Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ: এক নতুন প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ

দ্রব্য বিনিময় প্রথা সম্পর্কে আমরা কম-বেশি অনেকেই শুনে থাকব। মুদ্রাব্যবস্থা আসার আগে প্রাচীনকালে দ্রব্য বিনিময় প্রথাই ছিল জিনিস কেনার একমাত্র উপায়। এই ব্যবস্থায় একজন ক্রেতা তার পণ্যের বিনিময়ে একজন বিক্রেতা থেকে পণ্য কিনে নিত। দ্রব্য বিনিময়ের মাধ্যমে সমাজের মানুষ তাদের চাহিদা পূরণ করত।

এই লেখাটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সম্পর্কে। নাম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বা পণ্য বিনিময় হলেও এটি প্রাচীনকালের দ্রব্য বিনিময় প্রথা থেকে ভিন্ন কিছু বোঝায়।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কী?

বর্তমানে পণ্য কেনাবেচার একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। মূলত স্টক এক্সচেঞ্জের মতোই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কেনাবেচার একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। স্টক এক্সচেঞ্জে বিভিন্ন শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি কেনাবেচা হয়। বিপরীতে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হয় কৃষিপণ্য, ভোগ্যপণ্য, প্রাকৃতিক গ্যাস বা জ্বালানি তেল, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতব পদার্থসহ নানা ধরনের পণ্যদ্রব্য। তবে এসব পণ্য সরাসরি ক্রেতা বা বিক্রেতার সামনে উপস্থিত রাখা হয় না। ঐ লেনদেনকৃত পণ্যটি থাকে গুদামে, এবং কাগজ বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে এক্সচেঞ্জ বা বিনিময়ের মাধ্যমেই কেবল এসব পণ্যের মালিকানা বদল হয়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশেও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ আছে।

বিশ্বের প্রথম কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হয়ে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০০ থেকে ৪০০০ অব্দের মধ্যে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় অঞ্চলে, যা বর্তমান দক্ষিণ ইরাকে। এই বাজারের পণ্য ছিল ছাগল, ভেড়াসহ নানা ধরনের গবাদিপশু। বিশ্বের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫৩০ সালে নেদারল্যান্ডসে, যায় নাম অ্যামস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জ। ১৭৩০ সালে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বের প্রথম স্বীকৃত ফিউচার ট্রেডিং এক্সচেঞ্জ দোজিমা রাইস এক্সচেঞ্জ। বিশ্বের প্রধান কয়েকটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে টোকিও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, ইউরোনেক্সট, চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, এবং ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হয় বিভিন্ন পণ্যের; Image source: blog.geojit.com

এই বাজারে বিশ্বের সকল দেশের বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম ঘটে। পৃথিবীর ধনী দেশগুলোতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই চালু আছে। এমনকি, সার্কভুক্ত দেশ ভারত, ভুটান ও আফগানিস্তানেও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও এমন কোনো ব্যবস্থা চালু নেই। যদিও বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে, তারপরও এতদিন বাংলাদেশে কোনো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা ছিল না। সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-কে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এই নিয়ে সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইভিত্তিক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের (এমসিএক্স) সঙ্গে সিএসইর চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

ক্রেতা ও বিক্রেতার সম্মিলনে বাজারে নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্য কেনাবেচা হয়। সাধারণত খুচরা ও পাইকারি বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম বেশি দেখা যায়। এসব ছোট-বড় বাজারগুলো কমোডিটি মার্কেট হিসেবে পরিচিত। ঢাকার কারওয়ান বাজার বা শ্যামবাজার, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এরূপ কিছু বড় কমোডিটি মার্কেট। তবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটা অনেকটা স্টক এক্সচেঞ্জ বা শেয়ার বাজারের মতোই। শেয়ার বাজারে বহু কোম্পানি তাদের মূলধন সংগ্রহ করতে শেয়ার বিক্রি করে আর তা কিনে নেয় বিভিন্ন বিনিয়োগকারী। কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে শেয়ার নয়, কেনাবেচা হয় পণ্য।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে চালু হবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ; Image source: wealthandfinance-news.com

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ অনুযায়ী; বনজ সম্পদ, মাছ, কৃষিপণ্য, খনিজ ও জ্বালানি, গবাদিপশু পণ্যসহ উৎপাদিত যেকোনো পণ্যই কমোডিটি এক্সচেঞ্জের আওতায় ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। এসব পণ্য কেনাবেচা বা লেনদেনের জন্য যে প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে, সেটিই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নামে পরিচিত হবে।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জের পণ্যগুলো কৃষিপণ্য এবং অকৃষিপণ্য এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে নিত্যপণ্য, যেমন: চাল, ডাল, গম, পেঁয়াজ, আলু, ভোজ্যতেল, ফল, চা ইত্যাদি। অকৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে জ্বালানি তেল, গ্যাস, স্বর্ণ, লোহা, কয়লা ইত্যাদি। বিশ্বব্যাপী কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ১০টি পণ্য হলো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, স্বর্ণ, রূপা, কপার, গম, তুলা, ভুট্টা, চিনি ও কফি।

বাংলাদেশের মতো বৃহৎ বাজার বিবেচনায় এদেশে একটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশ অনেক পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে আবার অনেক পণ্য রপ্তানিও করে। এসব আমদানি-রপ্তানির প্রায় পুরোটাই ক্রেতা ও বিক্রেতার সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে বিশ্বের সব ক্রেতা বিক্রেতাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচার সুযোগ করে দেবে। এতে পণ্যমূল্যে ভারসাম্য নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বাজারে সিন্ডিকেটভিত্তিক পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটি। সংগঠিত ও স্বচ্ছ বাজার সিন্ডিকেট ও দামের কারসাজি কমাতে এ ধরনের এক্সচেঞ্জ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে স্টক এক্সচেঞ্জ।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে পণ্যের মূল্যে ভারসাম্য রক্ষা হবে; Image source: peroxigard.com

বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠন করা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালনা পর্ষদ এমন একটি এক্সচেঞ্জ চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সিএসইর আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০২২ সালের মার্চ মাসে কিছু শর্তসাপেক্ষে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য সিএসইকে অনুমতি দেয়।

যেহেতু এই প্ল্যাটফর্ম দেশের আর্থিক বাজারের জন্য একটি নতুন ধারণা, এবং দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনের বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের পূর্ব-অভিজ্ঞতা নেই, তাই ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ থেকে এই বিষয়ে সাহায্য পাওয়া যাবে। আর এজন্য সিএসই এই চুক্তি মোতাবেক এমসিএক্সের কাছ থেকেই কারিগরি ও পরামর্শক সেবা নেবে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) উদ্যোগে চলতি বছরেই দেশে চালু হতে পারে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। স্বর্ণ ও কিছু কৃষি পণ্য দিয়েই যাত্রা শুরু হতে পারে দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জের।

স্বর্ণ দিয়ে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের লেনদেন শুরু হলে, এই লেনদেনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদেরও যুক্ত করা হবে। বর্তমানে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেন স্বর্ণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী সংগঠন। কমোডিটি এক্সচেঞ্জে স্বর্ণের কেনাবেচা শুরু হলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি একাধিক দরদামের ওপর ভিত্তি করেই দাম নির্ধারিত হবে।

স্বর্ণ কমোডিটি এক্সচেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য; Image source: CGTrader

স্বর্ণ ছাড়াও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও তুলা, এসব পণ্যের লেনদেনের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে এমসিএক্স। যদি এসব পণ্যের কেনাবেচার বিষয়ে এমসিএক্সের সুপারিশ পাওয়া যায়, তাহলে এসব পণ্য দিয়েই নতুন এক্সচেঞ্জটির কার্যক্রম শুরু করা হবে। অন্যথায় শুধু স্বর্ণ কেনাবেচার মধ্য দিয়েই প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে অন্যান্য পণ্যও যুক্ত করা হবে।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কেনাবেচার প্রক্রিয়া

পণ্যদ্রব্য কেনাবেচার প্রক্রিয়া শেয়ার বাজারের মতো। ব্রোকারের মাধ্যমে বিক্রেতা পণ্য বিক্রির অর্ডার দেন। অন্যদিকে ক্রেতা তার ব্রোকারের মাধ্যমে কেনার অর্ডার দেন। অনলাইন ব্যবস্থায় এই কেনাবেচার অর্ডার প্রদর্শিত হয় কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মে। দর মিললেই লেনদেন হয়, আর তা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয় ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট হাউজের মাধ্যমে। ক্রেতার অ্যাকাউন্ট থেকে বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানো হয়, আর এরপর চুক্তি অনুযায়ী পণ্যের ডেলিভারি সম্পন্ন হয়।

পণ্যদ্রব্য না থাকলেও তা কেনাবেচা করা যায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। একে ফিউচার কন্ট্রাক্ট বা ভবিষ্যৎ চুক্তি বলা হয়। যেমন: মৌসুমি ফল আম, লিচু বা এ ধরনের পণ্য সাধারণত যা সারা বছর হয় না। তাই চাইলেই কোনো বিক্রেতা এ ধরনের ফসল আগাম বিক্রির অর্ডার দিতে পারেন। অর্ডার অনুযায়ী ক্রেতা তা আগাম কিনেও নিতে পারেন। তবে পণ্য এক মাস, দুই মাস বা তারও বেশি সময় পর ডেলিভারি হতে পারে। তবে শুধু মৌসুমি নয়, যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের ফিউচার কন্ট্রাক্ট হতে পারে।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ফিউচার কন্ট্রাক্ট করা যায়; Image source: peroxigard.com

শেয়ারবাজারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জেও নির্দিষ্ট ও অনুমোদিত ব্রোকারের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা করতে হয়, থাকতে হবে অ্যাকাউন্ট। এছাড়া পণ্য কিনে তা না নিয়ে ক্রয়কৃত পণ্যের সার্টিফিকেট অন্য কারও কাছে বিক্রিও করা হয়।

এই ব্যবস্থার একটি লেনদেনের উদাহরণ দেয়া যাক। ধরুন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে গম কেনাবেচা হলো। কৃষক বা গুদামের মালিক এই গম সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন। আর কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে যে কেউ এই গম কিনে নিতে পারবেন। আইনের মাধ্যমে এই গম কেনাবেচার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় থাকবে। ওই সময় ক্রয়পত্রটি যার হাতে থাকবে, তাকে বিক্রীত গম বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আমরা জানি, দেশের কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। কিন্তু কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা চালু হলে দেশের কৃষক ও উৎপাদকরা তাদের পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাবেন। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থায় কৃষকরা ফিউচার কন্ট্রাক্ট ব্যবহার করে দাম নির্ধারণ করে রাখতে পারেন, যা ভবিষ্যতে মূল্য হ্রাসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে দেশের বাজারে পণ্যের দামের অস্থিরতা কমবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজারমূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। দেশের বাজারের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক বাজারেও সামঞ্জস্য থাকবে। ভোক্তা থেকে শুরু করে ক্রেতা, বিক্রেতা বা বিনিয়োগকারীসহ সবার জন্যই এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এই ব্যবস্থা যদি চালু হয়, তাহলে দেশে পণ্যদ্রব্যের সাপ্লাই চেইন উন্নত হওয়ার পাশাপশি কোল্ডস্টোরেজ সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে। এককথায়, দেশের উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে

পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত হবে কীভাবে?

এ বাজারে ক্রেতা যেহেতু সরাসরি পণ্য দেখে কিনতে পারে না, তাই কমোডিটি এক্সচেঞ্জই পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিতের নানা ব্যবস্থা করে থাকে। অর্থাৎ, পণ্য নির্দিষ্ট গুদামে গুদামজাত করার সময়ই মান নিশ্চিত করা হয়। এজন্য কোয়ালিটি কন্ট্রোল কর্মকর্তারা পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করে সনদ দেন।

পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে কাজ করবে সনদ; mage source: vecteezy.com

অনেকটা শেয়ারের মতো বিক্রেতার দেওয়া পণ্যের সার্টিফিকেট দেখেই পণ্যের গুণগত মানের বিষয়ে নিশ্চিত হন ক্রেতা, এবং অন্য দেশে থেকে কেনাবেচা করেন।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের প্রধান শর্ত হলো প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, উন্নত অবকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা। গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত মানের ওয়্যারহাউজ ও কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করতে হয়। একইসাথে, ঐ ওয়্যারহাউজ ও কোল্ড স্টোরেজ থেকে বিশ্বের যেকোনো স্থানে যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হয়। এজন্য সড়ক থেকে বন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হয়। আবার উন্নত দেশে বর্তমানে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের লেনদেন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সম্পাদিত হয়। তাই দরকার পড়ে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির। পাশাপাশি গুণগতমানের নিশ্চয়তা প্রদানে সৎ ও দক্ষ জনবলের প্রয়োজন।

Related Articles