Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ফাইজার এবং মডার্নার করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন

করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউ (First Wave) শেষ করে বিশ্বের অনেক দেশই প্রবেশ করেছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Second Wave)। এই তালিকায় ইংল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলোও আছে। সামাজিক দূরত্ব আর কঠিন নিয়মকানুন মানতে মানতে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। ফলে সবাই তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে আছে কখন ভ্যাক্সিন আসবে তার দিকে।

ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি আর অনুমোদন সংস্থাগুলোতে ওষুধের অনুমোদন নিয়ে কাজ করেন বিশেষ একদল লোক, যাদের বলা হয় রেগুলেটরি প্রফেশনাল। এদের বৈশ্বিক একটি সংস্থা রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রফেশনাল সোসাইটির (Regulatory Affairs Professional Society) তথ্যমতে এখন অবধি সাতটি করোনা ভ্যাক্সিন নানা দেশে অনুমোদিত হয়েছে, আর ৫৫টি আছে পরীক্ষানিরীক্ষার ধাপে। অনুমোদিত ছয়টি ভ্যাক্সিন চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক:

১) BNT162b2; প্রস্তুতকারক: ফাইজার এবং বায়োএনটেক; অনুমোদনকারী রাষ্ট্র: ইংল্যান্ড, ক্যানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও কুয়েত।

২) CoronaVac; প্রস্তুতকারক: সাইনোভ্যাক; অনুমোদনকারী রাষ্ট্র: চীন।

৩) উহান ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন; অনুমোদনকারী রাষ্ট্র: চীন।

৪) BBIBP-CorV; প্রস্তুতকারক: বেইজিং ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট; অনুমোদনকারী রাষ্ট্র: চীন।

৫) Sputnik V; প্রস্তুতকারক: গামালিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট; অনুমোদনকারী রাষ্ট্র: রাশিয়া।

৬) EpiVacCorona; প্রস্তুতকারক: স্টেট রিসার্চ সেন্টার অফ ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি; অনুমোদনকারী রাষ্ট্র: রাশিয়া।

৭) mRNA-1273; প্রস্তুতকারক: মডার্না; অনুমোদনকারী রাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্র।

এই সাতটি ভ্যাক্সিনের মধ্যে ফাইজার আর মডার্নার ভ্যাক্সিন নিয়েই বেশি আলোচনা চলছে। কারণ এই দুটি অপ্রথাগত উপায়ে তৈরি এবং একই প্রকারের ভ্যাক্সিন। তাছাড়া ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা ব্যাপক আকারে এরই মধ্যে ফাইজারের ভ্যাক্সিন প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি মডার্নার ভ্যাক্সিনও এফডিএ-র অনুমোদন পাবার পর দ্রুত বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে। ফাইজার আর মডার্নার টিকা ছাড়া বাকিগুলো রাশিয়া আর চীনে প্রাথমিকভাবে উৎপাদিত ও অনুমোদিত এবং সেগুলোর কার্যকারিতা ও অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। কাজেই আজ এই ফাইজার আর মডার্নার ভ্যাক্সিন নিয়েই কথা হবে।

Image Source: thestar.com

ফাইজার আর মডার্নার ভ্যাক্সিন দুটিই আরএনএ ভ্যাক্সিন। আমরা বাজারে যেসব ভ্যাক্সিন দেখতে পাই তার থেকে আরএনএ ভ্যাক্সিন ভিন্ন। করোনা ভ্যাক্সিনের আগে কোনো আরএনএ ভ্যাক্সিন অনুমোদিত হয়নি। সাধারণভাবে ভ্যাক্সিন তৈরির জন্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর মৃত বা জীবিত প্রজাতি, অথবা তার অংশবিশেষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মানবদেহে প্রয়োগের আগে সরিয়ে নেয়া হয় রোগ উৎপাদনকারী ক্ষমতা। করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন তৈরিতে অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ অন্যান্য সংস্থা এই পদ্ধতিই অনুসরণ করছে। তবে ফাইজার আর মডার্নার বৈশিষ্ট্য হলো তাদের ভ্যাক্সিন কিছুটা ভিন্নভাবে তৈরি।

করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা চালিয়েছেন। তার এখন জানেন কী উপায়ে করোনাভাইরাস আমাদের শরীরকে আক্রমণ করে। এক্ষেত্রে মূলত দায়ী তাদের বহিরাবরণ থেকে সূচের মতো খাড়া হয়ে থাকা অগণিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ, যেগুলোকে বলা হয় স্পাইক। প্রোটিন বা আমিষজাতীয় পদার্থে তৈরি এসব স্পাইকের সাহায্যেই করোনাভাইরাস আঁকড়ে ধরে আমাদের মানবকোষ, ঢুকিয়ে দেয় রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু।

ফাইজার আর মডার্নার ভ্যাক্সিন প্রধানত ভাইরাসের আরএনএ দিয়ে বানানো, যাদের মূল কাজ হচ্ছে স্পাইকের মতো প্রোটিন তৈরি করা। কাজেই শরীরে প্রবেশ করে এই ভ্যাক্সিন যখন স্পাইকের অনুরূপ প্রোটিন তৈরি করবে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তখন কার্যকর হয়ে উঠবে। তারা এই প্রোটিনের মোকাবেলা করবার মতো অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে আরম্ভ করলে পরবর্তীতে যখন সত্যিকারের করোনাভাইরাস আমাদের দেহে প্রবেশ করবে তখন দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হবে। যেহেতু শুধুমাত্র আরএনএ-র রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা নেই, তাই ভ্যাক্সিন থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।

যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি মডার্না আর বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজার এই বছরের জানুয়ারি থেকেই তাদের ভ্যাক্সিন তৈরির কাজ শুরু করে। ফাইজারকে এ কাজে সহায়তা করেছে জার্মান বায়োটেক কোম্পানি বায়োএনটেক। প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের টিকা অনুমোদন করে ইংল্যান্ড, ২রা ডিসেম্বর। তাদের পর ৯ তারিখে ক্যানাডা এবং ১১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়। এর ঠিক দু-দিনের মাথায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তরফ থেকে ফাইজারকে সেখানে ভ্যাক্সিন বাজারজাতকরণের অনুমতি দেয়া হয়।

ইংল্যান্ড, ক্যানাডা আর যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদনের কয়েক দিনের মধ্যেই ভ্যাক্সিনের আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ধাপে যারা স্বাস্থ্যকর্মী তাদেরকে টিকা দেয়া হচ্ছে, এরপর করোনা সংক্রমণে যারা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়বার সম্ভাবনা আছে তাদেরকে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে। বাকি আমজনতার টিকা পেতে পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে এক বছর বা বেশি সময়।  

কার্যকারিতা

ফাইজার তাদের তৃতীয় ধাপের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ২১,৭২০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ভ্যাক্সিন আর ২১,৭২৮ জনকে প্লাসেবু প্রয়োগ করে। দেখা যায়, টিকা পাওয়াদের দলে ৮ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়, আর টিকা না পাওয়াদের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ছিল ১৬২। দশজন স্বেচ্ছাসেবীর কোভিড ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যাদের নয়জনই টিকা পাননি। দুটি ডোজ দেয়ার পর হিসেব করে দেখা যায় টিকা পাওয়া ৯৫% লোক কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রদর্শন করছেন, যা তৈরি হতে সর্বশেষ ডোজের পর অন্তত সাত দিন সময় লেগেছে।  

ফাইজার ভ্যাক্সিন; Image Source: bbc.com

ফাইজারের তুলনায় মডার্না একদমই শিশু কোম্পানি। মাত্র দশ বছর আগে যাত্রা শুরু করা মডার্নার কোনো কিছুই আজ পর্যন্ত অনুমোদিত হয়ে বাজারে আসেনি। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে- একমাত্র কোভিডের ভ্যাক্সিন ছাড়া তাদের কোন ওষুধ আজ অবধি তৃতীয় ধাপের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার পর্যায়ে পৌঁছেনি।

মডার্না তাদের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানোর জন্য বেছে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ১০০টি প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়ে ৩০,০০০ এর কিছু বেশি মানুষকে নির্বাচন করা হয় এজন্য। স্বেচ্ছাসেবীদের অর্ধেককে ভ্যাক্সিন আর অর্ধেককে প্লাসেবু দেয়া হয়। দুটি ডোজ দেয়ার পর দেখা যায়- যারা টিকা পেয়েছেন তাদের মধ্যে ১১ জন কোভিডে আক্রান্ত হন, তবে কেউই মারাত্মক রকম অসুখের শিকার হননি। কিন্তু যারা টিকা পাননি তাদের ১৮৫ জনের কোভিড সনাক্ত হয়, যাদের ৩০ জন অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। একজন স্বেচ্ছাসেবী মারাও যান। সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মডার্নার টিকা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৪.১ শতাংশ কার্যকর। তবে এই কার্যকারিতা গড়ে ওঠে টিকার শেষ ডোজ প্রদানের অন্তত ১৪ দিন পর।   

মডার্না ভ্যাক্সিন; Image Source: investors.com

সংরক্ষণ

ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাক্সিন প্রয়োগের মূল চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক তাপমাত্রা বজায় রেখে গ্রহীতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। কারণ এই ভ্যাক্সিন সংরক্ষণ করার জন্য দরকার হবে -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস/-৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা। অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা এখন কত জানেন? মাত্র -১৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তার মানে ফাইজারের টিকা রাখতে হবে অ্যান্টার্কটিকার থেকে পাঁচগুণেরও কম তাপমাত্রায়। সুতরাং বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এই টিকা পরিবহন ও সংরক্ষণ সম্ভব নয়। একবার ব্যবহারের জন্য বের করে ফেললে সাধারণ ফ্রিজে ৫ দিনে পর্যন্ত এই টিকা রাখা যাবে, তারপর ফেলে দিতে হবে। অন্যদিকে মডার্নার সুবিধা হলো তাদের টিকা সাধারণ ফ্রিজে -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা -৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে সংরক্ষণ করা যাবে ছয় মাস অবধি। একবার বের করে ফেললে তার পর আরো এক মাস ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা সম্ভব।   

ভ্যাক্সিন সংরক্ষণ; Image Source: abcnews.go.com

প্রয়োগবিধি

ফাইজারের ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন ১৬ বছর বা তদুর্ধ্বের যে কেউ, অন্যদিকে মডার্নার ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা অন্তত ১৮ হতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই দুটি ডোজের প্রয়োজন হবে, তবে ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজের তিন সপ্তাহের মাথায় নেয়া যাবে, অন্যদিকে মডার্নার টিকার জন্য অতিরিক্ত এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কোনো ওষুধ বা ভ্যাক্সিনই শতকরা ১০০ ভাগ নিরাপদ নয়, এ কথা মাথায় রেখেই কিন্তু চিকিৎসা নিতে হবে। আমার যদি চিন্তা করি ওষুধ বা টিকার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা নয় তাহলে তা ভুল হবে। ফাইজার এবং মডার্নার পরীক্ষায় বড় আকারে কোনো মারাত্মক রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিহ্নিত হয়নি। দুই ক্ষেত্রেই প্রয়োগের স্থানে সামান্য জ্বালাপোড়া, টিকা দেবার কয়েকদিনের মধ্যে কিছুটা জ্বর, ক্লান্তি আর মাথাব্যথা ইত্যাদি দেখা গেছে। মডার্নার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের এক-দুইদিনের মধ্যে এই উপসর্গগুলোর তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি, বিশেষ করে ৬৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া; Image Source: abcnews.go.com

আরেকটি ব্যাপার হলো অ্যালার্জি। যেকোনো ঔষধ বা টিকার প্রতি অনেকের অ্যালার্জি থাকতে পারে। যদিও পরীক্ষায় সেরকম কিছু দেখা যায়নি, তবে ফাইজারের টিকা প্রয়োগে এখন পর্যন্ত পাঁচজন বেশ খারাপ রকমের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এজন্য ইংল্যান্ডের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যেকোনো ওষুধ বা খাবারে আগে কখনো খারাপ রকমের অ্যালার্জি হয়েছে এমন কারো জন্য এই টিকা গ্রহণ সমীচীন নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে। তবে এফডিএ অন্য রাস্তায় হেঁটেছে। তারা শুধুমাত্র ফাইজারের টিকায় ব্যবহৃত উপকরণের প্রতি কারো অ্যালার্জি থাকলে তাদের জন্যেই এই ভ্যাক্সিন নিষিদ্ধ করেছে।

তবে কয়েকটি জরুরি বিষয় মনে না রাখলেই নয়। ভ্যাক্সিন কোনো জাদুর কাঠি নয় যে নেয়া মাত্র আমরা যা খুশি তা-ই করতে পারব। শরীরে প্রয়োগ করবার পর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। কতদিন এই ক্ষমতা বজায় থাকবে তা কিন্তু আমরা জানি না, যেহেতু জরুরি বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষার ফলাফল হাতে আসার আগেই। তাছাড়া পরীক্ষায় যত ভালই কার্যকারিতা আসুক না কেন, বাস্তবে ব্যাপকহারে প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই কার্যকারিতার পরিমাণ কম হয়।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ভ্যাক্সিন প্রয়োগে সম্পূর্ণভাবে করোনাভাইরাস নির্মূল হওয়ার প্রমাণ এখনও নেই। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, ভ্যাক্সিন দেয়ার পরেও আমাদের করোনাক্রান্ত হবার সম্ভাবনা একেবারে নেই তা বলা যাবে না। তবে এক্ষেত্রে সংক্রমণ হলেও শারীরিক সমস্যা হবে না, হলেও খুব সামান্য পরিমাণে। তবে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে যে এই অবস্থাতেও কিন্তু আমরা ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সক্ষম থাকব। ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোওজিস্ট ডক্টর স্টিফেন গ্রিফিন সেই সূত্র ধরেই দাবি করেছেন, সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হতে পারে যে একজন ভ্যাক্সিনপ্রাপ্ত ব্যক্তি করোনাক্রান্ত হলেও তার কোনো উপসর্গ থাকল না, কিন্তু তিনি সামাজিক দূরত্ব মেনে না চললে আশেপাশে সবাইকে আক্রান্ত করে ফেললেন।

টিকার বিষয়ে অজানা আরো ব্যাপারে রয়ে গেছে, যারা অন্তঃসত্ত্বা, বা বয়ঃসন্ধিকালে আছে তাদের উপর কী প্রভাব হতে পারে তা কিন্তু পরীক্ষা করা হয়নি। সুতরাং ভ্যাক্সিন অনুমোদন এবং প্রয়োগই শেষ কথা নয়, এটি করোনার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরোধের একটি অংশমাত্র। আমাদের আরো বহু পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে হবে এবং করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

This is an article on the Pfizer-BioNTech and Moderna covid Vaccines. The article describes the efficacy, storage and safety profile of the vaccines. Necessary references are hyperlinked.

Feature Image:movhd.com

Related Articles