বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা 'মুক্তিযুদ্ধ'। আমরা সর্বস্তরের জনগণ একটি গণযুদ্ধের মাধ্যমে মাতৃভূমি স্বাধীন করেছি। পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির বিষয়টি আমাদের অতীতের সকল সংগ্রামকে পেছনে ফেলেছে। তবুও একটি দেশের অতীত ইতিহাস অবহেলা করা যায় না। সময়ের সাথে সাথে তা আরো প্রাঞ্জলভাবে উঠে আসে।
অতীতে আমরা সংগ্রাম করেছি ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ বিরোধী এই সংগ্রামের ব্যাপ্তি জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে উপমহাদেশের সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে সহিংস ও অহিংস পথ বেছে নিয়েছিল। গঠিত হয় যুগান্তর ও অনুশীলনের মতো দল। এবারের আন্দোলনেও আমাদের সফলতা আসে। ব্রিটিশরা এই ভূ-খণ্ড থেকে বিতাড়িত হয়। শেষ হয় ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব ও দমন-পীড়ন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অবদানের জন্য ইতিহাসে যেসব বাঙালির নাম উঠে আসে, তারা হলেন- নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মীর নিসার আলী (তিতুমীর), মাস্টার দ্য সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বসু, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমুখ। কিন্তু ইতিহাসের চোরাবালিতে শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরীকে একটু খুঁজে বের করতে হয়। অথচ, এই দুই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী তৎকালীন এক ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে তার নিজ বাংলোতে গুলি করে হত্যা করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
শান্তি ঘোষ
১৯১৭ সালের ২২ নভেম্বর শান্তি ঘোষ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বরিশালের পিরোজপুরের রায়েরকাঠি গ্রামে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ কুমিল্লা কলেজে পড়াতেন। সেই সুবাদে শান্তি ঘোষ নওয়াব ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মায়ের নাম সলিলাবালা ঘোষ। শান্তির পিতা ছিলেন রাজনীতি-সচেতন ব্যক্তি, এবং একজন আদর্শ রাজনৈতিক কর্মীও বটে। পিতার আদর্শ কন্যাকে প্রভাবিত করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শান্তি ঘোষ তখন বয়সে অনেক ছোট। পরাধীনতা, স্বাধীনতা, দেশপ্রেম, দেশের জন্য আত্মত্যাগ- এ বিষয়গুলো তিনি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। ১৯২৬ সালে শান্তি ঘোষের পিতার অকালমৃত্যু হয়। ক্রমান্বয়ে শান্তি ঘোষ আরো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
সুনীতি চৌধুরী
১৯১৭ সালের ২২ মে সুনীতি চৌধুরী কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃভূমি তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার নবীনগর থানার ইব্রাহিমপুর গ্রামে। তার পিতা উমাচরণ চৌধুরী, যিনি ছিলেন একজন সরকারি চাকুরে। মাতা সুরসুন্দরী দেবী অত্যন্ত ধার্মিক ও শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। মায়ের প্রভাব সুনীতির উপর বিস্তার লাভ করে। তার বড় দুই ভাই কলেজে পড়ার সময় বিপ্লবী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন। তিনি তখন সবেমাত্র স্কুলপড়ুয়া এক ছোট্ট মেয়ে। তাই বলা যায়, পারিবারিকভাবেই সুনীতি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যান।
বিপ্লবের পথ
১৯২৮ সালে সাইমন-কমিশনের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় তীব্র বিক্ষোভ হয়। কাজী নজরুল ইসলামও এই কমিশন নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা রচনা করেন। দেশব্যাপী সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ শান্তি ও সুনীতি চৌধুরীর মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ইতোমধ্যে তারা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এক পারিবারিক আবহের মধ্যে বেড়ে উঠছিলেন। দুজনেই পড়াশোনা করতেন কুমিল্লার নওয়াব ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে। তখন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান করতে অনুশীলন সমিতি ও পরবর্তীতে যুগান্তর নামক বিপ্লববাদী সংগঠনের জন্ম হয়। পরবর্তীতে এই সংগঠনগুলোর কার্যক্রম সবদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কুমিল্লাতেও সংগঠনগুলোর ছোঁয়া লাগে। শান্তি-সুনীতির এক সহপাঠীর নাম ছিল প্রফুল্ল নলীনি ব্রহ্ম। মূলত তার প্রত্যক্ষ প্রভাবেই দুই বান্ধবীর বিপ্লবী পথে আসা। প্রফুল্ল নলীনি ব্রহ্ম যুগান্তর নামের বিপ্লববাদী সংগঠনের সভ্য ছিলেন। তিনি শান্তি ও সুনীতিকে সংগঠনের নেতাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং প্রাথমিকভাবে বিপ্লবের পথে দীক্ষা দেন। সংগঠনে জড়িয়ে যাওয়ার পর দুই বান্ধবী নানা স্বদেশি বই পড়তে থাকেন এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তাদের মন আরো চঞ্চল হয়ে উঠতে থাকে।
১৯৩০ সালে কুমিল্লায় চলছিল আইন অমান্য আন্দোলন। এই আন্দোলনের সময় বাংলায় বিপ্লবী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পায়। চট্টগ্রাম বিস্ফোরণের ঘটনা— মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করে। এপ্রিল মাসে সূর্যসেনের নেতৃত্বে বাংলার বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুট করে। জালালাবাদ পাহাড়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন। বাংলার ঘটনাগুলো কুমিল্লার বিপ্লবীদেরও প্রভাবিত করে। কুমিল্লায় তখন প্রতিবাদী মিছিল হচ্ছিল। মিছিলে ব্রিটিশ সরকার বাধা দেয়, লাঠিচার্জ করে, ফলে কর্মীরা আহত হয়। ব্রিটিশদের এই দমন-পীড়ন দেখে কর্মীরা নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চাইল। দলের সবাই লাঠি-ছোরা খেলা ও আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে শুরু করলো। বন্দুক চালনাও আয়ত্তে আনতে লাগল। বাংলার বিপ্লবীদের কর্মকাণ্ডে কুমিল্লার বিপ্লবীরাও উজ্জীবিত ছিল এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তখন পুরো দেশে বাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ছিল।
১৯৩১ সালে প্রফুল্ল নলীনি ব্রহ্মের নেতৃত্বে কুমিল্লায় গড়ে ওঠে ছাত্রী সংঘ। শান্তি ঘোষ হন দলের সম্পাদক এবং সুনীতি চৌধুরি দলের ক্যাপ্টেন। সুনীতি চৌধুরি দলের সবাইকে ড্রিল ও প্যারেড শেখাতেন। ৫০/৬০ জনের দলটি ক্রমেই সুশৃঙ্খল স্বেচ্ছাসেবক দলে পরিণত হয়। দিনে দিনে শান্তি-সুনীতি বিভিন্ন প্রতিরোধের ঘটনা শুনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কিছু একটা করতে চাইলেন। চট্টগ্রামের ঘটনাগুলো তাদের সামনেই ছিল। তাছাড়া বিপ্লবীদের হাতে গার্লিক হত্যা, সিম্পসন হত্যার ঘটনাও তারা শুনলেন। ভেতর থেকে তাগিদ আসতে লাগল কিছু করার। দলের নেতাদের প্রতি বার বার অনুরোধ করা হলো কিছু করার, কিন্তু অনুমতি মিলছিল না। ঠিক ঐ সময় কুমিল্লায় স্টিভেন্স নামে নতুন এক ম্যাজিস্ট্রেট বদলি হয়ে আসলেন। ব্রিটিশ এই কর্মকর্তা খুবই অত্যাচারী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বিপ্লবীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের অভিযোগ ছিল। বিপ্লবীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনানুযায়ী স্টিভেন্সকে হত্যার দায়িত্ব দেয়া হয় চৌদ্দ-পনেরো বছর বয়সী শান্তি ও সুনীতিকে। তারাও মুখিয়ে ছিলেন হাই কমান্ডের নির্দেশের জন্য। তাদের আরো ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেয়ার দায়িত্ব পড়ে বীরেন্দ্র ভট্টাচার্য ও সতীশ রায়ের কাঁধে।
দুই বান্ধবী গোপনে ময়নামতি পাহাড়ে গিয়ে রিভলবার চালনা শিখতে লাগলেন। রিভলবারের ট্রিগারে একজনের তর্জনী পৌঁছাত না। তাই মধ্যমা ব্যবহার করেই পিস্তল চালনা শিখতে লাগলেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার প্রশিক্ষণ নিতে থাকলেন তারা। অবশেষে প্রশিক্ষণ শেষে এলো সেই দিন।
সেদিনের ঘটনা
১৯৩১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়। নওয়াব ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানের কথা বলে দুই বান্ধবী শাড়ি পরলেন। নিজেদের মতো করে সাজলেন। চাদরের নিচে রিভলভার লুকিয়ে বসে রইলেন। বাইরে থেকে ঘোড়ার গাড়ির শব্দ শুনেই বেরোলেন। শান্তি গাড়িতে উঠে দেখেন সুনীতি বসে আছেন। হাতে তার বিদ্যালয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতার নিমন্ত্রণপত্র। দাদাদের নির্দেশ মতো গাড়ি সরাসরি চলে গেল ম্যাজিস্ট্রেটের বাংলোতে। চাপরাশিদের হাতে নিমন্ত্রণপত্র তুলে দিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেন্স বেরিয়ে এলেন। সাথে এলেন মহকুমা প্রশাসক নেপালচন্দ্র সেন। তাদের নিমন্ত্রণপত্রের কোথাও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর না থাকায় স্টিভেন্স বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। মেয়েরা তখন ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেন্সকে বললেন, আপনি এই বিষয়টি লিখে দিন। সিজিবি স্টিভেন্স যখন লিখতে যাবেন, সেই সময় শান্তি সুনীতির ৪৫ ও ২২ ক্যালিবারের রিভলভার গর্জে উঠল। অব্যর্থ নিশানায় ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেন্স মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। সুনীতির প্রথম গুলিই স্টিভেন্সের মাথায় বিদ্ধ হয়। তৎক্ষণাৎ তার শরীরে শান্তি গুলি করার কারণে ম্যাজিস্ট্রেটের ওখানেই মৃত্যু ঘটে। চারপাশে তখন ছুটোছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘিরে রাখা লোকজনের হাতে শান্তি সুনীতি আটক হন।
বিচার ও জেল জীবন
শান্তি ও সুনীতির এই কাজে পুলিশ লাইনে পাগলা ঘণ্টা বেজে উঠল। উপস্থিত কর্মীরা দুই বান্ধবীর উপর প্রচণ্ড প্রহার করতে লাগলেন। পরবর্তীতে তাদের আলাদা করে সেলে আটকিয়ে তথ্য বের করার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু ব্রিটিশ গোয়েন্দারা কোনো তথ্যই বের করতে পারেনি। পরবর্তীতে পুলিশ প্রফুল্ল নলীনি ব্রহ্ম ও চট্টগ্রামের ইন্দুমতি সিংহকে ধরে এনে একসাথে কুমিল্লা জেলে পাঠিয়ে দেয়। ১৯৩২ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলা শুরু হয়। মামলা শুরুর দ্বিতীয় দিনে আদালতের ডকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, কারণ তাদের বসতে দেয়া হয়নি। আদালতে পুরোটা সময় জুড়ে শান্তি ও সুনীতি হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় থাকতেন। দেশাত্মবোধক গান গাইতেন। আদালতের এক আদেশ বলে তাদের গান হঠাৎ থেমে যায়। তাদের ফাঁঁসির আদেশের বদলে দেয়া হয় যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর। তাদের বয়স ১৪/১৫ হওয়ার কারণে এই দণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
জেলখানায় শান্তিকে দ্বিতীয় শ্রেণির কয়েদি ও সুনীতিকে তৃতীয় শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেয়া হয়। অধিকাংশ সময় তাদের আলাদা কক্ষে রাখা হতো। জেলখানাতেও এই দুই বিপ্লবী নারী বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। শান্তি ও সুনীতির সুরেলা কণ্ঠ সবাইকে মাতিয়ে রাখতো। ওদিকে সুনীতি চৌধুরীর পরিবারের প্রতি ব্রিটিশ সরকার অত্যাচারের স্টিম রোল চালাতে থাকে। বড় দুই ভাইকে পুলিশ নির্যাতন করতে থাকে, বন্ধ করে দেয় পিতার পেনশন। এভাবে দুই বান্ধবী জেলে ও জেলের বাইরে তাদের পরিবার অত্যাচারের মুখোমুখি হতে থাকে। তাদের এই ঘটনা অনেক বিপ্লবীর মনে বীজমন্ত্র গেথে দিয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, এই দুই বিপ্লবী নারীর কাজে উৎসাহিত হয়ে ১৯৩২ সালে বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রাম রেলওয়ে ক্লাব আক্রমণ করেন।
পরবর্তী জীবন
দেখতে দেখতে শান্তি-সুনীতির জেল জীবনের সাতটি বছর কেটে যায়। অবশেষে ১৯৩৯ সালে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। গান্ধীজীর প্রচেষ্টায় অন্য সকল রাজবন্দীর সাথে মু্ক্তি মেলে শান্তি-সুনীতির। জেল থেকে বেরিয়ে দুজনেই ম্যাট্রিক পাস করলেন। আইএ পাস করে শান্তি ঘোষ সাহিত্যচর্চা ও জনহিতকর কাজে মনোযোগ দিলেন। অরুনবহ্নি নামক পুস্তকে নিজের জীবনকাহিনি লিখলেন তিনি। হলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক বিধান সভার সদস্য। বিয়ে করলেন চট্টগ্রামের চিত্তরঞ্জন দাসকে। সাহিত্য ও জনকল্যাণে ব্রত থেকে শান্তি ঘোষ ১৯৮৯ সালের ২৭ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
সুনীতি চৌধুরি আইএসসি পাশ করে এমবিবিএস পাস করে ডাক্তার হন। নীরবে জনসেবা করতে থাকেন। ১৯৪৭ সালে চব্বিশ পরগনার প্রদ্যোতকুমার ঘোষের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সুনীতি চৌধুরী ১৯৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু অবধি তিনি জনকল্যাণমূলক কাজ করে গেছেন।
এই দুই নারীর বীরত্ব ও সাহসিকতা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, এবং বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত মানুষদের যুগে যুগে পথ দেখাবে।
This Article is in Bangla language. It has been written about two Indian nationalists Shanti & Suniti who assassinated British district magistrate Stevens during the movement for liberation of Indian subcontinent.
Reference:
১) স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী (প্রথম প্রকাশ, আশ্বিন ১৩৬৭); লেখক: কমলা দাশগুপ্ত। বসুধারা প্রকাশনী, ৪২ কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা। পৃ. ১১৩-১১৮
২) Indian Women and the Freedom Movement: A Historian's Perspective by Geraldine Forbes. Research Centre for Women's Studies, S.N.D.T. Women's University. First Published in 1997. Page 123-124.
3. Banglapedia
Featured Image: Times of India