Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

উগান্ডায় যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরাজিত হলো চীন

ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজাকুমারি ঝাণ্ডিয়ালার বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে তিনি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। ওবামা প্রশাসনের হয়ে আফ্রিকায় দাতব্য কাজেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ২০১৬ সালে তিনি উগান্ডায় একটি তেল শোধনাগার তৈরির বিষয়ে জানতে পারেন, যেটি হবে পূর্ব আফ্রিকার সর্ববৃহৎ তেল শোধনাগার। তিনি উগান্ডার এই বিশাল প্রকল্পের সাথে নিজেকে যুক্ত করার অভিপ্রায় থেকে তেল শোধনাগার নির্মাণের নিলামে অংশ নেন। এজন্য তিনি কেনিয়াতে একটি বিনিয়োগ কোম্পানি গড়ে তোলেন এবং জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি থেকে তেল ও গ্যাস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসেন। তার গড়া ইয়াত্রা ভেঞ্চার কোম্পানির সাথে এক ইতালিয়ান কোম্পানি যুক্ত হয়ে গ্রুপ অব কোম্পানি গঠন করে। কিন্তু রাজাকুমারির তেল শোধনাগার নির্মাণের স্বপ্ন শুরুতেই হোঁচট খেতে বসেছিল। এমনকি তাকে তেলের ব্যবসা থেকে সরে আসার বিষয়েও ভাবতে হয়।

রাজাকুমারি যখন উগান্ডায় তেল শোধনাগার নির্মাণের জন্য নিলামে অংশগ্রহণ করেন, তখন তার সাথে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানও অংশ নেয়। এর মধ্যে একটি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান। চীন সরকার বিশ্বব্যাপী তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলছে, যার বড় একটি অংশই আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর এর মাধ্যমে চীনা কোম্পানিগুলো বাঁধ থেকে শুরু করে সড়ক, রেলপথ, স্টেডিয়াম ও বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ পাচ্ছে। এসব প্রকল্প নির্মাণের জন্য আফ্রিকার একের পর এক দেশ এবং এক সরকারের পর আরেক সরকার চীনের কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করছে।

উগান্ডায় স্থানীয়দের সাথে চীনের শ্রমিকরা কাজ করছেন; Image Source: The New York Times

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বব্যাপী চীনের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আর এর অংশ হিসেবেই তারা আফ্রিকায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ চীনের এসকল বিনিয়োগকে ঋণের ফাঁদ হিসেবে অভিহিত করে আসছে। তাদের অভিযোগ একেবারেই অসত্য নয়। চীন ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কাকে ঋণের ফাঁদে ফেলে তাদের হাম্বানটোটা বন্দর নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ যে সকল দেশ চীনা বিনিয়োগকে ঋণের ফাঁদ বলছে, তারাও আফ্রিকা কিংবা এশিয়ার দেশগুলোতে চীনের কাছাকাছি অঙ্কেও বিনিয়োগ করছে না। ফলে এসব অঞ্চলের দেশগুলো রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য চীনের ঋণের দিকেই ঝুঁকছে।

আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে চীনা কোম্পানিগুলোকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে চীন সরকার। সেদিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেশ পিছিয়ে। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু সেটা কতটুকু সম্ভব হবে সেই বিষয়ে আমেরিকান কোম্পানিগুলোই সন্দিহান। যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধে নেমেছে, অন্যদিকে সাইবার স্পেসেও লড়াই চালাচ্ছে। সেই সাথে দুই দেশ প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরে নিজেদের অস্ত্রসস্ত্র বৃদ্ধি করছে। কিন্তু এসব কিছুর পরও চীন তাদের লক্ষ্যের দিকে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মোকাবেলা করবে কিংবা আদৌ পারবে কি না এই বিষয়ে এখন অনেকেই সন্দিহান। সময় যত বাড়ছে, চীনের এই প্রকল্পের সাথে বিভিন্ন দেশের সংযুক্তিও ততই বাড়ছে।

উগান্ডার একটি খনির ভেতরে  দৃশ্য; Image Source: The New York Times

আফ্রিকায় আমেরিকাসহ পশ্চিমা কোম্পানিগুলো সবেমাত্র অবকাঠামো খাতে নিজেদের ভিত্তি স্থাপনের চেষ্টা করছে। বিপরীতে চীনা কোম্পানিগুলোর শাখা-প্রশাখা ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে তুলেছে। সেই সাথে তারা বিভিন্ন প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার জন্য আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ হিসেবে প্রদান করছে। আর এর ফলেই রাজাকুমারি ঝাণ্ডিয়ালার পক্ষে উগান্ডায় তেল শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে যায়। তিনি তেল শোধনাগার নির্মাণের জন্য চার বিলিয়ন ডলার প্রস্তাব করেন এবং তার কোম্পানিরই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই সময় মাঠে প্রবেশ করে দুটি চীনা কোম্পানি। তারা শুরুতেই উগান্ডার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হাত করে ফেলে। ফলে বিষয়টি নিয়ে আমেরিকান ও চীনা কোম্পানির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

দ্বন্দ্ব অবসানের জন্য উগান্ডার রাষ্ট্রপতি জুবেরি মুসেভেনি আমেরিকান ও চীনা কোম্পানির কর্মকর্তাদের নিজ বাসভবনে ডাকেন। সেই বৈঠকে মুসেভেনির কাছে উগান্ডার গোয়েন্দা সংস্থার তিন কর্মকর্তা একটি রিপোর্ট প্রদান করে। এই তিন কর্মকর্তা রাজাকুমারির পক্ষে কাজ করবেন এমনই ভেবেছিলেন আমেরিকানরা। কিন্তু বাস্তবে তারা বিপরীত কাজ করেন। তারা রিপোর্টে রাজাকুমারির কোম্পানির চার বিলিয়ন ডলার অর্থের যোগান দেওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। মুসেভিনি তখন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলেও পশ্চিমারা তার দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাকায় প্রশংসা করেন।

যেভাবে দ্বৈরথের শুরু

ব্রিটিশরা দীর্ঘদিন পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো শাসন করেছে এবং লুটে নিয়ে গেছে অজস্র সম্পদ। কিন্তু তাদের অগোচরে ছিল উগান্ডার বিশাল এক সম্পদের ভাণ্ডার। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের চার দশক পর ২০০৬ সালে উগান্ডার লেক আলবার্টে পূর্ব আফ্রিকার সর্ববৃহৎ তেলের খনি আবিষ্কৃত হয়। এরপর থেকেই মুসেভেনির সরকার বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানির সাথে খনি থেকে তেল উত্তোলন করার বিষয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করে। তিনি চেয়েছিলেন তেলের খনি থেকে দক্ষিণ-পূর্বে তাঞ্জানিয়ান সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত পাইপ লাইন করতে, যাতে তেল উত্তোলন করার পর জাহাজের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করা সম্ভব হয়। মুসেভেনি চেয়েছিলেন তার দেশের এই তেলের খনি থেকেই যেন পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো সহজে তেল কিনতে পারে। এতে করে প্রতিবেশী দেশগুলোর তেল কিনতে কম অর্থ ব্যয় হবে। শুরুতে একটি রুশ কোম্পানি তেল উত্তোলনের জন্য উগান্ডার সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সরে দাঁড়ায়।

রাজাকুমারি ঝাণ্ডিয়ালা; Image Source: The New York Times

২০১৬ সালে ৫৩ বছর বয়সী রাজাকুমারি ঝাণ্ডিয়ালা যখন তেলের খনির বিষয়ে জানতে পারেন তখন তিনি উগান্ডা সফর করেন। এর এক দশক আগে তিনি উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করেছেন। সেই সূত্র থেকে উগান্ডার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে তার বেশ সুসম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ২০১৫ সালে তার প্রতিষ্ঠিত ইয়াত্রা ভেঞ্চার কোম্পানি থেকে উগান্ডায় তেল শোধনাগার তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তবে ইয়াত্রা ছাড়াও আরো ৪০টি কোম্পানি তেল শোধনাগার তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আসে। এর মধ্যে ছিল দক্ষিণ চীনের গুয়াংজু শহরের ব্যক্তিমালিকানাধীন জলবিদ্যুৎ ও খনি খননকারী কোম্পানি ডংসং। অপর প্রতিষ্ঠানটি চীনের তৃতীয় বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন (সিএনওওসি)।

চীনের এই দুই কোম্পানি অনেক আগে থেকেই উগান্ডার জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করে আসছে। ডংসং উগান্ডার খনি থেকে ফসফেট উত্তোলন এবং রাসায়নিক সার তৈরির কারখানা নির্মাণ প্রকল্পের সাথে জড়িত রয়েছে, যার প্রকল্প ব্যয় ৬২০ মিলিয়ন ডলার। ফলে তাদের জন্য কাজ পাওয়া খুব সহজ ছিল। কিন্তু তেল শোধনাগার নির্মাণ করার জন্য ডংসং ও সিএনওওসি কঠিন শর্ত দিয়ে বসে। ডংসং ঋণের গ্যারান্টি চেয়েছিল। কোনো কারণে সরকারের পরিবর্তন ঘটলে পরবর্তী সরকার অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকবে এবং এই প্রকল্পের ৬০ শতাংশ শ্রমিকই হবে চীনের। এছাড়া কোনো কারণে এই প্রকল্পে লোকসান হলে তার দায়ভারও উগান্ডা সরকারকেই নিতে হবে।

চীনা ঋণে রেলখাতের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে উগান্ডা; Image Source: The New York Times

অন্যদিকে, আমেরিকান কোম্পানিগুলো ঋণের জন্য কঠোর কোনো শর্ত আরোপ করেনি। বরং তারা উগান্ডা সরকারকে ৪০ শতাংশ মালিকানা প্রদান করতে চেয়েছিল। সকল অর্থ বিনিয়োগ ও শেয়ার বিক্রির কাজও তারাই করবে। এই প্রস্তাবে উগান্ডার ঋণের ঝুঁকি কম ছিল। কিন্তু আমেরিকান কোম্পানিগুলো এত বিপুল অর্থ কীভাবে সংগ্রহ করবে? চীনা কোম্পানিগুলো খুব সহজে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে, যেটা আমেরিকান কোম্পানিগুলোর পক্ষে সহজ ছিল না। ফলে অর্থের জোগানের নিশ্চয়তা থাকায় বৃহৎ এই খনির কাজ প্রায় ডংসং কোম্পানির হাতেই চলে গিয়েছিল।

ডংসং কোম্পানির প্রতারণা

ডংসং কোম্পানির মালিক ৫০ বছর বয়সী লু পেশায় ছিলেন একজন ব্যাংকার। বর্তমানে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। লু উগান্ডায় এসে ঘোষণা করেন, তিনি দেশটির অবকাঠামোগত রূপ পুরোপুরি বদলে দেবেন। আর এই কারণেই উগান্ডার মানুষ তাকে চিরদিন মনে রাখবে। তার কোম্পানি যখন উগান্ডার সর্ববৃহৎ তেলের খনি থেকে তেল উত্তোলন এবং শোধনাগারের নির্মাণের কাজ পেতে যাচ্ছিল, তখনই তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালে উগান্ডার ইন্সপেক্টর জেনারেলের অফিস থেকে সরকারকে জানানো হয় যে, ডংসংয়ের মাইনিং লাইসেন্স ভুয়া। তারা অবৈধ পন্থায় লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার না হলেও উগান্ডা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সকলেই জেনে যায়।

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট জুবেরি মুসেভেনির সাথে লু; Image Source: The New York Times

লাইসেন্স ছাড়াও উগান্ডায় লুর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়। নিজ দেশেও তিনি ও তার কোম্পানি বেশ বিতর্কিত। চীনের হেবেই প্রদেশের আদালতে তার কোম্পানির বিরুদ্ধে ঘুষ প্রদানের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার কাছ থেকে চীনের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত হন। এদিকে উগান্ডায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা ডংসংয়ের কাছে থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আটক হন। কিন্তু এতকিছুর পরও ডংসং এগিয়ে ছিল।

অবশেষে আমেরিকান কোম্পানির জয়

চীনা কোম্পানির পক্ষে দ্রুত অর্থের যোগান দেওয়া সম্ভব ছিল এবং সুদের হারও অনেক কম ছিল। কিন্তু ঋণ পরিশোধের সময়সীমা একেবারেই সীমিত ছিল। এর আগে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য চীনের কাছে থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে উগান্ডা। নতুন করে তাদের কাছে বড় ঋণ নেওয়ার বিষয়টি মুসেভেনিকে তাই দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য করে। কারণ, সম্প্রতি ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কেনিয়ার কাছ থেকে নাইরোবি বন্দরের কর্তৃত্ব নেয় চীন। এই বিষয়টি মুসেভেনিকে চীনের দিক থেকে নজর ফেরাতে বাধ্য করে। সেই সাথে ডংসংয়ের দুর্নীতির বিষয়টিও তিনি ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। ফলে তিনি চীনকে পাশ কাটিয়ে আমেরিকান কোম্পানির কথা বিবেচনা করেন।

চুক্তি সম্পন্ন করার সময় ফাইল আদান-প্রদান করছে দুই পক্ষ; Image Source: mofa.go.ug

এদিকে রাজাকুমারি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করেন। তার এই আবেদনে সাড়া দেয় ওভারসিজ প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন। কিন্তু তাদের পক্ষে বিলিয়ন ডলার যোগান দেওয়া সম্ভব ছিল না। পরবর্তীতে আমেরিকার বাণিজ্য বিভাগ উগান্ডার প্রকল্পটির গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রদূত ডেবোরাহ মেলাককে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেন। এদিকে বিশাল এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য চারটি আমেরিকান কোম্পানি একযোগে কাজ করার ঘোষণা দেয়। এদের মধ্যে রয়েছে জেনারেল ইলেকট্রিক, ইয়াত্রা ভেঞ্চার, ইন্ট্রাকন্টিনেন্টাল অ্যাসেট হোল্ডিংস ও সেইপেম স্পা।

গত জানুয়ারিতে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি আবারো রাজাকুমারি এবং তার ব্যবসায়ীক অংশীদারদের সাথে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে এপ্রিলে চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এবং দীর্ঘ তিন বছর আলাপ আলোচনার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। এই চুক্তি অনেক দিক থেকে আমেরিকার এক বড় অর্জন। বিশেষ করে চীনা কোম্পানিকে হটিয়ে বিশাল এই প্রকল্পের কাজ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।

This Bangla article is about 'US-China Commerce Fight in Uganda'. Necessary references have been hyperlinked.

Featured Image Source: industryweek.com

Related Articles