Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দুর্ধর্ষ পাঁচ নারী গোয়েন্দা: বুদ্ধিমত্তায় যারা হার মানিয়েছেন কল্পনাকেও!

এসপিওনাজ বা গুপ্তচরবৃত্তির কথা শুনলে সবার আগে জেমস বন্ড, মাসুদ রানাদের কথা মাথায় আসে, তা আলাদা করে বলাই বাহুল্য। নারী গুপ্তচরের কথা শুনলে অনেকে কপাল কুঁচকে বলে ওঠেন, ‘ঐ তো মাতা হারি, জোসেফিন বেকার, আর কেউ আছে নাকি?’ সিনেমা, সাহিত্য সব জায়গায় বারংবার হাতেগোনা এই ক’জনকে এতো বেশি চিত্রায়িত করা হয়েছে যে, আমাদের হৃদয়ে নারী গুপ্তচরের আসনের অধিকারী কেবল তারা। অথচ তাদের বাইরেও এমন কয়েকজন নারী গুপ্তচর রয়েছেন যাদের জীবনকাহিনী নিঃসন্দেহে আপনাকে চমকে দেবে। সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দেয়া এমন পাঁচ দুর্ধর্ষ নারী স্পাইকে নিয়ে সাজানো হলো আমাদের আজকের আয়োজন।

১. নূর এনায়েত খান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের নারী এসপিওনাজদের নিয়ে আলাদা একটি তালিকা তৈরি করা হলে সেই তালিকার বেশ উপরের দিকে থাকবে নূর এনায়েত খানের নাম। স্পেশাল অপারেশন এক্সিকিউটিভে দুর্দান্ত কাজ দেখিয়ে জিতে নিয়েছেন নায়িকার পদ। সম্ভ্রান্ত ভারতীয় মুসলিম পিতা ও আমেরিকান মাতার ঘরে জন্ম তার। বাবা হযরত এনায়েত খান ছিলেন সুফিবাদের শিক্ষক, মা পিরানী আমেনা বেগম আমেরিকান পণ্ডিত পিয়ার বার্নার্ডের আপন বোন। নূর বেড়ে ওঠেন ফ্রান্সে, সোরবর্নে শিশু মনোবিজ্ঞান এবং প্যারিস কনজারভেটরিতে সঙ্গীত শেখেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় পরিবার সহ চলে আসেন লন্ডনে, কিছুদিন পর অবশ্য আবার ফিরে যান ফ্রান্সেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগপর্যন্ত তার ক্যারিয়ার ছিল কবিতা আর শিশুতোষ গল্প লেখার মধ্যে আবদ্ধ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নূর এবং তার ভাই বেলায়েত মিত্রশক্তিকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। ফ্রান্স ছিল মিত্রশক্তির অন্তর্ভুক্ত। দেশ থেকে নাৎসিদের বিতাড়িত করায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারলে ইংলিশ এবং ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হবে- এমনটাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তাই তিনি যোগ দেন উইমেন’স অক্সিলিয়ারি এয়ার ফোর্সে। সেখানে ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় নূরকে। খুব দ্রুত কাজে দক্ষতা দেখিয়ে তিনি স্পেশাল অপারেশন এক্সিকিউটিভের ফ (ফ্রান্স) শাখায় গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ পান।

নূর এনায়েত খান; Source: pri.org

নূরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল স্পাই হিসেবে নূর খুব একটা ভালো হবেন না। নম্র-ভদ্র ব্যবহারের কারণে সবাই তাকে কোমল এক নারী চরিত্র হিসেবেই জানত। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। নাৎসি অধ্যুষিত প্যারিসে যখন সব ওয়্যারলেস অপারেটররা একের পর এক গ্রেপ্তার হতে থাকে, তখন নূরই ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি জার্মানদের সাথে মিশে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে লন্ডনের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখে গুপ্তবার্তা প্রচার করতে থাকেন। বিভিন্ন পার্টিতে, সমাবেশে নূর এতটাই সাবলীল ছিলেন যে, জার্মানরা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি এক গুপ্তচরকে সাথে নিয়ে ঘুরছে তারা!

তবে নূরের জীবনের শেষ পরিণতি খুব একটা সুখকর ছিল না। জার্মানরা তার ধোঁকাবাজি ধরতে পেরে গ্রেপ্তার করে। কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও তিনি একটি তথ্যও ফাঁস করেননি, কিন্তু সতর্কতাবশত লন্ডনে পাঠানো প্রতিটি ম্যাসেজের একটি প্রতিলিপি তিনি টুকে রেখেছিলেন নোটবুকে, যা জার্মানদের হাতে পড়ে যায়। তিনি ভেবেছিলেন কোনোক্রমে যদি আগের ম্যাসেজটি না পৌঁছায়, তবে পুনরায় তা পাঠাতে নোটবুকটা তাকে সহায়তা করবে। এর জের ধরে বন্দী নূরকে দিয়ে জোরপূর্বক লন্ডনে একটি ম্যাসেজ পাঠায় জার্মানরা, ঘটনাপ্রবাহে যার কারণে ধরা পড়ে মিত্রশক্তির তিন সদস্য। কয়েদখানায় আটক নূরের উপর চলে অমানুষিক অত্যাচার। একসময়কার কোমল নূর তখন এতটাই কঠোরভাবে সব মুখ বুজে সহ্য করেন যে নাৎসিরা তাকে ‘ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক’ শ্রেণীতে ফেলে দেয়। হাতে-পায়ে বেড়ি পরিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হতো তাকে। আরেক সঙ্গী সহ তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ডাকাও কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে এবং পরবর্তীতে সেখানেই তাদের মেরে ফেলা হয়।

গণমাধ্যমে নূরকে চিত্রায়িত করা হয়েছে মাত্র একবার, টেলিভিশন মিনি সিরিজ ‘অ্যা ম্যান কলড ইন্ট্রিপিড’ এ বারবারা হার্শি তার চরিত্রে অভিনয় করেন।

২. ন্যান্সি ওয়েক

ন্যান্সি ওয়েক সম্পর্কে প্রথমেই যে কথাটি জেনে নেয়া প্রয়োজন সেটি হলো- খালি হাতে, গলায় জুডোর এক প্যাঁচ কষিয়ে তিনি মেরে ফেলেছিলেন এসএস (শাটস্ট্যাফল) এর এক অফিসারকে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখা এই নারীকে বলা হয় ‘হোয়াইট মাউস’ বা সাদা ইঁদুর। ১৯১২ সালে ওয়েলিংটনে জন্ম নেয়া ন্যান্সি শৈশবেই পাড়ি জমান সিডনীতে। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই অবশ্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।

ক্যারিয়ার শুরু করেন নার্স হিসেবে। তবে নিউ ইয়র্ক আর লন্ডনে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতে প্রশিক্ষণ নেন সাংবাদিকতার উপর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময়ে তিনি হার্স্ট পত্রিকার ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিক ন্যান্সির চোখের সামনে ঘটে নাৎসির বেশ কিছু অমানবিক কার্যক্রম। ভিয়েনাতে ইহুদিদের উপর চালানো অকথ্য অত্যাচার প্রত্যক্ষ করে সোজা ফরাসি দলে যোগ দেন তিনি। বার্তাবাহকের দায়িত্ব পড়ে তার উপর, গেসটাপো সদস্যদের মুগ্ধ করে তাদের পেট থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য আদায় করে দিব্যি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারতেন তিনি। এত দক্ষতার সাথে পলায়নের জন্য তাকে উপাধি দেয়া হয় ‘হোয়াইট মাউস’। ন্যান্সির মাথার বিনিময়ে পুরস্কার ঘোষণা করা হয় পাঁচ মিলিয়ন ফ্রাঙ্ক! তাতে অবশ্য কোনো লাভই হয়নি। ন্যান্সি নিজের মতো করে ফ্রান্স থেকে পালিয়ে স্পেন হয়ে ব্রিটেনে চলে আসেন।

ন্যান্সি ওয়েক; Source: legacy.com

তার সামরিক জীবন তখন কেবল শুরুর দিকে, প্রশিক্ষণে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানোয় তাকে অভারেঙ্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্যারাস্যুটে করে বিভিন্ন প্রদেশে গিয়ে গিয়ে অস্ত্র সরবরাহ, গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়া, সাবোটাজ করা প্রভৃতি কাজের জন্য তিনি ছিলেন ফ্রান্সের অন্যতম ভরসা। একবার এসএসের প্রহরীদের হাতে সদলবলে ধরা পড়েন তিনি। সেখানেই জুডোর আঘাতে এক অফিসারকে হত্যা করেন ন্যান্সি। পরবর্তীতে অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, অফিসারটি যে মারা যাবে এটা নাকি তিনি ভাবতেও পারেননি! প্রশিক্ষণের শিক্ষাকে ঐ একবারই কাজে লাগাতে পেরেছেন।

লাস্যময়ী এক অনবদ্য গুপ্তচর হিসেবে যুদ্ধ শেষ করেন ন্যান্সি। অবশ্য এই যুদ্ধ তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছুই। ন্যান্সি হারিয়েছেন তার স্বামী হেনরি এডমন্ড ফিয়োকাকে। গেসটাপোর হাতে ধরা পড়েন বেচারা, প্রচণ্ড অত্যাচার করে হেনরিকে খুন করে ওরা। ২০১১ সালের ৭ আগস্ট ৯৯ বছর বয়সে মারা যান ন্যান্সি।

৩. মেরি বাউজার

আমেরিকার গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠলেই কনফেডারেট স্পাই বেলি বয়েডের কথা সবাই স্মরণ করে। কত যে কালি খরচ হয়েছে এই বিখ্যাত গুপ্তচরের কাহিনী নিয়ে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তবে এই গৃহযুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ কিছু নারী-পুরুষও কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে গুপ্তচরের ভূমিকা পালন করেছে। তাদেরই একজন মেরি বাউজার। ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে ভ্যান লিউ পরিবারের ক্রীতদাস ছিলেন মেরি। মেরিকে তার মালিক উত্তরের শহরে পাঠায় পড়ালেখা শেখার জন্য, পরবর্তীতে লাইবেরিয়ার এক মিশনারি সম্প্রদায়ের কাছে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয় তাকে।

মেরি বাউজার; Source: emerdelac.com

লাইবেরিয়া একটুও পছন্দ করতেন না বাউজার, খুব শীঘ্রই তিনি ফিরে আসেন রিচমন্ডে। এখানে বিয়ে করে স্থায়ী হন মেরি। ১৮৪৩ সালে জন ভ্যান লিউয়ের মৃত্যুর পর সব ক্রীতদাসকে মুক্ত করে দেয় তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা। সেই সুবাদে মুক্ত পৃথিবীতে স্বাধীনতার স্বাদ পান মেরিও। লিউয়ের কন্যা এলিজাবেথ আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি গুপ্তচর সংঘ পরিচালনা করছিলেন। শিক্ষিত মেরি হয়ে ওঠেন সেই সংঘের সেরা সোর্স। কীভাবে? বাইরের দুনিয়ার কাছে মেরির প্রধান পরিচয় ছিল হোয়াইট হাউজে কর্তব্যরত এক পরিচারিকা হিসেবে।

ফটোগ্রাফিক স্মৃতিশক্তির অধিকারী মেরি যা শুনতেন, তা-ই মনে রাখতে পারতেন। বুদ্ধিমতী এই নারী নিজেকে অক্ষরজ্ঞানহীন হিসেবে পরিচয় দেন সবার কাছে। কাজেই তার সামনে অবলীলায় ফেলে রাখা হতো গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্র। সেসব পড়ে, মুখস্থ করে, এলিজাবেথের স্পাই নেটওয়ার্কের কাছে পৌঁছানোয় দারুণ মুন্সিয়ানা দেখান মেরি। যুদ্ধের প্রায় শেষদিকে এসে মেরির ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়ে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা। ১৮৬৫ সালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে এলিজাবেথদের গুপ্তসংঘের প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করে সে। তবে আমেরিকানদের তাড়া খেয়ে সেই কাজে সফল হতে পারেননি তিনি। যুদ্ধে কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান মেরি, পরবর্তীতে যুদ্ধের সময়কার স্মৃতি নিয়ে বই লিখে, বক্তৃতা দিয়ে সময় কাটে তার।

৪. ইয়োশিকো কাওয়াশিমা

ইয়োশিকো কাওয়াশিমা জন্মসূত্রে চাইনিজ, মাঞ্চু রাজপরিবারের এক সদস্যের কন্যা তিনি। মাত্র ৮ বছর বয়সেই বাবা-মা দুজনকে হারানোর পর তাকে দত্তক নেয় জাপানের গুপ্তচর এবং অ্যাডভেঞ্চারার নানিয়া কাওয়াশিমা। নানিয়া তাকে সাথে করে নিয়ে যায় টোকিওতে। অসামান্য রূপবতী, টমবয় ইয়োশিকো প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয় ধরনের মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণ নেয়। জাপান অধ্যুষিত মাঞ্চুকুও এলাকায় ইয়োশিকো হয়ে ওঠে রানী। জাপানিদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ শুরু করে ইয়োশিকো। ১৯৩০ সালে রেডিওতে তাকে নিয়ে নানা ধরনের গল্প প্রচারিত হতে থাকে।

ইয়োশিকো কাওয়াশিমা; Source: nyt.com

একজন গুপ্তচর তো কখনো কাউকে জানাতে পারে না তার আসল পরিচয়, তাই বাইরের দুনিয়ার সামনে নিজের পরিচয় দিতে সে যোগ দেয় মাঞ্চুকুওর কোয়ানটং আর্মিতে। এতোদিন ধরে সবার কাছে যেমন টমবয় হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন, হঠাৎ করে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়ার তার সেই ইমেজটি খারাপ হয়ে যায়। তার গুপ্তসংঘের লোকজনও বাঁকা চোখে দেখতে থাকে তাকে। কাজেই খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকে। গুপ্তচরবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসে ইয়োশিকো। কিন্তু তাতেও খুব একটা সুবিধা হয় না, ১৯৪৫ সালে পেকিং এ চীনের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের হাতে ধরা পড়ে সে। জাপানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে তাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির আদেশ দেয় চীনা সরকার। তার জীবনী নিয়ে ‘দ্য লাস্ট প্রিন্সেস অফ মাঞ্চুরিয়া’ নামক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে।

৫. মেলিটা নরউড

১৯৩০ সালে কেজিবিতে যোগ দেয়া মেলিটা ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কর্তব্যরত ছিলেন, তখন তার বয়স ৬০ বছর! জন্মসূত্রে ব্রিটিশ হলেও মেলিটা সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে কাজ করতেন, দেশটিতে প্রচলিত নতুন সিস্টেম তাকে খুব টেনেছিল। ব্রিটিশ মেটাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনে চাকরি করতেন তিনি, পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য রাশিয়ার কাছে পৌঁছে যেত তার মাধ্যমে। সোভিয়েত ইউনিয়নও তখন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছে। মজার ব্যাপার হলো, মেলিটার স্বামী, যার বাবা-মা দুজনই রাশিয়ান, তার এই গুপ্তচরবৃত্তি সম্পর্কে জানলেও মেনে নেয়নি।

মেলিটা নরউড; Source: telegraph.co.uk

১৯৯২ সালের স্নায়ুযুদ্ধে মেলিটার এই দ্বৈত ভূমিকা ধরা পড়ে যায় ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্সের কাছে। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অবশ্য তা সাধারণ জনগণের কাছে প্রকাশিত হয়নি। নিজের দেশের হয়ে কখনো গুপ্তচরের কাজ করতে যাননি। তাকে ডাকা হতো ‘গ্র্যানি স্পাই’ নামে। শেষ জীবনে সোভিয়েতের পক্ষ থেকে তাকে পেনশন পাঠানো হয়।

ফিচার ইমেজ- litreactor.com

Related Articles