Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ইনসুলিন আবিষ্কার হলো যেভাবে

প্রাণঘাতী রোগ ডায়াবেটিসের অস্তিত্ব সম্পর্কে মানবজাতি প্রথম অবগত হয় হাজার বছর পূর্বে। এর আগে এটি ছিল মানুষের কাছে পুরোপুরি অপরিচিত। ষোড়শ শতকের আগে আসলে এই রোগের প্রতিকার সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণাই ছিল না। প্রাচীন মিশরের তৎকালীন চিকিৎসকেরা এক অদ্ভুত অথচ কার্যকর পদ্ধতিতে রোগীদের শরীরে ডায়াবেটিস রোগ শনাক্ত করতেন। প্রথমে মিশরীয় ডাক্তাররা সম্ভাব্য ব্যক্তির কাছ থেকে মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করতেন। এরপর সেটি কোনো উন্মুক্ত জায়গা রেখে আসা হতো। যদি দেখা যেত মূত্রের নমুনার আশেপাশে পিপড়ার দল হাজির হয়েছে, তখন ধরে নেয়া হতো যে ব্যক্তির মূত্রের নমুনা নেয়া হয়েছে, তার ডায়াবেটিস হয়েছে। ঠিক বিপরীতভাবে, যদি সংগৃহীত মূত্রের আশেপাশে পিপড়ার উপস্থিতি না থাকত, তাহলে ব্যক্তির ডায়াবেটিস হয়নি বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করতেন। মিশরে যখন কোনো ব্যক্তির ডায়াবেটিস হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হতো, তখন সেটি তার মৃত্যুপরোয়ানা হিসেবে ধরে নেয়া হতো। কারণ ডায়াবেটিস থেকে সেরে ওঠার কোনো পথ্য আবিষ্কৃত হয়নি তখনও।

হডিতিতও
image source: medicalnewstoday

আমরা যখন শর্করাজাতীয় খাবার গ্রহণ করি, তখন সেটি পরিপাকের পর গ্লুকোজে পরিণত হয়, এরপর মানবদেহের সাধারণ নিয়মানুযায়ী রক্তের সাথে মিশে যায়। যখন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন সেটি নিয়ন্ত্রণের জন্য অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়। যদি কোনো কারণে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হয়ে যায়, কিংবা অপর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, তাহলে রক্তে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের যে ভারসাম্য, সেটি নষ্ট হয়ে যায়। শুরু হয় বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় সমস্যা। আগের যুগে যখন মানুষের ডায়াবেটিস হতো, তখন ডাক্তার রোগীকে একেবারে কম পরিমাণ শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিতেন। কিন্তু এভাবে টিকে থাকা ছিল খুবই কঠিন। অনেক ডায়াবেটিস রোগী রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিতেন। ফলাফল হিসেবে দেখা যেত- রোগী না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, কিংবা কঙ্কালসার শরীর নিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন। সাধারণত, ইনসুলিন আবিষ্কারের আগে কোনো ব্যক্তির ডায়াবেটিস ধরা পড়লে অভিজ্ঞ ডাক্তার বলে দিতেন, তারা বাঁচতে পারবেন আর মাত্র কয়েক মাস। ভাগ্য ভালো হলে রোগী সর্বোচ্চ এক বছর বাঁচতেন।

উনিশ শতকের আগে কোনো চিকিৎসাবিজ্ঞানী জানতেন না, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে অগ্ন্যাশয়ে উৎপন্ন হওয়া ইনসুলিন নামক হরমোনের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। ১৮৮৯ সালে দুই জার্মান চিকিৎসাবিজ্ঞানী অস্কার মিনকোভস্কি এবং জোসেফ ভন মেরিং এক গবেষণা চালান। এই গবেষণায় কয়েকটি কুকুরের দেহ থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর তারা দেখতে পান, সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় (রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, মূত্রের সমস্যা, এবং কিটোসিস), অগ্ন্যাশয়হীন কুকুরগুলোর ক্ষেত্রেও সেই উপসর্গগুলো দেখা দিচ্ছে। মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হন, অগ্ন্যাশয় থেকে এমন কোনো হরমোন উৎপন্ন হয়, যেটি আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যখনই মানবদেহের অগ্ন্যাশয়ে সেই হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়, একপর্যায়ে এটি ডায়াবেটিসে রূপ নেয়।

হশহশহচহচ
অস্কার মিনকোভস্কি এবং জোসেফ ভন মেরিং; image source: Wikimedia Commons

তবে জার্মান মিনকোভস্কি এবং ভন মেরিং তাদের যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগের সাথে অগ্ন্যাশয়ের সর্ম্পক নির্ধারণ করতে সক্ষম হলেও কোন অংশে সেই বিশেষ হরমোন উৎপন্ন হয়, এই সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি। ইংরেজ চিকিৎসাবিজ্ঞানী স্যার অ্যালবার্ট এডওয়ার্ড শার্পি-শেফার হলেন সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি সঠিকভাবে ‘আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স’ নামক অংশের কিছু কোষের কথা বলেছিলেন, যেগুলো থেকে নির্গত হরমোন আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। ১৯০১ সালে ইউরোপের বিজ্ঞানীরা আরেকটি গবেষণার মাধ্যমে দেখতে পান – কুকুর, বিড়াল কিংবা ইঁদুরের অগ্ন্যাশয়ে যখন হরমোন নির্গমনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন আস্তে আস্তে ইনসুলিন নামের হরমোন নির্গমনকারী কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে। এ কারণে দেহে ইনসুলিনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, রক্তে বেড়ে যায় গ্লুকোজের পরিমাণ, এবং সবশেষে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। এই গবেষণার মাধ্যমে মানবদেহে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার কারণের দিকে বিজ্ঞানীরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন।

তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সম্ভাব্য উপায় আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে ১৯২০ সালের দিকে। কানাডিয়ান চিকিৎসাবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং এবং তার সহযোগী চার্লস বেস্ট কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গবেষণাগারে এমন একটি এনজাইম আবিষ্কার করতে সক্ষম হন, যেটি অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপন্ন ইনসুলিনের অভাব পূরণে সক্ষম হবে। বলা হয়ে থাকে, নিজেদের এই আবিষ্কার সম্পর্কে ব্যান্টিং এবং বেস্ট এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, অন্যান্য প্রাণীর দেহে তাদের আবিষ্কৃত এনজাইম প্রয়োগের পূর্বে তারা সর্বপ্রথম নিজেদের দেহে সেই এনজাইম প্রয়োগ করেন। তারা ফলাফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। রক্তে এনজাইম প্রবেশ করানোর পর গবেষণাগারে তারা নিজেদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে পান, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিকই আগের চেয়ে কমে গিয়েছে। এরপর গবেষণার পরবর্তী ধাপে কিছু কুকুরের দেহ থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাকস্থলীর ইনসুলিন নির্গমনকারী কোষগুলো অপসারণ করার পর কুকুরগুলোর দেহে তাদের আবিষ্কৃত এনজাইম প্রয়োগ করেন। আশ্চর্যজনকভাবে কুকুরগুলো ইনসুলিন তৈরিকারী কোষ ছাড়াই স্রেফ ব্যান্টিং ও বেস্টের আবিষ্কৃত এনজাইম তথা কৃত্রিম ইনসুলিনের জোরে প্রায় সত্তর দিন বেঁচে ছিল।

হশহচপআকব
ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং এবং চার্লস বেস্ট; image source: penntoday.upenn.edu

অন্যান্য প্রাণীর উপর সফলভাবে পরীক্ষা চালানোর পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে তাদের কৃত্রিম ইনসুলিন। ব্যান্টিং এবং বেস্টের আবিষ্কৃত ইনসুলিন প্রথমবারের মতো মানবদেহে প্রয়োগ করা হয় ১৯২২ সালে। চৌদ্দ বছর বয়সী কানাডিয়ান শিশু লিওনার্দ থম্পসন ডায়াবেটিসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয় টরন্টো হাসপাতালে। ডাক্তাররা তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত নেন, তার দেহে ‘টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস’ বাসা বেধেছে। রক্তে বাড়তি গ্লুকোজের সরবরাহ থামাতে তাকে শর্করাজাতীয় খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। তাকে প্রায়ই অভুক্ত অবস্থায় রাখা হতো। মাত্র ৩০ কেজির রোগা শরীর নিয়ে থম্পসন যে বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারবে না, সেটি সবাই ধারণা করে নিয়েছিল। এরপর ব্যান্টিং ও বেস্টের পরামর্শে তার দেহে সেই ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন প্রয়োগ করা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, মাত্র চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে থম্পসনের দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সবাই এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান। ইনসুলিনের সফল প্রয়োগের পর থম্পসন বেঁচে ছিল প্রায় সাতাশ বছর পর্যন্ত। এরপর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে।

কৃত্রিম ইনসুলিন প্রয়োগের মাধ্যমে থম্পসনের সুস্থ হওয়ার ঘটনা যখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তখন তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে যায় চারিদিকে। গণহারে ডায়াবেটিসের রোগীরা ইনসুলিন খুঁজতে থাকেন, যাতে তারাও থম্পসনের মতো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। ইনসুলিনের তুমুল চাহিদা তৈরি হওয়ায় কিছু ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে ইনসুলিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯২৩ সালে প্রথমবারের মতো ‘এলি লিলি’ নামের ওষুধ উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ইনসুলিন সরবরাহ করে। ১৯৭৮ সালের আগপর্যন্ত ‘সিনথেটিক ইনসুলিন’ প্রস্তুত করা হতো গরু ও শূকরের দেহ থেকে প্রাপ্ত ইনসুলিন থেকে। কিন্তু যেসব ডায়াবেটিস রোগীর অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের শরীরে এই প্রাণীজ ইনসুলিন প্রয়োগের ফলে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলে কৃত্রিম ইনসুলিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে শুরু করে। ১৯৭৮ সালে ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া থেকে ইনসুলিন উৎপাদনে সফলতা পাওয়া যায়। এরপর থেকে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমেই ইনসুলিন উৎপাদন করা হচ্ছে।

ওতজতকআ
লিওনার্দ থম্পসন, যে কানাডিয়ান বালক ইনসুলিন প্রয়োগে প্রথমবারের মতো সুস্থতা লাভ করেছিল; image source: brighter.se

ব্যান্টিং ও তার গবেষণার সুপারভাইজার জেমস ম্যাকলয়েডকে এই আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। মূলত গবেষণায় জড়িত ছিলেন ব্যান্টিং ও তার সহযোগী বেস্ট। নোবেল কমিটি বেস্টকে কোনো স্বীকৃতি না দেয়ায় মনক্ষুণ্ন হন ব্যান্টিং। এক বিবৃতিতে নোবেল কমিটি বলেছিল,

যদিও ইনসুলিন দ্বারা ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়, তারপরও চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর একটি। এখন পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এই আবিষ্কার।

বর্তমানে পৃথিবীতে লাখ লাখ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ কৃত্রিম ইনসুলিনের বদৌলতে টিকে আছেন। ইনসুলিনের আবিষ্কার মানবজাতির ইতিহাসে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটির একটি পরিসংখ্যান দেয়া যাক। ১৮৮০ সালে যাদের ‘টাইপ-ওয়ান’ ডায়াবেটিস হতো, তারা সর্বসাকুল্যে বাঁচতেন এক বছর। বর্তমানে টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস হলেও ইনসুলিনের কল্যাণে বেঁচে থাকা যায় আশি বছর পর্যন্ত!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে পুরো বিশ্বে ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি। সেই হিসেবে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রতি বিশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, ক্রমান্বয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর তুলনায় স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। একক কোনো দেশের কথা বললে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করার মতো। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’ এর দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন নাগরিক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ১ কোটি মার্কিন নাগরিক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ডায়াবেটিসের পুরোপুরি নিরাময় করতে পারে– এরকম কার্যকর কোনো প্রতিষেধক কিংবা ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। বর্তমানে বাজারে যেমন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত কার্যকরী ইনসুলিন পাওয়া যায়, তেমনই আবার নিয়মিত গ্রহণ করে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য ‘স্লো ওয়ার্কিং’ ইনসুলিনও পাওয়া যায়। পৃথিবীর কোটি কোটি মৃত্যুপথযাত্রী রোগী যে ওষুধের উপর ভিত্তি করে বেঁচে আছে, সেটি বিবেচনায় নিলে ইনসুলিনকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যুগান্তকারী আবিষ্কারগুলোর একটি হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতেই পারে, তাই নয় কী?

Related Articles