প্যারিস- নামটা শুনলেই সবার মনে আগে আইফেল টাওয়ারের ছবিই ভেসে ওঠে। কিন্তু প্যারিসের পরিচয়টা আসলে তারচেয়েও অনেক বড়। মোনালিসার শহর- প্যারিস, ভালোবাসার শহর- প্যারিস,আলোর শহর- প্যারিস, জাদুঘরের শহর-প্যারিস। তবে আজকের লেখা এসবের কোনোটি নিয়েই নয়। এখানে কথা হবে প্যারিসের অন্যতম পুরনো ইন্ডাস্ট্রি, অর্থাৎ- ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে।
‘ফ্যাশন’ বললে এখন সেলেব্রিটিদের ঝা চকচকে পোশাকের কথাই আগে মনে পড়ে। বিশাল গাউন কিংবা বো-টাই ও টাক্স, ইনস্টাগ্রামে গেলে চোখে এগুলোই আগে পড়ে। ডিওরের ব্যাগ কিংবা শ্যানেলের পারফিউম- কোনোটাই বাদ যায় না। কথা হচ্ছে, এগুলোর সাথে প্যারিসের সম্পর্ক কী? সে কথা জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে সেই ১৭ শতাব্দীতে।
ফ্যাশনেবল রাজা লুইস
ফ্রান্সের রাজা চৌদ্দতম লুইস ছিলেন ফ্রান্সের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন শাসক। সে সময়ে ফ্যাশনের রাজধানী ছিল মাদ্রিদ। ফ্রান্সের অভিজাত শ্রেণি মাদ্রিদের ফ্যাশনের ধাঁচকেই গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রাজা লুইস লেগে পড়লেন নিজের দেশকে ফ্যাশনের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে। তিনি নতুন ট্রেন্ড তৈরি করলেন, বিলাসিতা। অভিজাত ও জমকালো, দুয়ের মিশেলে গড়ে উঠল তার ফ্যাশন ট্রেন্ড। তার আমলে ফ্রান্সে টেক্সটাইল, পোশাক, গহনা, আসবাবপত্রের ইন্ডাস্ট্রি গড়ে ওঠে। এতে শুধু যে প্রজাদের চাকরি নিশ্চিত হয়েছিল, তা নয়; অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। যেসব পণ্য ফ্রান্সে তৈরি হতো, সেসব পণ্য অন্য দেশ থেকে আনা মানা ছিল। এমন শোনা যায়, রাজা লুইস তার ছেলেকে নিজের কোট পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন, কারণ তা বিদেশি কাপড়ের তৈরি ছিল।
তবে তিনি শুধু এসবেই থেমে থাকেননি। তার সভার সদস্যদের জন্য তিনি নির্দিষ্ট পোশাক-রীতি দিয়েছিলেন। এবং সবাই বাধ্য ছিল তা মেনে চলতে। তিনি মনে করতেন, বিলাসিতা শুধু দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং রাজতন্ত্রের সম্মান ও টিকে থাকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তার অর্থমন্ত্রী জ্যঁ ব্যাপ্তিস্ত কোলবার্ত চালু করেছিলেন ঋতুভিত্তিক বাজারে নতুন পোশাক আসার নীতি। এতে করে সাধারণ মানুষ আরও বেশি পরিমাণে পোশাক কেনাকাটা শুরু করে। ধীরে ধীরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।
জ্যঁ ব্যাপ্তিস্ত কোলবার্ত বলেছিলেন, "স্পেনের জন্য পেরু যেমন, ফ্রান্সের জন্য ফ্যাশন তেমন"। অর্থাৎ, লাভজনক দেশীয় ও রপ্তানি পণ্যের উৎস। ৭২ বছরের শাসনে এভাবে ফরাসি ফ্যাশনকে বদলে দিয়েছিলেন রাজা লুইস।
রানী ম্যারির ফ্যাশন চর্চা
ফ্রান্সের রানী ম্যারি অ্যান্তনিয়েত ফ্রান্সের রাজপরিবারের জাঁকজমক ও জৌলুসের দিকটাই সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করেছিলেন। ফ্রান্সের ফ্যাশন ও সাজসজ্জায় তিনি নিজের ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এতটাই খরচ করতেন যে একসময় এই বেহিসেবিপনা নিয়ে আসে তার পতন।
বহুল প্রচলিত ‘অউট ক্যুটিওর’ পোশাকের ধারা এসেছিল রানী ম্যারির হাত ধরেই। তার পোশাকগুলোর নকশা করতেন তার ফ্যাশনমন্ত্রী রোজ বার্টিন। প্রতিবার তার জনসম্মুখে আসা নিয়ে সবাই অধীর আগ্রহে থাকত; একটাই কারণ- তার পোশাক। রানী ম্যারির প্রতিটি পোশাকে থাকতো জমকালো কাপড় ও কারুকাযের ব্যবহার। মেয়েদের মাঝে সামনের চুল উঁচু করে পাফ করা বেশ জনপ্রিয় একটি হেয়ারস্টাইল। এর শুরুও হয়েছিল তার হাত ধরেই। বলা হয়, ইতিহাসে প্রথম রানী ম্যারির ও রোজ বার্টিনের হাত ধরে ফ্যাশন ও পোশাক কাপড়ের ব্যবসা থেকে শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
ইনক্রয়েবল্স ও মারভেইলুসেস
১৭৯০ সালের দিকে ফরাসি বিপ্লবের পর এ ফ্যাশন ট্রেন্ডের উদ্ভব ঘটে কিছু বিদ্রোহী প্যারিসীয় তরুণ-তরুণীর হাত ধরে। এ স্টাইল ছিল অনেকটাই ব্রিটেন ও গ্রিসের আদলে, কিন্তু অনেক হালকা ধাঁচের, কমিক ধরনের। ছেলেদের বলা হতো ইনক্রয়েবল্স ও মেয়েদের বলা হত মারভেইলুসেস।
ছেলেরা ব্রিটিশদের স্যুটের মতোই পরতো, কিন্তু ভিন্নভাবে। তারা অতি ছোট ভেস্টের সাথে স্কিনটাইট প্যান্ট পরত, কোট পরত সামনে ছোট কিন্তু পেছনে লম্বা রেখে, মাথায় জলদস্যুদের ন্যায় টুপি আর হাতে দুটো ঘড়ি। অন্যদিকে মেয়েরা বেছে নিয়েছিল গ্রিকদের হালকা রঙের গাউনের স্টাইল। তারা বিশাল ঝুল ও অনেক বেশি স্বচ্ছ কাপড়ের গাউন পরত।
অউট ক্যুটিওর ফিরে এল
রানী ম্যারির হাত ধরে শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে এ পোশাকের ধারা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ১৯ শতকের শেষের দিকে প্যারিসে আবার ফিরে আসে অউট ক্যুটিওর। আর এবার আসে একজন ইংরেজ ভদ্রলোকের হাত ধরে। তিনি প্যারিসে প্রথম নিজস্ব ফ্যাশন হাউস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চার্লস ফ্রেড্রিক ওর্থকে তাই প্রথম নকশাকারী বা 'The first Couturier' বলা হয়। তিনি নিজের নামে দ্য হাউস অভ ওর্থ প্রতিষ্ঠা করেন। এমন সময়ে তিনি ফ্রান্সে এসেছিলেন, যখন তৃতীয় নেপোলিয়ন সিংহাসনে বসেছেন রাজা হিসেবে। তিনি প্যারিসকে ইউরোপের অন্যতম শহর হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তাই উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিলেন সবক্ষেত্রেই। সে ধারাতেই চার্লসের আগমন।
চার্লসের তৈরী পোশাকে সবসময় মূল্যবান কাপড় ও ফিট হিসেবে বানান হতো। ঐতিহাসিক ছাপ পাওয়া যায় তার বানানো পোশাকে। এসব পোশাকে সবসময় তার ফাশন হাউসের নাম, অর্থাৎ লেবেল লাগানো থাকত। তার মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে বাবার কিংবদন্তিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
প্যারিসে ফ্যাশন শো'র ধারা এসেছিল চার্লস ফ্রেড্রিক ওর্থের হাত ধরেই। তিনি নিজের নকশা করা পোশাকগুলো মডেলদের পরিয়ে প্রদর্শনী করতেন। আর এভাবেই ফ্যাশন রানওয়ের ট্রেন্ড গড়ে ওঠে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে প্যারিসের ফ্যাশনে রাজত্ব ছিল পল পোয়ারো'র। তিনি আগে কাজ করতেন দ্য হাউস অভ ওর্থে, পরে নিজেই পোশাক নকশা করা শুরু করেন। মেয়েদের পোশাকে কর্সেটের ব্যবহার বন্ধ করেন তিনি। এবং হোবল স্কার্টের প্রচলন শুরু হয় তার হাত ধরে। পলের নকশায় পাওয়া যেত নিওক্লাসিকাল ও ওরিয়েন্টাল স্টাইলের ছাপ। তার নকশা করা গাউন, হারেম প্যান্ট ইত্যাদি সবকিছুতেই ছিল উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার। শুধু তা-ই নয়, পোশাকগুলো হতো জমকালো। তবে ১৯২০ এর দিকে ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে পোয়ারোর স্টাইল।
ভোগ ও কোকো শ্যানেলের সময়
১৯২০ সালে প্যারিসে প্রথমবারের মতো ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ প্রকাশিত হয়। এডমন্ডে চার্লস রু'কে নিয়োগ দেওয়া হয় এর সম্পাদক হিসেবে। ১৫ জুন, ১৯২০ সালে প্রকাশিত হয় ভোগের প্যারিস সংস্করণ।
২০ শতকের শুরুতে প্যারিসের ফ্যাশন জগতে আরেক বিপ্লব নিয়ে আসেন কোকো শ্যানেল। ১৯২৫ সালে শ্যানেল তার প্রথম নকশার সংগ্রহ প্রকাশ করে। তার সাধারণ কিন্তু অভিজাত ডিজাইন শুরু থেকেই মানুষের মনে ধরে। শ্যানেলের ডিজাইনের সবচেয়ে বিখ্যাত পোশাক হচ্ছে লিটল ব্ল্যাক ড্রেস। কালো শোকের রং দেখে পোশাকের রঙ হিসেবে একে সবাই এড়িয়েই চলত। সেখান থেকে শ্যানেল কালো রঙ ব্যবহার করে যেকোনো সময়ে পরার উপযোগী পোশাক তৈরি করেন। তার এ স্টাইল এখনও প্রচলিত আছে নারীদের মাঝে। শুধু পোশাকেই থেমে থাকেননি তিনি। প্যারিসে প্রথমবারের মতো ব্র্যান্ডেড পারফিউম নিয়ে আসেন শ্যানেল। নাম দেন ‘শ্যানেল নাম্বার ৫’।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্যারিসের ফ্যাশন
বিশ্বযুদ্ধের সময় স্বাভাবিকভাবেই অন্য সবকিছুর ন্যায় ফ্যাশন জগতও থমকে গিয়েছিল। অনেক ডিজাইনার দেশত্যাগ করেন। যুদ্ধের পরও কয়েক বছর মানুষ ভয়ঙ্কর এ যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। প্যারিস জার্মানদের কবলে যাওয়ার কারণে অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। আর যে ক'টি ব্যবসা টিকে ছিল, তারা যুদ্ধের পর পণ্য ঘাটতিতে ভুগেছে। সবমিলিয়ে কোনো ধরনের ব্যবসার জন্যই সময়টা ভালো ছিল না, এমনকি ফ্যাশনেরও।
ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের ‘নিউ লুক’
১৯৪৭ এ ক্রিশ্চিয়ান ডিওর প্যারিসের ফ্যাশন জগতে আবার সাড়া ফেলে দেয় তাদের ‘নিউ লুক‘ উন্মোচনের মাধ্যমে। তাদের ১৯৪৭ বসন্ত বা গ্রীষ্ম কালেকশন মূলত ‘করেল’ ও ‘হুইট’ নামে বাজারে আসে। কিন্তু হারপার’স বাজারের সম্পাদক কারমেল স্নো এর নাম দেন 'নিউ লুক'। পরে এ নামেই পরিচিত হয়ে উঠে ডিওরের এই সংগ্রহ। যুদ্ধ পরবর্তী প্যারিসের ফ্যাশন জগতে নতুন ট্রেন্ড নিয়ে আসে ডিওরের বারস্যুট। এ পোশাকে ডিওর ১৯৩০ সালের 'নারীত্ব'কে আবার ফিরিয়ে আনেন- নতুন নকশায়।
রেডি-টু-ওয়্যার ফ্যাশন
ষাটেরর দশকের আগপর্যন্ত প্যারিসে সবাই নির্দিষ্ট আদর্শ মেনে পোশাক পরত। খুব বেশি বৈচিত্র্য পাওয়া যেত না। এ অবস্থার বদল ঘটান ইভস সেইন্ট লরেন্ট। পূর্বে ডিওরের অধীনে কাজ করা এ ডিজাইনার ১৯৬৬ তে নিজের নামে (YSL) ফ্যাশন হাউস প্রতিষ্ঠা করেন। তার আগে সবাই পোশাকের নকশা লিঙ্গভেদে করত। তিনিই প্রথম এ ধারার বাইরে গিয়ে মেয়েদের জন্য টাক্সেডো ডিজাইন করেছিলেন। তার নকশাকৃত এ পোশাক ‘লা স্মোকিং’ নামে বিখ্যাত।
১৯৬৬ সালে তিনি রেডি-টু-ওয়্যার সংগ্রহের উদ্বোধন করেন 'সেইন্ট লরেন্ট' লেবেলে। তার এ সংগ্রহ সাথে সাথে সাড়া ফেলে দেয় ফ্যাশন জগতে। শুধু তা-ই নয়, পোশাক সবার জন্য হয়ে ওঠে সুলভ। প্যারিসীয় স্টাইল আইকনরা সবাই বেছে নেন তার এ নকশার পোশাক। এবং খুব দ্রুতই এ পোশাকের তৈরি বেড়ে যায়। প্যারিসে নানা সময়ে নানা ডিজাইনাররা ভিন্ন ভিন্ন ধারার প্রচলন করলেও ইভস সম্পূর্ণই নতুন ধারা নিয়ে আসেন। তিনিই প্রথম জীবিত ডিজাইনার, যিনি নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউসিয়াম অভ আর্টে একক প্রদর্শনী করেন, ১৯৮৩ সালে। গুণী এ ডিজাইনার ২০০২ সালে তার শেষ প্রদর্শনী করেন।
প্যারিস ফ্যাশন উইক
প্যারিসের ফ্যাশন জগত নিয়ে অনেক কথাই লেখা হলো। কিন্তু প্যারিস ফ্যাশন উইক নিয়ে না লিখলে এ লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। বিশ্বের চারটি প্রধান ও বিখ্যাত ফ্যাশন উইক আয়োজন করা হয় ফ্যাশনের চার রাজধানী- নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, মিলান ও লন্ডনে। এর মাঝে ফ্যাশন মাসের সবচেয়ে শেষে অনুষ্ঠিত হয় প্যারিস ফ্যাশন উইক, যার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনার ও ফ্যাশনপ্রেমীরা।
১৯৪৫ সালে চেম্বার সিন্ডিকাল দে লা অউট ক্যুটিওর নির্দেশ দেন, প্রতিটি ফ্যাশন হাউসকে ঋতুভেদে ৩৫টি রাত ও দিনের পোশাকের প্রদর্শন করতে হবে। তবে অফিশিয়াল প্যারিস ফ্যাশন উইকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। সে বছর আমেরিকা ও ফ্রান্সের পাঁচজন করে ডিজাইনারের মাঝে প্রতিযোগিতা হয়, যদিও ফরাসিরা হেরে গিয়েছিল তাতে। কিন্তু এরকম ফ্যাশন প্রদর্শনীর আয়োজনের ধারা শুরু হয়ে যায়। এবং প্রতি বছরই সবাই অপেক্ষায় থাকে, এবার নতুন কী আসবে প্যারিস ফ্যাশন উইকে। এর আয়োজকেরাও তাই প্রতি বছরই চেষ্টায় থাকেন নতুন কিছু করার। রানওয়ের ব্যাকগ্রাউন্ডে কখনো সুপারমার্কেট, কখনো মেট্রো রেল স্টেশন ইত্যাদির সেট তৈরি করা হয়। হোক সেটা শ্যানেল, ডিওর, লুইস ভিটন কিংবা গিভেঞ্চি– প্যারিস ফ্যাশন উইককে আকর্ষণীয়, নাটকীয় ও বৈচিত্র্যময় করতে চেষ্টার কমতি কেউ রাখে না।
এসময়ের প্যারিস ফ্যাশন জগত
প্যারিসে প্রায় সব বড় বড় ফ্যাশন হাউসের শাখা রয়েছে। এছাড়া পোশাকের পাশাপাশি অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যাগ, জুতো, সুগন্ধি কিংবা মেকআপ- সবকিছুরই স্থান হয়েছে প্যারিসে। ল’রিয়েলের প্রধান শাখা প্যারিসে। ফ্যাশন জগতে প্রতিযোগিতা বাড়লেও প্যারিসের আবেদন বা প্যারিসের ডিজাইনারদের দাপট, কোনোটিই কমেছে বলে মনে হয় না। অউট ক্যুটিওরের উৎসস্থল হিসেবে প্যারিসকে এখনো সম্মান দেখানো হয়। শ্যানেল কিংবা সেইন্ট লরেন্ট হয়তোবা বেঁচে নেই, কিন্তু তাদের উত্তরসূরীরা এখনও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ, তাদের সৃষ্টিকে।
তাই আপনি প্যারিসকে যে শহর হিসেবেই চেনেন, আজ জেনে রাখুন, ছবির মতো সুন্দর এ শহরটি ফ্যাশনের জগতেও অনন্য ও অনবদ্য।
This article is in Bangla. It is about the fashion world of Paris.
References:
1) https://www.whatparis.com/paris-fashion
2) https://www.marieclaire.co.uk/fashion/a-brief-history-of-french-fashion-34032
3) https://www.marieclaire.co.uk/fashion/a-brief-history-of-french-fashion-34032
Featured Image: Harper's Bazaar Arabia