Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাত: পাথুরে ক্যানভাসে হাজার যুগান্তরে অঙ্কিত অপরূপ চিত্রকর্ম

আজ থেকে কোটি বছর আগের পৃথিবীটা এমন ছিল না। এখন যেখানে বিশাল উঁচু পর্বতশৃঙ্গ গৌরবের সাথে পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে, হয়তো সেখানে তখন বয়ে চলছিলো খরস্রোতা নদী। কিংবা এখন যেখানে বিশাল জলাধারে কোটি কোটি প্রজাতির প্রাণী সাঁতরে বেড়াছে, সেখানে তখন বিস্তৃত ছিল শুষ্ক মরুভূমি। তেমনি অ্যারিজোনার বুকে কলোরাডো নদীর দুই পাড় ঘিরে প্রায় ৪৪৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত আছে এক গিরিখাত, যা গড়ে উঠেছে কোটি কোটি বছরের ভাঙা গড়ার মাধ্যমে। শত শত বছর ধরে স্থানীয় আমেরিকানদের বাসস্থান হলেও ইউরোপীয় অভিযাত্রিকদের নিকট ষোড়শ শতাব্দীতে এই গিরিখাত, যার নাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যখন দৃষ্টিগোচর হয়, তখন থেকে এটি প্রকৃতির অন্যতম আশ্চর্যে পরিণত হয়ে যায়। 

বছরের পর বছর ধরে দেশ-বিদেশ ঘুরে আসা উৎসুক পর্যটকদের চোখের ক্ষুধা মেটানো এই গিরিখাত একসময় ঝড় তুলেছিল গবেষকদের চায়ের কাপে। মাত্র ১০০ মিটার দীর্ঘ নদীর প্রবাহে ঠিক কীভাবে এই ভৌগোলিক নিদর্শন সৃষ্টি হলো? এই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে ইতিহাসের সেরা কৌতূহলীদের। কিন্তু এর উত্তর খুঁজতে আমাদের বেশিদূর যেতে হবে না। বিশাল গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের প্রতিটি স্তরে থাকা পাথরগুলো আমাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। কোটি বছরের সুপ্ত গল্পগাঁথা নিজের বুকে ধারণ করে এই গিরিখাত যেন সেই কৌতূহলীদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে যুগের পর যুগ।

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন কী?

অ্যারিজোনার উত্তর-পশ্চিম দিকে নেভাদা রাজ্যের সীমানা ঘেঁষে কলোরাডো নদীর দুই ধারে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর অন্যতম গিরিখাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। এটি প্রায় ৪৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং প্রায় ২৯ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই গিরিখাতের গভীরতা গড়ে এক মাইল (১.৮ কিলোমিটার) এর কাছাকাছি। ভূতাত্ত্বিকদের মতে লক্ষ কোটি বছর ধরে কলোরাডো নদীর প্রবাহের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই গিরিখাত। গিরিখাতের অবস্থানের জন্য অ্যারিজোনাকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন স্টেট নামে ডাকা হয়।

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে বয়ে চলা কলোরাডো; Photograph: Amineah

আকার, আয়তনের হিসেবে এই গিরিখাতটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম হলেও প্রতিবছর প্রায় ৬২ লাখ পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকা গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত গিরিখাত।

গিরিখাতের টুকিটাকি

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাত অঞ্চলটি একটি জাতীয় উদ্যান বা পার্কে পরিণত করা হয়েছে। গিরিখাতের আবহাওয়া কিছুটা শুষ্ক। পার্কের শুষ্ক পরিবেশে প্রায় ৩৫৫ প্রজাতির পাখি, ৮৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৪৭ প্রজাতির সরীসৃপ, ৯ প্রজাতির উভচর এবং ১৭ প্রজাতির মাছের নিবাস। গিরিখাতের সমতলে কিছুটা মরু পরিবেশ থাকলেও উঁচু স্থানগুলোতে ছোট থেকে মাঝারি আকারের বনাঞ্চল দেখা যায়। এই বনাঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দুই অঞ্চলে বিভক্ত- উত্তর এবং দক্ষিণ রিম। দর্শনার্থীদের জন্য সারাবছর খোলা থাকে দক্ষিণ রিম। গিরিখাত অঞ্চলের এই রিমে একটি বিমানবন্দর এবং রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে। অ্যারিজোনার অন্যান্য শহর, লাস ভেগাস, নেভ ইত্যাদি অঞ্চলের সন্নিকটে থাকা দক্ষিণ রিমে প্রায় ৯০% দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

মানচিত্রে গিরিখাতের বিভিন্ন অঞ্চল; Image Source: National Park Service

কিছুটা দুর্গম হলেও অভিযানপ্রেমীদের প্রথম পছন্দ উত্তর রিম। কারণ গিরিখাতের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলো এখান থেকেই দৃষ্টিগোচর হয়। দুই রিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। প্রতিবছর ভ্রমণপিপাসু হাইকাররা পায়ে হেঁটে গিরিখাতের দুর্গম অঞ্চলগুলো চষে বেড়ায়।

শ’খানেক প্রজাতির প্রাণীর আবাস এই গিরিখাত; Photograph: Michael Quinn

নদী-পাথরের যুদ্ধ

একসময় গিরিখাতের স্থলে সবুজ উচ্চভূমি বিরাজ করতো; Illustrate: B. Satalino

ভূতাত্ত্বিকদের ধারণা আজ যেখানে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে একসময় কোনো গিরিখাত ছিল না। এই ‘একসময়’ ঠিক কত আগের ঘটনা সেটি নিয়ে এখনও বিতর্ক চলে বিজ্ঞানীদের মজলিসে। অনেকে বলেন ৭ কোটি বছর আগে, অনেকের কাছে সময়কাল সাড়ে ৩ কোটি বছর। সেই সময় পৃথিবী যখন প্রতিনিয়ত নিজের রূপ বদলে ধীরে ধীরে আজকের সবুজ-শ্যামল ভূমিতে রূপান্তরিত হচ্ছিল, তখন এখানে বিদ্যমান ছিল বিস্তৃত সমতল ভূমি। এর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো কলোরাডো নদী, ঠিক যেমনটি দেখা যায় বর্তমান যুগে। একসময় ভূপৃষ্ঠ তার রূপ বদলাতে থাকে। নদীর চলার পথে সৃষ্টি হতে থাকে কাইবাব মালভূমি। এই মালভূমি সৃষ্টি হওয়ার ফলে নদী প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলো। উপায় না দেখে প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে কলোরাডো তার যাত্রাপথে পরিবর্তন আনলো।

কয়েক লক্ষ বছর ধরে মালভূমির শিলা ক্ষয় হতে থাকে; Photograph: Hance Rapid

এবার কলোরাডোর গতিপথ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। এক ভাগ প্রবাহিত হয়ে মেক্সিকো উপসাগরের বুকে মিশে গেলো। আরেক ভাগ আপন গতিতে মালভূমি অধ্যুষিত এলাকা রাজত্ব করতে থাকলো। নদীর যাত্রাপথ বদলের সাথে বেশ কিছু স্থানে হ্রদের জন্ম হলো। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বছর পূর্বে নদীর পূর্বাংশের পানি জমে সৃষ্টি হওয়া বিশাল হ্রদ, যার বর্তমান নাম বিদাহোচি। কলোরাডো নদী দিনের পর দিন তার স্রোতের মাধ্যমে মালভূমির পাথরে ক্ষয়সাধন করতে থাকে। নদীর পানি এবং এতে বিদ্যমান রাসায়নিক পদার্থের সাথে পাথরে নানান বিক্রিয়া সাধিত হয়ে এই ক্ষয়ে যেতে থাকে। কয়েক লক্ষ বছর ধরে চলতে থাকা ক্ষয়সাধনের ফলে মালভূমির নিচের পাথরগুলো দূর্বল হয়ে পড়ে। এবার কলোরাডোর স্রোত সেই পাথরের প্রতিরোধ থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠে। এর ফলে নদীর পানি মালভূমির পাথর ভেঙে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। কলোরাডো নদী পুনরায় এর পুরাতন যাত্রাপথে বয়ে চলা শাখার সাথে মিলিত হতে সক্ষম হয়।

গিরিখাতের বিভিন্ন স্তরের শিলা; Illustration: K Carlstorm

দুই শাখা একসাথে মিলে যাওয়ার পর কলোরাডোর বুকে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এমনকি বিদাহোচি হ্রদ থেকে বিপুল পরিমাণ পানি কলোরাডোর বুকে চলে আসে। তুলনামূলক প্রশস্ত এবং গভীর কলোরাডো মালভূমির পাথর ভেঙে ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকে এবং সেই ভগ্নস্তূপ থেকে ধীরে ধীরে কয়েক লক্ষ বছরের প্রক্রিয়া নির্মিত হয় এক অপরূপ গিরিখাত। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাত তৈরি হওয়ার সংক্ষিপ্ত গল্প এতটুকুই। এছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবর্তন, আবহাওয়া, ভৌগোলিক ঘটনা লক্ষ-কোটি বছর ধরে এই গিরিখাত গড়ে তুলতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। গিরিখাতের পাদদেশে থাকা সবচেয়ে পুরাতন শিলার নাম বিষ্ণু শিলা, যা প্রায় ১.৭ বিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছে। অপরদিকে সবচেয়ে নতুন শিলাগুলো পাওয়া যায় গিরিখাতের চূড়ায়, যেগুলোর বয়স প্রায় ২৭০ মিলিয়ন বছর।

মানুষ যেভাবে আবিষ্কার করলো গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

কলোরাডো আর কাইবাবের যুদ্ধ থেকে জন্ম নেওয়া এই সুবিশাল গিরিখাতে মানুষের আগমন ঘটে আজ থেকে ১২ হাজার বছর পূর্বে। তখন পৃথিবীতে বরফ যুগ শেষের দিকে প্রায়। গিরিখাতের দুর্গম এবং বিপদজনক পরিবেশে সেই মানুষদল ঘর বাঁধতে শুরু করে। তখন এই অঞ্চলে শাস্তা স্লথ নামক প্রাণী বিচরণ করতো। সেই প্রাণী শিকারের মাধ্যমে এরা জীবনধারণ করতো। গিরিখাতের পাদদেশে এরা সীমিত আকারে চাষাবাদও শুরু করে। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা ফসল কেটে পাহাড়ের বুকে আবিষ্কার করা গুহায় সরবরাহ করা শুরু করে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে সেই বরফ যুগ থেকে বসতি গড়ে তোলা আদিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুয়েবলো, পাইউতে, নাভাহো, জুনি এবং হপি। তবে বর্তমানে সেখানে বসবাস করা হাভাসুপাই সম্প্রদায়ের মানুষ এই গিরিখাতকে তাদের পূর্বপুরুষের ভিটে বলে দাবি করে। এরা প্রায় ৮০০ বছর ধরে এখানে বাস করে আসছে। হাভাসুপাইদের গ্রামকে সুপাই গ্রাম হিসেবে চিনে সবাই। সুপাই গ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। এখানে একবিংশ শতাব্দীর তথ্য প্রযুক্তির যুগেও নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। এখনও খচ্চরে চড়ে স্থানীয়রা ডাক বিলির মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে।

গিরিখাতকে নিজের পূর্বপুরুষের ভিটে দাবি করে হাভাসুপাইরা; Image Source: Hualipai Nation

স্থানীয় আমেরিকানদের বাইরে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই গিরিখাত আবিষ্কার করেন স্প্যানিশ অভিযাত্রিক গার্সিয়া লোপেজ ডি কাদ্রেনাস। ১৫৪০ সালে তিনি প্রথম শ্বেতাঙ্গ হিসেবে এই গিরিখাত আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারের প্রায় ৩০০ বছর পর ১৮৮০ সালে কপার খনির সন্ধানে এসে একদল খনি শ্রমিক এই অঞ্চলে বসতি গড়ে তোলে। কিন্তু এই গিরিখাতের মতো দুর্লভ প্রাকৃতিক নিদর্শন যেন ধ্বংস না হয়ে যায়, এজন্য ১৮৯৩ সালে সরকারি তত্ত্বাবধানে এখানকার বনজ সম্পদ সংরক্ষণ শুরু হয়। ১৯০১ সালের দিকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পর্যটনশিল্পে পরিণত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এটি সারাবিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হলে ১৯০৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট গিরিখাতটিকে সরকারের আওতাভুক্ত করেন। ১৯১৯ সালে আরেক রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন একে জাতীয় পার্কে পরিণত করেন।

গিরিখাতে খচ্চরই প্রধান বাহন; Photograph: Gordon Smith

মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

গিরিখাতের অপরূপ মোহনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা ছাড়াও ১১টি স্থানীয় গ্রাম, বেশ কিছু জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল, প্রায় ৪,৪৫৯টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ৮টি ঐতিহাসিক স্থান, কলোরাডোর বুকে নৌকা চালনা, গিরিখাতের চূড়ায় নির্মিত স্কাইওয়াক ইত্যাদির টানে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগমে মুখর এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। পর্যটনশিল্প থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি ডলারের রাজস্ব আদায় করছে সরকার। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এভাবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দেশটির প্রাকৃতিক এবং অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কিন্তু উজ্জ্বল বর্তমান মলিন হয়ে উঠে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায়। আর এই আশঙ্কার কারণ কলোরাডো নদী দূষণ।

কলোরাডো থেকে পানি উত্তোলন পাম্পের অবস্থান; Illustration: B Satalino

কলোরাডো নদী যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭টি রাজ্যসহ মেক্সিকোর কয়েক লক্ষ মানুষের পানি সরবরাহের প্রধান উৎস। উষ্ণ আবহাওয়া, তুষারপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া, কৃত্রিম বাঁধের মাধ্যমে পানি নিয়ন্ত্রণ ইতোমধ্যে নদীর পানি প্রবাহ ১৬% হ্রাস করেছে। এছাড়া পার্কে অবস্থানরত লক্ষাধিক পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এভাবে পানি প্রবাহ ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে পর্যটকদের জন্য পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে পার্ক কর্তৃপক্ষ। কোটি বছরের সংগ্রামী ইতিহাসে গড়ে উঠা গিরিখাত হয়তো নতুন রূপে আবির্ভূত হবে এসব কারণে, কিন্তু পানি সরবরাহ না থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে পর্যটনশিল্প।

৫০০ কোটি বছরের গল্প বলা দাদু এই গিরিখাত; Image Source: Wallpaper Cave

আমাদের পৃথিবীর বয়স প্রায় ৫০০ কোটির কাছাকাছি। এই দীর্ঘ সময়ের গল্পগুলো পৃথিবীর পাথরে লুকিয়ে আছে। সেই বিবেচনায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সুদীর্ঘ পাথরের স্তর সাক্ষাৎ ঠাকুরমা’র ঝুলি। পৃথিবী সৃষ্টিকাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত যে দীর্ঘ পথচলা, তা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করেছে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পাথরগুলো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাসের তথ্যভাণ্ডার, স্থানীয় মানুষদের নিবাসস্থল এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যুগের পর যুগ ধরে আগ্রহীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। এর অন্তর্নিহিত গল্পগুলো উন্মোচনে আজও গবেষণা চলছে। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আমরা জানতে পারবো আরো রোমাঞ্চকর গল্প, যা দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি নিয়ে আমাদের ধারণা বদলে যেতে পারে।

This is a Bangla article about Grand canyon. The canyon was formed through ages by the current of Colorado. This place is considered one of the most beautiful places in the world. 
References: All the references are hyperlinked.

Feature image: Stephen Moehle.

Related Articles