণাটি গ্রহণ করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, চলচ্চিত্রটির নির্মাতারা চলচ্চিত্রটিতে নানা ধরনের রূপকথা আর অতিপ্রাকৃত ধ্যানধারণার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন একটি প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে আগ্রহী ছিলেন।

ষষ্ঠত, চলচ্চিত্রটিতে রাশিয়ার প্রাক–খ্রিস্টধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। শামানদের অলৌকিক ক্ষমতা এবং বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত শক্তির যে নমুনা চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে, তা রাশিয়ার খ্রিস্টধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ায় যে নব্য স্লাভিক প্যাগান মতবাদের উত্থান ঘটেছে, সেটির সঙ্গে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। তদুপরি, চলচ্চিত্রটিতে ডাইনিদের উপস্থাপন করা হয়েছে ‘ভালো’র পক্ষের শক্তি হিসেবে। এটিও খ্রিস্টধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, কারণ খ্রিস্টধর্মে বরাবরই ডাইনিদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং মধ্যযুগে খ্রিস্টধর্মের কর্তাধারী ডাইনিবিদ্যা চর্চাকারী বা চর্চার দায়ে অভিযুক্তদের প্রতি কীরকম আচরণ করতেন, সেটিও কারো অজানা নয়।

‘তিয়োমনি মির’ চলচ্চিত্রটি হিন্দিতে রূপান্তরিত করেও প্রচার করা হয়েছে; Source: YouTube

সপ্তমত, চলচ্চিত্রটিতে ডাইনিদের জীবনধারা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে একধরনের অংশত নারীবাদী উপাদান চলচ্চিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখানো হয়েছে, ডাইনিরা স্বাধীনভাবে বসবাস করে, তাদের কোনো পুরুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার বাধ্যবাধকতা নেই এবং তাদের ধারণা, তারা পুরুষদের চেয়ে উচ্চস্তরের!

সর্বোপরি, চলচ্চিত্রটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর কাহিনি একস্থানে থেমে থাকেনি। এতে ক্রমাগত একের পর এক ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটনার প্রতিটি বাঁকে নতুন টুইস্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে চলচ্চিত্রটি তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ হলেও শেষ পর্যন্ত দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম। উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রটি প্রচারিত হওয়ার পর কিছু কিছু চলচ্চিত্র সমালোচক চলচ্চিত্রটি বেশি সংখ্যক বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করার কারণে এটির সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বেশি সংখ্যক বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্তির ফলেই চলচ্চিত্রটি একঘেয়েমির সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে পেরেছে এবং চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠেছে।

This is a Bengali review article about Tyomnyy Mir (Dark World), a Russian fantasy/horror movie released in 2010.

Source of the featured image: IMDb

Related Articles