মানসিক স্বাস্থ্য: সুরক্ষা ও সচেতনতা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে আমাদের দেশে আঠার বছর ও তদুর্ধ্ব মানুষের মধ্যে ১৮.৭% কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছে। বিশেষ করে ষাট বছরের উপরে যারা তাদের মধ্যে এই হার সবথেকে বেশি, ২০.২%।
অবিশ্বাস ও আত্মগরিমা যখন রোগে পরিণত হয়! এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠনের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা একধরনের আত্মগরিমা প্রদর্শন করতে ভালোবাসেন এবং বাইরের কোনো সংগঠনের দ্বারা উদ্ভাবিত কৌশল, ধারণার প্রতি উপযুক্ত কারণ ছাড়াই নিজেদের ঘৃণা কিংবা অবজ্ঞা প্রকাশ করেন।
মানুষের চিন্তাধারায় নেতিবাচকতা ও অনভিপ্রেত ভোগান্তি মানুষের নেতিবাচক চিন্তা, যা মূলত কষ্ট বা অন্যের প্রতি ক্ষোভের কারণ, এর পেছনে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ামক কাজ করে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে ইনহেলারের ভূমিকা হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ। শ্বাসকষ্ট এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। হাঁপানির চিকিৎসায় সবথেকে কার্যকর পদ্ধতি হলো ইনহেলার। তবে নানা কারণে অনেকেই ইনহেলার নিতে ইতস্তত বোধ করেন। তবে হাঁপানির রোগীর শ্বাসকষ্ট উপশমে এবং রোগের প্রকোপ কমাতে ইনহেলারের বিকল্প এখনো আসেনি।
এংজাইটি ডিজঅর্ডার: উদ্বেগ যখন ব্যাধি মাঝে মাঝে উদ্বেগ বোধ করাটা স্বাভাবিক হলেও এংজাইটি ডিজঅর্ডার ভিন্ন বিষয়। এটি এক ধরনের মানসিক রোগ যা উদ্বেগ এবং ভয়কে চক্রাকারে বৃদ্ধি করে।
ভ্যাক্সিন গ্রহণে মানুষের এত অনীহা কেন? যারা ভ্যাক্সিন নিতে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন তাদের প্রতি অন্যান্যদের একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে যে অনিচ্ছুক সকলেই একই বিশ্বাসে বিশ্বাসী; একই ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী বলেই হয়তো তারা সকলেই ভ্যাক্সিন গ্রহণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বস্তুত, এই ধারণাটি ভুল। ভ্যাক্সিন গ্রহণে অনীহা পোষণ করার পেছনে একচেটিয়াভাবে একটি কারণই দায়ী নয়। ভ্যাক্সিন নেব কি নেব না- মানুষের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে একাধিক কারণ যৌথভাবে কাজ করে থাকতে পারে।
ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম: মাতৃভাষায় হঠাৎ বিদেশী টান এমন যদি হয়, হঠাৎ সকালে উঠে দেখতে পেলেন আপনি কথা বলছেন বাংলাতেই, কিন্তু বিলাতি টানে! অসম্ভব মনে হচ্ছে? জেনে আশ্চর্য হবেন যে এমন একটি রোগ বা সিনড্রোম আছে, যাতে আক্রান্তরা আকাশ থেকে পড়ার মত কোন একদিন বিদেশী উচ্চারণে কথা বলতে শুরু করে। একেই বলে ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম। এর সঠিক কার্যকারণ নিয়ে আজো মাথা ঘামাচ্ছেন বড় বড় বিশেষজ্ঞরা।
নারীস্বাস্থ্য | পিসিওএস নিয়ে কিছু কথা পিসিওএস-বর্তমান সময়ে নারীদের শারীরিক সমস্যার মধ্যে এটি অন্যতম। পিসিওএসের কারণে নারীদের বন্ধ্যাত্বের হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
মিজলস: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিস্মরণ ঘটায় যে ভাইরাস মিজলস ভাইরাস হাম রোগের জন্য দায়ী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর মিজলস ভাইরাসের একটি ভয়ানক প্রভাব রয়েছে। একে বলা হয় ইমিউন অ্যামনেসিয়া। মিজলসের কারণে মৃত্যুর কারণ যা, ইমিউন অ্যামেনেসিয়া তার থেকে অনেক বেশি মারাত্মক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিষয়টি আমলে নিয়েছে।
করোনার ওমিক্রনিক ভ্যারিয়েন্টের শঙ্কা করোনা ভাইরাসের অহরহ মিউটেশনের মধ্যে শঙ্কা জেগেছে নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে। দ্রুত ছড়াতে সক্ষম এই ভাইরাস ঠেকাতে প্রচলিত ভ্যাক্সিন কতটা কার্যকর হবে সেই প্রশ্নও জেগেছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যাবার পর ইউরোপ ও এশিয়াতেও ঢুকে পড়ছে এই ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা কাজে নেমে পড়েছেন এর স্বরূপ উদ্ঘাটনে।
ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সে ওষুধটির কী হয়? এফডিএ জানে মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরও বেশিরভাগ ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার একদম ঠিক থাকে। এসব তথ্য জানা সত্ত্বেও হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোকে প্রতিবছর মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করে ফেলতে হয়। কিন্তু তারা বিবেচনা না করে যে, এসব ওষুধ কত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয়বহুল।
ব্রাজিলে পীত জ্বরের মহামারির হাল হকিকত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিলের পীত জ্বরের (ইয়েলো ফিভার) প্রকোপ অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালে আটলান্টিক বনাঞ্চলের মিনে জেরাইস ও ইস্পিরিতো সান্তো এবং এদের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে পীত জ্বরের সংক্রমণ শুরু হয় তীব্র আকারে। যথাযথ টিকাদান কর্মসূচির ব্যর্থতার দরুন পরবর্তী বছরের মে মাসের মাঝে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র ব্রাজিল জুড়ে। বিগত কয়েক দশকের মাঝে এটিই ছিল সবচেয়ে তীব্র পর্যায়ের প্রাদুর্ভাব। মাসখানেকের মাঝেই মৃতুর সংখ্যা ৪০০ ছাড়ায়।