Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম: মাতৃভাষায় হঠাৎ বিদেশী টান

ইংল্যান্ডের বাসিন্দা জুলি ম্যাথুজ। মাসখানেক আগে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি। সারা গায়ে ব্যথা আর প্রচণ্ড মাথাব্যথায় ভুগেছেন অনেকদিন।

ধীরে ধীরে ব্যথা কমে এলো। মাথাব্যথাও আগের মতো ঘন ঘন হচ্ছে না। সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে ভেবে নিয়েছেন যখন, তখনই জুলির কথাবার্তায় ঘটে এক অদ্ভুত পরিবর্তন। ইংরেজিভাষী জুলির বাচনভঙ্গিতে আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনেরা ফরাসি, ও কোনো কোনো সময় চীনা টান ধরতে পারলেন।

জুলি কর্মক্ষেত্রেও বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হলেন। বিউটি সেলুন চালাতেন তিনি। সেখানকার ক্লায়েন্টরা এমনভাবে তার সাথে কথা বলতে লাগলো যেন জুলি ভিনদেশ থেকে এসেছেন।

জুলি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। নানা পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানালেন- দুর্লভ এক অসুখের শিকার তিনি, যার নাম ‘ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম’ (Foreign Accent Syndrome/FAS)।

ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম

ভাষা ও কথাবার্তা সম্পর্কিত রোগগুলোকে একত্রে স্পিচ ডিজঅর্ডার নামে অভিহিত করা হয়। ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম এমনই এক স্পিচ ডিজঅর্ডার। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মাতৃভাষায় রাতারাতি বিদেশী কোনো ভাষার টান চলে আসে।

স্পিচ ডিজঅর্ডারে রোগীর কথাবার্তায় সমস্যা দেখা যায়; Image Source: online.maryville.edu

ধরুন, কেউ সারাজীবন বাংলায় কথা বলে এসেছে। তার ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম হলে বাংলায় কথা বলাতে সমস্যা হবে না, কিন্তু সে এমন টানে বাংলা বলবে মনে হবে আসলে বাংলা তার মাতৃভাষা নয়। এই রোগী ইংরেজি, ফরাসি, চীনা বা অন্য যেকোনো ভাষার টানে বাংলা বলা শুরু করবে, যদিও সে হয়তো সেই ভাষা জানেই না।

কেন হয় এই সিনড্রোম? এখন পর্যন্ত সঠিক কারণ নিরূপণ করা যায়নি। হাতে গোনা যে ক’জন এমন রোগী পাওয়া গেছে, তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- শতকরা ৮৬ ভাগের ক্ষেত্রেই স্নায়ুতন্ত্রের রোগ ছিল। এই রোগ তাদের মস্তিষ্কের ভাষা সৃষ্টি ও উচ্চারণের অংশকে ব্যহত করে বলে গবেষকেরা ধারণা করেন। ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের রোগীদের যেসব রোগ দেখা গিয়েছিল, সেসবের মধ্যে অন্যতম মাইগ্রেন, স্ট্রোক, খিঁচুনি, মস্তিষ্কের টিউমার, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ইত্যাদি। 

এর বাইরে মানসিক রোগের থেকেও এই অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। কখনো কখনো স্কিৎজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার ইত্যাদি রোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোগীর মধ্যে ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম দেখা যায়। উল্লেখ্য, এটি অত্যন্ত দুর্লভ এক রোগ। আজ অবধি কেবল ৮০-১০০ জনের ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম সনাক্ত হয়েছে। 

বৈজ্ঞানিক মতবাদ

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমে সত্যিকারের বিদেশী টান তৈরি হয় না। তাদের কথা হলো এই রোগে যেহেতু মস্তিষ্কের বিশেষ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই রোগীর চোয়াল, জিহ্বা, ঠোঁট, শ্বাসনালী ইত্যাদির মাংসপেশীর নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। এই মাংসপেশীগুলোই কিন্তু শব্দ সৃষ্টি ও কথায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

যখন কোনো রোগে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়, তখন আমাদের এই মাংসপেশী স্বাভাবিক মানুষের মতো ব্যবহার করা যায় না। এতে করে বাধাপ্রাপ্ত হয় উচ্চারণ, শব্দসৃষ্টি অথবা ভাষার গতি। যেভাবে আমরা আগে কথা বলতাম তার ব্যত্যয় ঘটায় অপ্রশিক্ষিত কানে মনে হয় বিদেশী টানে কথা বলছি আমরা। আমাদের মন একে তখন অন্যান্য ভাষার সাথে সম্পৃক্ত করে ফেলে। 

মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সৃষ্টি হতে পারে ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম; Image Source: julietetelandresen.com

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক শীলা ব্লুমস্টেইন জোর দিয়ে বলেছেন, ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমে রোগী যে টান দিয়ে উচ্চারণ করে, তা একেবারেই সেই ভাষাভাষীদের থেকে ভিন্ন। কাজেই একে সত্যি বা ট্রু অ্যাক্সেন্ট না বলে তিনি ফলস বা ভুল অ্যাক্সেন্ট (Pseudoaccent) বলার পক্ষপাতী।

শীলা ব্লুমস্টেইনের কথামতে, ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমে আক্রান্ত একজন বাংলাভাষী ফরাসি টানে কথা বলছেন মনে হতে পারে। কিন্তু সত্যিকার ফরাসি ভাষাভাষী লোক যখন বাংলা শিখে বলে, তখন তাদের কথা আর ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের সেই বাংলাভাষীর উচ্চারণ শতভাগ মেলে না। এই রোগে উচ্চারণে সৃষ্ট টান আসলে অ্যাক্সেন্ট নয়, বরং রোগের লক্ষণ।

প্রথম ঘটনা

মেডিক্যাল জার্নাল ঘেঁটে ১৯০৭ সালের একটি রেকর্ড পাওয়া যায়, যা বিজ্ঞানীরা প্রথম নথিভুক্ত  ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমে। ফরাসি নিউরোলজিস্ট পিয়েরে ম্যারি এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন।

তার কাছে এসেছিল প্যারিসের এক লোক। স্ট্রোকের আক্রমণ হবার পর থেকে সে কথা বলছে অ্যালসেশিয়ান অঞ্চলের জার্মান অ্যাক্সেন্টে। ম্যারি অস্বাভাবিক একটি কেস হিসেবে এটি লিপিবদ্ধ করেন। এর দশ বছর পর চেক নিউরোলজিস্ট আর্নল্ড পিকের কাছে এসেছিল একই রকম আরেক রোগী। স্ট্রোকের পর সে কথা বলা শুরু করেছে পোলিশ টানে।

পিয়েরে ম্যারি; Image Source: researchgate.net

নরওয়ের মহিলা

৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪১।

ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স জার্মান অধিকৃত নরওয়ের অসলোতে বোমা হামলা চালায়। এতে আহত হন অ্যাস্ট্রিড নামে ত্রিশ বছরের এক নারী। বোমার ছিটকে পড়া টুকরো (shrapnel) তার মাথার বামপাশে আঘাত করে।

অসলোতে ব্রিটিশ বোমা হামলায় আহত হয়েছিলেন অ্যাস্ট্রিড © Imperial War Museums

অ্যাস্ট্রিড অজ্ঞান ছিলেন কয়েকদিন। হাসপাতালের লোকেরা ভেবেছিল তার জ্ঞান আর ফিরবে না। তবে তিনি জেগে ওঠেন। অনুভব করলেন তার ডান পাশ অবশ হয়ে গেছে। কথাও বলতে পারছেন না তিনি।

ব্যয়াম আর উপযুক্ত চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে অ্যাস্ট্রিড তার শরীরের ডান পাশে কিছুটা শক্তি ফিরে পান। কথা বলার সক্ষমতাও অর্জন করেন। আজব ব্যাপার হলো- লোকেরা বলতে থাকে তিনি যখন কথা বলছেন তখন মনে হচ্ছে তিনি নরওয়েজিয়ান নন, জার্মান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তখন নরওয়েতে জার্মানবিরোধী মনোভাব প্রবল। জার্মান টান থাকায় মানুষ অ্যাস্ট্রিডকে জার্মানির অধিবাসী মনে করতে থাকে। নানাভাবে তাকে হয়রানি করা হয়। দোকানে গেলে কেউ তার কাছে কিছু বেচতে রাজি হতো না। 

বিপন্ন অ্যাস্ট্রিড শরণাপন্ন হন নিউরোলজিস্ট মনরাড-ক্রোনের (Georg Herman Monrad-Krohn)। তিনি অ্যাস্ট্রিডের কথা শোনার পর তার কানেও অ্যাস্ট্রিডের উচ্চারণভঙ্গি জার্মান অথবা ফরাসি বলে মনে হলো। তিনি এর নাম দেন ডিসপ্রসোডি (dysprosody)। প্রসোডি বলতে উচ্চারণ ব্যতিত ভাষার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলো (intonation, rhythm, stress, etc.) বোঝানো হয়। এর সমস্যা থেকেই অ্যাস্ট্রিডের রোগের সৃষ্টি মনে করে মনরাড-ক্রোন এই নাম দেন।

শুনতে ভারিক্কি শোনালেও ডিসপ্রসোডি বড়ই খটমটে নাম। এর হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করেন হ্যারি হুইটেকার নামে এক নিউরোলিঙ্গুইস্ট। ১৯৮২ সালের এক প্রবন্ধে তিনি এই জাতীয় ঘটনার বিবরণে ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম শব্দগুচ্ছের প্রবর্তন করেন। হ্যারি তার প্রবন্ধে ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের চারটি চিহ্ন নির্দিষ্ট করে দেন। তার কথায় সবগুলো চিহ্ন থাকলে এই রোগ বোঝা যাবে। তবে বর্তমান বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন সবার মধ্যে সব চিহ্ন দেখা যায় না।

হ্যারির বর্ণিত চারটি চিহ্ন এরকম- রোগীর উচ্চারণ তার পূর্ববর্তী বাচনভঙ্গি থেকে আলাদা, বিদেশী এক বা একাধিক ভাষার টান আছে মনে হয়, অতীতে কোনো সময় সে ঐ ভাষা শিখেছিল বলে প্রমাণ নেই, এবং মস্তিষ্কে আঘাতের ইতিহাস থাকে। 

ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের আরো কিছু উদাহরণ

কানাডার অধিবাসী শ্যারন ক্যাম্পবেল-রেইমেন্ট ২০০৮ সালে ঘোড়া থেকে পড়ে আঘাত পান। সেরে ওঠার পর তার কথা জড়িয়ে জড়িয়ে আসছিল। তাকে স্পিচ থেরাপি দিলে উন্নতি হয়। কিন্তু সপ্তাহখানেক পর শ্যারন ও তার থেরাপিস্ট আশ্চর্য হয়ে আবিষ্কার করেন- তার কথায় স্কটিশ টান তৈরি হয়েছে। এখনো তা বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

কানাডার শ্যারন ক্যাম্পবেল রেইমন্ট বেঁচে আছেন ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম নিয়ে; Image Source: sharoncampbellrayment.com

২০১৬ সালে মেডিক্যাল জার্নাল ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে ৩৪ বছর বয়সী এক আফ্রিকান-আমেরিকানের কথা উঠে এসেছিল। তিনি জরুরি বিভাগে হাজির হন কড়া ব্রিটিশ টানে কথা বলতে বলতে। যদিও জীবনে কোনোদিন তিনি ইংল্যান্ডে যাননি। স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগী হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়।   

২০১৮ সালে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসে আক্রান্ত এক স্প্যানিশ মহিলা হঠাৎ করেই ইংরেজি টানে স্প্যানিশ বলা আরম্ভ করেন। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী তো হতভম্ব। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও সম্প্রচার করে কারেন বাটলার নামে এক নারীর গল্প। দাঁত তোলার অ্যানেসথেশিয়ার প্রভাব কেটে গেলে তিনি নাকি আইরিশ আর ব্রিটিশ টানে কথা বলা আরম্ভ করেছিলেন।

২০১৫ সালের এক রাতে অ্যারিজোনার বাকআই শহরের বাসিন্দা মিশেল মায়ার্স ঘুমাতে যান তীব্র মাইগ্রেন নিয়ে। জেগে উঠে আবিষ্কার করলেন- তার উচ্চারণ হয়ে গেছে ব্রিটিশ। এমন ঘটনা মিশেলের সাথে আগের সাত বছরে আরো দুবার ঘটেছিল। দুবারই মাথাব্যথা নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। প্রথমবার জেগেছিলেন আইরিশ অ্যাক্সেন্ট নিয়ে, দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ান। চিকিৎসকেরা প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি। তবে শেষে বিশেষজ্ঞরা তাকে ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের রোগী বলে চিহ্নিত করেন।

২০১১ সালে ব্রিটিশ গায়ক জর্জ মাইকেলের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। জীবনের বিশাল অংশ লন্ডনে কাটিয়েছিলেন তিনি। কথাও বলতেন সেভাবে। কিন্তু তিন সপ্তাহ কোমায় থাকার পর জেগে উঠে কথা বলতে শুরু করেন ইংল্যান্ডের ভিন্ন অঞ্চলের টানে।

চিকিৎসা

ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম যেমন দুর্লভ, এই রোগ থেকে পুরো সেরে উঠেছে এমন রোগী আরো দুর্লভ। স্পিচ থেরাপি, কাউন্সেলিং ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় রোগীকে সমর্থন ও সাহস যোগানোই মূল চিকিৎসা। এক্ষেত্রে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে কিছু ঘটনার কথা লিখিত আছে যেখানে ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম থেকে রোগী সেরে উঠেছিল। ২০১১ সালে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে ৫৫ বছর বয়স্ক মার্কিন এক রোগীর কথা বলা হয়েছিল। একদিন ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোম ছিল তার। এরপর হঠাৎ খিঁচুনি হয়, তারপর রোগী সম্পূর্ণ ভালো।

ইতালির উদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক বারবারা টমাসিনো মস্তিস্কের টিউমারে আক্রান্ত এক রোগী পেয়েছিলেন। কখনো রোগী দক্ষিণ আমেরিকান, কখনো ব্রিটিশ অ্যাক্সেন্টে কথা বলত। টিউমার অপসারণ করার পর তিনি দিব্যি সেরে ওঠেন। 

নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস প্রফেসর নিক মিলার এবং সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যাক রাইলস ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের নানা ঘটনা খুঁজে বের করেছেন। সব তথ্য এক জায়গায় করে তারা প্রকাশ করেছেন ‘Foreign Accent Syndromes: The stories people have to tell’ নামে একটি বই।

মিলার ও রাইলস বইয়ের পাতায় পাতায় তুলে এনেছেন হতভাগ্য সেইসব রোগীর কথা; Image Source:amazon.ca

মিলার আর রাইলস দেখিয়েছেন- শুনতে মজার মনে হলেও ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের রোগীদের জীবন দুর্বিষহ। হঠাৎ অজানা অচেনাভাবে কথা বলতে থাকায় আত্মীয়, বন্ধু, প্রতিবেশীর সাথে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়। কর্মক্ষেত্রেও সৃষ্টি হয় জটিলতা। মানসিকভাবেও রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন। তার নিজের মধ্যেই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস দেখা দেয়।

মিলার আর রাইলসের বইতে ক্যাথ লকেট নামে এমন একজনের কথা বলা আছে। তিনি যখন নিজের কুকুর নিয়ে বাসায় বসেছিলেন, তার এমন অনুভূতি হচ্ছিলে যেন কোনো আগন্তুক বাসায় ঢুকে পড়েছে। বইয়ে যাদের কথা এসেছে তারা অনেকেই বলেছেন মাতৃভূমিতে তাদের সাথে অনেক সময় বিদেশীদের মতো আচরণ করা হয়েছে।

ফরেন অ্যাক্সেন্ট সিনড্রোমের অন্যতম চিকিৎসাই হলো পরিবারের সমর্থন। জুলি ম্যাথুজের কথায় ফিরে যাই। তার পরিবার একটি খেলা উদ্ভাবন করেছেন। রাতের খাওয়া সেরে সময় থাকলে তারা টেবিল ঘিরে বসে যান। লটারি করে কাগজ টানেন। কাগজে যে ভাষা লেখা থাকে সেই টানে কথা বলতে হয় তাদের। এভাবেই তারা জানান দেন সবসময় পাশে আছেন প্রিয় জুলির।

This is a Bengali language article about Foreign Accent Syndrome (FAS). The article describes the peculiar incidences of FAS as well as its causes and impact on the lives of the patients. Necessary references are hyperlinked and false mentioned below.

References

  • Berthier, M. L., Roé-Vellvé, N., Moreno-Torres, I., Falcon, C., Thurnhofer-Hemsi, K., Paredes-Pacheco, J., Torres-Prioris, M. J., De-Torres, I., Alfaro, F., Gutiérrez-Cardo, A. L., Baquero, M., Ruiz-Cruces, R., & Dávila, G. (2016). Mild Developmental Foreign Accent Syndrome and Psychiatric Comorbidity: Altered White Matter Integrity in Speech and Emotion Regulation Networks. Frontiers in human neuroscience, 10, 399.
  • Robson, D. (2015). The mind-bending effects of foreign accent syndromehttps
  • Beck, J. (2016). The Mysteries of Foreign-Accent Syndrome. The Atlantic. 
  • What is foreign accent syndrome?
  • Ryalls, J. & Miller, N. (2014). Foreign Accent Syndromes : The stories people have to tell. Psychology Press.
  • Bhandari H. S. (2011). Transient foreign accent syndrome. BMJ case reports, 2011, bcr0720114466.

Feature Image: healthjade.net

Related Articles