সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বড় পর্দায় দুজন ব্রিটিশ অভিনেতাকে স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি। একজন অ্যান্ড্রু গারফিল্ড, অন্যজন টম হল্যান্ড। কিন্তু আজও বেশিরভাগ দর্শকের ক্ষেত্রেই স্পাইডারম্যান বলতে যে মানুষটির মুখ সবার আগে চোখে ভেসে ওঠে, তিনি টোবি ম্যাগুইয়ার।
প্রায় এক যুগ অতিবাহিত হয়ে গেছে স্যাম রেইমি পরিচালিত স্পাইডারম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ পর্ব স্পাইডারম্যান ৩ মুক্তির পর। তবু সেই স্পাইডারম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন আজও অমলিন। দ্য অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান কিংবা স্পাইডারম্যান হোমকামিং নয়, সময় পেলে দর্শক স্যাম রেইমির স্পাইডারম্যানই আবারও দেখতে বসে।
অনেকেরই অভিযোগ, স্পাইডারম্যান চরিত্রে টোবির কিংবদন্তিতুল্য সাফল্যের পরও, কেন থেমে গেল ওই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি? রিবুট করা স্পাইডারম্যানে কেন টোবির বদলে অন্য অভিনেতাদের নিয়ে আসা হলো? এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ও অনেককেই অবাক করে, তা হলো: স্পাইডারম্যান ৩ মুক্তির পর টোবি হারিয়ে গেলেন কেন? এরপর আর তাকে খুব বড় কোনো চরিত্রে দেখা গেল না কেন? একসময়ের এ-লিস্টার কেন আজ একটু একটু করে সকলের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন?
স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভাবনীয় সাফল্যের পরও কেন টোবি পরবর্তীতে আর কোনো ছবিতে অভিনয় করে সাফল্য পেলেন না, কেন আচমকা তিন পর্বের পর থেমে গেল তার স্পাইডারম্যান সিরিজটি, এবং কেনই বা সকল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছেড়ে ক্রমশ দূরে সরে গেলেন তিনি- এসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজা হবে আজকের এই লেখায়।
কাল হয়ে এসেছিল স্পাইডারম্যান ৩
স্পাইডারম্যান ৩ ছবিতে স্পাইডারম্যানের আউটফিটই কেবল কালো হয়নি, এটি কালো ছায়া নিয়ে এসেছিল টোবি ম্যাগুইয়ারের ভাগ্যেও। নিঃসন্দেহে স্পাইডারম্যান ২ ছিল ঐ ফ্র্যাঞ্চাইজির সেরা ছবি। এবং অনেকের মতে, সর্বকালের অন্যতম সেরা সুপারহিরো মুভিও। তাই ২০০৭ সালে স্পাইডারম্যান ৩ যখন মুক্তি পেল, আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল যে এর পক্ষে আগের পর্বকে অতিক্রম করা সহজ হবে না। কিন্তু স্পাইডারম্যান ৩ যে এতটা বাজেভাবে ব্যর্থ হবে, সেটি ছিল সকলের কল্পনারও বাইরে।
এমনকি ছবির পরিচালক স্যাম রেইমিও ২০১৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করেছিলেন যে, "তৃতীয় স্পাইডারম্যানটি করতে গিয়ে আমি পুরো জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেছিলাম। মানুষ এজন্য এখনও আমাকে ঘৃণা করে। এটি স্রেফ এমন একটি ছবি ছিল, যা ভালো হয়নি।" তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভালো তো করেইনি, বরং ছবিটি টোবির ক্যারিয়ারকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। প্রথম দুই কিস্তির পর যে টোবি আকাশে উড়ছিলেন, স্পাইডারম্যান ৩ এর ব্যর্থতার ফলে তাকে ধপ করে বাস্তবতার কঠিন জমিনে আছড়ে পড়তে হয়েছিল।
বাতিল হয়ে যায় স্পাইডারম্যান ৪
স্পাইডারম্যান ৩-ই কিন্তু ঐ ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বশেষ ছবি হওয়ার কথা ছিল না। একই পরিচালক-অভিনেতা জুটির হাত ধরেই অন্তত আরও একটি পর্ব আসার কথা ছিল। এবং রেইমি আশা করেছিলেন, চতুর্থ পর্বের মাধ্যমে তিনি আগের পর্বের সকল ভুল শুধরে নিতে পারবেন। কিন্তু শেষমেষ তা করে দেখাতে পারেননি তিনি। তাকে সনি কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চতুর্থ পর্বের চিত্রনাট্য প্রস্তুত করতে বলেছিল। কিন্তু ঐ সময়ের মধ্যে চিত্রনাট্য জমা দেয়া সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। এবং ঐ একই সময়ে সনি স্পাইডারম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে রিবুট করার প্রাথমিক পরিকল্পনাও করে ফেলেছিল। রেইমি ব্যর্থ হলে তারা সে-পথেই এগোয়, যার ফলাফল হলো ২০১২ সালে অ্যান্ড্রু গ্যারফিল্ডকে নিয়ে দ্য অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান।
বিষয়টি হতাশাজনকই বটে, কিন্তু রেইমির ভাষ্যমতে এটিই ছিল একমাত্র বিকল্প।
"আমি স্পাইডারম্যান ৩ নিয়ে খুবই হতাশ ছিলাম, এবং চেয়েছিলাম স্পাইডারম্যান ৪ খুব ভালোভাবে শেষ করতে। কিন্তু আমি চিত্রনাট্য সময়ের মধ্যে সাজিয়ে উঠতে পারিনি। এটি ছিল আমার নিজেরই ব্যর্থতা। তাই আমি সনিকে বলেছিলাম, 'খুব ভালো না হলে সেই ছবি আমি আর বানাব না।' তাই আমার মনে হয় এই ছবি আর না করাই ভালো। রিবুটের পরিকল্পনাই বরং বাস্তবায়িত হোক।"
এবং সেই রিবুটেড স্পাইডারম্যানে টোবির না থাকাটাও ছিল স্বাভাবিক, কেননা ততদিনে ৩৫ পার হয়ে গিয়েছেন তিনি।
তাছাড়া এখানে পারিশ্রমিকও একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। টোবি স্পাইডারম্যানের প্রথম পর্বের জন্যই পকেটে পুরেছিলেন ৪ মিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় পর্বের জন্য তিনি ১৭ মিলিয়ন ডলার ছাড়াও পেয়েছিলেন বক্স অফিস আয়ের ৫%। তৃতীয় পর্বে তিনি নগদ ১৫ মিলিয়ন নিলেও, বক্স অফিস আয় থেকে তার প্রাপ্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭.৫%। সেখানে অ্যান্ড্রু গ্যারফিল্ড দ্য অ্যামেজিং স্পাইডারম্যানের জন্য কত নিয়েছিলেন, জানেন? মাত্র আধ মিলিয়ন ডলার! আগে তিনটি স্পাইডারম্যান করে প্রায় ৫০ মিলিয়নের কাছাকাছি আয় করা টোবি যে তার ১০০ ভাগের এক ভাগ পারিশ্রমিকে নতুন স্পাইডারম্যান করবেন না, তা তো আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না!
বালকসুলভ চার্ম আর কাজ করছিল না
টোবির চেহারা অনেকটাই বালকসুলভ, আর কন্ঠস্বরও যাকে বলে গড়পড়তা 'পুরুষালি'র চেয়ে মোলায়েম, যা দ্য সিডার হাউজ রুলস কিংবা স্পাইডারম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজির পিটার পার্কার চরিত্রের ক্ষেত্রে বেশ ভালোই মানিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে টোবি আরও পরিণত কাহিনীর ছবিতে অভিনয়ে মনোযোগী হন। কিন্তু তার চেহারা ও কন্ঠস্বর সেই আগের মতোই রয়ে গিয়েছিল, যার ফলে দর্শক পরিণত চরিত্রগুলোতে তাকে মেনে নিতে পারছিল না।
২০১৩ সালের দ্য গ্রেট গ্যাটসবির কথাই ধরা যাক। সেখানে টোবির চরিত্রটিকে নিছকই দ্য সিডার হাউজ রুলসে করা তার চরিত্রটির খানিকটা বয়স্ক সংস্করণ বলে মনে হচ্ছিল। অথচ টোবির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও দ্য গ্রেট গ্যাটসবি সহ-অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর কথা চিন্তা করুন। রোমিও+জুলিয়েট বা টাইটানিক ছবিতে তার চেহারা যেমন বালকসুলভ ছিল, পরবর্তী সময়ে কিন্তু তিনি সেই চেহারা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন, যে-কারণে এখন অনেক রুক্ষ চরিত্রেও তিনি দারুণভাবে মানিয়ে যান।
প্রযোজনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন টোবি
সম্ভবত টোবি নিজেও বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন যে অভিনয়ে আর সুবিধা করতে পারবেন না তিনি। সে-কারণে ২০১৪ সালের পর থেকে তিনি আর কোনো ছবিতে অভিনয় করেননি। এই মুহূর্তে তার আসন্ন কোনো ছবিও নেই। কেবল ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য বস বেবি'তে কাহিনীর ন্যারেটর তথা বয়স্ক টিমের চরিত্রে কন্ঠ দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু তাই বলে টোবি যে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে একেবারেই দূরে সরে আছেন, তা নয়। শেষ কয়েক বছরে ক্যামেরার সামনে না থাকলেও, ক্যামেরার পেছনে নিয়মিতই থেকেছেন তিনি। তার নিজের প্রযোজনা সংস্থা ম্যাটেরিয়াল পিকচার্সের জন্য প্রযোজনা করেছেন ছবি।
প্রযোজক হিসেবেও টোবি খুব একটা সফল হননি এখনও। তার অন্তত দুটি হাই-প্রোফাইল প্রজেক্ট মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। টোকিও সাকারপাঞ্চ অবলম্বনে ছবি বানাতে চেয়েছিলেন তিনি, যেটির সাথে অ্যান হ্যাথাওয়ে এবং সি-বিস্কিটের পরিচালক গ্যারি রসের সম্পৃক্ততার কথা জানা গিয়েছিল। এছাড়া কমিক বুক আফটারবার্ন অবলম্বনেও ছবি বানানোর পরিকল্পনা ছিল তার, যেটি একপর্যায়ে আগ্রহ জাগিয়েছিল জেরার্ড বাটলার এবং পরিচালক অ্যান্টোইনি ফিউকার মনে। কিন্তু একটি প্রজেক্টও শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
টোবি প্রযোজিত যে ছবিগুলো মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো একদমই ব্যবসায়িফ সাফল্য পায়নি। ৭৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটের রক অব এজেস আয় করেছিল ৩৮.৫ মিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পন স্যাক্রিফাইস তো আয় করেছিল মাত্র ২.৪ মিলিয়ন ডলার। আর পরের বছর থ্রিলার ছবি দ্য ফিফথ ওয়েভ আয় করেছিল ৩৩.১ মিলিয়ন ডলার।
জুয়ার প্রতি ঝোঁকের বিষয়টি গণমাধ্যমে এসে ইমেজ নষ্ট করেছে টোবির
জুয়ার প্রতি টোবির মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি হলিউডে সর্বজনবিদিত। ২০১১ সালে একটি অবৈধ পোকার ক্লাবের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সম্পৃক্ততার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল ম্যাট ড্যামন, বেন অ্যাফ্লেক ও ডিক্যাপ্রিওর নামেও। এরপর যখন জানা যায়, রিংলিডার ব্র্যাডলি রুডারম্যানের সাথে পোকার খেলার জন্য তার বড় অংকের অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছিল, তখন টোবির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়। ২০১২ সালে অবশ্য সেই মামলার মীমাংসা হয়। এর দু'বছর পর আবার মলি ব্লুম নামে এক নারী, যিনি অসংখ্য হাই প্রোফাইল পোকার গেমের আয়োজন করেছেন, একটি আত্মকথা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি টোবির বাজে আচরণের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কথা উল্লেখ করেন। ফলে পুরোপুরি ধ্বস নামে টোবির জনপ্রিয়তায়।
সহ-অভিনেতাদের সাথে সদ্ভাব ছিল না
বাজে আচরণের কথা যখন এসেই গেল, তখন সহ-অভিনেতাদের সাথে টোবির আচরণের ব্যাপারেও একটু আলোকপাত করা দরকার। দ্য সিডার হাউজ রুলস ছবিতে অভিনয়ের সময় তিনি চার্লিজ থেরনের সাথে এতটাই বাজে আচরণ করতে শুরু করেছিলেন যে, স্বয়ং ফিল্ম স্টুডিও মিরাম্যাক্সকে এগিয়ে আসতে হয়েছিল তাকে ঠাণ্ডা করতে। থেরনের ভাষ্যমতে, একেকদিন একেক কারণে 'মুড অফ' থাকত টোবির, আর সেই রাগ তিনি মেটাতেন সহ-অভিনেতাদের উপর। বলা যায়, সেটের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব হিসেবে এমন আচরণকে নিজের অধিকার বলেই মনে করতেন তিনি।
টোবির বিবাদ ছিল স্পাইডারম্যান ও স্পাইডারম্যান ২ ছবিতে হ্যারি অসবর্ন চরিত্রে অভিনয় করা জেমস ফ্রাংকোর সাথেও। আর এই বিবাদের মূল কারণ হলো মেরি জেন তথা কারস্টেন ডান্সট। পর্দার মতো পর্দার বাইরেও গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল টোবি ও কারস্টেনের মধ্যে। কিন্তু কারস্টেনকে পছন্দ করতেন জেমসও। ফলে জেমসকে সহ্য করতে পারতেন না টোবি। ছবির সেটে দীর্ঘদিন দুজনের কথা বলা বন্ধ ছিল।
শেষ কথা
মূল কারণ যেটিই হোক, এটি এখন একপ্রকার নিশ্চিত যে রূপালী জগতের খ্যাতি ক্রমশই বিলীন হয়ে যাচ্ছে টোবির জীবন থেকে। স্পাইডারম্যান হিসেবে তিনি হয়তো আজীবন দর্শকদের মনের মণিকোঠায় অবস্থান করবেন, কিন্তু আলাদা করে ব্যক্তি তাকে অদূর ভবিষ্যতেই ভুলে যাবে মানুষ। আর এর জন্য টোবি নিজেই দায়ী। এমন অনেক অভিনেতাই আছেন, যারা নির্দিষ্ট একটি চরিত্রে দারুণ সুখ্যাতি অর্জন করলেও, পরে আর কোনো ছবিতে সুবিধা করতে পারেননি। টোবির ক্ষেত্রেও কেবল সেটি হলে মেনে নেয়া যেত। কিন্তু পর্দার বাইরে তার ছন্নছাড়া জীবন, জুয়ার প্রতি আসক্তি, মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার প্রভৃতি তাকে অনেকের চোখেই সুপারহিরো থেকে সুপারভিলেনে পরিণত করেছে।
একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল, চলচ্চিত্রে আর সাফল্য না পেলেও টোবি হয়তো পারিবারিক জীবনে সুখী থাকবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও হয়নি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে তার বিচ্ছেদ ঘটে দশ বছর সংসার করা জেনিফার মেয়ারের সাথে, এবং যেদিন এ খবর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সামনে ঘোষণা করেন, তার পরদিন থেকেই আবার টোবিকে রাত-বিরাতে উদ্দাম পার্টি করতে দেখা যায় বন্ধু ডিক্যাপ্রিওর সাথে। এরপর তিনি জাস্টিন বিবারের প্রাক্তন প্রেমিকা সোফিয়া রিচির সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু সোফিয়া পাত্তা দেননি তাকে।
স্পাইডার ম্যান নিয়ে আরও জানতে পড়ুন এই বইটি
১) Marvel: The Amazing Spider-Man An Origin Story
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/
This Bangla article is about Tobey Maguire, and how he has gradually lost all the charm as an actor. Necessary references have been hyperlinked.
Featured Image © Getty Images