এডলফ হিটলার সারাজীবন নিঃসন্তান ছিলেন। ১৯৪৫ সালে নিঃসন্তান হিসেবেই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে মাত্র বিয়ে করেছিলেন ইভা ব্রাউনকে। দুই দিনও ছিল না ঐ বিয়ের স্থায়িত্ব। রেকর্ড ও ইতিহাস সম্বন্ধীয় বইতে দীর্ঘদিন ধরে হিটলার সম্পর্কে এরকমই লেখা ছিল।
কিন্তু ১৯৭৭-৭৮ সালে ‘জাইটগেশিখটা’ নামে একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি খবর হিটলার সম্বন্ধে মানুষের ধারণাকে নাড়িয়ে দিলো। সেখানে দাবী করা হয়, খুব সম্ভবত হিটলারের একটি ছেলে সন্তান ছিল এবং ছেলেটি স্বীকৃত নয়, অবৈধ। ছেলেটির মায়ের নাম শার্লট লবজোয়ি। শার্লটের বয়স যখন ১৬, তখন হিটলারের সাথে তার প্রণয় হয়। তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলমান। সে সময় হিটলার ছিল একজন সাধারণ যোদ্ধা সৈনিক। ফ্রান্সে অবস্থানকালে শার্লটের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং ফলাফল হিসেবে একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
যেভাবে জানাজানি হলো
জ্যা-মারি লরেট ১৯১৮ সালের মার্চ মাসের ১৮ বা ২৫ তারিখ ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে রেলওয়েতে চাকুরী করতেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর হয়ে যুদ্ধও করেছিলেন। বাবার আসল পরিচয় সম্পর্কে কিছুই ধারণা করতে পারেননি। মা শার্লট এই ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলতেন না। লরেট শুধু এতটুকুই জানতেন যে, তার বাবা হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কোনো এক অজানা জার্মান সৈনিক। কালের প্রবাহে শার্লট জীবনের শেষ দিকে উপনীত হন এবং অনুধাবন করেন মৃত্যু নিকটে। ভাবলেন এমন সময় পুত্রকে তার পিতার পরিচয় জানানো উচিৎ। ১৯৪৮ সালে মৃত্যুর কয়েক দিন আগে পুত্রকে জানান তার বাবা অজানা সৈনিকটি আসলে এডলফ হিটলার।
এরপর অনেক সময় কেটে যায়। মানুষ এই সম্বন্ধে কিছুই জানতে পারে না। খবরটি ঐভাবে প্রচারও হয়নি। মুখে মুখে অল্প স্বল্প যা-ই প্রচার হয়েছে, তাতে কেউ কেউ সন্দেহ করেছে, আর কেউ কেউ হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের দিকে ‘Bunte’ নামে একটি ইলাস্ট্রেটেড সাময়িকী ব্যাপারটিকে ছাপার অক্ষরে মানুষের সামনে তুলে নিয়ে আসে। উল্লেখ্য, এটি একটি জার্মান সাপ্তাহিক সাময়িকী। সাধারণত সেলিব্রেটি, গসিপ, লাইফস্টাইল এবং নিউজ ধাঁচের আলোচনা হয়ে থাকে এই সাময়িকীটিতে। আরো পরে ১৯৭৭ সালে ‘জাইটগেশিখটা’ এবং ১৯৭৮ সালে ‘ডার মিঙ্গেল’ সাময়িকীতে এই খবর প্রচারিত হলে ঐ সময়ে মোটামুটি আলোড়ন পড়ে যায়। তারও পরে ১৯৮১ সালে জ্যা-মারি লরেট একটি আত্মজীবনীমূলক বই লিখেন। বইয়ের নাম Your Father’s name was Hitler। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরেও তার বংশ পরিচয় নিয়ে গবেষণা হয়েছে।
‘ইউর ফাদার্স নেম ওয়াজ হিটলার’ বইয়ের প্রচ্ছদ; Image Source: delcampe.net
গোড়া থেকে
জন্ম নিবন্ধন অনুসারে শার্লট ইউডক্সি লবজোয়ি ১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছেলের কাছে দেয়া তার ভাষ্য অনুসারে- একদিন তিনি কয়েকজন মেয়ের সাথে খড় কাটছিলেন। এমন সময় দেখতে পান রাস্তার ওপারে একজন জার্মান সৈনিক কী যেন করছে। খেয়াল করে দেখা গেলো সৈনিকটি স্কেচ প্যাডের উপর কিছু একটা আঁকছে। আঁকাআঁকির ব্যাপারটি মেয়েদেরকে কৌতূহলী করে তুললো। সকলের মাঝে থেকে তাকেই মনোনীত করে পাঠিয়ে দেয়া হলো কী আঁকছে তা দেখে আসার জন্য।
শার্লট লবজোয়ি; Image Source: TéléObs
এই ঘটনাটি পরবর্তীতে একটি সম্পর্ক তৈরি করে। এই সময় তার বয়স ছিল ১৬। ১৯১৭ সালের জুনের মাতালতাপূর্ণ দিনের একটি ঘটনার ফলে ১৯১৮ সালের মার্চে ‘অবৈধ সন্তান’ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে জ্যা-মারি। ফ্রান্সে ঐ সময়ে এরকম অনেক শিশুই জন্মগ্রহণ করে যাদের পিতা হচ্ছে জার্মান সৈন্য। জ্যা-মারি তার প্রথম সাত বছর নানা-নানীর সাথে কাটায়। এই সময় তার মা তার সাথে কোনো যোগাযোগ রক্ষা করেনি। নানা-নানীর মৃত্যুর পর তার দায়িত্ব নেয় খালা এলিস লবজোয়ি। পরবর্তীতে ১৯৩০ সালের তাকে লরেট বংশের এক পরিবারের কাছে দত্তক দিয়ে দেয়। তার নাম হয় জ্যা-মারি লরেট।
লরেট বিয়ে করে এবং তার ঔরসে নয়টি সন্তানের জন্ম হয়। কোনো কোনো সূত্রে বলা হয়ে থাকে ১৯৪৮ সালে পিতৃ পরিচয় জানার পরে তার স্ত্রী তার সাথে বিচ্ছেদ করে চলে যায়। কোনো কোনো সূত্র মতে স্ত্রী তার সাথেই ছিল।
জ্যা-মারি লরেট। দেয়ালে ঝুলন্ত হিটলারের মুখImage Source: Keith Waldegrave
হিটলার–লরেট সম্পর্ক
লরেটের জন্মের ক্ষেত্রে যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ঐ সময়টাতে হিটলার ফ্রান্সে অবস্থান করেছিলেন। তার সাথের কিছু প্রত্যক্ষদর্শী সহকর্মীর মতে, হিটলার একটি অল্প বয়সী মেয়ের সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়। কোনো একসময় হিটলার নিজেও স্বীকার করেছিলেন, তিনি একটি সন্তানের পিতা।
একটি সাময়িকীতে উল্লেখ করা হয় হিটলার নিজের সন্তানকে স্বীকার না করলেও শার্লটকে টাকা পাঠাতো ঠিকই। পরবর্তীতে পাওয়া আরো কিছু সাক্ষ্য-প্রমাণ এই টাকা পাঠানোর ঘটনাকে সমর্থন করে। শার্লটের মৃত্যুর পর তার চিলেকোঠায় একটি চিত্রশিল্প পাওয়া গেছে যেখানে চিত্রশিল্পী হিসেবে এডলফ হিটলারের সাক্ষর আছে। হিটলার নিজে একজন আঁকিয়ে ছিলেন, একথা না বললেও চলে। কারণ শার্লট–হিটলারের প্রণয়ের শুরু হয়েছিল ছবি আঁকাকে কেন্দ্র করেই। অন্যদিকে হিটলারের চিত্রকর্ম ঘেঁটে এমন একটি নারী চিত্র পাওয়া গেছে যেটি দেখতে একদম শার্লটের মতো।
হিটলারের আঁকা শার্লটের ছবি; Image Courtesy: Keith Waldegrave
জ্যা-মারি লরেটের তথ্যটি মানুষের কাছে জানাজানির আগেই একজন জার্মান ইতিহাসবিদ হিটলারের ‘গোপন সন্তান’ সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে অবগত ছিলেন। একটা গুজব প্রচলিত ছিল যে, হিটলারের একটি সন্তান আছে, কোনো কারণে সেটি গোপন রাখা হয়েছে।
একজন মা তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় লুকিয়ে রেখেছে সারাজীবন। জীবনের একদম শেষভাগে এসে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সন্তানের পিতার পরিচয় দিয়েছে- এর মাঝে নিশ্চয় কোনোকিছু আছে। তার জন্মের সময় হিটলার ফ্রান্সে ছিল। মা যে অঞ্চলে কাজ করতো হিটলার সে অঞ্চলেই থাকতো। মা কিশোরী বয়সে মা হন, ঐ সময় হিটলারও এক কিশোরীর সাথে প্রেম করেন। এই ব্যাপারগুলো জ্যা-মারিকে নাড়িয়ে দেয়। এরপর শুরু করেন অনুসন্ধান। আইনজীবীর কাছে যান এই ব্যাপারে কথা বলতে। আইনজীবী আবিষ্কার করেন তিনি মানসিকভাবে খুবই সংকটে আছেন। হিটলারকে সকলে ঘৃণা করে, এই পরিচয় মানুষ জানলে তাকেও মানুষ ঘৃণা করবে। অন্যদিকে পিতৃ-পরিচয়ের স্বীকৃতি পাওয়া তার জন্মের দাবী। এমন পরিস্থিতিতে তিনি দোটানায় পড়ে যান। ব্যাপারটা কি লুকিয়ে রাখবেন, নাকি পরিচয় প্রতিষ্ঠায় সামনে এগিয়ে যাবেন?
আইনজীবীর পরামর্শে ও মানসিক সহায়তায় পরবর্তীতে তিনি পরিচয় প্রতিষ্ঠার দিকেই এগিয়ে যান। আইনজীবী যে পরিচয়ের জন্য সামনে এগিয়ে যেতে পরামর্শ দেবেন এটা স্বাভাবিক। কারণ তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন, হিটলারের আত্মজীবনী ‘মাইন ক্যাম্ফ (আমার সংগ্রাম)’ এর রয়ালটি পেতে পারে তার সন্তান।
হিটলারের লেখা বই মাইন ক্যাম্ফ; Image Source: Der BRD-Schwindel
জিনতাত্ত্বিক সাক্ষ্য–প্রমাণ (Genetic Evidence)
উল্লেখিত ঘটনাগুলো সাক্ষ্য হিসেবে বেশ শক্তিশালী। কিন্তু শক্তিশালী হলেও পিতা-পুত্রের প্রমাণ পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। মোটের উপর হিটলার বেঁচে নেই, তাই তার অনুপস্থিতিতে ব্যাপারগুলো বেশ ধোঁয়াশাপূর্ণ। আর বর্তমান সময়ে কেউ অনুসন্ধান করতে চাইলে তো আরো সীমাবদ্ধতা দেখা দেবে। কারণ এখন দাবীকৃত সন্তান জ্যা-মারি লরেটও বেঁচে নেই।
তবে বিজ্ঞানের কাছে একটি ভরসা আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত হয়েছে। জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে এখন বলে দেয়া যায় দুজন লোকের মাঝে রক্তের সম্পর্ক আছে কিনা। জিনতাত্ত্বিক দিক থেকে লরেট–হিটলারের সম্পর্কের সত্য-মিথ্যা যাচাই করার জন্য ২০০৮ সালে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বেলজিয়ামের সাংবাদিক জ্যা-পল মুলডার্স জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে ঘুরে হিটলার ও লরেটের আত্মীয়-স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। সেসব নমুনা বিশ্লেষণ করে তিনি সিদ্ধান্তে আসেন, জ্যা-মারি লরেট আসলে হিটলারের সন্তান নয়। তার এই গবেষণার ফলাফল বেলজিয়ামের সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র Het Laatste Nieuws-এ প্রকাশ করেন।
এরপর বেশ তোলপাড় হয়ে যায়। ডেইলি মেইল, ইউএসএ টুডে, বিল্ড, হারিয়েট চায়না ডেইলিসহ অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এই খবরকে ফোকাস করে।
হিটলারের সন্তানের সত্যতার পক্ষে যদি একশো একটি সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকে কিন্তু ডিএনএ টেস্ট যদি সেটাকে মিথ্যা বলে, তাহলে একশো একটি প্রমাণ নগণ্য হয়ে যাবে। ডিএনএ টেস্ট যা বলবে তাই সত্য এবং অকাট্য। পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব প্রমাণ করার জন্য ডিএনএ টেস্ট হচ্ছে বিজ্ঞান সম্মত ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। সন্তান জন্মের আগে মায়ের পেটে অস্তিত্বমান হবার পর থেকেই পিতামাতার ডিএনএ বহন করে। একে পাল্টানোর কোনো উপায় নেই।
সাংবাদিক জ্যা-পল মুলডার্স; Image Source: youtube
এখন প্রশ্ন হতে পারে, হিটলার তো বেঁচে নেই। বেঁচে নেই জ্যা-মারি লরেটও। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ না করে কীভাবে পিতৃত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়? হ্যাঁ, তারা না থাকলেও তাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের ডিএনএ পরীক্ষা করে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। হিটলারের ডিএনএ’র সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য থাকবে তার আত্মীয়ের। আবার জ্যা-মারি লরেটের ডিএনএ’র সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য থাকবে লরেটের আত্মীয়ের। দুই পক্ষের আত্মীয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করে যদি গ্রহণযোগ্য সাদৃশ্য পাওয়া যায় তাহলে বলা যাবে হিটলার ও লরেটের মাঝে আসলেই কোনো রক্তের সম্পর্ক আছে কিনা।
২০০৮ সালে করা পরীক্ষায় ফলাফল নেতিবাচক এসেছে। তাই এই ফলাফলকেই গ্রহণ করে নিতে হবে। তবে এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। তাদের করা পরীক্ষা সঠিক ছিল তো? কোনো কারচুপি করা হয়নি তো? যদি তাদের পরীক্ষায় কোনো কারচুপি না হয়ে থাকে এবং সঠিক ফলাফল দিয়ে থাকে তাহলে হিটলার ও লরেটের মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে মেনে নিতে হবে।
এরপরেও…
ফলাফল যা-ই হোক, এই বিষয়ে গবেষণা থেমে নেই। ২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ফরাসী সাময়িকী ‘লা পয়েন্ট’ নতুন কিছু তথ্যের অবতারণা করে। পত্রিকার ভাষ্য অনুসারে ইউনিভার্সিটি অব হাইডেলবার্গের একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে হিটলার ও লরেটের রক্তের গ্রুপ একই ছিল, এ পজিটিভ। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় তাদের হাতের লেখাও একই রকম ছিল। জার্মান সেনাবাহিনী অফিসিয়ালভাবে কাগজপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখতে পান যে, হিটলার আসলেই যুদ্ধের সময় মিস শার্লটকে টাকা পাঠাতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে শার্লটের কাছে ক্যাশ টাকার এনভেলপ প্রেরণ করা হতো।
হিটলারের হাতের লেখা; Image Source: History In Ink
এরকম কিছু তথ্য মানবিক দিক থেকে আসলেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। এতগুলো সাক্ষ্যপ্রমাণ মিথ্যা হয় কীভাবে? কাকতালীয় ঘটনারও তো একটা সীমা আছে। এতগুলো ঘটনা একসাথে কাকতালীয় হতে পারে না। আবার ডিএনএ টেস্টের ফলাফলকেও ফেলে দেয়া যায় না। কারণ এটা সত্যতার শক্তিশালী মানদণ্ড। আবার ফলাফলে উপনীত হবার প্রক্রিয়ার উপর ভরসাও করা যায় না। তাদের ডিএনএ পরীক্ষা কারচুপি না করে সঠিকভাবে করা হয়েছিল তো?
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আমাদেরকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন কিছু গবেষণা হবে যার মাধ্যমে উঠে আসবে হিটলার ও লরেটের মাঝে আসলেই পিতা-পুত্র সম্বন্ধীয় সম্পর্ক আছে কিনা।
This article is in Bangla language. It's about Hitler's illegitimate son 'Jean Marie Loret'.
Featured Image: Hulton Archive / Getty Images
১) citizenwithoutbanners.wordpress.com/2014/05/11/hitlers-hidden-family/
২) telegraph.co.uk/news/worldnews/europe/france/9088865/Hitler-had-son-with-French-teen.html
৩) seeker.com/proof-that-hitler-had-an-illegitimate-son-1765656434.html
৪) hitlerschildren.com/article/591-did-hitler-have-children
৫) citizenwithoutbanners.wordpress.com/2014/05/11/hitlers-hidden-family/
৬) nl.wikipedia.org/wiki/Jean-Paul_Mulders