বর্তমান নেটফ্লিক্স কিংবা ফ্রি টরেন্টের যুগে বিঞ্জ ওয়াচিং শব্দযুগল ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে। বিঞ্জ ওয়াচিং বলতে বোঝায় কোনো একটি টিভি শোর এক সিজনের সবগুলো এপিসোড, কিংবা কোনো একটি মুভি সিরিজের সবগুলো পর্ব এক বসায়, বা একের পর এক দেখে ফেলা।
আজকাল আমরা অনেকেই বিঞ্জ ওয়াচিং করে থাকি। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে ছুটির দিনগুলোতে, যখন কর্মব্যস্ততা ও চাপ কম থাকে, আমরা বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া বা খেলাধুলা করার চেয়ে, ঘরে বসে কোনো একটি টিভি শো বিঞ্জ-ওয়াচ করাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আর এর পেছনে আমাদের যুক্তি থাকে, "সারা সপ্তাহ এত কষ্ট করার পর এই একটি বা দুটি দিন বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের মাধ্যমে রিল্যাক্স করাটা খুবই জরুরি।"
তবে একটি বিষয় হয়তো অনেকেরই অজানা যে, বিঞ্জ কথাটি কেবল বিঞ্জ ওয়াচিং বা একনাগাড়ে কোনোকিছু দেখে যাওয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। বরং যেকোনো কিছু একটানা, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে করাকে বলা হয়ে থাকে বিঞ্জ। যেমন: একটানা অনেক বেশি খাওয়ার নাম বিঞ্জ ইটিং, অনেক বেশি পান করার নাম বিঞ্জ ড্রিঙ্কিং, অনেক বেশি কেনাকাটার নাম বিঞ্জ শপিং।
অনেকের মতেই, কোনো কিছু বিঞ্জ করা একধরনের মানসিক অসুস্থতা। আবার কেউ কেউ একে নেশা বা অবসেশন হিসেবেও অভিহিত করে থাকে। আর বলাই বাহুল্য, অধিকাংশ নেশাই আমাদের জন্য উপকারী নয়। কেননা এতে করে আমাদের শরীর ও মনে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পড়েও থাকে।
কিন্তু এমনটি কি সকল নেশার ক্ষেত্রেই বলা যায়? না, অন্তত এমন একটি নেশা বা বিঞ্জের অভ্যাস রয়েছে, যেটি আমাদের ক্ষতির চেয়ে উপকারই করে বেশি। তাই তো বিবিসি এটিকে আখ্যা দিয়েছে "আ মোস্টলি হেলদি অবসেশন" হিসেবে। কিন্তু কী সেটি?
সেটি হলো বিঞ্জ রিডিং। প্রায় বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের মতোই বিষয়টি, তবে খানিকটা তফাতও রয়েছে। বিঞ্জ ওয়াচিং বলতে একের পর এক এপিসোড বা পর্ব দেখে যাওয়াকে বোঝায়। তবে বিঞ্জ রিডিংয়ের ক্ষেত্রে, একটি সিরিজের অনেকগুলো পর্ব পড়ার বদলে কেবল একটি ঢাউস আকৃতির বই পড়াকেও বোঝানো যেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ চিন্তা করুন হুমায়ূন আহমেদের 'হিমু' সিরিজের বইগুলোর কথা। প্রতিটি বই এত ছোট যে, ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পড়ে শেষ করে ফেলা যাবে। তাই 'হিমু' সিরিজের কেবল একটি বই একটানা পড়ে যাওয়াই বিঞ্জ রিডিং হতে পারে না। এজন্য আপনাকে সিরিজের সবগুলো বই, কিংবা অন্তত ৬-৭টি বই পড়তেই হবে। আবার চিন্তা করুন জর্জ আর আর মার্টিনের 'আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার' সিরিজটির কথা। প্রথম পর্ব 'আ গেম অব থ্রোন্স'-ই প্রায় ৭০০ পাতা। আর এখন পর্যন্ত প্রকাশিত মোট ৫টি বইয়ের পাতার সংখ্যা ৪,৫০০ এর মতো। তাই এক্ষেত্রে সবগুলো পর্বই নয়, যেকোনো একটি পর্ব একটানা পড়ে শেষ করাকেও বলা যেতে পারে বিঞ্জ রিডিং।
এখন প্রশ্ন হলো, অন্য সব বিঞ্জকে ক্ষতিকর বিবেচনা করা হলেও, বিঞ্জ রিডিংকে কেন উপকারী বলা হয়ে থাকে? বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের সাথেই বিষয়টির তুলনা করে দেখা যেতে পারে। একটানা বহুক্ষণ যদি আপনি টিভি, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থেকে চলমান দৃশ্য দেখে যেতে থাকেন, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনার চোখের ক্ষতির কারণ হবে। পাশাপাশি আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেবে।
কিন্তু বইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত সে আশঙ্কা অনেক কম। যদি আপনি উজ্জ্বল আলোয়, আরামদায়ক অবস্থায়, বড় বড় ও পরিষ্কার ফন্টের কোনো কাগজের বই পড়েন, তাহলে তা আপনার চোখে খুব বেশি চাপ ফেলবে না। তাছাড়া কাগজের বই যদি না-ও থাকে, কিন্ডল পেপারহোয়াইট বা এ জাতীয় ই-বুক রিডারে বই পড়লেও তা কাগজের বইয়ের মতোই অক্ষতিকর প্রমাণিত হবে।
তবে হ্যাঁ, আপনি যদি খুব ছোট ফন্টের কিংবা ঝাপসা প্রিন্টের (বিশেষত তা যদি অরিজিনাল প্রিন্ট না হয়ে ফটোকপি হয়) কাগজের বই পড়েন, অথবা মোবাইল, ল্যাপটপ বা ট্যাবে পিডিএফ পড়েন, তবে তা নির্দিষ্ট সময় পর অবশ্যই আপনার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বইটি যদি ভালো সংস্করণের হয়, এবং আপনার পরিবেশ যদি সামগ্রিকভাবে বই পড়ার উপযোগী ও অনুকূলে থাকে, তাহলে একটানা অনেকক্ষণ বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলেও আপনার স্রেফ ক্লান্তিবোধ ছাড়া আর কোনো শারীরিক ক্ষতির খুব বেশি আশঙ্কা থাকে না।
এবার চলুন কথা বলা যাক কাহিনীর গভীরতা উপলব্ধি সম্পর্কে। আপনি যদি মূল বইটি না পড়ে কেবল পর্দায় রূপান্তরিত সংস্করণটিই (টিভি শো কিংবা মুভি) দেখেন, তাহলে অবশ্যই আপনি কাহিনীর খুব গভীরে পৌঁছাতে পারবেন না। যেকোনো টিভি শো বা মুভির স্ক্রিনটাইম সীমিত থাকে বলে, আপনি কেবল মূল প্লটটিই জানতে পারবেন, কিন্তু অনেক সাবপ্লট কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরিই আপনার অজানা থেকে যাবে। তবে বইয়ের ক্ষেত্রে এমন আশঙ্কা নেই বললেই চলে। বই লেখার সময় লেখকরা সাধারণত কাহিনীর ব্যাপ্তিকে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি স্বাধীনতা পেয়ে থাকেন। তাই তারা নিজেদের ইচ্ছামতো, কাহিনীকে যতদূর খুশি প্রসারিত করতে পারেন। আর সেজন্য বইটি পড়ার মাধ্যমে পাঠকের পক্ষেও কাহিনীর মর্মমূলে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
এক্ষেত্রে 'হ্যারি পটার' সিরিজের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। বইয়ের সাতটি পর্বে লেখিকা জে কে রাউলিং মায়াবী দুনিয়ার যত খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন, শতকরা হারে তার খুব কম অংশই উঠে এসেছে আট পর্বের মুভি সিরিজটিতে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মানসিক প্রশান্তি, যার সাথে সরাসরি মনোবিজ্ঞানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
আমরা যখন একটি টিভি শো বা মুভি দেখি, তখন পরিচালক বা নির্মাতারাই কল্পনার জগতটিকে নিজেদের মতো করে আমাদের সামনে তুলে ধরেন। আমাদের কাজ হয় কেবল পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকা। মাঝেমধ্যে মনোযোগ ছুটে গেলেও, ফের কিছুক্ষণের মধ্যেই পর্দায় কী হচ্ছে না হচ্ছে আমরা ধরে ফেলতে পারি। অর্থাৎ টিভি শো বা মুভি দেখার ক্ষেত্রে আমাদেরকে খুব বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে না।
অথচ একটি বই পড়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি একদমই বিপরীত। লেখক কেবল শব্দের পর শব্দ বুনে একটি কাহিনী তৈরি করেন, কিন্তু পড়ার সময় সেটিকে আমাদের নিজেদের কল্পনার চোখেই এঁকে নিতে হয়। তাছাড়া এক্ষেত্রে আমাদেরকে সবসময়ই সজাগ থাকতে হয়। হঠাৎ করে যদি মনোযোগ অন্য কোথাও সরে যায়, তাহলে অনেক লাইন আবার নতুন করে পড়ে নিতে হয়। অবশ্যই, এখানে আমাদেরকে কেবল বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলেই হয় না। প্রতিটি শব্দই পড়তে হয়, এবং তারপর আমাদের মস্তিষ্ক সেই শব্দের মর্মার্থ প্রক্রিয়াজাতকরণ করে, তার মর্মার্থ আমাদের সামনে তুলে ধরে। আর সবচেয়ে বড় কথা, একটি টিভি শোর কোনো এপিসোড বা একটি মুভি যত দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তারচেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে পড়তে হয় একটি ঢাউস আকৃতির বই। ফলে বই পড়ায় সামগ্রিকভাবে ব্যয়িত সময়ও হয় বেশি।
তাহলে এটিও প্রমাণিত যে, টিভি শো বা মুভি দেখার মতো বিলাসিতা বা আরামের সুযোগ বই পড়ায় নেই। আর এ কারণেই খেয়াল করে দেখবেন, আপনি একটি টিভি শো বা মুভি দেখে শেষ করার পর যে আনন্দ পাচ্ছেন, তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি আনন্দ পাচ্ছেন একটি বই পড়ে শেষ করে। কারণ স্পষ্টতই আপনার মস্তিষ্ক জানে, কোনটির ক্ষেত্রে তাকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর মস্তিষ্ক জেনে-বুঝেও শ্রমের মর্যাদা দেবে না, তা কি হয়!
এবার বলা যাক বিঞ্জ রিডিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতাটির কথা। আর তা হলো: এটি আমাদের বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন দূর করে।
মানুষ হিসেবে আমাদের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো, কোনো কারণে মন খারাপ থাকলে আমরা বারবার সেটির কথাই ভাবতে থাকি। এর ফলে আমাদের মন আরো খারাপ হয়ে যায়। এবং তখন সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা আরো বেশি ভাবতে থাকি, আর তাতে মন খারাপের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। এভাবে মন খারাপ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তেই থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা আমাদের চিন্তার গতিপথ অন্য কোনোদিকে সরিয়ে নিতে পারছি।
কিন্তু কীসের মাধ্যমে এটি সম্ভব? কাজের মধ্যে ডুবে থাকা, কারো সাথে কথা বলা, কোনো মুভি বা টিভি শো দেখা, ঘুরতে যাওয়া, খেলাধুলা করা, কেনাকাটা করা? হ্যাঁ, এগুলোর মাধ্যমে বিষণ্নতাকে ভুলে থাকা যায় বটে, কিন্তু তা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যখনই এ কাজগুলো আমরা শেষ করে ফেলি, তখনই আবার খারাপ লাগাটা ফিরে এসে মাথায় চেপে বসে। তাই আমাদের প্রয়োজন এমন কোনো কাজ, যেটি আমাদের মনকে অন্য কোথাও নিয়ে যাবে তো বটেই, পাশাপাশি সেটির স্থায়িত্বকালও হবে অনেক বেশি।
এবং এক্ষেত্রেই বিঞ্জ রিডিং হলো এক ও অদ্বিতীয় একটি কৌশল। অনেক বড় একটি একক বই, কিংবা অনেকগুলো পর্ব রয়েছে এমন একটি বইয়ের সিরিজ শুরু করলে, ধীরে ধীরে আমরা সেই বইয়ের কাল্পনিক জগতে হারিয়ে যেতে থাকি, সেই বইয়ের চরিত্রগুলোর সাথে একাত্মতা অনুভব করতে থাকি। এভাবে ক্রমশই আমরা আমাদের পারিপার্শ্বিক বাস্তব জগতের কথা ভুলে গিয়ে, ওই বই বা সিরিজের কাহিনী ও চরিত্রগুলোর মাঝে ডুবে যাই। যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরোটা পড়ে শেষ করছি, ততক্ষণ আমাদের আর মনে পড়ে না আমাদের নিজেদের দুঃখের কারণ। এবং পুরোটা পড়ে শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগে বলে, ততক্ষণে আমরা আমাদের নিজেদের বিষণ্নতাকে অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারি। তাছাড়া একটি বিশাল বই বা সিরিজ পড়ে শেষ করার পর, আমাদের মনে বিশেষ প্রশান্তি খেলা করে, পাশাপাশি সদ্য শেষ করা বইটির কাহিনী ও চরিত্ররাও বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খেতে থাকে। ফলে নিজেদের দুঃখবোধকে লালন করা, বা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ঘা করে ফেলার আশঙ্কা আর থাকে না।
অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন ধরনের বই বিষন্নতা কাটাতে বেশি সহায়ক? এ সংক্রান্ত গবেষণাও কিন্তু পরিচালিত হয়ে গেছে, এবং সেই গবেষণার ফলাফল বলছে, বিষণ্ণতা দূরীকরণে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হলো অপরাধ বিষয়ক বই। এর কারণও কিন্তু খুবই সহজ। সাধারণ জীবনঘনিষ্ঠ কিংবা রোমান্টিক বইয়ের কাহিনী অনেক ধীরে ধীরে এগোয়, এবং সেগুলোর কাহিনী একজন বিষণ্ণ পাঠককে তার নিজের দুঃখের কথাও মনে করিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে তার মন ভালো হওয়ার চেয়ে নতুন করে আরো খারাপ হতে পারে। কিন্তু অপরাধ বিষয়ক বই যেমন গোয়েন্দা গল্প, রোমাঞ্চ প্রভৃতিতে কাহিনীর গতি অনেক বেশি থাকে, ফলে পাঠক সহজেই মূল কাহিনীতে ঢুকে যেতে পারে। আর এসব বইতে এমন সব কনটেন্ট থাকে, যা পাঠকের মস্তিষ্ককে অল্পতেই উত্তেজিত করে তুলতে পারে। আর সেই উত্তেজনার কারণে পাঠক তার নিজের বিষণ্নতার কথাও বেমালুম ভুলে যেতে পারে।
সুতরাং, আপনি যদি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে: অতিসত্বর কোনো একটি বিশালাকার বই বা সিরিজ হাতে তুলে নিন, এবং আরো ভালো হয় যদি সেটি গোয়েন্দা কাহিনী বা রোমাঞ্চকর কোনো বই হয়। হোক সেটি ফেলুদা, ব্যোমকেশ, শার্লক হোমস, কিংবা ড্যান ব্রাউন, সিডনি শেলডনের কোনো বই।
শেষ করার আগে একটি কথাই বলব, অতিরিক্ত কোনো কিছু অবশ্যই ভালো নয়। বিঞ্জ রিডিং করবেন ঠিক আছে, কিন্তু সেজন্য সঠিক সময় খাওয়া-দাওয়া না করা, ঘুম কমিয়ে দেয়া, মূত্রবেগকে অগ্রাহ্য করা, পরিবার বা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা – এমন অস্বাভাবিক কোনো কাজ অবশ্যই করবেন না। পড়তে পড়তে ক্লান্তি লাগলে বই নামিয়ে রেখে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়াও আবশ্যক। তাছাড়া বিঞ্জ রিডিংয়ের জন্য নিজের রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী সঠিক বই বা সিরিজটিই বেছে নেবেন। নইলে বিঞ্জ রিডিং সম্ভব হবে না, আর জোর করে করতে গেলেও কোনো লাভ হবে না। আর হ্যাঁ, চেষ্টা করবেন এমন কোনো বই বা সিরিজ শুরু করার, যেটির সকল পর্বই প্রকাশিত হয়ে গেছে। নইলে কিন্তু বিঞ্জ রিডিং শেষে মানসিক প্রশান্তির বদলে পরের পর্বের জন্য অস্থিরতা বোধ করবেন বেশি!
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/
This article is in Bengali language. It is about the advantages of binge-reading. Necessary references have been hyperlinked inside.
Featured Image © Serious Reading